নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মজীবনী ১ - একজন সুপাঠক হিসাবে বেড়ে উঠা

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

সবাই একদিনই ভালো পাঠক/পাঠিকা হয়ে গড়ে উঠে না। সবার বই পড়ার আগ্রহ তৈরি হওয়ার পেছনের কাহিনীও এক হয় নয়। হওয়ার কথাও না। এই কাহিনী একেকজনের একেক রকম হয়। ছোটবেলা থেকেই সেইসব বাচ্চাদের বই পড়ার সুন্দর অভ্যাস গড়ে ওঠে, যাদের পারিবারিক আবহে বই পড়ার উপযুক্ত সুযোগ থাকে। আমাদের বাসায় পড়ার জন্য বইয়ের কোনো অভাব ছিল না। আমার বাবা নিজেই প্রচুর বই পড়তেন। বাসা ভর্তি অনেক, অনেক বই ছিল। বিভিন্ন জনরার, বিভিন্ন লেখকের। নিয়মিত বই পড়ার ব্যাপারে বাবা নিজেই প্রচুর উৎসাহ দিতেন আমাদের।

আব্বু আম্মুর বিয়ে হয়েছিল অনেকবছর আগে। তখন বিয়ের উপহার বলতে অনেকেই বই উপহার দিত। আমার বাসায় আমি একটু বড় হওয়ার পর থেকে দেখছি বিখ্যাত সব লেখকদের বই বিয়েতে উপহার হিসেবে পাওয়া। ‌রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিংবা কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কিছু উপন্যাস ছাড়াও যাযাবরের কয়েকটা বইও পেয়েছিলাম আমি। ‌এছাড়াও ছিল প্রচুর ধর্মীয় বই। ধর্মীয় অনেক দুষ্প্রাপ্য বই ছিল বাসায়। যাদের অনেকগুলোই পূর্ব পাকিস্তান আমলে প্রথম প্রকাশিত ছিল। তাযকিরাতুল আউলিয়া, তাযকিরাতুল আম্বিয়া ইত্যাদি ধর্মীয় গল্পের অনেক বই পড়েছি ছোটবেলায়।

এছাড়াও আমার ছোটবেলায় পাড়ায় বেশকিছু পাঠাগার ছিল। আমার বই পড়ার এত আগ্রহ দেখে ছোটবেলায় আমার মেঝভাই আমাকে নিয়ে স্থানীয় একটা পাঠাগারের সদস্য করে দিয়েছিলেন। ভাইয়া ছিলেন এই পাঠাগারের একজন নির্বাহী কমিটির সদস্য। একতলার বিশাল একটা পাঠাগারে শত শত বই ছিল। সবাই নিজের নাম লিখে সেখান থেকে বই নিয়ে আসতাম। তবে বয়সের অনুপাতেই সবাইকে বই দেওয়া হতো, চাইলেও যে কেউ যে কোনো বই আনতে পারতো না। সেখানেই আমি প্রথম আবুল আসাদ সাহেবের লেখা বিখ্যাত সাইমুম সিরিজের সাথে পরিচিত হই। ধরতে গেলে আমি প্রায় টানাই সাইমুমের অনেকগুলো বই পড়েছিলাম সেইসময়। আমি তখন ক্লাস সিক্স বা সেভেন পড়ি। ‌সেই সময় পরিচিত হই তিন গোয়েন্দা সিরিজের সাথে।‌ কিন্তু সেই সময় তিন গোয়েন্দা সিরিজের চাইতেও আমার কাছে বেশি আকর্ষণ লাগতো কিশোর ক্লাসিক সিরিজের বইগুলোর প্রতি। বিদেশী ভাষার বিখ্যাত সব বইগুলো সেবা প্রকাশনী সেই সময় কিশোর ক্লাসিক হিসেবে বের করতো। অনুবাদগুলো ছিল ঝকঝকে। পড়তেও খুব মজা লাগতো। এছাড়াও তখন আরেকটা বিখ্যাত প্রকাশনী ছিল অবসর। ‌তাদেরও প্রচুর অনুবাদের ক্লাসিক বই ছিল। ‌পাড়ার আরেকটা পাঠাগার থেকে আমি নিয়মিত এইসব অনুবাদের কিশোর ক্লাসিক বইগুলো বাসায় নিয়ে এসে পড়তাম। সাপ্তাহিক চাঁদার পরিমাণ ছিল খুবই নগণ্য। ‌স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে এই পাঠাগারের সাপ্তাহিক চাঁদা দিতাম আমি।

