নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
[সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি আমাদেরকে সর্বোত্তম দীনের অনুসারী ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উম্মত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপর, যিনি আমাদেরকে কল্যাণকর সকল পথ বাতলে দিয়েছেন ও সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সতর্ক করেছেন। আরো সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরিবারবর্গ (আহলুল বাইয়াত) এবং উনার সাহাবীদের উপর, যারা তার আনীত দ্বীন ও আদর্শকে পরবর্তী উম্মতের নিকট যথাযথভাবে পৌঁছে দিয়েছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের অনুসরণ করবে তাদের সবার উপর।]
অল্প কিছুদিন আগে ইসলামের প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এবং হযরত উমর বিন খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বিরুদ্ধে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সবচেয়ে ছোট কন্যা খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমাতুজ জাহরা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) হত্যা, তার গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা এবং প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর বাসা আক্রমণ করে তাকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাবার নামে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার এবং অপপ্রচারমূলক একটা পোস্ট ব্লগে দেয়া হয়েছিল।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এই পোস্টটা লিখেছিল নিজেকে মুসলিম দাবীকারী ব্যক্তি সত্যপথিক শাইয়্যান। তার সেই পোস্টের লিংক নিচে দেয়া হলোঃ ইসলামের প্রথম যুগে নারীদের উপর অত্যাচার
সেই পোস্টে দাবী করা হয়েছিলঃ
সবাই ভয়ে যখন আবু বকরের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া শুরু করলেন, হযরত আলী (আঃ) বেঁকে বসলেন। তিনি আবু বকরকে নেতা মানলেন না। এটা শুনে উমর রেগে গিয়ে হযরত আলী'র বাসায় হানা দিলেন। হযরত আলী'র স্ত্রী বিবি ফাতেমা (আ) দরজা বন্ধ করে আগলে দাঁড়ালেন। হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর কন্যা বিবি ফাতেমা কিছুতেই নিজের স্বামীকে আবু বকরের দরবারে নিতে দিবেন না। এক পর্যায়ে, উমরের লাথিতে দরজা ভেঙ্গে পড়লো। দরজার একটি অংশ গিয়ে আঘাত করলো প্রিয় নবী (সা)-এর মেয়ের গায়ে।
সেই সময়ে বিবি ফাতেমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। দরজার আঘাতে সাথে সাথে তাঁর গর্ভপাত হলো। আর, তাঁর রক্তাক্ত দেহের উপর দিয়েই মুসলমানদের কথিত দ্বিতীয় খলিফা উমরের বাহিনী হযরত আলীকে বেঁধে আবু বকরের দরবারে নিয়ে গেলো। পরবর্তীতে, বিবি ফাতেমা মারা গেলে, তাঁর ওসিয়ত মোতাবেক আবু বকর আর উমরকে জানাযায় আসতে বাধা দেওয়া হয়।
মুসলমানদের খলিফারা যুগে যুগে নারীদের অপমান করেছে। করেছে অত্যাচার। মুসলমানদের বিখ্যাত ইতিহাসবিদরাই তা লিখে গিয়েছেন। সেজন্যেই, ভালো মুসলমানরা আবু বকর, উমর, উসমান আর মুয়াবিয়াকে অভিসম্পাত করে।
আমি সম্মানিত পাঠকদের এই লেখার তিনটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করছিঃ
এক) সাহাবী হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ইসলামের প্রথম খলিফা নির্বাচনের সময়ে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কোনভাবেই স্বেচ্ছায় সেই বাইয়াত গ্রহণ করেননি।
দুই) সাহাবী হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এবং হযরত এ উমর বিন খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সবচেয়ে ছোট কন্যা হযরত ফাতিমাতুজ জাহরা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) হত্যা, তার গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা এবং প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর বাসা আক্রমণ করেছেন। (নাউজুবিল্লাহ)
তিন) মুসলমানদের খলিফারা যুগে যুগে নারীদের অপমান করেছে। করেছে অত্যাচার। মুসলমানদের বিখ্যাত ইতিহাসবিদরাই তা লিখে গিয়েছেন। সেজন্যেই, ভালো মুসলমানরা আবু বকর, উমর, উসমান আর মুয়াবিয়াকে অভিসম্পাত করে। (নাউজুবিল্লাহ)
যেহেতু সে ব্লগে লেখা দিয়েছে, আমি উপযুক্ত যুক্তি তর্ক সাপেক্ষেই তার এই দাবীগুলি কতটা অসাড়, মিথ্যাচার এবং ভ্রান্ত ধারনা প্রমান করে দেবো। তার এই কাজ নতুন কিছু না, যুগ যুগ ধরেই মুসলিম প্রথিতযশা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই ধরনের নোংরা অপপ্রচার চলে আসছে। এইসব পথভ্রষ্ট মানুষরা জানে না, আল্লাহ স্বয়ং যাদের জীবিত অবস্থায় আশারায়ে মুবাশ্বারাহ হিসেবে ঘোষনা দেন, তাদের সম্মান সামান্যতম মানুষ কীভাবে কমাবে? মহাসমুদ্রের মাঝে ইটের কনা ছুড়ে দিলে বিশাল জলসমুদ্রের কি কিছু যায় আসে?
দুঃখজনক হলেও সত্য যে ইসলামের বিরুদ্ধে এই সমস্ত নোংরা অপপ্রচার কিংবা মিথ্যাচার দেখলে অনেক মুসলিমদেরকে এড়িয়ে যেতে দেখা যায়। অথচ তারা জানে না ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার দেখলে সেটার প্রতিবাদ করা নৈতিক এবং ইসলামিক দায়িত্ব।
(১) হযরত ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিতঃ “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার পূর্বে আল্লাহ যে কোন নবীকে যে কোন উম্মতের মাঝে পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে তাঁর (কিছু) সহযোগী ও সঙ্গী হত। তারা তাঁর সুন্নাতের উপর আমল করত এবং তাঁর আদেশের অনুসরণ করত। অতঃপর তাদের পরে এমন অপদার্থ লোক সৃষ্টি হয় যে, তারা যা বলে, তা করে না এবং তারা তা করে, যার আদেশ তাদেরকে দেওয়া হয় না। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হাত দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ জিভ দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন এবং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ অন্তর দ্বারা জিহাদ করবে সেও মু’মিন। আর এরপর সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান নেই”। (সূত্রঃ হাদিস নাম্বার ১৫৯১, Click This Link)
(২) হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন গর্হিত কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে পরিবর্তন করে)। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান”। (সূত্রঃ আহমাদ ১১০৭৪, মুসলিম ১৮৬, মুসলিম ১৮৮, আসহাবে সুনান, হাদিস নাম্বার ১৫৯০, Click This Link)
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ সকলেই দ্বীনের ব্যাপারে ছিলেন ইনসাফকারী। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক সাহাবীদেরকেই ইনসাফকারী বলে আখ্যায়িত করে গেছেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “তোমাদের উপর আমার রেখে যাওয়া সুন্নাহ্ এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত পথপ্রদর্শনকারী খলীফাগণের সুন্নাত অবশ্যই গ্রহণযোগ্য এবং উক্ত খলীফাগণের প্রত্যেকেই ইনসাফকারী”। অন্যত্র আছে, যার সনদও সহীহ, “আমার সব সাহাবীই ইনসাফকারী”। ইমাম বুখারীর বর্ণনায় উক্ত সহীহ বুখারীর মধ্যেই كتاب فضائل الصحابة নামক অধ্যায়ের ৩৬৬৫ নং হাদীসে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, “তোমরা (পরবর্তীকালে) আমার সাহাবীদেরকে গালি-গালাজ করো না”।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাস বলেন, “আমার সুন্নাত ও আমার হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত পালন করা তোমার অবশ্য কর্তব্য, এই সুন্নাতকে তোমরা হাতে-দাঁতে দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে। আর সাবধান! ইসলামী শরীয়তে তোমরা নতুন কিছু আবিস্কার করবে না, কেননা প্রত্যেক নব আবিস্কৃারই হচ্ছে বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আতই হচ্ছে ভ্রান্তি ও পথভ্রষ্টতা। (সূত্রঃ আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ্)
রাসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার পরে তোমরা তাঁদেরকে সমালোচনার লক্ষ্যে পরিণত করো না। তাঁদেরকে যারা ভালোবাসে, আমার মুহাব্বতের খাতিরেই তারা ভালোবাসে, আর যারা তাঁদেরকে হিংসা করে, আমার প্রতি হিংসার কারণেই তারা তা করে।” (সূত্রঃ মিশকাতুল মাসাবিহ)।
হযরত ইবনে উমর (রাদিয়াল্লালাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাস বলেছেন, “যখন তোমরা ঐসব লোকদেরকে দেখবে যারা আমার সাহাবীদেরকে গাল-মন্দ করে, তখন তোমরা বলবে, তোমাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার লানত, তোমাদের এই মন্দ আচরণের জন্য”। (সূত্রঃ তিরমিজী)।
সাহাবীদের মর্যাদা ও তাঁদের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে শরীফে বলা হয়েছে, “তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে জান ও মাল দ্বারা জিহাদ করে। তারাই (সাহাবীগণ) সত্যনিষ্ঠ বা সত্যবাদী।’ (সূরা হুজুরাত, আয়াত : ১৫)।
“এমন সব লোকই (সাহাবীরা) সত্যিকারের মুমিন (যাঁদের ভেতর ও বাহির এক রকম এবং মুখ ও অন্তর ঐক্যবদ্ধ)। তাদেরজন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদিগারের নিকট সুউচ্চ মর্যাদা ও মাগফিরাত এবং সম্মানজনক রিযিক”। (সূরা আনফাল, আয়াত : ৪)।
সম্মানিত সাহাবীগণের সুমহান মর্যাদা সম্পর্কে রয়েছে অসংখ্য হাদিস। আমি আরো কয়েকটি উল্লেখ করছি।
(১) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, “তোমরা আমার সাহাবীগণকে গাল-মন্দ করো না। কেননা তারা এমন শক্তিশালী ঈমান ও সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী যে, তোমাদের কেউ যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনাও আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তবুও তাদের এক মুদ (৩ ছটাক প্রায়) কিংবা অর্ধমুদ যব খরচ এর সমান সাওয়াবে পৌঁছুতে পারেনা”। (সূত্রঃ বুখারি ৩৩৯৭)
(২) হযরত জাবির (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, “জাহান্নামের আগুন সেই মুসলমানকে স্পর্শ করতে পারে না, যে আমাকে দেখেছে। অর্থাৎ আমার সাহাবীরা কিংবা আমাকে যারা দেখেছে তাঁদেরকে দেখেছে। অর্থাৎ তাবেঈরা।’ (সূত্রঃ তিরমিজি ৩৮০১)।
(৩) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, “যে আমার সাহাবীদেরকে কষ্ট দিল, সে যেন আমাকে কষ্ট দিল। যে আমাকে কষ্ট দিল, সে যেন আল্লাহকে কষ্ট দিল। যে আল্লাহকে কষ্ট দিল, অচিরেই আল্লাহ তাকে পাকড়াও করবেন।” (সূত্রঃ মুসনাদে আহমাদ ১৯৬৪১)।
ইসলামের এই শত্রুদের সাবধান করে আল্লাহ নাযিল করেছিলেন এই আয়াতঃ "বরং আমি মিথ্যার উপর সত্য নিক্ষেপ করি, ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং নিমিষেই তা বিলুপ্ত হয়। আর তোমাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ তোমরা যা বলছো তার জন্য”।
(সূত্রঃ সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১৮)
উক্ত লেখক যেই দুজন সাহাবীকে নিয়ে কটু মন্তব্য করেছে, তাদের নিয়ে আমাদের রাসূল রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলে গেছেনঃ
(১) ‘‘আমার পরে তোমরা আবু বকর ও উমার, এই দু’জনের অনুসরণ করবে’’। (সূত্রঃ তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব।
(২) ‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে একজন মহিলা আগমণ করল। তিনি তাকে পুনরায় আসতে বললেন। মহিলাটি বললঃ আমি এসে যদি আপনাকে না পাই তাহলে কার কাছে যাব? মনে হচ্ছে সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাউতকে উদ্দেশ্য করেছিল। তিনি তখন বললেনঃ তুমি এসে যদি আমাকে না পাও, তাহলে আবু বকরের কাছে যাবে’’। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব)
(৩) আমর ইব্নু ‘আস (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিতঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে যাতুস সালাসিল যুদ্ধের সেনাপতি করে পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মানুষের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন, আইশাহ্! আমি বললাম, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তাঁর পিতা (আবূ বকর)। আমি জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর কোন লোকটি? তিনি বললেন, উমার ইবন খাত্তাব, অতঃপর আরও কয়েকজনের নাম করলেন। (সূত্রঃ সহী বুখারী আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৯৭)
এই ব্লগারের লেখা যদি সত্য হয় তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তার সবচেয়ে আদরের মেয়ের হত্যাকারীদের সবাইকে অনুসরণ করতে বলে গেছেন, নাউজুবিল্লাহ।
এই ব্লগার আহলুল বায়াত এর সম্মান করার নামে যে দুইজন সাহাবীদের নামে অজস্র মিথ্যাচার করেছেন তাদের মাঝে প্রথম হচ্ছেন প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাদিয়াল্লাহু আনহু)। হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) এর উপাধি ছিল ‘সাদিক’ (সত্যবাদী) এবং ‘আতিক’ (দোযখের আগুন থেকে আল্লাহ্ কর্তৃক রক্ষাপ্রাপ্ত)। পৃথিবীর ইতিহাসে বিশ্বনবীর পর অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, মাধুর্য ব্যবহার, ব্যক্তিত্বের বলিষ্ঠতা, অগাধ জ্ঞানের গভীরতা, কালজয়ী আদর্শিক একনিষ্ঠতা, কুরআনের নীতি-জ্ঞানে পরিপক্বতা, দায়িত্ব পালনে কর্তব্য-নিষ্ঠা, অধিকার বস্তবায়নে ত্যাগের মহিমা আর নিঃস্বার্থ প্রজা পালনে সমগ্র পৃথিবীব্যাপী যত রাষ্ট্রনায়ক সুখ্যাতি অর্জন করেছেন তাঁদের মধ্যে সর্বপ্রথম যাঁর নামটি শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তিনি হলেন ইসলামী খিলাফাতের প্রথম খলিফা, হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিয়াল্লাহু আনহু)। তিনি আশারায়ে মুবাশ্বারার একজন। হজরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রিসালাত প্রাপ্তির দ্বিতীয় দিনেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনিই হলেন বয়স্ক ও পুরুষদের মধ্যে এবং কুরাইশ বংশের ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি। দ্বীনি দাওয়াত নিয়ে কোথাও গেলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সঙ্গে নিয়েই যেতেন। হিজরতের কঠিন সফরে হজরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)ই ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সফরসঙ্গী। আল্লাহ তাআলা তাঁর শানেই সুরা আল-লাইলের ৫, ৬ ও ৭ আয়াত নাজিল করেছিলেন। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “বন্ধুত্ব ও সাহায্য আবু বকরই আমাকে বেশি করেছিলেন। ইহজগতে যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতাম তাহলে আবু বকরকেই করতাম।“ একদিন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম) হযরত আবু দারদা (রাদিয়াল্লাহু আনহু)কে হযরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর আগে আগে চলতে দেখে সতর্ক করলেন এবং বললেনঃ “তুমি কি এমন ব্যক্তির আগে আগে চলো, যিনি ইহকাল ও পরকালে তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ?’ তিনি আরো বলেছেনঃ “দুনিয়ায় এমন কোনো ব্যক্তির ওপর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়নি, যে পয়গম্বরদের পর হযরত আবু বকর থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।” ইসলামের প্রতি উনার অপরিসীম অবদানের জন্য তাকে ‘ইসলামের ত্রাণকর্তা’ বলা হয়। এ অবদানের স্বীকৃতির ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “দুনিয়াতে আমি প্রত্যেক মানুষের এহসানের পরিপূর্ণ বদলা আদায় করেছি কিন্তু সিদ্দিকে আকবরের ত্যাগের প্রতিদান আদায় করতে পারিনি। হাশরের ময়দানে স্বয়ং রাব্বুল আলামিন তাকে ওই প্রতিদান দেবেন।”
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রানপ্রিয় বন্ধুকে অপমানজনক এত নোংরা মন্তব্য করার শাস্তি নিশ্চয়ই আল্লাহই আপনাকে দেবেন। সবার জন্য আল্লাহ হিদায়াতের বন্দোবস্ত করেন না।
এরপর উনি কটু মন্তব্য করেছেন হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নামে, উনার অভিযোগ উনি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সবচেয়ে ছোট কন্যা হযরত ফাতিমাতুজ জাহরা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) হত্যা, তার গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা এবং প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর বাসা আক্রমণ করে থেকে তাকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। অথচ উকবা ইবনে আমির (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, “আমার পরে যদি কেউ নবী হত, তবে সে হতো উমার।” [আহমাদ (১৭৪০৫), তিরমিজি (৩৬৮৬), আল হাকিম (৪৪৯৫)]
উনি আরো বলে গেছেন, “আমার পরে তোমরা আবু বকর ও উমার, এই দু’জনের অনুসরণ করবে’’। (তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব। সিলসিলায়ে সাহীহা হাদীছ নং- ১২৩৩)
হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রাদিআল্লাহু আনহু)র ঘটনা। আব্দুল্লাহ ইবনে হিশাম (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিতঃ “একদিন আমরা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। নবীজী উমর রাদিআল্লাহু আনহুর হাত ধরা ছিলেন। উমর রাদিআল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার জান ছাড়া আপনি আমার কাছে সবকিছু থেকে প্রিয়। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, যার হাতে আমার প্রাণ সেই সত্ত্বার কসম! তোমার কাছে আমি যেন তোমার প্রাণের চেয়েও প্রিয় হই। তখন উমর রাদিআল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ আল্লাহর কসম, এখন থেকে আপনি আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয়। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হাঁ উমর! এখন তুমি সত্যিকারের ঈমানদার হলে”। (সূত্রঃ সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড হাদীস ৬৬৩২)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাদিয়াল্লালহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, “একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। ঐসব লোক জামা পরিহিত ছিল। তাদের কারো জামা সিনা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার কারো জামা তার চেয়ে নীচ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তারপর আমার সামনে উমরকে আনা হলো। তার গায়ে এরূপ একটি জামা ছিল যে, সে মাটিতে টেনে চলছিল। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি এর অর্থ কি করেছিলেন? তিনি বললেন, দীন ইসলাম”। (সূত্রঃ সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৩ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়)
ঐতিহাসিকভাবে এটা প্রমাণিত যে, সাহাবীদের মধ্যে যথেষ্ট মিল ছিল। আহলুস সুন্নাহ বলতে আমরা সকলে আহলুল বাইতের প্রতি যথেষ্ট ভক্তি ও শ্রদ্ধা পোষণ করি। অর্থাৎ আহলুস্ সুন্নাহর কারনে আমরা সবাই হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত ফাতেমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এবং তাদের সন্তানদের প্রতি যথেষ্ট ভক্তি ও শ্রদ্ধা পোষণ করি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বাকি সাহাবীদের প্রতি আমরা অযথাই নোংরা অযাচিত মন্তব্য করে যাবো। হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) নিজেই বলে গেছেন, “আমার ব্যাপারে দুই দল লোক ধ্বংস হবে। একদল অত্যধিক প্রেমিক, যারা আমার প্রশংসায় এমন গুনাবলী বলবে, যা আমার মধ্যে নেই। আরেকদল হিংসা বশীভুত হয়ে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ রটাইবে। (সূত্রঃ মুসনাদে আহমদ হা/নং ১৩৭৬, মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/নং ৫৩৪)
(১) ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) ইন্তেকাল করলে হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামায পড়তে আগমন করেন। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)কে বললেন, আপনি জানাযার নামায পড়ান। তখন হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আপনি আল্লাহর রাসূলের খলীফা! আপনার আগে আমি যেতে পারবো না। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) সামনে এগিয়ে জানাযার নামায পড়ালেন। (সূত্রঃ কানযুল উম্মাল-১২/৫১৫ হা/নং ৩৫৬৭৭)
(২) ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণনা করেন যে, খাতুনে জান্নাত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর ইন্তেকাল মাগরিব ও ইশার মাঝামাঝি সময়ে হয়। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত উসমান (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত যুবায়ের (রাদিআল্লাহু আনহু) এবং হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামাযের জন্য উপস্থিত হন। হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামায পড়ানোর জন্য আমীরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু)কে বললেন। হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, হে আবুল হাসান! আঁপনার উপস্থিতিতে আমি কীভাবে জানাযা পড়াই? হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আপনি এগিয়ে আসুন! আল্লাহর কসম! আপনি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর জানাযা পড়াবে না। অতএব হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু)ই হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর জানাযার নামায পড়ান। আর সেই রাতেই তাঁকে দাফন করা হয়। (সূত্রঃ আররিয়াজুন নাজরাহ ফী মানাকিবিল আশারাহ লিমুহিব তাবারী-১/১৫৬)
উনি যাদের সমর্থনে এই নোংরা লেখা লিখেছেন, ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) এবং তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) সেই সম্প্রদায়ের বারো ইমামদের দুইজন। এরা তাদের নিজেদের ইমামগণের কথাই বিশ্বাস করে না। সাহাবীদের নামে জঘন্য মিথ্যাচার এদের জন্মগত আচরণে পরিনত হয়েছে।
উক্ত লেখক দাবি অনুযায়ী ইসলামের প্রথম দুজন খলিফা, হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এবং হযরত উমর বিন খাত্তব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সবচেয়ে আদরের কন্যা হযরত ফাতেমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)র নির্মম মৃত্যুর জন্য দায়ী। এমনকি ওনার গর্ভস্থ সন্তান হত্যার জন্যও দায়ী। কোন মুসলিম অপর কোনো মুসলিমের বিনা কারণে মৃত্যুর কারণ হলে সে সরাসরি জাহান্নামে যাবে। সরাসরি দুইটা খুন বা হত্যার অপরাধে হযরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এবং হযরত ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বেহেস্তে যাওয়ার উপযুক্ত নন (নাউজুবিল্লাহ)। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তারা সরাসরি বেহেশতে যাবেন এটা ঘোষণা করেছেন। এখান থেকে সুস্পষ্ট যে উক্ত লেখক আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ঘোষণাকে মিথ্যা প্রমাণ করার অপচেষ্টা করছেন। তাদের নামে, তাদের চরিত্রের নামে মিথ্যা কলঙ্কের অপবাদ দিচ্ছেন।
আবার মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সরাসরি সহি হাদিসের সনদে এই সাহাবীদেরকে নিষ্পাপ এবং সর্বদা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে গেছেন। বিশেষ করে খোলাফায়ে রাশেদীনকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন। উক্ত লেখক দাবি অনুযায়ী আল্লাহর রাসূল দুজন খুনিকে, যারা উনার কন্যা এবং কন্যার সন্তানকে খুনের অপরাধে দায়ী তাদেরকে অনুসরণ করতে বলেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বেহেশতে নারীদের সরদার হবেন। তাকে হত্যার অপরাধে নিশ্চয়ই এই সাহাবীদের কেউ কখনো বেহেশতে যেতে পারবেন না। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দুইজনের বেহেস্তে যাবার ব্যাপারে ঘোষণা করেছেন।
এই লেখকের এর দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কুরআন শরীফের ঘোষণা এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহী হাদিস মিথ্যা প্রমাণিত হয় (নাউজুবিল্লাহ)। উনার প্রতিটা দাবী ইসলামের মূলনীতির সরাসরি সাংঘর্ষিক।
উনি আবার দাবী করেছে ইসলামের ইতিহাসে নাকি এইসব ঘটনা লেখা আছে। চলুন তাহলে ইসলামের পরিশুদ্ধ ইতিহাস থেকে দেখে আসি উনার দাবী সত্য না মিথ্যা?