এখনও মনে পড়ে সেই সময় কত গভীর আগ্রহ নিয়ে টারজান সিরিজের বইগুলি পড়তাম। স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে গোপনে টারজানের বইগুলো কিনে নিয়ে আসতাম। ‌এছাড়াও তখন নীলক্ষেতে প্রচুর পুরনো বই অদল বদল করা হতো। পড়া শেষ হলে আমার পড়া বইগুলো বড় ভাইদেরকে দিয়ে দিতাম বদল করে নতুন বইগুলো নিয়ে আসতে। ‌এছাড়াও সুযোগ পেলেই ভাইয়েরা আমার জন্য নীলক্ষেত থেকে অনেক বই কিনে নিয়ে আসতেন। ‌

ছোটবেলা থেকেই স্কুলে খুব ভালো রেজাল্ট করার কারণে আমার নিয়মিত বই পড়া নিয়ে বাসায় কখনোই সমস্যা হয়নি। তখন আসলে টিভি এত বেশি প্রচলিত ছিল না, চ্যানেল বলতে ছিল শুধু বিটিভি, তাও আবার শুধু নির্দিষ্ট সময় বাচ্চাদের জন্য কার্টুনের অনুষ্ঠান হতো।‌ ছোটবেলায় পড়াশোনা চাপ এত বেশি ছিল না, যার কারণে পড়াশোনা শেষ করেই প্রচুর বই পড়ার জন্য সময় ঠিকই আমি বের করে নিতাম।

আমার বাসা ঢাকা হলেও আমার খালারা থাকতেন নারায়ণগঞ্জে। ‌প্রায় কয়েক মাস পর পরই আমার আম্মু আমাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে যেতেন। ‌ নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে যাওয়া ছিল আমার জন্য রীতিমতো একটা অ্যাডভেঞ্চারের ব্যাপার। ‌বড় খালা ও মেজ খালার বাসায় ছিল দুর্দান্ত সব বইয়ের কালেকশন। ‌আমরা সময় নিয়ে যেতাম সেখানে।

বড় খালার বাসায় বিভিন্ন বইয়ের ছিল বিশাল সংগ্রহ। আমার খালাতো দুই ভাই Shajahan Shamim ও Nazim Reja ছিলেন বইয়ের পাঠক। ‌ওই বাসায় গেলেই আমি প্রথম বেছে বেছেএকগাদা বই নিয়ে বসতাম। ‌দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো এই বইগুলি পড়ে। এই বাসায় প্রথম আমি হেনরি রাইডার হ্যাগারের লেখার সাথে পরিচিত হই। শি ও রিটার্ন অফ শি এই দুইটা বই আমি এই বাসায় পড়েছিলাম।

মেজ খালার বাসায় ছিল দুষ্প্রাপ্য বইয়ের বিশাল এক কালেকশন। আমি এই খালার বাসায় আসলেই আমার খালাতো ভাই Fida Hasan Khan Tushi ও খালাতো বোন Shayla Parveen Shilpi বইগুলো রাখার একটা আলমিরা খুলে দিতেন আমার জন্য। যে কয়টা দিন থাকতাম, এই বইগুলো পড়ে পড়ে সময় কেটে যেত আমার সেখানে। আমার যতটুকু মনে পড়ে এই বাসায় প্রথম আমি কুয়াশা সিরিজ ও মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলো পড়তে শুরু করি। কুয়াশা সিরিজ ছিল বেস্ট। আমার ওই সময়ের জন্য এইধরনের এডভেঞ্চারের বইগুলো ছিল দুর্বার আকর্ষণের বস্তু। আমার যতটুকু মনে পড়ে কুয়াশা সিরিজের প্রায় অনেকগুলো বই ওই বাসায় আমি ধাপে ধাপে পড়েছিলাম। ‌
বয়স বাড়ার সাথে সাথে পাঠকের রুচির বিস্তৃতি ঘটে এবং আরো ব্যাপকভাবে পাঠকরা বই পড়তে চায়। আমার বেলাও তার কোনো ব্যতিক্রম হলো না। অল্প কিছুদিন পরেই স্কুল জীবনের শেষের দিকে এসে এবং কলেজ জীবনে আমি ভারতীয় সাহিত্যে বিখ্যাত লেখকগুলোর বই পড়া শুরু করলাম। বুদ্ধদেব গুহ, সমরেশ মজুমদার, নীহার রঞ্জন গুপ্ত, শংকর, সত্যজিৎ রায় ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর যে বইগুলো পেতাম সেটাই গোগ্রাসে পড়ে ফেলতাম। এর মধ্যে শুরু হলো আবার নতুন এক আকর্ষণ, হুমায়ূন আহমেদ। ‌ভারতীয় বইগুলোর চাইতে হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোর প্রতি আকর্ষণ দিনে দিনে অনেক বেড়ে যেতে লাগলো। এক সময় অনুভব করলাম হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো ভারতীয় বইগুলোর চাইতেও বেশি আকর্ষণ করে আমাকে। ধীরে ধীরে হুমায়ূন আহমেদের বই টানা পড়ে যেতে লাগলাম। মিসির আলি কিংবা হিমুর সিরিজ প্রায় টানাই পড়ে গেলাম আমি ভার্সিটি জীবনে।

চরম বিস্ময় ব্যাপার হচ্ছে বই পড়ার প্রতি আমার প্রচণ্ড আগ্রহ এত বছরেও এতটুকুও কমেনি। বরং টেকনোলজির বিস্তারের সাথে সাথে আমার বই পড়ার মাধ্যম বদলে যেতে লাগলো। ভার্সিটি জীবনে ইন্টারনেটে এত বেশি সুযোগ না থাকলেও পরবর্তীতে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার জন্য খুব সহজেই এখন ইচ্ছে করলে সারা বিশ্বে যে কোন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় যে কোন ডকুমেন্ট বা বই নামিয়ে নিয়ে পড়া যায়। আগে ছাপার কাগজে বই পড়লেও, এখন সুযোগ হয়ে উঠলো দেশ বিদেশের বিভিন্ন জনরার ই-বুক পড়ার।

তুলনামূলক ধর্মীয় আলোচনা হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং ইন্টারেস্টিং একটা টপিক। খ্রিস্টীয় ধর্ম, ইহুদি ধর্ম সহ প্রাচীনকালের বিভিন্ন ধর্মগুলোর উপর বইগুলো আমার সবচেয়ে ভালো লাগে পড়তে। সত্যি কথা বলতে কি, এসব টপিকের উপরে বাংলায় বই পাওয়া আসলে খুব কঠিন। অনুবাদের বইগুলো বেশিরভাগ সময় পড়তে বিরক্ত লাগে অনুবাদকের কাজের দুর্বলতার কারণে। ইংরেজিতে বই পড়তে বরং আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। একজন লেখক তার লেখার প্রকৃত আকর্ষণ যে ভাষায় ফুটিয়ে তোলেন সেটা অনুবাদ করে যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, সেই আকর্ষণটা রেখে দেওয়া খুব কঠিন একটা কাজ। এখন আবার গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে কিছুটা পরিবর্তন করে বই প্রকাশের একটা প্রবণতাও দেখা যায়, যেটা অপছন্দ করি। আক্ষরিক অনুবাদ কখনো ভাবানুবাদে মতো আকর্ষণীয় হতে পারে না বলেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

আগে ইচ্ছে থাকলেও গাদা গাদা বই কিনতে পারতাম না। আল্লাহর রহমতে এখন সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে। ‌প্রায় নিয়মিতই পছন্দের বইগুলো কেনাকাটা করি আমি। তবে আমি সবচেয়ে পছন্দ করি নতুন যারা লেখক, প্রথমবার বই বের করেছেন তাদের বই কিনতে। কারণ আমার মনে হয় পাঠকদের এই নতুন লেখকদের প্রতি সহানুভূতিটা সবচেয়ে বেশি থাকা উচিত। ‌একজন নতুন লেখক প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে এবং অনেক আশা নিয়ে তার প্রথম বইটা প্রকাশ করেন। তার পাশে যদি পাঠকরা না দাঁড়ায় তাহলে তার পক্ষে লেখালিখিকে কন্টিনিউ করা খুব কঠিন হয়ে যায়। আমি নিজের চোখে দেখেছি খুব ভালো কয়েকজন লেখক লেখিকার পাঠকের সহায়তার অভাবে হতোদ্যম হয়ে বই প্রকাশ থামিয়ে দিয়েছেন।

তবে যাই হোক, যে একবার বই পড়ে মজা পেয়েছে তার চাইতে মজাদার অন্যকোন কিছু হতে পারে না। ফেসবুক ও ইন্টারনেটে অবাধ বিচরণের সুযোগ বর্তমানে নতুন জেনারেশনের পাঠকদের বই পড়ার আগ্রহকে অবশ্যই বাঁধাগ্রস্থ করে। তবে বই পড়ার প্রকৃত আনন্দ যারা একবার পেয়েছেন তাদের কাছে ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেটে অবাধ বিচরণ করার চাইতেও যে বই পড়া অনেক মজাদার তারা ঠিকই সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