ধর্মীয় লেখার বাইরে যেয়ে ইসলামি ইতিহাস থেকে আমি প্রখ্যাত মুফাসসির ও ইতিহাসবেত্তা আল্লামা ইবনে কাসীর (রহিমাহুল্লাহ) প্রণীত “আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইসলামের ইতিহাস : আদি-অন্ত)” এর ষষ্ঠ খন্ড থেকে এর স্বপক্ষে প্রমাণ দিচ্ছি। ছবি গুলিতে আমি সেই পৃষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ লাইন পেন্সিল দিয়ে আণ্ডারলাইন করে দিয়েছি। উক্ত লেখকের সবগুলি অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
(১) উনি দুইজন প্রিয় সাহাবীদের বিরুদ্ধে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর কন্যার হত্যার মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু)’র খলিফা হিসেবে বাইয়াত গ্রহণ করার সময়ে। তিনি দাবী করেছেন, উক্ত সময়ে হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) কোনভাবেই হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু)’র খলিফা হিসেবে বাইয়াত মেনে নেননি । এবং জোর করে উনার বাসায় আক্রমন করে উনার স্ত্রীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে উনাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) সর্ম্পূণ স্বেচ্ছায় এই বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন। এর প্রমান এই বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়ের পৃষ্ঠা ৪৬৩, ৪৬৪, ৪৬৫ তে দেয়া আছে। আমি নিজের হাতে তোলা ছবি এখানে দিয়ে দিলাম।
(২) এখানে আরো বলা আছে হযরত ফাতেমা (রাদিআল্লাহু আনহা) মহানবীর মৃত্যূর আরো ছয়মাস পরে মারা গেছেন। উক্ত লেখক দাবী করেছেন হযরত ফাতেমা (রাদিআল্লাহু আনহা) হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু)’র খলিফা হিসেবে বাইয়াত গ্রহণ করার সময়ে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু) এবং হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রাদিআল্লাহু আনহু)’র দ্বারা নির্মমভাবে আহত হয়ে মারা গেছেন। এটাও ডাহা মিথ্যা। উনি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর আরো ছয়মাস পরে মারা গেছেন। মীরাছ নিয়ে উনি বাবার মারা যাবার পর খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু)র কাছে গিয়েছিলেন। উক্ত মীরাছ হাদিস মোতাবেক না পাওয়ার আরো বেশ কিছুদিন পরে উনি মারা গেছেন। অর্থাৎ উনাকে হত্যার যে মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে সেটা থেকে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু) এবং হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রাদিআল্লাহু আনহু) পুরোপুরি নিষ্পাপ। এর প্রমান এই বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়ের পৃষ্ঠা ৪৬৫, ৫১৭ তে দেয়া আছে। আমি নিজের হাতে তোলা ছবি এখানে দিয়ে দিলাম।
কোন ইসলামী ইতিহাসের বইতে এইসব হাস্যকর, কাল্পনিক, বানোয়াট এবং সাহাবীদের অমর্যাদা করে কিছু লেখা থাকতে পারে না। সম্ভবও না।
ইসলামী আইনশাস্ত্রে শরিয়াহর এবং ফীকহ শাস্ত্রের উৎস হিসেবে নিন্মোক্ত মানদন্ডকে ক্রমানুসারে ধরা হয়ঃ
১) কুরআন শরিফ
২) হাদিস এবং সুন্নাহ
৩) ইজমা
৪) কিয়াস
ইজমা এবং কিয়াস ইসলামের নামে নতুন কোন বিধান রচনা করে না, বরং কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে পালন করার উপযুক্ত করে তুলে। সুতরাং যা যা পবিত্র কুরআন শরিফে কিংবা সহী হাদিসে দেয়া আছে সেটা অন্য কোন মানুষের রচিত কোন লেখা বা কথা দ্বারা কোনভাবেই প্রতিস্থাপণ হতে পারে না। কারন হাদিস সমূহও যে ওহীর সূত্রে প্রাপ্ত এবং তাশরী’আতের অন্যতম উৎস সেটা পবিত্র কুরআন শরীফেরই উল্লেখ করা আছেঃ-
১। “আর তিনি মনগড়া কথাও বলেন না, এতো ওহী যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়” (৫৩:৩-৪)
২। “তিনি যদি আমার নামে কিছু রচনা চালাতে চেষ্টা করতেন আমি অবশ্যই তাঁর ডানহাত ধরে ফেলতাম এবং কেটে নিতাম তাঁর জীবন ধমনী” (৬৯:৪৪-৪৬)
৩। “রাসুল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।” (৫৯:৭)
৪। মহানবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেই বলে গেছেনঃ “জেনে রাখ, আমাকে কুরআন দেয়া হয়েছে এবং তার সাথে দেয়া হয়েছে এর অনুরূপ আরও একটি জিনিস”। (আবূ দাঊদ, ইবনমাজা, দারিমী)
উনার উদ্দেশ্যই খারাপ, কারণ পোস্টের শিরোনামটাই অসৎ উদেশ্যে লেখা হয়েছে। উক্ত লেখক তার লেখা সাপেক্ষে একটা হাদিস কিংবা কুরআন শরীফের আয়াতও দেখাতে পারেনি। পারেনি তাবেঈ দ্বারা রচিত কোন লেখা প্রমান হিসেবে দিতে। হাদিস কিংবা কুরআন শরীফের সুস্পষ্ট প্রমানের বিরুদ্ধে সে নিয়ে এসেছে কিছু বাতিল গ্রন্থ। ইসলাম নিয়ে যার নূন্যতম জ্ঞান থাকবে সেই বুঝবে কতটা হাস্যকর এবং নির্বোধের মতো এই অবিবেচক কাজ। আল্লাহর বাণী এবং রাসূলের হাদিসের বিপরীতে তার দেয়া সমস্ত সূত্র পুরোপুরি পরিতাজ্য।
উনি যার সম্মান বাড়ানোর জন্য এইসব পথভ্রষ্ট লেখা দিচ্ছেন তিনি নিজেই তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে গেছেন। হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) এর পুত্র মুহাম্মদ বিন হানাফিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “আমার পিতা আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পর কোন ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা উত্তম? তিনি বললেনঃ আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু) , আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারপর কোন ব্যক্তি? তিনি বললেন: উমর (রাদিআল্লাহু আনহু), (সূত্রঃ সহীহ্ বুখারী,হাদিস নং ৩৬৭১; মেশকাত হাদিস নং ৫৭৭০)
এদের পক্ষে এইসব লেখা অসম্ভব কিছু না। কারন এরা ধর্মীয়ভাবে বিশ্বাস করে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর মাত্র ৫/৬ জন বাদে সকল সাহাবীরা ইসলাম থেকে খারিজ, মুরতাদ, কাফির হয়ে গিয়েছিলেন (নাউযুবিল্লাহ)। এরা এটাও বিশ্বাস করে যে আল্লাহ যেই কুরআন শরীফের বিশুদ্ধতা নিজেই রাখবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন, সেই পবিত্র কুরআন শরীফ পরিবর্তন করা হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) (সূত্রঃ আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী: ১/২৮৫)। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফে ঘোষনা করা হয়েছে, “নিশ্চয় আমরাই কুরআন নাযিল করেছি আর আমরাই তার সংরক্ষক।” (সুরা আল হিজরঃ ৯)
এরা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়ে দেয়া কলেমা “লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” পর্যন্ত পরিবর্তন করে বানিয়েছে “লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ আলী ওয়ালী উল্লাহ” (নাউযুবিল্লাহ)।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিজেদের পরিবার-পরিজন সহ এই ফিতনা রেখে রক্ষা করুন এবং পাপী লেখকের এই জঘন্য পাপের উপযুক্ত শাস্তি মহান আল্লাহ তায়ালাই তাকে প্রদান করবেন, আমীন।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবা আপনাকে। মানুষ যখন খারাপ পথে যায় শয়তান আরো কয়েক পা এগিয়ে দিয়ে আসে। উনি নিজের ভুল তো বুঝতে পারছে না বরং উলটো ক্রমাগত আরো বেশি পাপের মাঝে জড়িয়ে যাচ্ছেন। উনি সাহাবীদের নিয়ে যে কয়টা অযাচিত শব্দ বলছেন তার প্রতিটার জন্য উনাকে হাশরের ময়দানে জবাবদিহী করতে হবে। শিয়া ফিতনা ইসলামের সবচেয়ে বড় ফিতনা। এই জন্যই হযরত আলী রাদিয়াল্লাল্লাহু আনহু এই ফিতনার শুরুতেই সরাসরি এদের নির্মূল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।
শুভ কামনা।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪
সোনাগাজী বলেছেন:
ভারত আমাদের দেশকে তাদের ট্রাক, বাস, কলকব্জার বাজার করে নিয়েছে; আপনি এই দেশে ট্রাক, বাস বানানোর কথা, চেষ্টা করছেন নাকি?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি সম্ভবত জানেন না, আমি দেশেই খুব উঁচু পর্যায়ের প্রকৌশলীর চাকুরি করি।
কিন্তু নিজের ঈমান ঠিক রাখা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ আমাদের সবার ইসলামিক দায়িত্ব।
ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
সহিহ আল বোখারী, ২৫৪৩ নং হাদিসের (ওছিয়ত অধ্যায়) অনুবাদ-
২৫৪৩। হযরত আসওয়াদ (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা আয়েশার (রা.) নিকট আলোচনা করল যে, আলী (রা.) রাসূলুল্লাহর (সা.) অছী ছিলেন। তিনি বললেন, নবি (সা.) কখন তাঁকে অছিয়ত করলেন? আমি তো তাঁকে নিজের বক্ষে অথবা ক্রোড়ে ঠেস দিয়ে রেখেছিলাম। তিনি পানির তস্তরী চাইলেন এবং আমার ক্রোড়ে ঝুঁকে পড়লেন। আমি জানতে পারলাম না যে তিনি প্রাণ ত্যাগ করেছেন। তিনি কখন তাঁকে ওছিয়ত করলেন?
* মহানবির (সা) ইন্তেকালের সাথে সাথে এরা মহানবির (সা) নামে মিথ্যা হাদিস বানাতে শুরু করে। হযরত আবু বকর (রা) ও হযরত ওমর (রা) সংক্রান্ত আপত্তিকর কাহিনী এদের বানানো কাহিনী।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১১
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কি জানেন, শিয়া পুস্তকে উম্মুল মূমীনিনা হযরত আইশাহ রাদিল্লাল্লাহু আনহাকে পুনরায় জীবিত করে তাকে হদের আওতায় এনে বিচার করার কাহিনী দেয়া আছে? এরা মারাত্মক পথভ্রষ্ট। এদের সমস্ত কাহিনী বানোয়াট এবং মিথ্যাচারে ভর্তি।
ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নতুন বলেছেন: যাহা ঘটে তার কিছুনা কিছু তো বটেই।
উপরের বিষয়ে বলতে গেলে বলতে হয় যে এই বিষয়টা সত্যিকারের প্রমান করা সম্ভব না।
আপনি শিয়া পন্হির রেফারেন্স বিশ্বাস করবেন না এবং শিয়া পন্হিরা আপনার রেফারেন্সে বিশ্বাস করেনা।
ধর্মের মুল বিষয় বিশ্বাস, আর এই ঝামেলাও এই বিশ্বাসের জন্যই সমাধান হবেনা।
আরেকটা বিয়ষ হইলো যারা আপনার পছন্দের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদের আপনি খারাপ বলতে পারেন না। আপনিও নিজে এই সব জিনিসের সাক্ষি নন তাই আপনি ১০০% সিউর না যে আপনার বিশ্বাস সত্যি।
তাই আপনার বিশ্বাসের উপরে ভর করে কাউকে খারাপ বলা ঠিক না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ভুল বুঝেছেন, উনি আমাকে কিছু বলার জন্য আমি আল্লাহর কাছে বিচার দেইনি। উনি ইসলামের দুইজন সাহাবী, খলিফা, বেহেস্তে যাবার সুসংবাদ প্রাপ্ত দুইজন সাহাবীর নামে কুৎসা রটনা করার জন্য আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি।
উনি আল্লাহর ঘোষনাকে মিথ্যা বলছেন, রাসূলের হাদিসকে মিথ্যা বলছেন। উনি তাহলে খুব ভালো মানুষ?
আপনি ১০০% সিউর না যে আপনার বিশ্বাস সত্যি।
পুরো লেখায় আমি কী নিজের কিছু লিখেছি? সবকিছু সহী সনদ সহকারে উপযুক্ত তথ্য সহকারে লিখেছি।
আপনি আবার আমার পুরো লেখা পড়ুন। মুসলিম হয়ে সহী হাদিস ১০০% বিশ্বাস করবো না মানে?
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ এই জঘন্য অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য। হযরত আবু বকর ও তার কন্যা বিবি আয়েসার সাথে মতভেদ ছিল হযরত ফাতিমা এবং হযরত আলীর মধ্যে। এই মতভেদকেই পুজি করে মুলত নানান গাল্গল্প রচিত হয়েছে। এইসব গালগল্প মুলত তৈরী হয়েছে হযরত আলী এবং তার দুই সন্তানের মৃত্যূর পর।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৩
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, একজন মুসলিম হিসেবে এই প্রতিবাদ করা আমার ঈমানের দায়িত্ব।
ফাদাকের জমি নিয়ে খলিফা হযরত আবু বকর (রাদিয়াল্লাল্লাহু আনহু) সহী হাদিস মোতাবেক বিচার করেছেন।
এটা নিয়ে কোন সংশয় নেই। উনি কি রাসূলের হাদিস ভায়োলেট করবেন নাকি?
শিয়াদের এইসব গালগপ্প শুধু মাত্র ইসলামকে পিছন দিকে থেকে ছুরি মারার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
আহলে সুন্নাত আল জামাত সরাসরি এদের ঈমান এবং আকিদা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
নতুন বলেছেন: কিছু জিঙ্গাসা আপনার জন্য:-
হযরত ফাতেমা রা: এতো কম বয়সে কেন মারা গিয়েছিলেন? ( বইলেন না যে রাসুলের শোকে, বাস্তব চিন্তা কইরেন যে কি হইতে পারে)
হযরত ফাতেমা রা: এর জানাজাতে কেন খলিফা এবং ওমর রা: আসলেন না?