বাংলা ভাষার সকল পাঠক পাঠিকা, লেখক লেখিকা, প্রকাশক এবং সংশ্লিষ্ট শুভানুধ্যায়ীদের শুভকামনা রইলো। আশা করছি বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা অনন্তকাল ধরে এভাবেই পাঠকের হৃদয় বেঁচে রইবে নিরন্তর

অফটপিক:
হুট করেই ইচ্ছে হলো নিজের জীবনের সেরা কিছু কাহিনী লিখে রাখি। ব্লগের চেয়ে ভালো জমিয়ে রাখার জায়গা আর কী বা হতে পারে! এই সিরিজের আরো লেখার ইচ্ছে আছে।
সামান্য একটু জায়গা নিয়ে নিজের জন্য একটা মার্কেটিং করছি। বিগত বইমেলা়গুলোতে আমার তিনটা বই প্রকাশিত হয়েছে।
কেউ আগ্রহী হলে বইগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন!



সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, মার্চ ২০২৩

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আপনার আত্মজীবনী পড়ে ভালো লাগলো। আপনার বইগুলিও কেনার খুব ইচ্ছে আছে। নিজের বই প্রকাশ করে হাত খালি। সামনে নাটকের কাজ আছে। সব মিলিয়ে বেহাল দশা! হাত ভরলেই কিনবো ইনশাআল্লাহ।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: কোনো অসুবিধা নেই। আপাতত ব্লগে আমার লেখা পড়ুন।
১ম মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
মানুষ পরিবার থেকেই প্রাথমিক শিক্ষাসহ যে কোন শিক্ষাই পায় এটা ইউনিভার্সাল ট্রুথ । আপনার বইয়ের প্রতি পড়ার আগ্রহ সম্পর্কে সমস্ত কিছু জেনে ভালো লাগলো ।
হ্যাঁ ভাই এই সিরিজ সম্পর্কে আরো লিখুন পড়তে ভালই লাগবে আর আপনার তিনটি উপন্যাসেরই সফলতা কামনা করছি ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: ছোট বাচ্চাদের শিক্ষার পর্ব শুরু হয় তার বাসা থেকে পারিবারিক আবহে। ‌ আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে যাদের বাসায় বই পড়ার কোন সুযোগ নেই, সেইসব বাচ্চারা বড় হয়ে বইয়ের প্রতি কোন আগ্রহ পায় না। ‌ তবে এর উল্টোটাও হতে পারে তবে এটাই বেশি স্বাভাবিক।
সিরিজটা নিয়ে কতদূর আগাতে পারব আমি জানিনা তবে ইচ্ছে আছে মাঝে মাঝে জীবনের ভালো ভালো ঘটনাগুলোকে এভাবে কলম বন্দি করার।
আপনি আমার তিনটা বই সংগ্রহ করেছেন ও পড়েছেন। সেজন্য আপনার কাছে আমার অসংখ্য কৃতজ্ঞতার কোন শেষ নেই।
পবিত্র মাহে রামাদানের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি আপনি যে সময়ে বড় হয়েছি সেই সময়টা ছিলো বই পড়ার স্বর্ন যুগ । স্কুলের পরিক্ষা শেষ আম্মার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে পাচটা মোটা সাইজের বই এনে বসে যেতাম পড়তে ওই পাচটা দিয়ে মাস পার করে দিতাম । আহা ! কি দিন ছিলো অথচো আজকালকার বাচ্চারা বই একদম পড়তে চায় না । বইয়ের নাম শুনলেই নাক শিটকায়। তাদের কাছে স্কুলের টেক্সট বই ছাড়া অন্য কোন বই পড়া কে বিরক্তিকর বলে মনে হয় । আমরা শ্রিকান্ত তিন গোয়েন্দা কুয়াসা মাছুদ রানা পড়ে যেভাবে পুলকিত হতাম এরা শুনে হাসে । কষ্ট লাগে এখনকার বাচ্চা গুলা বই থেকে যেভাবে বিমুখ করে আছে এতে ভালো লেখক ভালো কবি সাহিত্যিক বোধহয় আগামী তে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমাদের সময় মানসিক মনোরঞ্জনের জন্য বইয়ের চেয়ে উত্তম আর কিছু ছিল না। ‌ কিন্তু এখনকার বাচ্চাদের জন্য কম্পিউটার মোবাইল ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন ধরনের চিত্তবিনোদনের সুযোগ-সুবিধা খুব সহজলভ্য হয়েছে। ‌ ভেবে দেখুন আমরা ছোটবেলায় খেলাধুলার জন্য মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়াতাম আর এখনকার ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বেরই হয় না বরং কম্পিউটারে মোবাইলে বসে ভার্চুয়াল গেম খেলে।
সাহিত্যচর্চা বিষয়টা আসলে একান্তই ব্যক্তিগত, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাহিত্যে আগের চেয়ে অনেক কম ছেলে মেয়েরা এগিয়ে আসছে। তবে যে পরিমাণ আসছে সেটা নিতান্তই মন্দ নয়।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এরা সাহিত্যের মূলধারা রেখে বিভিন্ন বিকৃত ধারায় ছড়িয়ে পড়ছে ।যেটা সাহিত্যকে অনেক দূরে টেনে নেওয়া যাওয়ার পরিবর্তে অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে। এখন যার মূল হচ্ছে ভাষার বিকৃতি।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



বুঝা যায়, ধর্মীয় বই আপনার জীবনের উপর বড় প্রভাব রেখেছে, আপনি অতীতের পৃথিবীতে আটকা পড়েছেন।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: ইংরেজিতে দিলাম যদি পড়ে মানে বুঝতে পারেন!
Einstein famously wrote: “Science without religion is lame, religion without science is blind.” And the year he died, in 1955, a student quoted him as having once said that “I want to know how God created this world". When he was a boy, he lovingly studied the Bible, he sensed no contradiction between Catholicism and Judaism, he stopped eating pork, he wrote little songs to God and sang them as he walked home from school.

শুধু আপনার মতো নির্বোধরাই জীবনের সাথে ধর্মের মূল আত্মিক সম্পর্কটা উপলব্ধি করতে পারবেন না।

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার আত্মজীবনী মূলক লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
বই পড়ার আনন্দ অশিক্ষিত মানুষ বুঝবেনা। এই ব্লগেই অনেক স্বঘোষিত পণ্ডিত আছেন- যারা "বই পড়েন না" বলে গর্ব করেন এবং যারা বই পড়েন তাদের উপহাস করেন! বই পড়লে শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং শব্দচয়ন ও বাক্য বিন্যাসের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। যত বেশি বই পড়া হয়, তত বেশি শব্দভান্ডারে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শব্দ যোগ হতে থাকে। ফলে বই পড়া শব্দভান্ডার সমৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। নতুন কোনো ভাষা শিখতেও বই পড়ার বিকল্প নেই। জনাথন সুইফট বলেছেন, ‘বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান’। গবেষকরা বলেন, বই পড়লে মস্তিষ্কের জটিল কোষগুলো উদ্দীপিত হয় এবং স্নায়ুগুলো উজ্জীবিত হতে থাকে। পড়ার সময় পাঠকের মস্তিষ্ক ভিন্ন জগতে বিচরণ করে এবং পঠিতব্য বিষয়ের প্রতি সে মনোনিবেশ করতে পারে। এভাবে বইয়ের মাধ্যমে মস্তিষ্কের নানাবিধ বিচরণের কারণে পাঠকের মানসিক চর্চা বৃদ্ধি পায়।

শুভ কামনা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আমি ব্লগ এর পক্ষ থেকে, ব্লগারদের পক্ষ থেকে, আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাকে উপযুক্ত সম্মান না দেয়ার কারণে। যে কারণে আপনি অনেক আগে একবার চলে গিয়েছিলেন, তারপরও ব্লগের প্রতি ভালবাসার টানে আবার ফিরে এসেছিলেন, সেটা শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখা সম্ভব হলো না। ‌

এটার জন্য আসলে আমরা যেমন দায়ী, তেমনি ব্লগ কর্তৃপক্ষকেও আমি সমানভাবে দায়ী করি। একটা মাত্র ব্লগার তার দুই একজন সাগরেদ নিয়ে ব্লগের পুরো পরিবেশ নিয়মিত নষ্ট করছে। এটা জঘন্যতম একটা অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি স্বরূপ চিরতরে ব্লগ থেকে ব্যান করা দরকার। অথচ তার মাত্র একটা নিক নিষিদ্ধ করে তাকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