হযরত ফাতেমা রা: তার জানাজা এবং দাফন কেন রাতের আধারে হয়েছিলো? ( বইলেন না যে তার লাশ কেউ দেখুক তাই এটা তারা করছেন)
হযরত ফাতেমা রা: তার জানাজাতে আবু বকর রা: যেন না আসে সেটা বলে গিয়েছিলেন?
https://archive.org/details/aftertheprophettheepicstoryoftheshiasunnisplitinislampdfdrive.com/mode/2up
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে মানুষের টাকায় ( সাবসিডাইড ইউনিভার্সিটি ) টেকনোলোজীতে পড়ালেখা করে কেন এসব বিষয়ে লিখছেন? আপনার থেকে জাতি আশা করছে টেকনোলোজী।
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ নতুন, আপনি যে প্রশ্নগুলো করেছেন সেগুলো শিয়াপন্থীদের রটনা। শিয়া ধারা তৈরী হয়েছে হাসান ও হোসেনের মৃত্যূর অনেক পরে। কুফা নগরীর কারবালা প্রান্তরে ইয়াজদ বাহিনীর হাতে ইমাম হোসেন এর মর্মান্তিক মৃত্যূ হয়েছিল মুলত কুফা নগরবাসীর বিশ্বাষঘাতকতার কারনে। হোসেন এর মৃত্যূর পর কুফার নগরবাসীরা নিজেদের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য লজ্জিত হন এবং সেই সময় থেকেই শুরু হয় কারবালার ঘটনার জন্য মাতম। পরবর্তীতে কুফায় মুখত্তার সাকাফী নামক এক বীর যোদ্ধা কারবালার ঘটনায় জড়িত সকল হত্যাকারীদের হত্যা করে প্রতিশোধ নেন। তার মৃত্যূর পরই তার অনুসারীরা শিয়া ধারার উৎপত্তি ঘটান। ইসলামের মুল ধারা থেকে সরে গিয়ে একটি গ্রুপ যখন আরেকটি ধারা তৈরী করেন তখন সেটার গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য নানান গালগল্পের জন্ম দিতেই পারেন। তবে শিয়াপথিদের মধ্যেও আরো অসংখ্য গ্রুপ আছে। ফাতিমিদ, বাতিনী ইত্যাদি গ্রুপগুলো টেররিস্ট গ্রপ হিসেবে চিহ্নিত।এইসব অপপ্রচার খুব সম্ভবত তাদেরই তৈরী। কারন ইসলামের ইতিহাসের উপড় প্রচুর ইরানী টেলি সিরিয়াল তৈরী হয়েছে সেখানে কোথাও কোন খলিফা রাশেদিনদের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য দিতে দেখিনি।
ব্লগে এইসব উস্কানিমুলক মিথ্যা অপপ্রচার ব্লগ এবং উক্ত ব্লগার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
রাসূলের (সা.) আহলে বাইত বা রাসূল (সা.) পরিবার
সূরাঃ ১১ হুদ, ৬৯ নং থেকে ৭৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৯। আমার ফিরিশতাগণ তো সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের নিকট এসেছিল। তারা বলল, সালাম, সেও বলল, সালাম।সে অবিলমন্বে এক কাবাবকৃত গো-বৎস নিয়ে আসলো।
৭০। সে যখন দেখলো তাদের হাত এর দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন সে তাদেরকে অবাঞ্চিত মনে করলো এবং তাদের সম্বন্ধে তার মনে ভীতি সঞ্চার হলো। তারা বলল, ভয় করবে না, আমরা তো লুতের সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
৭১। তার স্ত্রী দন্ডায়মান ছিল। অতঃপর সে হেসে ফেলল। অতঃপর আমি তাকে ইসহাকের এবং তার পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম।
৭২। সে বলল, কি আশ্চর্য! সন্তানের জননী হব আমি? যখন আমি বৃদ্ধা এবং আমার স্বামী বৃদ্ধ! এটা অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার!
৭৩। তারা বলল আল্লাহর কাজে তুমি বিস্ময় বোধ করতেছ? হে আহলে বাইত তোমাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর রহমত ও বরকত । তিনিতো প্রশংসিত সম্মানিত।
* ফেরেশতাগণ আহলে বাইত বলতে ইব্রহীম (আ.) ও তাঁর স্ত্রী সারাকে (আ.) বুঝিয়েছেন।কারণ তখন সেখানে তাঁদের দু’জন ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। সেখানে ইব্রাহীমের (আ.) আহলে বাইত বলতে ইব্রাহীম (আ.) ও তাঁর স্ত্রী সারাকে নিয়ে ইব্রাহীম (আ.) পরিবার বুঝানো হয়েছে। সারা (আ.) ও ইব্রাহীম (আ.) পরিবারে তখনও কোন সন্তান ছিল না। কিন্তু তখন হাজেরা (আ.) ইব্রাহীম (আ.) পরিবারে ইসমাঈল (আ.) সন্তান ছিলেন। সুতরাং রাসূলের (সা.) আহলে বাইতের তালিকা থেকে তাঁর স্ত্রীগণের বাদ পড়ার সুযো্গ নেই।
সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩২ নং ও ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। হে নবী পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও। যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে পর পুরুষের সহিত কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলবে না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধী আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বলবে।
৩৩। আর তোমরা নিজগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রচীন যুগের মত নিজদিগকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।তোমরা সালাত কায়েম করবে ও যাকাত প্রদান করবে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত থাকবে। হে আহলে বাইত (নবি পরিবার)! নিশ্চয়ই আল্লাহ চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
* আয়াত থেকে মহানবির (সা.) স্ত্রীগণ তাঁর আহলে বাইত হিসাবে বোধগম্য।
# সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। আহলাল বাইত আয়াতাংশ বিষয়ে ইকরিমা (রা.) বাজারে বাজারে বলে বেড়াতেন এ আয়াত রাসূলুল্লাহর (সা.) স্ত্রীদের জন্য বিশেষভাবে নাযিল হয়েছে। ইবনে আবী হাতিম (র.) বলেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসও (রা.) এ কথা বলেছেন।
ইবনে জারীর (র.) বর্ণনা করেন, সাফিয়াহ বিনতে শাইবাহ (র.) বলেন, আয়েশা (রা.) বলেছেন, একদা ভোরে রাসূলুল্লাহ (সা.) উটের চুলের তৈরী একটি ডোরাকাটা চাদর গায়ে জড়িয়ে বের হন। তখন তাঁর নিকট হাসান আসলে তিনি তাঁকে চাদরের মধ্যে জড়িয়েনেন। অতঃপর হুসাইন (রা.) তাঁর কাছে আসলে তাঁকেও তিনি চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর ফাতিমা (রা.) এলে তাঁকেও চাদরে জড়িয়ে নেন। অতঃপর আলী (রা.) তাঁর কাছে আসেন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকেও তাঁর চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর তিনি পাঠ করেন, আল্লাহতো শুধু চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
ইয়াজিদ ইবনে হিব্বান (র.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুসাইন ইবনে সাবরাহ (র.) এবং উমর ইবনে মুসলিম যাইদ ইবনে আরকামের নিকট গমন করি। আমরা তাঁর কাছে বসলে হুসাইন (র.) তাঁকে বলেন, হে যাইদ আপনি তো বহু কল্যাণ লাভ করেছেন। আপনি রাসূলুল্লাহকে (সা.) দেখেছেন, তাঁর হাদিস শুনেছেন, তাঁর সাথে যুদ্ধ করেছেন এবং তাঁর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। সুতরাং হে যাইদ আপনি বহু কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছেন। আপনি রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট থেকে যা শুনেছেন তা’ আমাদের নিকট বর্ণনা করুন। তিনি তখন বলেন, হে আমার ভাতিজা! আল্লাহর শপথ! এখন আমার বয়স খুব বেশী হয়ে গেছে, রাসূলুল্লাহর যামানা দূরে চলেগেছে, যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে শুনেছি তার কিছু কিছু ভুলেগেছি। এখন আমি তোমাকে যা বলি তাই কর এবং তা মেনে নাও। আর আমি যা বলতে ভুলে যাই তার জন্য মনে কষ্ট নিও না। শোন! মক্কা ও মদীনার মাঝখানে একটা পানির জায়গা রয়েছে যার নাম ‘খাম’। সেখানে রাসূলুল্লাহ (সা.) দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে ভাষণ দেন। তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করেন, অতঃপর তিনি বলেন, আমি একজন মানুষ। অতি সত্ত্বর আমার রবের নিকট থেকে একজন দূত আগমন করবেন এবং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দেব। আমি তোমাদের নিকট দু’টি বস্তু ছেড়ে যাচ্ছি। প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব, যাতে হিদায়াত ও জ্যোতি রয়েছে। তোমরা আল্লাহর কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর। অতঃপর তিনি আল্লাহর কিতাবের দিকে আমাদের দৃষ্টি পূর্ণভাবে আকর্ষণ করলেন। তারপর তিনি বললেন, আমার আহলে বাইতের ব্যাপারে আমি আল্লাহর কথা তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তিনি তিনবার এ কথা বললেন। তখন হুসাইন (র.) তাঁকে জিজ্ঞাস করলেন, হে যাইদ (রা.)! আহলে বাইত কারা? তাঁর স্ত্রীরা কি আহলে বাইতের অন্তর্ভূক্ত নন? উত্তরে তিনি বললেন, তাঁর স্ত্রীরাও আহলে বাইতের অন্তর্ভূক্ত বটে, তবে তাঁর আহাল তাঁরা যাদের উপর তা্ঁর মৃত্যুর পরে সাদাকাহ হারাম। আবার তিনি (হুসাইন) জিজ্ঞাস করলেন তারা কারা? জবাবে তিনি বললেন, তারা হলেন আলীর (রা.) বংশধর, আকীলের (রা.) বংশধর, জাফরের (রা.) বংশধর ও আব্বাসের (রা.) বংশধর। তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, এদের সবার উপর কি সাদাকাহ হারাম? তিনি নউত্তর দিলেন, হ্যাঁ। (মুসলিম)।
* তাফসির অনুযায়ী মহানবির (সা.) আহলে বাইত হলেন ১। মহানবি (সা.) ২। তাঁর স্ত্রীগণ ৩। আলীর (রা.) বংশধর ৪। আকীলের (রা.) বংশধর ৫। জাফরের বংশধর ৬। আব্বাসের (রা.) বংশধর।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ৬১ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬১। তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে কেউ এ বিষয়ে তোমার তোমার সাথে তর্ক করে তাকে বল, আস আমরা আহবান করি আমাদের পুত্রগণকে ও তোমাদের পুত্রগণকে, আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে, আমাদের নিজ দিগকে ও তোমাদের নিজ দিগকে, অতপর আমরা মিথ্যাবাদীদের উপর লানতের মোবাহালা (বিনীত আবেদন) করি।
# এটাকে ‘মুবাহালা’র আয়াত বলা হয়। মুবাহালার অর্থ হল, দুই পক্ষের একে অপরের প্রতি অভিসম্পাত করা। অর্থাৎ, দুই পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়ের সত্য ও মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক হলে এবং দলীলাদির ভিত্তিতে মীমাংসা না হলে, তারা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে এই বলে দু’আ করবে যে, ‘হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী, তার উপর তোমার অভিশাপ বর্ষণ হোক!’ এর সংক্ষিপ্ত পটভূমি এই যে, ৯ম হিজরীতে নাজরান থেকে খ্রিষ্টানদের একটি প্রতিনিধিদল নবী করীম (সাঃ)-এর কাছে এসে তারা যে ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জনমূলক আকীদা রাখত, সে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করে দিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হয় এবং মহানবী (সাঃ) তাদেরকে মুবাহালার আহবান জানান। তিনি আলী, ফাতিমা এবং হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-দেরকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্ত্তত হয়ে আসেন এবং খ্রিষ্টানদেরকে বলেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবারের লোকদের সাথে নিয়ে এসো। তারপর আমরা মিথ্যাবাদীর উপর অভিশাপ বর্ষণের বদ্দুআ করব। খ্রিষ্টানরা আপোসে পরামর্শ করে মুবাহালা করার পথ ত্যাগ করে বলল যে, আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন, আমরা তা-ই দিব। সুতরাং রসূল (সাঃ) তাদের উপর জিযিয়া-কর ধার্য করে দেন। আর এই কর আদায়ের জন্য তিনি আমীনে উম্মত (উম্মতের বিশ্বস্তজন উপাধি লাভকারী) আবূ উবায়দা ইবনে জাররাহ (রাঃ)-কে তিনি তাদের সাথে পাঠিয়ে দেন। (ইবনে কাসীর এবং ফাতহুল ক্বাদীর ইত্যাদির সারাংশ)
* মোবাহালায় রাসূল (সা.) চারজনকে নিয়েছেন বিধায় শুধুমাত্র সেই চার জন তাঁর আহলে বাইত সাব্যস্ত হবে না। যেমন কারো আট পুত্রের একজন কোথাও উপস্থিত থাকলে সে লোকদেরকে বলে এটা আমার পুত্র। তারমানে এটা নয় যে অনুপস্থিত সাতজন তার পুত্র নয়। অনুরূপ মোবাহালায় উপস্থিতরাই শুধুমাত্র মহানবির (সা.) আহলে বাইত অন্য কেউ তাঁর আহলে বাইত নয় ঘটনা এমন নয়।
সূরা: ৪ নিসা, ৭৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৮। তোমরা যেখানেই থাক মৃত্যু তোমাদেরকে পাকড়াও করবে যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গেও অবস্থান কর। আর যদি তাদের উপর কোন মঙ্গল অবতীর্ণ হয় তবে বলে, এটা আল্লাহর কাছ থেকে। আর যদি তাদের উপর কোন অমঙ্গল অবতীর্ণ হয় তবে বলে, এটা তোমার কাছ থেকে হয়েছে।তুমি বল সবই আল্লাহর কাছ থেকে হয়। অতএব ঐ সম্প্রদায়ের কি হয়েছে যে তারা ফিকাহের মাধ্যমে (গভীর জ্ঞান) কোন হাদিস বুঝে না?
* হাদিস বুঝতে ফিকাহ লাগে কথাটা আল্লাহর।কোরআন+হাদিস=ফিকাহ। সুতরাং যেসব হাদিস দ্বারা শুধুমাত্র পাঁচ জনকে রাসূলের (সা.) আহলে বাইত সাব্যস্ত করা হয় সেসব হাদিসের আমল হতে হলে এর স্বপক্ষে কোরআন হাজির করতে হবে। যদি সেসব হাদিসের পক্ষে কোরআন হাদির করা না যায় তাহলে বুঝতে হবে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে সে সব হাদিস বানানো হয়েছে।
রাসূলের (সা.) ছেলেগণ শৈশবে ইন্তেকাল করলেও তাঁরা জান্নাতি। রাসূলের (সা.) আরো তিন মেয়ে ছিল। আর হযরত আলী যেমন রাসূলের (সা.) জামাতা তেমনি হযরত ওসমানও (রা.) তাঁর জামাতা। রাসূলের (সা.) পালিত পুত্র যায়েদ (রা.) ও নাতি ওসামা (রা.)। তাঁর কৃতদাস-দাসীগণ। সবাইতো তাঁর পরিবারের সদস্য ছিলেন। আর হযরত আবু বকর (রা.) ও হযরত ওমর (রা.) তাঁর শ্বশুর ছিলেন। হযরত মুয়াবিয়া ছিলেন তাঁর শালা। আর রাসূলের (সা.) সব হাদিস তো লিখিত হয়নি। তো আমরা যা হাদিস পেয়েছি তার সাথে কোরআন মিলিয়ে আমরা মহানবির (সা.) আহলে বাইতের হিসাব নিম্নরূপ পেয়েছি।
১। মহানবি (সা.) ২। তাঁর স্ত্রীগণ ৩। আলীর (রা.) বংশধর ৪। আকীলের (রা.) বংশধর ৫। জাফরের বংশধর ৬। আব্বাসের (রা.) বংশধর।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: চোর কোনদিন ধর্মের কাহিনী শুনে না। এরাও এইসব সত্যতা কোনদিনও বিশ্বাস করবে না।
ধন্যবাদ।
১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
নতুন বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: @ নতুন, আপনি যে প্রশ্নগুলো করেছেন সেগুলো শিয়াপন্থীদের রটনা।
আমি যেই ঘটনার কথা জিঙ্গাসা করেছি সেটা সম্ভবত সত্য। কিন্তু ব্যক্ষা শিয়া আর সুন্নীরা ভিন্ন ভাবে দেয়।
ফাতেমা রা: এর মৃত্যু অল্প বয়সে হয়েছিলো, তাকে রাতের আধারে জানাজা, দাফন করে তার পরিবারের সদস্যরা, খলিফা আবু বকর রা: এবং ওমর রা: সেখানে ছিলো না। তার কবর চিন্তিত করা নাই। ( এই গুলি সম্ভবত ঐতিহাসিক সত্য)
যদি কোন সমস্যা না ই থাকবে তবে এই গুলি কেন ঘটবে?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি লেখায় এই দুইটা হাদিস পড়েননি। আপনার জন্য আমি আবার দিলাম এখানেঃ
(১) ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) ইন্তেকাল করলে হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামায পড়তে আগমন করেন। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)কে বললেন, আপনি জানাযার নামায পড়ান। তখন হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আপনি আল্লাহর রাসূলের খলীফা! আপনার আগে আমি যেতে পারবো না। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) সামনে এগিয়ে জানাযার নামায পড়ালেন। (সূত্রঃ কানযুল উম্মাল-১২/৫১৫ হা/নং ৩৫৬৭৭)
(২) ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণনা করেন যে, খাতুনে জান্নাত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর ইন্তেকাল মাগরিব ও ইশার মাঝামাঝি সময়ে হয়। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত উসমান (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত যুবায়ের (রাদিআল্লাহু আনহু) এবং হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামাযের জন্য উপস্থিত হন। হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামায পড়ানোর জন্য আমীরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু)কে বললেন। হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, হে আবুল হাসান! আঁপনার উপস্থিতিতে আমি কীভাবে জানাযা পড়াই? হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আপনি এগিয়ে আসুন! আল্লাহর কসম! আপনি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর জানাযা পড়াবে না। অতএব হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু)ই হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর জানাযার নামায পড়ান। আর সেই রাতেই তাঁকে দাফন করা হয়। (সূত্রঃ আররিয়াজুন নাজরাহ ফী মানাকিবিল আশারাহ লিমুহিব তাবারী-১/১৫৬)
ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) এবং তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) শিয়াদের বারো ইমামদের অন্তর্ভূক্ত। বিশ্বাস না হলে গুগলে সার্চ করে দেখুন।
১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: ইকিপিডিয়ায় আছে যে এই ঘটনাগুলো শিয়াপন্থীদের দাবী । এগুলো কোন ঐতিহাসিকভাবে প্রমানিত সত্য ঘটনা নয়। । সুন্নীরা কোনটা বিশ্বাস করে তার ব্যখ্যা নীল আকাশ দিয়েছেন। আপনি খুব সম্ভবত পোস্টটা পড়েননি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: শিয়াদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে মিথ্যাচার। এরা আল্লাহর কালামকেও বিশ্বাস করে না।
নতুন ভাই সম্ভবত আমার পোস্ট ভালোভাবে পড়েননি। আমি আবার সেই দুইটা অংশ উনাকে কোট করে দিয়েছি প্রতি মন্তব্যে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই ব্যাপারগুলো বাদ দিলে ভালো হতো। কিছুদিন ধরে একই বিষয় নিয়ে ক্যাচাল। পাঠক তো বোরড হয়ে যাবে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার কি এই কথাগুলি উনার ব্লগে যেয়ে উনার পোস্টগুলি বলে এসেছেন? নাকি এখানেই লিখলেন শুধু?
উনি একগাদা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। আমি দিয়েছি একটা। তাতেই সমস্যা শুরু হয়ে গেল আপনার?
১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি লেখায় এই দুইটা হাদিস পড়েননি। আপনার জন্য আমি আবার দিলাম এখানেঃ
(১) ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) ইন্তেকাল করলে হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামায পড়তে আগমন করেন। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)কে বললেন, আপনি জানাযার নামায পড়ান। তখন হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আপনি আল্লাহর রাসূলের খলীফা! আপনার আগে আমি যেতে পারবো না। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) সামনে এগিয়ে জানাযার নামায পড়ালেন। (সূত্রঃ কানযুল উম্মাল-১২/৫১৫ হা/নং ৩৫৬৭৭)
(২) ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণনা করেন যে, খাতুনে জান্নাত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর ইন্তেকাল মাগরিব ও ইশার মাঝামাঝি সময়ে হয়। তখন হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত উসমান (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত যুবায়ের (রাদিআল্লাহু আনহু) এবং হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামাযের জন্য উপস্থিত হন। হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) জানাযার নামায পড়ানোর জন্য আমীরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাদিআল্লাহু আনহু)কে বললেন। হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, হে আবুল হাসান! আঁপনার উপস্থিতিতে আমি কীভাবে জানাযা পড়াই? হযরত আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আপনি এগিয়ে আসুন! আল্লাহর কসম! আপনি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর জানাযা পড়াবে না। অতএব হযরত আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু)ই হযরত ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) এঁর জানাযার নামায পড়ান। আর সেই রাতেই তাঁকে দাফন করা হয়। (সূত্রঃ আররিয়াজুন নাজরাহ ফী মানাকিবিল আশারাহ লিমুহিব তাবারী-১/১৫৬)
ইমাম জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) এবং তার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাকির (রহিমাহুল্লাহ) শিয়াদের বারো ইমামদের অন্তর্ভূক্ত। বিশ্বাস না হলে গুগলে সার্চ করে দেখুন।
খলিফা আসলেন এবং তারা অবশ্যই দাফনও করেছিলেন, কিন্তু তারপরেও ফাতেমা রা: এর কবর কেন চিন্হিত নাই?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে সনদ সহ উনার কবর কোথায় থাকতে পারে সেটার প্রমান দেব। অপেক্ষা করুন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১১
নীল আকাশ বলেছেন: খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার কবর দেয়া হয়েছিল জান্নাতুল বাকী গোরস্থানে।
তথ্য সূত্রঃ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ষষ্ঠ খন্ড পৃষ্ঠা ৫১৮। আমি বইটা সামনে রেখে এই পৃষ্ঠা খুলে আপনাকে প্রতি উত্তর দিচ্ছি।
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনি সম্ভবত জানেন না, আমি দেশেই খুব উঁচু পর্যায়ের প্রকৌশলীর চাকুরি করি।
-হতে পারে; তবে, আপনার লেখা দেখা তা মনে হয় না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা দেখে সবাই কী আন্দাজ করে সেটা কী জানেন?
জানলে ব্লগে ছেড়ে চিরদিনের জন্য মান সম্মনা নিয়ে আপনি পালিয়ে চলে যেতেন।
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০
সোনাগাজী বলেছেন:
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই ব্যাপারগুলো বাদ দিলে ভালো হতো। কিছুদিন ধরে একই বিষয় নিয়ে ক্যাচাল। পাঠক তো বোরড হয়ে যাবে।
-মনে হয়, ইনি ক্যাচালের রি-ইন্জিনিয়াং'এ দক্ষ।
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৫
নতুন বলেছেন: Kanz al-Ummal
From Wikipedia, the free encyclopedia<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
Description
Kanz al-Ummal is an arrangement of Jalaluddin al-Suyuti's work, Jami' al-Kabir.[1] It contains around 46,000 hadith,[2] which are an assortment of varying reliability.[1] Hadith found in it are quoted without a full chain and there are also fabricated hadith in the work.[2][3]
আপনার কানজ আল উম্মাল সম্পর্ক উইকিপিডা কি বলতেছে?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: ইমাম সুয়ূতীর (৯১১ হি) ‘জামি সাগীর’ ও ‘জামি কাবীর’ হাদীসের সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ। এর উপর ভিত্তি করে প্রসিদ্ধ ভারতীয় আলিম আল্লামা আলাউদ্দীন আলী মুত্তাকী (৯৭৫ হি) ‘কানযুল উম্মাল’ গ্রন্থটি রচনা করেন। এ গ্রন্থে মধ্যে সহীহ হাদিসের পাশে কিছু যয়ীফ হাদিস বিদ্যমান। আল্লামা আবূ জাফর সিদ্দিকী এখানে অনেক যয়ীফ জাল বলে চিহ্নিত করেছেন। তবে এখানে ইমাম সুয়ূতীর সনদে যেইসব হাদিস দেয়া আছে সেইগুলি সহীহ।
১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৩
দূরের যাত্রী বলেছেন: @নতুন, আপনি এই ঘটনায় কোন পক্ষেরই না। আপনিতো ইসলাম ধর্মের সত্যতায়ই বিশ্বাসী না। আপনাকে জবাব দেয়া নিরর্থক। তারপরেও যেহেতু প্রশ্ন করেছেন তাই উত্তর দিতে চাচ্ছি।
কথা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারজন মেয়ে ছিল। হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন সবচেয়ে ছোট। সবচেয়ে বড় মেয়ের নাম যাইনাব (রা)। তার পরের মেয়ে রুকাইয়া (রা)। তার পরে উম্মে কুলসুম (রা)। সর্বশেষ ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা। এছাড়া তিনজন ছেলে ও ছিলো। তো এদের মধ্যে হযরত ফাতিমা ব্যতীত সবাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 25 বছর বয়সে বিবাহ করে 63 বছর বয়সে মারা যান। তারমানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন সন্তান সর্বসাকুল্যে 30- 34 বছরের বেশি আয়ু লাভ করেন নি। এরমধ্যে রুকাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা বদরের যুদ্ধের সময়ে ইন্তেকাল করেন। এ সময়ে আনুমানিক তার বয়স ছিল 23 /24 বছর বছর। হযরত ফাতেমার নিকটবর্তী বয়সী উম্মে কুলসুম রাদিয়াল্লাহু আনহু তিনিও জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেন। ছেলেরা সবাই মৃত্যুবরণ করেছেন শিশু বয়সেই।
এইবার আপনি যাহা রটে তা বটে এই থিউরি দিয়ে সবার মৃত্যু ব্যাখ্যা করেন। শুধু হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নিয়ে টেনশন করার প্রয়োজন নেই।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রভাত এবং সুস্বাগতম আমার ব্লগ বাড়িতে।
আমার হয়ে এত সুন্দর করে প্রতিমন্তব্য দিয়ে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।
১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১০
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইমাম সুয়ূতীর (৯১১ হি) ‘জামি সাগীর’ ও ‘জামি কাবীর’ হাদীসের সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ। এর উপর ভিত্তি করে প্রসিদ্ধ ভারতীয় আলিম আল্লামা আলাউদ্দীন আলী মুত্তাকী (৯৭৫ হি) ‘কানযুল উম্মাল’ গ্রন্থটি রচনা করেন। এ গ্রন্থে মধ্যে সহীহ হাদিসের পাশে কিছু যয়ীফ হাদিস বিদ্যমান। আল্লামা আবূ জাফর সিদ্দিকী এখানে অনেক যয়ীফ জাল বলে চিহ্নিত করেছেন। তবে এখানে ইমাম সুয়ূতীর সনদে যেইসব হাদিস দেয়া আছে সেইগুলি সহীহ।
তাহলে ঠিক আছে, আপনার যেইগুলি পছন্দ সেইগুলি সহীহ আর অন্য গুলি জাল
যেহেতু তার কাজে জাল হাদিস আছে তাই তার কাজ কতটুকু গ্রহনযোগ্য???
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে আমি কী বলেছি সেটা বুঝেননি। উক্ত লেখক ইমাম সুয়ূতীর সনদে যেইসব হাদিস দিয়েছেন সেইগুলি সহীহ। আমি ইচ্ছে করলে এই সত্যটা না দিলেও পারতাম। কিন্তু আমি কিছু গোপন করিনি। সহী হাদিসের সনদ পরীক্ষা করার শুদ্ধ পদ্ধতি আছে।
১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তিনি এই পোস্ট অবশ্যই পড়বেন এবং মন্তব্যটিও দেখবেন। আপনার সাথে সাথে উনাকেউ বলছি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: এখানে উনাকে না বলে উনার পোস্টে যেয়ে বলুন।
২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১২
নতুন বলেছেন: দূরের যাত্রী বলেছেন: @নতুন, আপনি এই ঘটনায় কোন পক্ষেরই না। আপনিতো ইসলাম ধর্মের সত্যতায়ই বিশ্বাসী না। আপনাকে জবাব দেয়া নিরর্থক। তারপরেও যেহেতু প্রশ্ন করেছেন তাই উত্তর দিতে চাচ্ছি।
ধর্ম অবশ্যই Over Rated. ফাতেমা রা: এর ভুমিকা ইসলাম ধর্মে অনেক বড়। ( ম্যেরি যেমন খৃস্টান র্ধমে)
ফাতেমা রা: তার জানাজাতে আবু বকর রা: কে আসতে নিষেধ করেছিলেন এই বিষয়টা কি শুনেছিলেন?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: ফাতেমা রা: তার জানাজাতে আবু বকর রা: কে আসতে নিষেধ করেছিলেন এই বিষয়টা কি শুনেছিলেন?
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ষষ্ঠ খন্ড পৃষ্ঠা ৫১৭তে দেয়া আছে হযরত আবুবকর রাদিয়ালাল্লাহু আনহু এই জানাযা পড়ান।
এটা ছিল ১১ হিজরীর রমযান মাসের তিন তারিখে মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রীতে।
ধন্যবাদ।
২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৬
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার কবর দেয়া হয়েছিল জান্নাতুল বাকী গোরস্থানে।
তথ্য সূত্রঃ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ষষ্ঠ খন্ড পৃষ্ঠা ৫১৮। আমি বইটা সামনে রেখে এই পৃষ্ঠা খুলে আপনাকে প্রতি উত্তর দিচ্ছি।
জান্নাতুল বাকীতে কবর দেওয়া হয়েছিলো এটা সবারই মুখস্থ। এটার জন্য বই খোলার দরকার নাই। কিন্তু কোন কবরটা তার এটা কোথায় আছে? অন্য সবার কবর চিন্হিত আছে, শুধুই তার টা নাই কেন?
ফাতেমা রা: এর ভুমিকা ইসলামে অনেক বড়, যেমনটা মেরীর ভুমিকা খৃস্টান ধর্মে দেখা যায়। তার কবর চিন্হিত নাই? রাতের আধারে কবর দেওয়া হয়েছিলো কেন?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ইসলামের অনেক মূলনীতি সর্ম্পকে জানেন না। ইসলাম কোন কবর পাঁকা করা বা চিহ্নিত করা সমর্থন করে না। সুনির্দিষ্ট কিছু কবর ছাড়া বাকি সাহাবীদের কবর চিহ্নিত করা নেই। জান্নাতুল বাকীতে অনেক সাহাবীদের কবর আছে। তাদের বেশিরভাগ কবর চিহ্নিত করা নেই। খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার কবর ইসলামের নিয়ম মেনেই উনার অনুরোধে চিহ্নিত করা হয়নি। উনার লাশও কাপড় দিয়ে ঢেকে জানাযায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। উনি আড়ালে থাকতে পছন্দ করতেন।
হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ভুমিকা ইসলামে অনেক বড় এটা কোথায় পেয়েছেন? শিয়ারা টেনেটুনে উনাকে নিয়ে অনেক গালগপ্প বানিয়েছে যার বেশিরভাগ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত সমর্থন করে না। শুধু আল্লাহর নবী এবং সাহাবীরা আমাদের যা নির্দেশ দিয়েছে সেটাই আমরা মেনে চলি।
২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার লেখা পড়লাম। অনেক কষ্ট করে লিখেছেন। কিন্তু, বলতেই হয়, আপনি এদিক-সেদিক ঘুরলেও মূল গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে, বক্তব্য অতি রকম অগাছালো হয়ে গিয়েছে।
আপনি ইচ্ছে করেই হয়তো হযরত আবুবকর যে বিবি ফাতেমা (আ) থেকে ফাদাক বাগানটি কেড়ে নিয়েছিলেন এবং যেটার কারণে বিবি ফাতেমা (আ) আবুবকরের উপরে রাগান্বিত হয়েছিলেন, তা এড়িয়ে গিয়েছেন!!!!!!
অথচ, ফাদাক বাগানটি কেড়ে নেবার সময়ে আবু বকর এমন একটি হাদিস শোনান যা কোরআনের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক। এবং, যে হাদিস শুধু আবুবকরই জানতেন, আর কোন সাহাবী শুনেননি!!!
আর, যে ইয়াতিমের সম্পদ কেড়ে নেয়, তার সম্পর্কে আল্লাহ কি বলেন?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: আসুন আপনাদের মিথ্যাচারের আসল সত্যতা এখানেই প্রমান হয়ে যাক। আর কতদিন অন্ধকারে থাকবেন এবার আলোতে আসুনঃ
শুধু বুখারী শরীফ থেকে লিখছি। আর বুখারী শরীফ নিয়ে যদি আপনার আপত্তি থাকে তাহলে আপনার সাথে বৃথা কথা বলে আমি আর কোন সময় নষ্ট করবো না।
(১)
পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।
৬৭২৫. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার ফাতিমাহ ও ‘আব্বাস (রাঃ) আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর কাছে আসলেন তাদের ওয়ারিশ চাওয়ার জন্য। তাঁরা তখন তাদের ফাদাকের জমি এবং খায়বারের অংশ দাবি করছিলেন। [৩০৯২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭০)
৬৭২৭. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) রেখে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হয় না, সব সদাকাহ। [৪০৩৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
(২) পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।
৬৭২৬. তখন আবূ বাকর (রাঃ) তাঁদেরকে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি তিনি বলেছেনঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ্। এ মাল থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার ভোগ করবেন। আবূ বাকর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি এতে যেভাবে করতে দেখেছি, তা সেভাবেই করব, কোন ব্যতিক্রম করব না। [৩০৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)
হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ঠিক সেটাই করেছেন যা তার নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশ দিয়ে গেছে। একচুল এদিক ওদিক করেননি। উনি কি নবীর আদেশ অমান্য করবেন?