সে নিজেকে পন্ডিত বা যা ইচ্ছা মনে করুক আমার কাছে সে একটা অপর মূর্খ ছাড়া আর কিছু না। ‌ তার কথাবার্তা আচার-আচরণ দেখে যা বুঝা যায় সে খুবই স্বল্পশিক্ষিত এবং খুব নিচু পরিবার থেকে উঠে এসেছে। ‌ মুক্তিযোদ্ধা যে দাবি করে সেটাও ভুয়া। ব্যক্তিগত জীবনে সে চরমতম অসুখী খিটখিটে মেজাজের অধিকারী। যারা ব্যক্তিগত জীবনে চরমতম অসফল হয় তাদের এই বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিভিন্ন মানুষের সাথে অশালীন মন্তব্য ও নোংরা গালিগালাজে।

বই না পড়লে একটা মানুষের কখনো জ্ঞানের পরিস্ফুটন হওয়া সম্ভব না। ‌ আমরা যখন ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি তখন ইন্টারনেট ছিল না। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সাহিত্যগুলো না পড়লে সেই দেশগুলো সম্বন্ধে আমাদের পক্ষে জানো সম্ভব হতো না। যদিও এখন ইন্টারনেটের কারণে তথ্য জানা অনেক সহজ, তবুও আমি ছাপার কাগজে পড়াকে সব সময় প্রিফার করি অন্য সব ধরনের মিডিয়ার চাইতে।
শুভকামনা আপনার জন্য। জানি না এই মন্তব্য আপনি আদৌ পড়বেন কিনা।

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার লেখা থেকে বুঝা যায় যে, আপনি অপ্রয়োজনীয় বই বেশী পড়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: যা সন্দেহ করেছিলাম। ইংরেজি লেখা পড়ে কিছুই বুঝেননি। মাথা ভর্তি গোবর থাকলে এই অবস্থাই হবে।

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি সাহিত্যিক মানুষ, আপনি আমাকে কিভাবে "নির্বোধ", "মাথা ভর্তি গোবর" ইত্যাদি বলেন? এই সামুতে ১০ বছরে আপনি যেই পরিমাণ পাঠক পেয়েছেন, ১০ মাসেই আমার পাঠকের সংখ্যা আপনার থেকে বেশী; কারণ, আপনার ভাবনাচিন্তায় সমস্যা আছে।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: এই সামুতে ১০ বছরে আপনি যেই পরিমাণ পাঠক পেয়েছেন, ১০ মাসেই আমার পাঠকের সংখ্যা আপনার থেকে বেশী
মাথা ভর্তি গোবর আমি এমনিতেই বলিনি। সারা দেশে আমার পাঠক এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আজকেই দুইজন আমার কলুষের রিভিউ দিয়েছে ব্লগে।
আমার বই এখন কী পরিমানে বিক্রি হয় এটা জানলে মাথা ঘুরে পড়ে যাবেন। আমি নিজের ঢাক নিজে বাজাই না।
আর আপনার পাঠক কে কে ব্লগের সবাই জানে! আমার সাথে নিজেকে তুলনা করার মতো হাস্যকর কাজ করবেন না।
কোথায় আগরতলা আর কোথায় চোকিরতলা!

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:


৪ নং মন্তব্যের উত্তরে, আপনি ইংরেজীতে যা দিয়েছেন, উহা তো আপনার লেখা নয়, উহা কপিপেষ্ট করা। আপনি ঐ রকম লিখতে পারলে তো কাজ হয়েছিলো।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে নির্বোধ আমি সাধে বলি না। আমি কি সেই লেখায় কোথাও বলেছি ওটা আমি লিখেছি?
ওটা পড়তে যেয়ে দুই একটা দাঁত ভেঙে যায়নি তো?

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য গুলো দেখে মনে হচ্ছে- শুধু মাত্র আপনার মগজ আছে। আর সবাই মগজহীন।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: এটা আপনি বুঝতে পেরেছেন! যাক তাও ভালো।

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বাহ, আপনাদের বাসায় বই পড়ার সুন্দর পরিবেশ ছিল জেনে ভাল লাগল। অনেকদিন ধরে নিজের বই পড়ার গল্প লিখব বলে ভেবেছি, অথচ কেন যেন লেখা হয়নি। নাহ, এবার লিখতেই হবে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: আমাদের যাদের বয়স খুব কাছাকাছি তাদের এই বই পড়ার অভ্যাস কাছাকাছি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
যদিও আপনার লেখাটা আপনি এখনো লেখেননি কিন্তু আমার ধারণা সেটা আমার এই লেখার খুব কাছাকাছি হবে।
সময় ও সুযোগ থাকলে অতি দ্রুত নিজের পুরনো স্মৃতিগুলোকে এভাবে লিপিবদ্ধ করে ফেলুন।