এইসব হাস্যকর গালগল্প আমার কাছে করবেন না। ইসলাম নিয়ে ভালোভাবে পড়ুন। জ্ঞান অর্জন করুন।
নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জ্ঞান অর্জন করার জন্য নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
ধন্যবাদ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০০
নীল আকাশ বলেছেন: নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।
৬৭২৮. মালিক ইবনু আউস ইবনু হাদাসান (রাঃ) হতে বর্ণিত। মুহাম্মাদ ইবনু যুবায়র ইবনু মুতঈম আমার কাছে (মালিক ইবনু আউস ইবনু হাদাসান)-এর পক্ষ থেকে একটি ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, আমি মালিক ইবনু আউস (রাঃ)-এর কাছে গেলাম এবং ঘটনাটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন, আমি ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট গিয়েছিলাম। এমন সময় তাঁর দারোয়ান ইয়ারফা তাঁর কাছে গিয়ে বলল, আপনি ‘উসমান, ‘আবদুর রাহমান, যুবায়র ও সা‘দ (রাঃ)-কে ভিতরে আসার অনুমতি দিবেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি তাঁদেরকে অনুমতি দিলেন। এরপর সে ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আপনি ‘আলী ও ‘আব্বাস (রাঃ)-কে ভিতরে আসার অনুমতি দিবেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার এবং এর মাঝে মীমাংসা করে দিন।
‘উমার (রাঃ) বললেন, আপনাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলি-যাঁর হুকুমে আকাশ ও যমীন প্রতিষ্ঠিত আছে- আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, আমরা কাউকে উত্তরাধিকারী করি না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সদাকাহ। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দ্বারা নিজেকেই উদ্দেশ্য করেছিলেন। দলের লোকেরা বলল, তিনি তাই বলেছেন। এরপর তিনি ‘আলী ও ‘আব্বাস (রাঃ)-এর দিকে মুখ করে বললেন, আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেছিলেন? তাঁরা উভয়ে জবাব দিলেন, তিনি তা বলেছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, এখন আমি এ সম্পর্কে আপনাদের কাছে বর্ণনা করছি যে, এ ফায় (বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত ধনসম্পদ)-এর ব্যাপারে তাঁর রাসূলকে বিশেষত্ব প্রদান করেছেন, যা আর অন্য কাউকে করেননি। (আল্লাহ্) বলেনঃ (مَا أَفَاءَ اللهُ عَلٰى رَسُوْلِهِ) থেকে (قَدِيْرٌ) পর্যন্ত তিলাওয়াত করে শোনালেন। এবং বললেন, এটা তো ছিল বিশেষ করে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য। আল্লাহর কসম! তিনি আপনাদের ছাড়া অন্য কারও জন্য এ মাল সংরক্ষণ করেননি। আর আপনাদের ছাড়া অন্য কাউকে এতে প্রাধান্য দেননি। এ মাল তো আপনাদেরই তিনি দিয়ে গিয়েছেন এবং আপনাদের মাঝেই বণ্টন করেছেন। শেষে এ মালটুকু বাকী ছিল।
তখন তিনি তাঁর পরিবার-পরিজনের বছরের ভরণ-পোষণের জন্য এ থেকে খরচ করতেন। এরপর যা অবশিষ্ট থাকত তা আল্লাহর মাল হিসেবে (তাঁর রাস্তায়) খরচ করতেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পূর্ণ জীবনকালেই এমন করে গেছেন। আমি আপনাদের আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, এটা কি আপনারা জানেন? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি ‘আলী (রাঃ) ও ‘আব্বাস (রাঃ)- কে বললেন, আমি আপনাদের দু’জনকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আপনারা কি এ কথাগুলো জানেন? তাঁরা উভয়েই বললেন, হ্যাঁ। এরপর আল্লাহ্ তাঁর নবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-মৃত্যু দিলেন তখন আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওলী। অতঃপর তিনি উক্ত সম্পদ হস্তগত করলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে তা কাজে লাগিয়েছিলেন তিনিও তা সেভাবে কাজে লাগালেন।
এরপর আল্লাহ্ আবূ বাকর (রাঃ)-এর মৃত্যু দিলেন। তখন আমি বললাম, আমি আল্লাহর রাসূলের ওলীর ওলী। আমি এ সম্পদ হস্তগত করলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বাকর (রাঃ) এ সম্পদ যেভাবে ব্যবহার করেছিলেন দু’বছর যাবত আমি এ সম্পদ সেভাবেই ব্যবহার করে আসছি। এরপর আপনারা দু’জন আমার কাছে আসলেন আর আপনাদের উভয়ের কথা এক এবং ব্যাপারটিও অনুরূপ। (হে ‘আব্বাস (রাঃ) আপনি আপনার ভাতিজার থেকে আপনার প্রাপ্য অংশ আমার কাছে চাচ্ছেন। আর ‘আলী (রাঃ) আমার কাছে তাঁর স্ত্রীর অংশ যা তাঁর পিতা থেকে তার প্রাপ্য আমার কাছে চাচ্ছেন। সুতরাং আমি বলছি, আপনারা ইচ্ছে করলে আমি আপনাদেরকে এটা দিয়ে দেব। এরপর কি আপনারা অন্য কোন ফায়সালা আমার কাছে চাইবেন? ঐ আল্লাহর কসম! যাঁর হুকুমে আকাশ ও যমীন প্রতিষ্ঠিত আছে, আমি এ ফায়সালা ছাড়া ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত অন্য কোন ফায়সালা দিতে পারব না। আপনারা এ সম্পদের ব্যবস্থাপনায় অক্ষম হলে তা আমার কাছে ফিরিয়ে দিবেন, আপনাদের পক্ষ থেকে এ সম্পদের ব্যবস্থাপনায় আমিই যথেষ্ট। [২৯০৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: এই বিষয়ে আরো জানতে চান? একই বিষয় নিয়ে আরো সহী হাদিসঃ
বর্ণনাকারী (সাহাবী যুহরী রাদিল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিতঃ
"আমি হাদীসটি উরওয়াহ ইব্নু যুবায়রের নিকট বর্ণনা করার পর তিনি (আমাকে) বললেন, মালিক ইব্নু আওস (রাঃ) ঠিকই বর্ণনা করেছেন। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, (বানী নাযীর গোত্রের সম্পদ থেকে) ফায় হিসেবে আল্লাহ্ তাঁর রসূলকে যে সম্পদ দিয়েছেন তার অষ্টমাংশ আনার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সহধর্মিণীগণ ‘উসমানকে আবূ বকরের নিকট পাঠাতে চাইলে এই বলে আমি তাদেরকে বারণ করেছিলাম যে, আপনারা কি আল্লাহ্কে ভয় করেন না? আপনারা কি জানেন না যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন আমরা (নাবী-রসূলগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা রেখে যাই তা সদাকাহ হিসেবেই থেকে যায়। এ দ্বারা তিনি নিজেকে মালিক করেছেন। এ সম্পদ থেকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–বংশধরগণ খেতে পারবেন। (তারা এ সম্পদের মালিক হতে পারবেন না।) আমার এ কথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণীগণ বিরত হলেন। বর্ণনাকারী বলেন, অবশেষে সদাকাহর এর মাল ‘‘আলীর তত্ত্বাবধানে ছিল। তিনি ‘আব্বাসকে তা দিতে অস্বীকার করেন এবং পরিশেষে তিনি ‘আব্বাসের উপরে জয়ী হন। এরপর তা যথাক্রমে হাসান ইব্নু ‘আলী এবং হুসাইন ইব্নু ‘আলীর হাতে ছিল। পুনরায় তা ‘আলী ইব্নু হুসাইন এবং হাসান ইব্নু হাসানের হস্তগত হয়। তাঁরা উভয়ই পর্যায়ক্রমে তার দেখাশোনা করতেন। এরপর তার যায়দ ইব্নু হাসানের তত্ত্বাবধানে যায়। তা অবশ্যই রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সদাকাহ।
[সূত্রঃ সহী বুখারী শরীফ অধ্যায় "মাগাযী" হাদিস নং - ৬৭২৭, ৬৭৩০; মুসলিম ৩২/১৫, হাঃ ১৭৫৭, আহমাদ ৩৩৩] (আ.প্র. ৩৭৩৩, ই.ফা. ৩৭৩৭)]
ফাদাক বাগানটি কেড়ে নেবার সময়ে আবু বকর এমন একটি হাদিস শোনান যা কোরআনের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক। এবং, যে হাদিস শুধু আবুবকরই জানতেন, আর কোন সাহাবী শুনেননি!!! /
আপনি একজন মিথ্যূক এর চেয়ে অধম। কোন সাহাবী শুনেনি মানে? ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০০ দেয়া আমার প্রতিমন্তব্য পড়ুন। দেখুন, এখানে আলী (রাদিয়াল্লালাহু আনহু) নিজেই বলেছেন উনি এই হাদিস জানেন। সবার সামনেই সেটা স্বীকার করেছেন। আর কত মিথ্যার বেসাতি করে যাবেন? এই প্রতিটা মিথ্যা অপবাদের জন্য আপনাকে শাস্তি পেতে হবে।
কোন সহী হাদিস কখনোই কুরআনের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে না। হাদিস নিয়ে নূন্যতম জ্ঞান থাকলে আপনি এই লাইন লিখতে পারতেন না। সহী হাদিস আপ্নাদের ইমামদের বানীর মতো গাঁজাখুড়ি কিছু না।
আমাকে বেশি খোঁচাবেন তো, 'উসুলুল কাফী' থেকে আপনাদের ইমামদের সব কাণ্ডকীর্তি এবং গোঁমর ব্লগে ফাঁস করে দেবো।
২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইমাম জাফর সাদিক আঃ বলেছেন- "সেই ব্যক্তি মিথ্যাবাদী যে বলে যে সে আমাদেরকে ভালবাসে কিন্তু আমাদের শত্রুদের সাথে শত্রুতা পোষণ করেনা"।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২১
নীল আকাশ বলেছেন: আল-কুলাইনী আরও বর্ণনা করেন: “যুরারা ইবন আ‘ইউন থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ জাফর আ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি একটি মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি আমাকে জওয়াব দিলেন। অতঃপর তার নিকট জনৈক ব্যক্তি আসল এবং তার নিকট সে একই প্রশ্ন করল; তখন তিনি আমাকে যে জওয়াব দিয়েছিলেন, তাকে তার বিপরীত জওয়াব দিলেন। অতঃপর তার নিকট (একই প্রশ্ন নিয়ে) অপর আরেক ব্যক্তি আসল; তিনি আমাকে ও আমার সঙ্গীকে যে জওয়াব দিয়েছিলেন, তাকে তার বিপরীত জওয়াব দিলেন। অতঃপর যখন উভয় ব্যক্তি বের হল, তখন আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূলের (বংশের) ছেলে! ইরাক থেকে আপনাদের দলীয় দুই লোক আগমন করে প্রশ্ন করলে আপনি তাদের প্রত্যেককে তার সঙ্গীকে যে জওয়াব দিয়েছেন, অপর জনকে তার বিপরীত জওয়াব দিয়েছেন? অতঃপর তিনি বললেন: হে যুরারা! এটাই আমাদের জন্য কল্যাণকর এবং আমাদের ও তোমাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী।”[সূত্রঃ উসুলুল কাফী (أصول الكافي), পৃ. ৩৭ ]
এটাই হচ্ছে আপ্নার এই ইমামের আসল চরিত্র। উনার লাইন আবার আমাকে কোট করে পড়তে বলেন। যে সত্য কথা বলে না, মিথ্যা ছলাচাতুরির আশ্রয় নেয়, তার মাঝে তো ঈমানেরই ঘাটতি আছে ।
উনি আবার ইমাম হবেন কীভাবে? কোন যুক্তিতে তাকে মান্য করেন আপ্নারা?
আমি তার লেখা তার পিতার সূত্রে বর্ননা করেছি। উনার কোন কিছু আমি কোথায় ব্যবহার করি না।
যে মিথ্যা কথা বলতে পারেন তার কোন বিশ্বাস যোগ্যতা নেই।
ধন্যবাদ।
২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইমামদের বর্ণনা যেহেতু দিয়েছেন, সেহেতু, আপনাকে জানাতে চাই......
ইমাম জাদর সাদিক (আ) ৪-জন মানব এবং ৪-জন মানবীর উপর প্রত্যয়কে ফরজ নামাজের পরে লানত করতেন। সেই ৪-জন মানব হচ্ছে--- আবুবকর, উমর, উসমান এবং মুয়াবিয়া।
(আল কাফি, খন্ড-৩ পৃষ্ঠা- ৩৪২)
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: এর মানেই বুঝা যায় উনার ঈমানের দৌঁড় কোন পর্যায়ে ছিল!
২৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রায় ৩০ মিনিট সময় নিয়ে পোস্ট আর মন্তব্য সমুহ পড়ে গেলাম।
নিজের যোগ্যতা নিয়ে সন্ধিহান বিধায় পোস্ট সংশ্লিষ্ট কোন মন্তব্য করলাম না।
শুভকামনা জানবেন।
২৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য। যারা মুসলিম হয়ে সাহাবীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় তাদের তাদের ঈমান নিয়ে সন্দেহ আছে।
সাহাবী কে বা কারা এটা সবাই জানে । শুধু শুধু এটা ওটা বলে অন্য কিছু বুঝাতে যারা যায় তারা কোথাও পাড় পাবেনা সেটা ব্লগ হোক বা অন্য কোথাও।
+++++++
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: আমি এইসব অপকর্মের প্রতিবাদে লিখবোই। এটা আমার ঈমানের দায়িত্ব।
২৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৯
নতুন বলেছেন: উক্ত লেখক যেই দুজন সাহাবীকে নিয়ে কটু মন্তব্য করেছে, তাদের নিয়ে আমাদের রাসূল রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলে গেছেনঃ
(১) ‘‘আমার পরে তোমরা আবু বকর ও উমার, এই দু’জনের অনুসরণ করবে’’। (সূত্রঃ তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব।
(২) ‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে একজন মহিলা আগমণ করল।<<<<<< তাহলে আবু বকরের কাছে যাবে’’। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব)
(৩) আমর ইব্নু ‘আস (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিতঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে যাতুস সালাসিল যুদ্ধের সেনাপতি করে পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মানুষের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন, আইশাহ্! আমি বললাম, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তাঁর পিতা (আবূ বকর)। আমি জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর কোন লোকটি? তিনি বললেন, উমার ইবন খাত্তাব, অতঃপর আরও কয়েকজনের নাম করলেন। (সূত্রঃ সহী বুখারী আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৯৭)
এই ব্লগারের লেখা যদি সত্য হয় তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তার সবচেয়ে আদরের মেয়ের হত্যাকারীদের সবাইকে অনুসরণ করতে বলে গেছেন, নাউজুবিল্লাহ।
ফেরেস্তাদের নেতা ছিলেন আজাজিল তাকে তো আল্লাহ ই নেতা বানিয়েছিলেন না কি অন্য কেউ? তাহলে তিনি কেন এখন ইবলিস? তাহলে যেহেতু তিনি ফেরেস্তা ছিলেন তাই ইবলিস এমনটা করতেই পারেনা বলবো আমরা? যে এটা অপপ্রচার একটা ফেরেস্তা আল্লাহের হুকুম কিভাবে অমান্য করে?
যখন আবু বকর রা: এবং ওমর রা: সম্পর্কে এমনটা বলেছিলেন তখন তারা ঠিকই ছিলো। আর রাসুল সা: এর মৃত্যুর পরের ঘটনায় যদি ফাতেমা রা: আঘাত পেয়েও থাকেন তবে সেটা অবশ্যই দূঘটনাই হবে, এবং কিছু হাদিসে এরা দুইজন ভালো এবং জান্নাতি বলে উল্লেখ থাকলে তারা যে একটা দূঘটনা ঘটাবেনা এমনটা ভেবে বসবেন?
ইসলামের ঘটনায় অনেক কিছুই আপনারা ডিভাইন বলে বিশ্বাস করেন, কিন্তু ঘটনাগুলি খুবই বাস্তব, রাজনিতিক মটিভ থেকে ঘটেছে, রাসুল সা: এর মৃত্যুর পরে নেতা নিবাচনের বিষয়টা নিয়ে অনেক কিছুই ঘটেছে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই আপনি নিজে কনফিউজড থাকেন। এইজন্য বাকিদেরও কনফিউজড করেন।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিয়ামতের আলামত অনেকগুলি বলে গেছেন। এছাড়া ভবিষ্যত নিয়ে উনার অনেকগুলি ভবিষ্যতবাণী আছে। এখন আমাকে বলুন, কিয়ামত উনার মৃত্যুর আগে হবে না পরে হবে?
উনি আল্লাহর রাসূল, উনি আল্লাহর মাধ্যমে সবকিছু জানতে পারেন। এটা বিশ্বাসের ব্যাপার। যে বিশ্বাস করবে না তাকে ধর্মের ট্যাবলেট গুলে খাইয়ে দিলেও বিশ্বাস করবে না।
আর রাসুল সা: এর মৃত্যুর পরের ঘটনায় যদি ফাতেমা রা: আঘাত পেয়েও থাকেন তবে সেটা অবশ্যই দূঘটনাই হবে, এইরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। এইসব অপপ্রচার এবং বানোয়াট কাহিনী। ৫১৭ পৃষ্ঠার যে ছবি দিয়েছি সেটা ভালো করে পড়ে দেখুন।
রাসুল সা: এর মৃত্যুর পরে নেতা নিবাচনের বিষয়টা নিয়ে অনেক কিছুই ঘটেছে। আপনি আমার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওফাত নিয়ে সিরিজে এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখা পাবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
নতুন বলেছেন: ভাই আপনি কনফিউজড না সেটা ঠিক আছে, কারন আপনি বিশ্বাসী এটা ভালো জিনিস।
কিন্তু আপনি সুন্দর সব হাদিস দিচ্ছেন, সাহাবারা খুবই ভালো মানুষ সেটাও মানলাম।
কিন্তু ভুলে যাচ্ছেন, বাস্তবতা কি আসলেই সেই রকমের ছিলো?
রাসুল সা: এর দুই নাতীকে হত্যা করা হয়েছিলো
একজনকে হত্যার পেছনে সাহাবীর ছেলে ছিলো
৩ খলিফাকে হত্যা করা হয়েছিলো
রাসুল সা: এর স্ত্রী এবং মেয়ের জামাইয়ের মাঝে যুদ্ধ হয়েছিলো
ফাতিমা রা: কে তার বাবার দিয়ে যাওয়া বাগান ফেরত নিয়ে ছিলো খলিফা
এমন অনেক ঘটনাই আছে যেটা আপনার বিশ্বাস আর কল্পনার সুন্দর অতীতে ঘটেছিলো যেটা বোঝা যায় যে আসলে যেই ঘটনা আপনারার বিশ্বাস করেন সেটার বাইরেও অনেক ঘটনা আছে যেটা মানুষ যানে না।
যাই হউক বিশ্বাস ভালো জিনিস কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস ভালো না। ভালো থাকবেন।
২৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
সাহাবায়ে কেরামের নামে কুৎসা রটনার যথার্থ দায়িত্বপূর্ণ প্রতিবাদ এই পোস্ট। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। কারও কারও কাছে এই পোস্ট চর্বিত চর্বন কিংবা একই কথার পুনরালোচনা মনে হলেও সবার সামনে সত্য তুলে ধরায় আপনাকে অভিনন্দন জানাতেই হয়। আল্লাহ তাআ'লা আপনার প্রতি করুনা বর্ষন করুন।
প্রথমতঃ শিয়া সম্প্রদায় বহু দল, উপদল, পথ ও মতে বিভক্ত। তাদের মধ্যে অতি অল্প সংখ্যক লোকই রয়েছেন যারা ইসলাম ধর্মের সঠিক আকিদা বিশ্বাস ধারণ করেন।
দ্বিতীয়তঃ বলা বাহুল্য, নানান দলে বিভক্ত এই শিয়াদের অধিকাংশই ঈমান, আকিদা অর্থাৎ বিশ্বাসগত দিক থেকে বিভ্রান্ত।
তৃতীয়তঃ শিয়া ইতিহাস পড়ে আসা কিংবা শিয়া আকিদায় বিশ্বাসী কারও লেখায় সাহাবায়ে কেরামের বিষয়ে সত্য ইতিহাস উঠে আসার সম্ভাবনা কখনোই থাকতে পারে না।
সঙ্গত কারণে শিয়াদের বাতিল মতবাদ এবং বিভ্রান্তিকর আকিদা বিশ্বাস নিয়ে নতুন করে বিস্তারিত লিখে পোস্ট দিতে ইচ্ছে করে না বলেই এখানে নির্ভরযোগ্য এবং দলিল ভিত্তিক দু'টো লেখার লিঙ্ক সংযুক্ত করে দিলাম। ইসলাম ধর্মের মৌলিক বোধ-বিশ্বাস বিচ্যুত এবং মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ শিয়া মতবাদের অসারতা সম্মন্ধে জানতে ইচ্ছুক যে কেউ দেখে নিতে পারেন-
শিয়া আকিদার অসারতা, ১৮ টি অধ্যায়, ২৬ টি অনুচ্ছেদ
শিয়াদের কুফরী আকিদা
পোস্টে +++
৩০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্তকর একটি পোষ্ট।
রুপকথার জগত থেকে বেড়িয়ে আসুন। ঠাকুরমার ঝুলি এবং আলিফ লায়লার সময় এটা নয়। বিশ্ব অনেক দূর এগিয়ে গেছে, সেই খবর রাখেন? মানুষ প্রিথিবযির বাইরে যাচ্ছে। পারমানবিক বোমা বানাচ্ছে। আধুনিক যুগে বাস করছেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। কিন্তু আপনি সাহাবী নিয়ে পড়ে আছেন। ভাবুন। একবার ভাবুন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: জী ভেবেছি। অনেক ভালো ভেবে ভেবেছি। আমি এখন ভেবে এইসব নিয়ে লিখছি পড়ছি।
আফসোস আপনি যখন সেটাই চাইবেন তখন আর সময় থাকবে না।
৩১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯
বিটপি বলেছেন: আমার অফিসের ব্যস্ততম সময়ে এই পোস্ট নজরে পরে যাওয়ায় আমি আপনার উপর বিরক্ত। এরকম পোস্ট চোখে পড়লে কি ছেড়ে যাওয়া যায়? তাই প্রচুর সময় নষ্ট করে পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো পড়লাম। কিছু কিছু উক্তি দুই তিনবার করে পড়লাম কনফিউশন দূর করার জন্য। আমি একদিকে আপনার গুণমুগ্ধ ইসলামের দা'য়ী হিসেবে সচেতনভাবে ইসলাম বিদ্বেষীদেরকে উপযুক্ত জবাব দেবার জন্য, অন্যদিকে আমিও কিছুটা শিখে নিলাম কিভাবে এই কাজ করতে হয়। তবে এসব করতে গিয়ে আমার মনেও কিছু প্রশ্ন এসে জমা হয়েছেঃ
১। উমর (রা) খুব রগচটা মানুষ ছিলেন। উনি অনেকের বিরুদ্ধে ছাচাছোলা এ্যাকশন নিতেন। এক ব্যক্তি এক ইহুদীর বিরুদ্ধে রাসূলের (স) কাছে অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাসূলের (স) রায় ইহুদীর পক্ষে গেলে সে ব্যাক্তি আপিলের দরখাস্ত করে উমর (রা)। উমর (রা) আপিলের রায় সাথে সাথে কার্যকর করেন তলোয়ারের এক কোপে ঐ ব্যক্তির মাথা ধর থেকে নামিয়ে। এ ধরণের আচরণ কি ইসলাম অনুমোদন করে?
২। উমর (রা) এর ডাইরেক্ট এ্যাকশন স্বভাবের জন্য উনার অনেক শত্রু হয়ে গিয়েছিল। তারাই কি দায়ী এসব গাল্গপ্পের ডালপালা ছড়াতে?
৩। ন্যাপোটিজম ইসলামের দৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর অপরাধ। কিন্তু জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত একজন সাহাবীর বিরুদ্ধে এই ন্যাপোটিজমের ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ আছে। এই ব্যাপারে ইসলাম ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি কি?
৪। উমর (রা) কে হত্যা করা হয়েছিল কেন? হত্যার পরবর্তীতে মুসলিম সাহাবীরা কেন নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হলেন?
৫। @নতুন, ফাতিমা (রা) এর জানাযায় আবুবকর (রা) এর ইমামতির প্রমাণ তো পেলেন। এবার বলুন তো উমর (রা) ফাতিমা (রা) এর জানাযায় আসেননি - এরকম তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য। আমি না জেনে আন্দাজে কোন উত্তর দিইনা। হযরত উমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নিয়ে আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাকে খুঁজতে হবে। ইনশাল্লাহ আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবো। আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এবং আমার ব্লগ বাড়িতে এসে আমার পোস্ট পড়ার জন্য নিরন্তর কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।
শুভরাত্রি এবং শুভকামনা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আপনি আমাকে দায়ী বলে সম্বোধন করেছেন।
ভাই আমি অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি খুব সামান্য নগণ্য একজন মানুষ, একজন মুসলিম, আমি একজন সচেতন মুসলিম এই পরিচয় নিয়েই সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট।
৩২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বেশি কিছু বলবো না। মনে হচ্ছে পোস্টটা আমার জন্যই। +++
রাজীব ভাই ,
প্ৰয়োজনে এই ধরণের পোস্ট ইগনোর করেন। আমিও করি।
আমার কিংবা আপনার পোস্টে পৃথিবী বদলে দেয়ার মত রকেট সাইন্স নাই।
আপনার পোস্ট কি টিসিবি লাইন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ? দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে পারে? আপনি আধুনিক মানুষ , আধুনিক চিন্তা করে , আধুনিক লিখে কি প্রভাব ফেলতে পারছেন বলুন?
৩৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি ফাদাক বাগানটি যে হযরত আবুবকর কেড়ে নিয়েছিলেন, তা অস্বীকার করছেন? আপনি দেখি এও অস্বীকার করছেন যে, আবুবকর অন্যায় করেছিলেন।
আপনি আসলে খুবই কম-জান্তা একটি মানুষ। কোরআন থেকে উদ্ধ্বতি দিচ্ছি, পারলে ভুল প্রমাণ করুন।
হযরত যাকারিয়া (আঃ) বলেন ,
"--- আর আমি আমার পরে আমার স্বগোত্রীয়দেরকে ভয় করি , অথচ আমার স্ত্রী বন্ধা । অতএব , তুমি আমাকে তোমার নিকট থেকে আমাকে দান কর উত্তরাধীকার , যে আমার উত্তরাধীকারিত্ব এবং উত্তরাধীকারিত্ব করিবে ইয়াকুবের বংশের এবং হে আমার প্রতিপালক , তাহাকে করিও সন্তোষভাজন --- " [সুরা - মরিয়াম , ৫,৬]
উপরোক্ত আয়াতে হযরত যাকারিয়া (আঃ) আল্লাহর নিকট একজন সন্তান চেয়েছিলেন , যে সন্তান তাঁর উত্তরাধীকার হবেন । কারন তিনি তাঁর আত্মীয় স্বজনদের অনেককেই ভয় পাচ্ছিলেন যে , মৃত্যুর পরে তাঁর সহায় সম্পত্তি হয়ত ওদের হাতে চলে যাবে ।
"--- সুলায়মান দাউদ থেকে উত্তরাধীকার লাভ করে --- " । [সুরা - নামল , ১৬]
এখন একটি হাদিস লক্ষ্য করুন যা এই আয়াতের বিপরীত কথা বলে।
হযরত আবু বকর কতৃক বর্ননাকৃত হাদিসটির মূল বক্তব্য ছিল এরুপ যে --
নবীগন নিজেদের থেকে কোন উত্তরাধীকার রেখে যান না , তাঁদের রেখে যাওয়া পরিত্যক্ত সম্পত্তি তাঁদের ইন্তেকালের পর ছাদাক্বাহ হিসাবে গন্য হবে ।
সূত্র - সহীহ আল বুখারী , খন্ড - ৩ , হাদিস নং - ২৮৬০ , ৩৪৩৬ , ৩৪৩৭ / খন্ড - ৪ , হাদিস নং - ৩৭৩৪ / খন্ড - ৬ , হাদিস নং - ৬২৫৮ (আধুনিক) / সহীহ আল বুখারী , খন্ড - ৪ , পৃ- ৯৬ , খন্ড - ৫ , পৃ- ২৫ , খন্ড - ৮ , পৃ- ১৮৫ (মিশর) / তিরমিজি , খন্ড - ৪ , পৃ- ১৫৭ (মিশর) / মারেফাতে ইমামত ও বেলায়েত , পৃ- ১৩২ ।
রসুলের উক্তি মর্মে এই বানোয়াট অজর দিয়ে আবু বকর মা ফাতেমা সাঃএর কাছ থেকে তাঁর পিতা নবী মুহাম্মদ সঃএর দানকৃত বাগে ফাদাক কেড়ে নেয়। এই হাদিসটি সম্পর্কে বিখ্যাত দুইজন সুন্নি আলেমগনের বক্তব্য তুলে ধরছি।
এই প্রসঙ্গে আল্লামা সুয়ুতী এবং ইবনে হাজর হায়তামী লিখেছেন ,
রাসুলের (সাঃ) ইন্তেকালের পর সম্পত্তির উত্তরাধীকার নিয়ে মতবিরোধ দেখা গিয়েছিল । রাসুল (সাঃ) নাকি শুধুমাত্র তাকেই বলেছিলেন , "আমাদের নবীগনের কোন উত্তরাধিকারী নাই এবং আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সাদকা হয়ে যায়" ।
হযরত আবু বকর ব্যতীত রাসুলের (সাঃ) এহেন উক্তি অন্য কারোরই কিছুই জানা ছিল না । এমনকি সাহাবাদের মধ্যে এমন কথা কেউ শোনেন নাই ।
সূত্র - তারিখে আল খুলফা , পৃ- ৭৩ (আল্লামা সুয়ুতী , মিশর) / আস সাওয়ায়েক আল মুহরিকা , পৃ- ১৯১ (ইবনে হাজর হায়তামী , মিশর) ।
তাগুতপুজারীরা খবরে ওয়াহেদ নামক একটা টেগ লাগিয়ে আবু বকরের এই বানোয়াট হাদিসটাকেই প্রচার করে, আর জাহেল উম্মাহও এই ঢাহা মিথ্যাটাকেই সহি হিসাবে গ্রহন করে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার বক্তব্য আমি ভাল করে পড়লাম কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আপনাকে আমি এর আগে যে প্রতি মন্তব্যগুলো দিয়েছিলাম সেইগুলো এবং পোষ্ট কোনটাই আপনি পড়েননি। আপনাদের অ্যাটিচুড হচ্ছে তালগাছটা আমার।
সহি হাদিস বলতে আপনি কি বুঝেন? সহীহ হাদীসে কিভাবে পরীক্ষা করা এটা কি আপনি জানেন? নাকি নির্বোধের মতো শুধু শুধু এই হাদীসটি সহি না কিংবা নিজের মতের সাথে মিলে না দেখে সিহাহ সিত্তাহ হাদিসের বই ঠিক না এসব হাস্যকর দাবি করে বেড়ান। এসমস্ত আজগুবি থিউরি আপনাদের কে দেয়? আপনাদের বারো নাম্বার ইমাম মেঘের উপরে বসে বসে? নাকি হাঁটু থেকে জন্ম নেওয়া ইমামরা?
হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই হাদিস শুধু একটা জায়গায় নয়, আরো অনেকগুলো সনদের মাধ্যমে পুরোপুরি প্রমাণিত। আপনি মানবেন কি মানবেন না, সেটা আপনার ব্যাপার, তাতে কোনো সহীহ হাদিস ভুল প্রমাণিত হয় না।
আর এই যে বললেন দুধু হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ছাড়া অন্য কেউ জানে না, এটাও একটা ডাহা মিথ্যা কথা। আপনাকে দেয়া আমার আগের প্রতি মন্তব্য দেখুন। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত আলী আল্লাহু আনহু এর সাথে কথোপকথনের সময় এটা জানতেন কি না প্রশ্ন করলে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু জানতেন বলে স্বীকার করেছেন। সেখানে আরো অনেকজন সাহাবী উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং আপনার দাবি যে সেটা শুধুমাত্র একজন জানতেন, আর কেউ জানতে না এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা। এসমস্ত আজগুবি ভণ্ডামি এবং মিথ্যাচার এখনই বন্ধ করুন।
আপনার সাথে তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম এই জমি সাদাকাহ না হয়ে পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত মিরাছের নিয়ম অনুসারে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা যেমন নবীর কন্যা, ঠিক তেমন মহানবী মৃত্যুর পর উনার বিধবা স্ত্রীরাও সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাবে। ঠিক যেভাবে কোরআন শরীফে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সন্তান এবং স্ত্রীদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগের নিয়ম বলে দিয়েছিলেন কোরআন শরীফের সূরা নিসাতে।
এখন হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু যদি হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার অনুরোধে, তার সম্মানে এই জমি যদি তাকে দিয়ে দিতেন, এবং এরপরে নবীর বিধবা স্ত্রীরা যদি এসে খলিফার কাছে উত্তরাধিকার দাবি করত, তখন কি হতো? আপনাদের এই সমস্ত প্রশ্ন গুলো খুবই হাস্যকর স্টুপিডের মত। ছোট বাচ্চাদের মতন জ্ঞান বুদ্ধি নিয়ে আপনার এইসব হাস্যকর প্রশ্ন করে বেড়ান। ইসলাম নিয়ে আপনার জানা এত নিম্নমানের এতটাই তুচ্ছ যে প্রশ্নগুলোর দেখলে হাসি চাপা দায় হয়ে যায়। আমাকে এত স্বল্প জ্ঞান নিয়ে ইসলাম বিষয়ক প্রশ্ন করতে আসবেন না। ইনশাল্লাহ আল্লাহর রহমতে আপনাদের এইসব হাস্যকর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি নিজেই যথেষ্ট।
আপনি কি জানেন না মহানবী সাল্লাম বলেছেন জীবিত মানুষদের মধ্যে উনার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা? এখন এই সম্পত্তি যদি আপনার দাবি অনুযায়ী হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে দেওয়া হয় তারপর যদি এই নবী পত্নী এসে তার বাবার কাছে দাবী করে তার স্বামীর সম্পত্তি দেওয়ার জন্য তখন খলিফা হিসাবে উনি কি করবেন? মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর সবচেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রীকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করবেন? বাকি বিধবা স্ত্রী থেকে বঞ্চিত করবেন? এসমস্ত ননসেন্স এর মত প্রশ্ন করার সময় একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন না, কি প্রশ্ন করছি আর এটা পড়লে মানুষ কি ভাববে আমাকে?
শুনে রাখুন আপনি, মহানবী এই হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু নয় এরপর হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সাদাকাহ সম্পত্তি খলিফা দায়িত্ব রেখে আহলুল বায়েত অর্থাৎ নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালামের পুরো পরিবার পরিজনের ভরণপোষণের খরচ দিতেন। এটা ছিল নবী পরিবারের খলিফা দায়িত্ব।
অবশ্য আপনাদেরকে এই সমস্ত কথা বলে কোন লাভ নেই। যেখানে আপনারা মহান আল্লাহর কথাই বিশ্বাস করে না যে, পবিত্র কুরআন শরীফ অপরিবর্তিত আছে, আমার মত একজন সামান্য মানুষের কথা কিভাবে বিশ্বাস করবেন?
আপনাদের মতো দ্বিচারিতা আমরা আহলে সুন্নত আল জামাত কখনোই করি না। আমাদের ঈমান এবং আমল মহানবীর সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সম্মানিত খোলাফায়ে রাশেদীন যেভাবে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন সেটাই আমরা অনুসরণ করে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত এভাবেই আমরা অনুসরণ করে যাব। রাসূলে পাক শেষ নবীর ধর্মকে আমরা একফোঁটাও বিকৃত করিনি। আল্লাহর আইন এবং তার পাঠানো কোরআন শরীফের আয়াত নিয়ে কখনো কোনদিন কোন প্রশ্ন তুলিনি। আল্লাহর ফেরেশতাদের কাজ ভুল হয়েছে বলে কোন আজগুবি দাবিও তুলিনি।
আমাদের সবকিছু পরিষ্কার। আমাদের মাঝে কোন কিছু লুকিয়ে থাকা নেই, তাকিয়ার নামে কোনো ভন্ডামি নেই, সবকিছু জেনেও সত্য গোপন করার অভ্যাস নেই।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৩৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ফাতেমা রা: তার জানাজাতে আবু বকর রা: কে আসতে নিষেধ করেছিলেন এই বিষয়টা কি শুনেছিলেন?
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ষষ্ঠ খন্ড পৃষ্ঠা ৫১৭তে দেয়া আছে হযরত আবুবকর রাদিয়ালাল্লাহু আনহু এই জানাযা পড়ান।
এটা ছিল ১১ হিজরীর রমযান মাসের তিন তারিখে মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রীতে।
ধন্যবাদ।
৫। @নতুন, ফাতিমা (রা) এর জানাযায় আবুবকর (রা) এর ইমামতির প্রমাণ তো পেলেন। এবার বলুন তো উমর (রা) ফাতিমা (রা) এর জানাযায় আসেননি - এরকম তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?
It is well-documented that Fatimah's dying wish was that Abu Bakr should not attend her funeral.[6] She was buried under the cover of darkness and her exact burial place remains unknown to this day.[7] This article describes the historical circumstances of Fatimah's secret burial and her uncertain resting place.
https://en.wikipedia.org/wiki/Burial_place_of_Fatimah
আপনি আপনার পছন্দের সোর্স থেকে বলবেন যে আবু বকর রা: ইমামতি করেছেন । কিন্তু উকিপিডা বলে অন্য কথা।
https://archive.org/details/aftertheprophettheepicstoryoftheshiasunnisplitinislampdfdrive.com ( পৃস্টা ১০২)
কাহিনি পড়তে পারেন। এখানে বলা আছে যে আবু বকর রা: ফাতেমা রা: এর ঘরে আলী রা: কে আনতে যায় এবং দরজা ভেঙ্গে ফেলে কিন্তু দরজা ভেতর থেকে আগলে রেখেছিলো ফাতিমা রা: এবং তিনি আঘাত পান এবং সেটার জন্য ওমর রা: ও প্রস্তুত ছিলেননা এবং তিনি ঐ স্থান ত্যাগ করেন। তার কিছু দিন পরে ফাতেমা রা: মৃত সন্তান প্রসব করেন। তারপরে ফাদাকের বাগান তার থেকে নিয়ে নেয়। এই সব ঘটনার জন্য ফাতেমা রা: তার জানাজাতে আবু বকর রা: কে জানাতে নিষেধ করেন।
ফাতেমা রা: মারা যাবার পরে তার পরে আলী রা: আবু বকর রা: কে মেনে নেন।
ব্যাপারটা খুবই সাভাবিক এটা ভুল হতে পারে, কিন্তু শিয়ারা আলী রা: কে খলিফাত্ব থেকে বন্চিত করা হয়েছে, ফাতেমা রা: এর সন্তানের মৃত্যু এবং সম্পত্তি না দেওয়ার বিষয়গুলিকে খারাপ ভাবেই উপস্হাপনা করে।
ভাই বাস্তবে রাজনিতি ক্ষমতা অনেক জটিল জিনিস এইটা অনেক কিছুই সৃস্টিকরে। ধর্ম তো মানুষকে আবিস্ঠ করে রাখার একটা হাতিয়ার মাত্র। ক্ষমতাই সব কিছুর মূল।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: ইসলামী বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে গেলে সেটা সূত্র হতে হয় অথেন্টিক। আপনি উইকিপিডিয়া থেকে ইসলামী জ্ঞানের লেখা এবং সূত্র দিচ্ছেন। কিন্তু এই লেখা আদতে কে বা কারা লিখেছে আমরা জানি না। তার বা তাদের ইসলামী জ্ঞান, ফিকহ শাস্ত্র নিয়ে জ্ঞান কতটুকু সেটা আমরা জানি না। অজানা কোন ব্যক্তির ধর্ম সম্পর্কে কোন লেখা কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। অথেন্টিক হাদিস এবং কোরআনের তাফসিরের জন্য প্রচুর ইসলামী সাইট আছে। এগুলো রেখে আপনি কেন উইকিপিডিয়া থেকে লেখার লিংক দিচ্ছেন আমি বুঝলাম না। রিজাল শাস্ত্র মেনে কোন হাদীসকে যদি তার সনদ পরীক্ষা না করা হয়, তাহলে সেটা কখনোই সহি হাদিস হবে না। ঊইকিপিডিয়া কখনো হাদিসের সত্যতা যাচাই করে না। সুতরাং সেখান থেকে কোন হাদিস বা কুরআনের তাফসীর এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব না। সেই কারণে অথেন্টিক সোর্স না হবার জন্য ঊইকিপিডিয়া থেকে কোন লেখা ইসলামিক তথ্য হিসেবে কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আপনাকে ধন্যবাদ।
৩৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নতুন বলেছেন: একটা প্রশ্ন নিমচাদ ভাই করেছেন সেটা মনেই ছিলো না।
হজরত আলী রা: কেন ফাতেমা রা: এর মৃত্যুর পরে অর্থ প্রায় ৬ মাস পরে কেন আবু বকর রা: কে খলিফা হিসেবে তার বায়াত হন?