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছিল আমার ছেলেবেলার কথা কেউ লিখছে। আমার বই পড়ার ইতিহাস মনে হয় পাচ ছয় বছর থেকেই শুরু। রুপকথার হেন বই নাই যে পড়ি নাই। পাড়ায় পাড়ায় ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী, স্কুলে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রর প্রতি সপ্তাহে আগমন এক কথায় বই পড়ার এক স্বর্নযুগ ছিল আমাদের ছেলেবেলায়। অবসর মানেই ছিল তখন বই এর ভুবনে হারিয়ে যাওয়া। বই পড়াটা ছিল আমাদের জমানায় ড্রাগ এডিকশন এর মতই এক নেশা। স্কুল ছুটি হলেই মনে হত কতক্ষনে বাসায় যাব এবং অর্ধেক পড়া বইটা শেষ করব।

বই এখনো পড়ি তবে নেশাটা কেটে গেছে ইন্টারনেটের ষাড়াশি আক্রমনে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: আমরা যারা প্রায় সমবয়সী অর্থাৎ আমাদের বাল্যকাল প্রায় একই রকমই কেটেছে। আমাদের পছন্দের সাহিত্য গুলো তখন প্রায় একই রকমই ছিল। এ কারণে আমাদের পছন্দগুলো একইভাবে গড়ে উঠেছে। আমার কাছে বই পড়া ছিল প্রচন্ড এক নিশা। কবে নতুন বই বের হবে আর সেটা পড়বো সেজন্য বসে বসে দিন গুনতাম। প্রায় দিনই টিফিনের টাকা না খেয়ে বাঁচিয়ে রাখতাম নতুন বই কেনার জন্য।
ধন্যবাদ দেখাটা পড়ার জন্য।

১২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো শৈশবের সেই ছোট্ট দিনগুলো থেকে কীভাবে বইয়ের প্রতি আপনার আকর্ষণ গড়ে উঠেছে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
চার নম্বর প্রতি মন্তব্যে আইনস্টাইনের ইংরেজি কোটেড যে জনৈক ব্লগারের মাথার উপর দিয়ে গেল। তবে ওনাকে একটু সমীহ করতেই পারেন। হাজার হোক কেউ যদি রকে আড্ড দিয়ে পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার আত্মম্ভরিতায় বগল বাজায় তাহলে না হয় একটু সুখ পেতে তাকে সু্যোগ দিলেন :)

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: ইংরেজিতে লেখা প্যারাগ্রাফ পড়তে গিয়ে এই নির্ঘাত কয়েকটা দাঁত নড়ে গিয়েছিল।
ইদানিং যে ব্যস্ততা যাচ্ছে সিরিজ তো দূরের কথা হাতে অসমাপ্ত বইগুলো শেষ করতে পারছি না।
মাঝে মাঝে মনে হয় লেখালেখি ছেড়ে একবারে পালায় এখান থেকে।

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা আপনি বুঝতে পেরেছেন! যাক তাও ভালো।

আপনাকে একটা অনুরোধ করি- কাউকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না।
মানুষকে ভালবাসবেন। সম্মান করবেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: জি আমি সেটাই করি না। কিন্তু আপনি যাকে গুরু মানেন তিনি ব্লগে সবাইকে কি সম্মান করেন? তার পোস্টে কি কখনো এই ধরনের মন্তব্য করেছেন? তাকে মানুষকে সম্মান করতে বলেছেন?

১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:




লেখক বলেছেন: এই সামুতে ১০ বছরে আপনি যেই পরিমাণ পাঠক পেয়েছেন, ১০ মাসেই আমার পাঠকের সংখ্যা আপনার থেকে বেশী।
মাথা ভর্তি গোবর আমি এমনিতেই বলিনি। সারা দেশে আমার পাঠক এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আজকেই দুইজন আমার কলুষের রিভিউ দিয়েছে ব্লগে।

- ব্লগে আপনার পাঠক নেই, আছে মংগল গ্রহে; ২ জনের রিভিউ পড়েছি; আপনি কি লিখতে পারেন, উহা আমার জানা আছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: যে এক প্যারা বা দুই প্যারার বেশি পোস্টে লিখতে পারে না তার আবার আরেকজনের লেখার মান সম্পর্কে মতামত!
আমার লেখার মান নিয়ে কিছু বলার আগে ভালোমতো দাঁত মেজে কুলি করে নিবেন।