এই ৬ মাস কি হয়েছিলো সেটা আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগে না?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: এটা উনার না জানার ফল। ইসলাম নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু জানেন না। আমি পোস্টের ভিতরে স্পষ্টভাবে ছবিতে দেখেছি হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু একেবারে শুরুতে হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে খিলাফতের প্রতি আনুগত্যের বাইয়াত গ্রহণ করেন। পোষ্টের লেখাতে যেটা দেয়া আছে সেটা নিয়ে আবার প্রশ্ন করার কোন দরকার নেই, লেখাটা পড়লেই দেখা যাবে সব।
ধন্যবাদ।
৩৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামের প্রথম চার খলিফার নাম আশারায়ে মুবাশশারার তালিকার মধ্যে আছে। অর্থাৎ যে দশজন সাহাবীর জান্নাতি হওয়ার সুসংবাদ আল্লাহ তার রসুলের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়েছেন। এই দশজন ছাড়াও আরও কয়েকজন সাহাবীর জান্নাতি হওয়ার ব্যাপারে হাদিস আছে।
এটা জানার পরও কোন মুসলমান কিভাবে ওনাদের ব্যাপারে খারাপ কথা বলতে পারে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: যারা কালিমা তাইয়্যেবা পরিবর্তন করে নতুন কালেমা তৈরি করতে পারে, তাদের ইসলামের প্রতি ঈমান কতটুকু আছে সেটা আগে চিন্তা করুন। এরাই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর বংশধর। যুগ যুগ ধরে এরা এভাবেই ইসলামী ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে নোংরা অপবাদ, মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। রাফেজী শব্দের অর্থ জানেন তো?
৩৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৯
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা উনার না জানার ফল। ইসলাম নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু জানেন না। আমি পোস্টের ভিতরে স্পষ্টভাবে ছবিতে দেখেছি হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু একেবারে শুরুতে হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে খিলাফতের প্রতি আনুগত্যের বাইয়াত গ্রহণ করেন। পোষ্টের লেখাতে যেটা দেয়া আছে সেটা নিয়ে আবার প্রশ্ন করার কোন দরকার নেই, লেখাটা পড়লেই দেখা যাবে সব।
হযরত আলী প্রথম থেকে বায়াত গ্রহন করেন নাই। এটা আরেকটু ভালো করে জেনে বলুন। @নতুন নকিব, @সাড়ে চুয়াত্তর ভাই আপনারা এই বিষয়ে একটু জানাবেন কি?
The swearing of allegiance (bay‘ah) by ‘Ali ibn Abi Taalib (may Allah be pleased with him) [to Abu Bakr] is proven in as-Saheehayn (al-Bukhaari and Muslim), even though it happened a few months late.
It was narrated from ‘Aa’ishah (may Allah be pleased with her) that her father Abu Bakr (may Allah be pleased with him) entered upon ‘Ali ibn Abi Taalib (may Allah be pleased with him) after he requested a meeting with him:
‘Ali ibn Abi Taalib recited the Tashahhud, then he said: O Abu Bakr, we acknowledge your virtue and what Allah has given you. We do not envy you for any favour that Allah has bestowed upon you, but you did it without consulting us and we thought that we had the right (to be consulted) because of our kinship with the Messenger of Allah (blessings and peace of Allah be upon him). He kept speaking to Abu Bakr until Abu Bakr’s eyes filled with tears. When Abu Bakr spoke, he said: By the One in Whose hand is my soul, kinship with the Messenger of Allah (blessings and peace of Allah be upon him) is dearer to me than kinship with my own people. As for this dispute that occurred between me and you concerning these properties, I have not deviated from the right path with regard to them, and I have not given up something that I saw the Messenger of Allah (blessings and peace of Allah be upon him) do with them, rather I have done it too.
‘Ali said to Abu Bakr: Your appointment for my oath of allegiance is this afternoon. When Abu Bakr had prayed Zuhr, he ascended the minbar and recited the tashahhud, and he spoke of ‘Ali and his delay in swearing allegiance, and the excuse that he had given, then he prayed for his forgiveness. And ‘Ali ibn Abi Taalib recited the tashahhud and spoke highly of Abu Bakr, and said that what he had done was not due to jealousy of Abu Bakr, or a refusal to accept the favour that Allah had bestowed upon him, but we thought that we should have had a share in the matter, but it had been decided without consulting us, and we were upset with that. The Muslims were pleased with this and said: You have done the right thing. Then the Muslims became closer to ‘Ali, when he did the right thing.
Narrated by al-Bukhaari (3998) and Muslim (1759).
According to another version narrated by Muslim in his Saheeh:
Then ‘Ali stood up and spoke highly of Abu Bakr, and he mentioned his virtue and the fact that he had been one of the first to enter Islam. Then he went to Abu Bakr and swore allegiance to him, and the people came to ‘Ali and said: You have done the right thing, you have done well. And the people became close to ‘Ali when he did the right thing.
An-Nawawi (may Allah have mercy on him) said:
With regard to ‘Ali (may Allah be pleased with him) delaying swearing of allegiance (to Abu Bakr), ‘Ali mentioned it in this hadith and Abu Bakr (may Allah be pleased with him) apologised to him.
Moreover, this delay on ‘Ali’s part did not undermine the oath of allegiance to Abu Bakr and it did not undermine ‘Ali himself.
With regard to swearing allegiance, the scholars are unanimously agreed that for an oath of allegiance to be valid, it is not essential that all the people, or even all the decision-makers and prominent people, should swear allegiance. Rather there should be a group of scholars, leaders and prominent figures who do so.
With regard to it not undermining ‘Ali or his character, that is because it was not essential for everyone to come to the leader, put his hand in his and swear allegiance to him; rather once the decision-makers and prominent figures have sworn allegiance to the leader, the individual is required to accept his leadership, not show dissent and not rebel against him.
That was the case with ‘Ali (may Allah be pleased with him) during that period, before he swore allegiance, because he did not show dissent towards Abu Bakr or rebel against him. But he was held back from coming to him for the reason mentioned in the hadith. In order for swearing allegiance to be valid and proper, that did not depend on him being present, and neither he nor anyone else was required to attend for that purpose. As it was not required, he did not come.
Nothing has been narrated from him to suggest that he thought that the oath of allegiance was not valid, and he never expressed any objection (to Abu Bakr being appointed caliph). However he did have some misgivings in his mind, hence his coming was delayed until that matter had been dealt with.
The reason for his misgivings was that, because of his high status and the fact that he himself was a person of virtue in all aspects, and was closely related to the Prophet (blessings and peace of Allah be upon him), and so on, he thought that no decision should be made without him being consulted and being present. But the excuse given by Abu Bakr, ‘Umar and the rest of the Sahaabah (may Allah be pleased with them all) was quite clear: it was because they thought that hastening to swear allegiance was in the greater interest of the Muslims, and they were afraid that if they delayed it, that could lead to problems and disputes that would in turn lead to serious negative consequences. Therefore they delayed burying the Prophet (blessings and peace of Allah be upon him) until they had sworn allegiance, because that was the most important matter, so as to ensure that no dispute would arise concerning his burial, shrouding, ghusl, funeral prayer and so on, without having anyone who could have the final say on such matters. Hence they thought that giving precedence to swearing allegiance was the most important issue at that time. End quote.
Sharh Muslim (12/77-78)
৩৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই- আপনি যে হাদিসের উল্লেখ করেছেন সেটা নিয়ে সন্দেহ নাই। কিন্তু এই হাদিসেই সমঝোতার কথা বলা আছে এবং হজরত আলী নিজে থেকেই আবু বকরের (রা) হাতে বায়াত নেন। হজরত আলী (রা) মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন কারণ তার কাছে মনে হয়েছিল যে অন্য সাহাবীরা বেশী তাড়াতাড়ি খলিফা নির্বাচন করেছেন। রসুলের (রা) আত্মীয় হওয়ার কারণে তার অনুপস্থিতিতে খলিফা নির্বাচন হয়েছিল এটাতেও তিনি কষ্ট পেয়েছিলেন। সাহাবী নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ছিল যে, ঐ সময় দেরী করার সুযোগ ছিল না। দেরী করলে মতভেদের কারণে মুসলিম উম্মার মধ্যে সমস্যা হতে পারত। হজরত আলী ( রা) কয়েক মাস পরে নিজে থেকেই হজরত আবু বকরের (রা) হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। কিন্তু আলী (রা) সব সময়ই হজরত আবু বকর (রা) সম্পর্কে উচ্চ ধারণা রাখতেন। নীচে এই ব্যাপারে কিছু বর্ণনা দেয়া হোল।
It was narrated by ‘Abdullah ibn Ahmad in as-Sunnah (1312), Ibn Abi ‘Aasim in as-Sunnah (1219) and al-Bayhaqi in al-I‘tiqaad (p. 358) that ‘Ali ibn Abi Taalib said: No one gives me precedence over Abu Bakr and ‘Umar (may Allah be pleased with them both) but I shall flog him with the hadd punishment of one who fabricates lies.
Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah (may Allah have mercy on him) said:
It is proven via many isnads from ‘Ali that he said: No man will be brought to me who gives me precedence over Abu Bakr and ‘Umar but I shall flog him with the hadd punishment of one who fabricates lies.
End quote from Majmoo‘ al-Fataawa (4/479).
He also said:
It was narrated from ‘Ali via approximately eighty isnaads or more that he said on the minbar of Kufah: The best of this ummah after its Prophet are Abu Bakr and ‘Umar.
End quote from Majmoo‘ al-Fataawa (4/407).
সাহাবীদের মধ্যে মতবিরোধ অনেক সময় হয়েছে। এই কারণে তাঁরা গুনাহগার হয়ে যাননি। পরবর্তীতে হজরত আলী (রা) নিজে থেকে খলিফা হতে চাননি। সাহাবীদের চাপের কারণে তিনি খলিফার পদ গ্রহণ করেন। তিনি আগের তিন খলিফার হুকুম মেনে মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন।
হজরত আবু বকর (রা) রসুলের (রা) কাছে শুনেছেন যে নবীদের সম্পদের কোন ওয়ারিশ থাকে না। এই কারণে তিনি হজরত ফাতেমাকে (রা) রসুলের (রা) সম্পদের ওয়ারিশ হওয়া থেকে বিরত রেখেছেন। একই কারণে তাঁর নিজের কন্যা হজরত আয়েশাও (রা) রসুলের সম্পদের ওয়ারিশ হতে পারেননি। কাজেই হজরত ফাতেমা মনঃক্ষুণ্ণ হলেও আবু বকর (রা) নিরপেক্ষভাবেই এই কাজটি করেছিলেন। নিজের কন্যাকেও ছাড় দেননি।
৩৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৭
নতুন বলেছেন: @নীল আকাশ ভাই। উপরে সাচু ভাই পরিস্কার করেছেন যে আলী রা: পরে বায়াত গ্রহন করেছেন। তার অর্থ আপনার উপরে উল্লেখিত দলিল ভুয়া? আরো খুজে দেখুন আবু বকর রা এরা জানাজা পড়ানোও ভুয়া।
যদি আলী রা: ফাতেমা রা: মৃত্যুর পরে অর্থ ৬ মাস পরে বায়াত গ্রহন করে থাকে তবে ঐ সময়ের ঘটনা যে আপনার বিশ্বাসের মতন না সেটা কি বুঝতে পারছেন?
ঘটনা রাজনিতিক এখানে সৃস্টিকতার কিছু নাই। রাসুল সা: এর মৃত্যুর সময় ওমর এবং আবু বকর রা: এর মেয়েরা অবশ্যই চেয়েছিলো তাদের পিতারা সুবিধা পাক। রাসুল সা: এর স্ত্রীদের মাঝে ও সমস্যা ছিলো সেটাও সম্ভবত জানেন। রাসুল মৃত্যুর সময় কিছু লিখতে চেয়েছিলেন এবং ওমর রা: সেটা করতে দেন নাই। সেটা কি ভুলে গেছেন?
@সাচু ভাই রাজনিতি, সার্থ সবাই দেখে :- আলী রা: আয়শা রা: কে পছন্দ করো তা। তিনি আয়শা রা: কে তালাকের পরামর্শ দিয়েছিলেন রাসুল সা: কে। আয়শা রা এর সাথে পরে যুদ্ধও হয়েছিলো ঘটনা ক্রমে তার অর্থ তাদের মাঝে দুরত্ব ছিলো।
ইতিহাসে প্রসিস্ধ কোন সাহাবাকেই খারাপ কোন কাজের মাঝে দেখা যায় না। তারা ভালো মানুষ ছিলেন।
খলিফা হওয়া নিয়ে আলী রা: মনখুন্ন ছিলেন।
একটা প্রশ্ন @নীল আকাশ ভাইয়ের কাছে<<< হজরত ফাতেমা রা: কি আবু বকর রা: এর বায়াত নিয়েছিলেন?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার প্রশ্ন আমি দেখেছি।
আমি আপনার এই প্রশ্নের উত্তর যথারীতি সূত্র সহ উত্তর দিব। অপেক্ষা করুন। প্রমাণ ছাড়া আমি কোন কথা বলি না। তাছাড়া আমি আমার নিজের কোনো কথাও বলিনি।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাইয়াত দুইবার হয়েছিল। প্রথমবার যখন খলিফা হিসেবে হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু খলিফা হিসেবে বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন। তার প্রমান আমি প্রথম দুইটা ছবিতে দিলাম (পৃষ্ঠা ৪৬৩, ৪৬৪)
হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে ফাদাকের জমি দেয়া না দেয়া নিয়ে মনমালিন্য হলে উনি স্ত্রীর সমর্থনে প্রায় ছয়মাস প্রায় আলাদাই ছিলেন। স্ত্রী মারা যাবার পরে উনি দ্বিতীয়বার বাইয়াত গ্রহন করেন। (পৃষ্ঠা ৪৬৫)
৪০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
নতুন বলেছেন: এই আলোচনায় সবাই রেফারেন্স দিয়েই জবাব দেবে।
কিন্তু সমস্যা হইলো আপনি যেই রেফারেন্স দেবেন সেটা কারুর পছন্দ হবেনা, আবার অন্যের টা আপনি মানবেন না।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে আমি স্পষ্ট একটা লাইন বলবো। সহী কোন হাদিস অন্যকোন সহী হাদিসের সাথে কনফ্লিক্ট করবে না। আপনি উপরে যেই সহী হাদিস দিয়েছে সেটা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর দ্বিতীয়বার বাইয়াত গ্রহন করা নিয়ে ঘটনা। আমি ইংরেজিতে কিছু দেই না কারন সবাই বুঝতে পারে না সেইজন্য।
নিন আপনার জন্য এবার দিলামঃ
There is also a report which says that ‘Ali ibn Abi Taalib (may Allah be pleased with him) swore allegiance to Abu Bakr at the very beginning, and he did not delay doing so. hadith was narrated via Wuhayb ibn Khaalid, from Dawood ibn Abi Hind, from Abu Nadrah, from Abu Sa‘eed.
The hadith was taken from Wuhayb ibn Khaalid by four of his companions.
As for the fourth narrator from Wuhayb ibn Khaalid, he narrated a lengthy version which mentions ‘Ali ibn Abi Taalib and az-Zubayr swearing allegiance to Abu Bakr (may Allah be pleased with them all).
This narrator was al-Mugheerah ibn Salamah Abu Hishaam al-Makhzoomi, who was trustworthy, as it says in Tahdheeb at-Tahdheeb (10/261). Imam al-Bayhaqi narrated it from him in as-Sunan al-Kubra (8/143) and said:
Abu’l-Hasan ‘Ali ibn Muhammad ibn ‘Ali al-Haafiz al-Isfaraa’eeni said: Abu ‘Ali al-Husayn ibn ‘Ali al-Haafiz told us: Abu Bakr Muhammad ibn Ishaaq ibn Khuzaymah and Ibraaheem ibn Abi Taalib informed us: Bandaar ibn Bashaar told us: Abu Hishaam al-Makhzoomi told us: Wuhayb told us: and he mentioned a similar report.
Abu ‘Ali al-Haafiz said: I heard Muhammad ibn Ishaaq ibn Khuzaymah say:
Muslim ibn al-Hajjaaj came to me and asked me about this hadith, and I wrote it for him in a document, and read it to him, and he said: This hadith is worth a camel. I said: Worth a camel? It is worth a pearl the size of the full moon! End quote.
The words “and he mentioned a similar report” refer to the report which mentions the oath of allegiance, as was clearly stated in the report of Ibn ‘Asaakir in Tareekh Dimashq (30/277), via Imam al-Bayhaqi himself.
Imam adh-Dhahabi (may Allah have mercy on him) said, after quoting the report which mentions the oath of allegiance. Although its isnaad is good,
The hadith is as follows:
When the Messenger of Allah (blessings and peace of Allah be upon him) died, the spokesmen of the Ansaar stood up and one of them said: O Muhaajireen, when the Messenger of Allah (blessings and peace of Allah be upon him) appointed a man from among you, he would pair him with a man from among us, so we think that two men should take charge of this matter, one of them from among you and the other from among us.
And the spokesman of the Ansaar began to speak, one after another, along the same lines.
Then Zayd ibn Thaabit (may Allah be pleased with him) stood up and said: The Messenger of Allah (blessings and peace of Allah be upon him) was one of the Muhaajireen; the leader should only be from among the Muhaajireen, and we will be his helpers as we were the helpers of the Messenger of Allah (blessings and peace of Allah be upon him).
Abu Bakr (may Allah have mercy on him) stood up and said: May Allah reward you with good, O Ansaar, and may He keep your spokesman steadfast. Then he said: If you had done something other than this, we would not have accepted it from you.
Then Zayd ibn Thaabit took Abu Bakr’s hand and said: This is your leader, so swear allegiance to him; so they began to swear allegiance to him.
When Abu Bakr (may Allah be pleased with him) sat on the minbar, he looked at the faces of the people, and he did not see ‘Ali (may Allah be pleased with him), so he asked about him, and some of the Ansaar got up and brought him. Abu Bakr (may Allah be pleased with him) said: O son of the paternal uncle of the Messenger of Allah (blessings and peace of Allah be upon him) and his son-in-law, do you want to cause division among the Muslims?
‘Ali said: Not at all, O successor of the Messenger of Allah. And he swore allegiance to him.
Then he did not see az-Zubayr ibn al-‘Awwaam (may Allah be pleased with him), so he asked about him and they brought him, and he said: O son of the paternal aunt of the Messenger of Allah and his disciple, do you want to cause division among the Muslims? He said the same as ‘Ali had said: Not at all, O successor of the Messenger of Allah. And they both swore allegiance to him.
Narrated by Ja‘far ibn Muhammad ibn Shaakir from ‘Affaan in this lengthy version. It was also narrated thus by al-Haakim in al-Mustadrak (3/80), and from him and from his shaykh Abu Muhammad al-Muqri’, by al-Bayhaqi in as-Sunan al-Kubra (8/143). Al-Haakim said: This hadith is saheeh according to the conditions of al-Bukhaari and Muslim, although they did not narrate it.
Conclusion: the oath of allegiance of ‘Ali ibn Abi Taalib (may Allah be pleased with him) which is proven is that which is mentioned in the Saheehs of al-Bukhaari and Muslim. As for the earlier oath of allegiance which is mentioned in the hadith of Abu Sa‘eed al-Khudri.
সব সহী হাদিস সব জায়গায় থাকে না। আপনাকে হাদিসের সনদ পরীক্ষা করে দেখতে হবে এটা কার কার কাছ থেকে এসেছে। এবং পরিশুদ্ধ তাফসীরে যেয়ে পড়তে হবে এটার ব্যাখ্যা জানার জন্য।
আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে অপেক্ষা করবেন। আমি উত্তর দেব। না জানলে বলে দেব আমি জানি না। কিন্তু অন্য কাউকে ডেকে এনে ভেরিফাই করার দরকার নেই। আমি না জানলে যারা জানেন তাদের মেনশন করে নিজেই জানতে চাইবো। এইসব বিষয়ে সজ্ঞানে কেউ ভুল লিখে না কিং বা মিথ্যা কথা লিখে না (তবে অল্প কিছু ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাওয়া মানুষ বাদে যাদের ঈমান অনেক আগেই তাদের ছেড়ে চলে গেছে)।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
৪১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪
নতুন বলেছেন: জানিনা আপনি কোথায় ভুয়া সব রেফেরেন্স পান। এই নেন সহী বোখারীর হাদীস হযরত আয়শা বর্নিত :-
এখানে আছে যে ফাতেমা রা: আবু বকর রা: কে তার জানাজা তে আসতে নিষেধ করেছিলেন এবং আলী রা: জানাজা পড়িয়েছেন। এবং ফাতেমা রা: মারা যাবার পরে অর্থ প্রায় ৬ মাস পরে আলী রা: বায়াত নেন।
https://sunnah.com/search?q=Fatima+the+daughter+of+the+Prophet+sent+someone+to+Abu+Bakr
https://web.archive.org/web/20170610043915/http://cmje.usc.edu/religious-texts/hadith/bukhari/059-sbt.php#005.059.546
Volume 5, Book 59, Number 546:
Narrated 'Aisha:
Fatima the daughter of the Prophet sent someone to Abu Bakr (when he was a caliph), asking for her inheritance of what Allah's Apostle had left of the property bestowed on him by Allah from the Fai (i.e. booty gained without fighting) in Medina, and Fadak, and what remained of the Khumus of the Khaibar booty. On that, Abu Bakr said, "Allah's Apostle said, "Our property is not inherited. Whatever we leave, is Sadaqa, but the family of (the Prophet) Muhammad can eat of this property.' By Allah, I will not make any change in the state of the Sadaqa of Allah's Apostle and will leave it as it was during the lifetime of Allah's Apostle, and will dispose of it as Allah's Apostle used to do." So Abu Bakr refused to give anything of that to Fatima. So she became angry with Abu Bakr and kept away from him, and did not task to him till she died. She remained alive for six months after the death of the Prophet. When she died, her husband 'Ali, buried her at night without informing Abu Bakr and he said the funeral prayer by himself. When Fatima was alive, the people used to respect 'Ali much, but after her death, 'Ali noticed a change in the people's attitude towards him. So Ali sought reconciliation with Abu Bakr and gave him an oath of allegiance. 'Ali had not given the oath of allegiance during those months (i.e. the period between the Prophet's death and Fatima's death). 'Ali sent someone to Abu Bakr saying, "Come to us, but let nobody come with you," as he disliked that 'Umar should come, 'Umar said (to Abu Bakr), "No, by Allah, you shall not enter upon them alone " Abu Bakr said, "What do you think they will do to me? By Allah, I will go to them' So Abu Bakr entered upon them, and then 'Ali uttered Tashah-hud and said (to Abu Bakr), "We know well your superiority and what Allah has given you, and we are not jealous of the good what Allah has bestowed upon you, but you did not consult us in the question of the rule and we thought that we have got a right in it because of our near relationship to Allah's Apostle ."
Thereupon Abu Bakr's eyes flowed with tears. And when Abu Bakr spoke, he said, "By Him in Whose Hand my soul is to keep good relations with the relatives of Allah's Apostle is dearer to me than to keep good relations with my own relatives. But as for the trouble which arose between me and you about his property, I will do my best to spend it according to what is good, and will not leave any rule or regulation which I saw Allah's Apostle following, in disposing of it, but I will follow." On that 'Ali said to Abu Bakr, "I promise to give you the oath of allegiance in this after noon." So when Abu Bakr had offered the Zuhr prayer, he ascended the pulpit and uttered the Tashah-hud and then mentioned the story of 'Ali and his failure to give the oath of allegiance, and excused him, accepting what excuses he had offered; Then 'Ali (got up) and praying (to Allah) for forgiveness, he uttered Tashah-hud, praised Abu Bakr's right, and said, that he had not done what he had done because of jealousy of Abu Bakr or as a protest of that Allah had favored him with. 'Ali added, "But we used to consider that we too had some right in this affair (of rulership) and that he (i.e. Abu Bakr) did not consult us in this matter, and therefore caused us to feel sorry." On that all the Muslims became happy and said, "You have done the right thing." The Muslims then became friendly with 'Ali as he returned to what the people had done (i.e. giving the oath of allegiance to Abu Bakr).
৪২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
নতুন বলেছেন: এখন কয়েকটা প্রশ্নের জবাব দিন।
উপরের আয়শা রা: বর্নীত হাদিস সহী কিনা এবং সেটা পড়ে কি বুঝতে পারলেন।
আর এইটা সহী হইলে আপনার আবু বকর রা: জানাজা পড়িয়েছে সেই রেফারেন্স ভুয়া কি না এবং আলী রা: প্রথমেই বায়াত নিয়েছিলেন এই কাহিনি ভুয়া কিনা একটু বলবেন।
ধন্যবাদ।
৪৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই- আপনি বলেছেন, ওমর (রা) এবং আবু বকরের (রা) কন্যারা চেয়েছিলেন তাদের পিতারা সুবিধা পাক। এই কথা কোথায় পেলেন। প্রথম ৪ জন খলিফা অত্যন্ত সাধাসিধা জীবন যাপন করতেন। সুবিধা নেয়ার মত মানুষ তাঁরা ছিলেন না। রসুলের (সা) স্ত্রীদের মধ্যে খেলাফত নিয়ে কোন মনমালিন্য ছিল না।
রসুল (সা) তখন রোগ যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন তাই তাঁর কষ্ট লাঘবের জন্যই ওমর (রা) এবং আরও কিছু সাহাবী না লিখতে বলেছিলেন। আবার অনেকে লেখার পক্ষে ছিল। সাহাবীদের মধ্যে এই ব্যাপারে বিতর্ক শুরু হলে রসুল (সা) নিজে থেকেই না লেখার সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনার ৪ দিন পর রসুলের (সা) ওফাত হয়। উনি চাইলে এই ৪ দিনে লিখতে পারতেন অন্য কাউকে দিয়ে। কিন্তু রসুল (সা) নিজেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছিলেন।
হজরত আয়েশা (রা) এবং হজরত আলীর (রা) মধ্যে কোন মনমালিন্য ছিল না। তাই উটের যুদ্ধের এটা কোন কারণ ছিল না। হজরত আয়েশা (রা) ও তাঁর সাথের দল ওসমানের (রা) হত্যার বিচার চাইতে রওনা হয়ে ছিল, যুদ্ধের জন্য নয়। উটের যুদ্ধে উভয় পক্ষ সমঝোতায় এসে গিয়েছিলো। কিন্তু রাতে একদল দুষ্কৃতিকারী যুদ্ধ বাধানোর জন্য উভয় পক্ষের উপর হামলা করে। যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
খেলাফতের বিষয়ে নারীদের কোন ভুমিকা ছিল না। তাই হজরত ফাতেমার বায়াতের প্রশ্ন ওঠে না। খেলাফতের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিককেই বায়াত করতে হবে ব্যাপারটা এমন না। সমাজের নেতৃস্থানীয়রা খলিফা নির্বাচন করেন।
৪৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: @নতুন ভাইঃ আপনার কাছে একটা প্রশ্ন, খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমার এটা প্রতিবাদ পোস্ট।
কিন্তু আপনি কি সেই পোস্টে যেয়ে তাকে এভাবে বারবার বিভিন্ন প্রশ্ন করে তার লেখার বিভিন্ন সত্যতা জিজ্ঞেস করছেন?
তার কাছে জানতে চাইছেন কেন সে এইরকম পোস্ট দিয়েছে আসলে যার কোন ভিত্তিই নাই।
কারন আপনি নিজেই বলেছেনঃ "ইতিহাসে প্রসিস্ধ কোন সাহাবাকেই খারাপ কোন কাজের মাঝে দেখা যায় না। তারা ভালো মানুষ ছিলেন"।
ধন্যবাদ।
৪৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৮
নতুন বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, উনি নতুন একটা বিষয় সামনে এনেছে এবং তিনি রেফারেন্স দিয়েছেন শিয়াপন্হি ঘটনা থেকে।
আমি দেখেছি আলী রাঃ বায়াত গ্রহন করেছেন ফাতেমে রাঃ মারা যাবার পরে, (৬ মাস পরে) । আলী রাঃ আয়শা রাঃ কে তালাক দিতে রাসুল সাঃ কে পরামর্শ দিয়েছিলেন...তাদের মাঝে উটের যুদ্ধের মতন ঘটনা ঘটেছিলো এমন অনেক মানবিক ঘটনা আছে যা ফলে আলী, ফাতেমা, আয়শা, আবু বকর. ওমর রাঃ এর মাঝের সমস্যার বিষয়টা বোঝা যায়।
আমি বিশ্বাসীনা আমি ঐ সময়ে মানবিক কি কি ভ্যাজাল লাগতে পারে সেটা ভাবার চেস্টা করি।
শীয়ারা হয়তো বিষয়টা অতি রন্জিত করেছে, তারা আলীকে নিয়ে ভ্রান্ত ধারনার মাঝে আছে সেটা আমি তাকে বলি।
আপনি কিন্তু আমার উপরের প্রশ্নের জবাব দিলেন না। উপরের আয়শা রাঃ এর হাদিস সহী হলে আপনি কিভাবে দাবি করেন যে আবু বকর রা: জানাজা পড়িয়েছিলেন এবং আলী বায়াত গ্রহন করেছিলেন?
তবে আপনার ঐ দুইটা দুলিল কে আমি কি ভুয়া বলতে পারি কি না?
৪৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি এখনও আমার প্রশ্নের উত্তর দেননি। আপনি ব্যাখ্যা করেছেন নিজের মতো করে। অথচ, আমার প্রশ্ন ছিলো-
হযরত আবুবকর বিবি ফাতেমা (আ)-কে ফাদাকের বাগানটি না দিয়ে রাষ্ট্রের অধীনে নিয়ে নিয়েছিলেন কি না?
[আমি জানতে চাইনি কেন নিয়ে নিয়েছেন। কারণ, সেটা পরের বিষয়। নিয়েছেন কি না সেটা আগে মীমাংসা করি, প্লিজ। হ্যাঁ কি না?]
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মূল সমস্যা হচ্ছে কারো লেখা ভালোভাবে না পড়ে মন্তব্য করা। নিন আবার পড়ুনঃ
আপনার সাথে তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, "এই জমি সাদাকাহ না হয়ে পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত মিরাছের নিয়ম অনুসারে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে"। হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা যেমন নবীর কন্যা, ঠিক তেমন মহানবী মৃত্যুর পর উনার বিধবা স্ত্রীরাও সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাবে। ঠিক যেভাবে কোরআন শরীফে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সন্তান এবং স্ত্রীদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগের নিয়ম বলে দিয়েছিলেন কোরআন শরীফের সূরা নিসাতে।
কুরআন শরীফে যেটা দেয়া আছে, সেটা আমার নিয়ম হয় কীভাবে?
এইভাবে বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনী বানিয়েই তো ইসলামের ক্ষতি করে যাচ্ছেন আপনারা।
নিজেকে মুসলিম দাবী করেন অথচ সূরা নিসায় মীরাছের নিয়ম জানেন না।
কেমন মুসলিম আপনি নিজেই চিন্তা করুন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: মুসনাদু আহমদ এর ৬০২ নং হাদীসে,মুয়াসসাসাতুর রিসালা হতে প্রকাশিত,বর্ণিত আছে—
— হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, "আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর কাছে ছিলাম। সহসা আবু বকর ও উমার رضي الله عنهم এলেন। তিনি ﷺ বললেন, হে আলী, এরা দু’জন নবী ও রাসূলগণের পর জান্নাতের যুবক ও প্রৌঢ়দের দুই নেতা"।
আল্লামা শায়খ শো'আইব আরনাউত্ব হানাফী রহ. বলেন, "হাদীসটি বিশুদ্ধ এবং এর সনদ সুন্দর।" সবচাইতে মজার বিষয় হচ্ছে এই হাদীসটির সনদে আহলে বায়ত রয়েছেন, হযরত হাসান, তার পিতা হযরত যায়েদ হতে, হযরত যায়েদ তার পিতা হযরত হাসানে মুজতাবা হতে এবং হাসান উনার পিতা হযরত আলী عليهم السلام হতে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
আপনারা যাদের ইমাম মানেন তারা সবাই আছে এখানে।
আবার তিরমিযীতে ৩৬৬৪,৩৬৬৫,৩৬৬৬ এর দ্বারা বিশুদ্ধ হিসেবে প্রমাণিত হয় যে নবীজী বলেন—
—অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ (হযরত আবুবকর ও হযরত উমরকে দেখিয়ে) বললেন:—এরা দুজন জান্নাতে নবী-রাসূলগণ ছাড়া পূর্বাপর (সৰ্বকালের) পূর্ণ বয়স্কদের নেতা হবেন। হে ‘আলী! এটা তাদেরকে জানাবে না।»
এরমধ্যে ৩৬৬৬ হাদীসটি ইমাম জয়নুল আবিদীন عليه السلام এর সূত্রে বর্ণিত।
এই হাদীসটা আরো অনেক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।
১.আসসুন্নাহ,১৩২০নং হাদীস,ইমাম ইবনে আবী আসেম
২.আওসাত,৬৮৬৯নং,ইমাম ত্ববারানী
৩.শরহে মুশকিলুল আছার,১৯৬৩ এবং ১৯৬৬নং,ইমাম ত্বহাবী
৪.মুসনাদু বায্যার,২৩৯২নং হাদীস।
৫.ইবনে মাজাহ, ৯৫ নং
৬.মুসনাদু আহমদ,৬০২নং(মুয়াসসাসাতুর রিসালা)
৭.সহিহ ইবনে হিব্বান,৬৯০৪নং হাদীস
৮.মাজমাউয যাওয়াইদ,৯/৫৩,ইমাম নুরুদ্দীন হায়সামী
৯.খাতিবে বাগদাদী,১০/১৯২
নির্বোধের মতো একই জিনিস বার বার জিজ্ঞেস ক রছেন কেন? মহানবী এই সহী হাদীসের মতামত অনুসারে শুধু হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু নন, এরপর হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত এই সাদাকাহ সম্পত্তি খলিফার দায়িত্বে রেখে আহলুল বায়াত অর্থাৎ নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালামের পুরো পরিবার পরিজনের ভরণপোষণের খরচ দিতেন। এটা ছিল নবী পরিবারের খলিফা সম্মানিত দায়িত্ব। তারা এই দায়িত্ব কখনোই অস্বীকার করেননি। এবং পরিপূর্ণভাবে পালন করে গেছেন।
সাবধান আপনাকে, হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বিরুদ্ধে প্রতিটা মিথ্যা অভিযোগের জন্য আপনাকে হাশরের ময়দানে জবাব দিতে হবে।
৪৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:৩৩
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্মা প্রকাশ করছি। মুসলিম হিসেবে আমার দায়িত্ব থাকলেও পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত না থাকায় চুপ থাকতে হচ্ছে যা আমার চরম ব্যর্থতা
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ইসলামের ভিতরের আসল শত্রুদের চিনে রাখুন।
সহমত পোষন করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
৪৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৯
আশাবাদী অধম বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
আপনার প্রচেষ্টার জন্য শুকরিয়া। কিন্তু এদেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ দিয়ে তারপরে উত্তর দিতে গেলে দিন ফুরিয়ে যাবে কিন্তু এদেরকে সন্তুষ্ট করা যাবে না। এদের করতে হবে পাল্টা আক্রমণ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: ওয়া আলাইকুমুস-সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি, ওয়া বারাকাতুহ্।
আমি এদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। না দিলে বলতো সূত্র ছাড়া এবং যুক্তি ছাড়া লিখেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
৪৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২০
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে আমি স্পষ্ট একটা লাইন বলবো। সহী কোন হাদিস অন্যকোন সহী হাদিসের সাথে কনফ্লিক্ট করবে না। আপনি উপরে যেই সহী হাদিস দিয়েছে সেটা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর দ্বিতীয়বার বাইয়াত গ্রহন করা নিয়ে ঘটনা।
তাহলে আপনি বলতে চাইছেন যে আলী রা: প্রথমে একবার বায়াত নেয় এবং তারপরে তিনি খলিফার বিরুদ্ধে চলে যান, অর্থ রাস্টদ্রহী হয়ে যান এবং পরে আবার খলিফার আনুগত্ত প্রকাশ করেন?
When she died, her husband 'Ali, buried her at night without informing Abu Bakr and he said the funeral prayer by himself. When Fatima was alive, the people used to respect 'Ali much, but after her death, 'Ali noticed a change in the people's attitude towards him. So Ali sought reconciliation with Abu Bakr and gave him an oath of allegiance. 'Ali had not given the oath of allegiance during those months (i.e. the period between the Prophet's death and Fatima's death).
আর উপরের সহী বোখারীর হাদিসে আয়শা রাঃ হাদিসে বোঝা যায় আবু বকর রাঃ জানাজাও পড়ান নি এবং তার বায়াতও হন নি। তাহলে কোনটা ঠিক?
৫০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৩
নতুন বলেছেন: আর আপনি আয়শা রাঃ এর হাদিসের চেয়ে অন্য হাদিসের সহীত্ব খুছছেন?
৫১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি আপনাকে ৪৬-নং কমেন্টে জিজ্ঞাসা করেছিলাম - ''হযরত আবুবকর বিবি ফাতেমা (আ)-কে ফাদাকের বাগানটি না দিয়ে রাষ্ট্রের অধীনে নিয়ে নিয়েছিলেন কি না?''
এর উত্তর দেওয়াটা আপনি শুরু করেছেন এভাবে - ''আপনার সাথে তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, "এই জমি সাদাকাহ না হয়ে পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত মিরাছের নিয়ম অনুসারে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে"।
=============
তর্কের খাতিরে কেন বলছেন? কেন সোজাসুজি উত্তর দিচ্ছেন না যে, হযরত আবুবকর বিবি ফাতেমা (আ) -এর অধিকারকে লঙ্ঘন করে ফাদাকের বাগানটি রাষ্ট্রায়ত্ব করেছিলেন?
এটা লেখন বা ব্লগার হিসেবে আপনার ব্যর্থতা। আপনার মুখোশ বেরিয়ে পড়েছে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: কার মুখোশ বের হয়েছে সেটা এখন সামু ব্লগের এবং গ্রুপের সবাই জানে।
মুখোশের আড়ালে আপনার অসদ উদ্দেশ্য কী কী সেটা জানতে আর কারো বাকি নেই।
নিজের শিয়া পরিচয় প্রকাশ করে নিজের গায়ে নিজেই স্পেশাল এই তকমা লাগানো জন্য ধন্যবাদ।
বর্ণ চোরাদের লেখা নিয়েই সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। এখন থেকে আর কারো ভুল হবে না।
ব্লগে আমার পর্যায়ে আসতে হলে আপনাকে সারাজীবন ধরে চেষ্টা করে যেতে হবে।
আমার নাম আপ্নি ব্লগীয় জীবনে কোনদিনও আর ভুল্বেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শিয়া যে কত জঘণ্যতম ফিতনা তা’ সেই ব্যক্তির পোষ্ট থেকে বুঝা যায়।