১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: দুইজন লেখকের মন্তব্য পড়ে দুঃখ পেলাম।প্রথম মন্তব্য ও তার উত্তর।এই যদি হয় লেখকদের অবস্থা তাদের বই কে কিনবে।প্রথম জন টাকার অভাবে বই কিনতে পারছে না, দ্বিতীয় জন বলছে না,ঠিকানা দেন বইগুলো পাঠিয়ে দিচ্ছি।লেখকদের মানষিক অবস্থা এতো নিচু।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ অবাক হলাম আমি। কে কার বই কিনে পড়বে বা পড়বে না, সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত।
আপনাকে আগ বাড়িয়ে নাক গলিয়ে এর মধ্যে মতামত দিতে কে বলেছে যে উনি টাকার অভাবে আমাকে বই পাঠাতে বলেছে উনাকে? উনার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন আপনি কি জানেন? চেনেন ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে?

লেখক লেখিকা যে মানসিক অবস্থা অনেক নিচু আর আপনার কি? যেই ভাষায় এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন তাতে আপনার মানসিকতা কত নিচু সেটা সহজেই অনুমেয়। ‌আগে ব্লগারদের সম্মান দিতে শিখুন, তারপর নিজের সম্মান পাবেন।
এই ধরনের ব্লগারদের অপমানজনক কমেন্ট করলে পরবর্তীতে আপনার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব আমি।

১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

দারাশিকো বলেছেন: আপনার চমৎকার অভিজ্ঞতা পড়তে পড়তে নিজের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে নিচ্ছিলাম। ছোটবেলা থেকে শুরু করে অনেকটাই মিলে গেলো। অথচ, এই ভালোলাগাটা নষ্ট হয়ে গেলো সোনাগাজীর মন্তব্যগুলো দেখে। উনাকে ইগনোর করলেই বোধহয় ভালো।

১৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: উনি এটা ইচ্ছা করে করে। সারমেয়দের লেজ যেমন কোনোদিনও সোজা হবে না, এর স্বভাবও কখনো ঠিক হবে না।
এইসব নোংরা আচরণের জন্য এর আগে অনেকগুলো আইডি হারিয়েছে। খুব শীঘ্রই এটাও হারাবে।
এইসব বিকৃতকামী মানুষদের কথা পাত্তা দেবেন না। এ যা বলে সবই মিথা আর বানোয়াট কথা। নিজের কোনো ভালো পোস্ট দেওয়ার মুরোদ নেই। তাই অন্যের ভালো পোস্ট দেখলে এর গা জ্বলতে থাকে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

এই সুন্দর পোস্টে একজন তথাকথিত ওস্তাদ আর তার খয়ের খা চামচা সাগরেদ নীচু মনের পরিচয় দিয়ে গেল।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই এটাই এদের স্বভাব। ‌ নির্লজ্জ বেহায়া স্বভাব। ‌ হয়তো বেশ আশ্চর্য হয়েছেন এদের এই সমস্ত বেহায়া নির্লজ্জ কাজকর্ম দেখে। আমি এর মূল কারণটা বলছি। এদের চেয়ে দুই তিনটা কে সমস্ত নোংরা কাজ করতে দেখেন এরা এটা করে প্রচন্ড হিংসা থেকে। ‌
ব্লগে যখনই দেখে এদের চাইতে ভালো কেউ পোস্ট করেছে তখন এদের পশ্চাতে দেশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে।
একটা তো কপি পেস্ট লেখা লিখে ব্লগ এই পর্যন্ত কতবার ধরা পড়েছে গুনেও শেষ করা যাবে না। আর আরেকটার লেখার যোগ্যতা কতটুকু সেটা আপনি আমি সবাই জানি। দুই লাইনে একটা পোস্টকে টেনেটুনে ১৫ ২০টায় লিখে দলীয় নির্লজ্জ লেজের ভিত্তির মাধ্যমে পোস্ট দেয়।‌
এদের যদি যোগ্যতা থাকতো তাহলে এই ধরনের একটা পোস্ট দিয়ে দেখাতো আমাদের!

১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

করুণাধারা বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার বই পড়ার অভিজ্ঞতা পড়তে।

আমিও খুব বই পড়তাম ছোটবেলা থেকে। কিন্তু সন্তানদের বই পড়ার অভ্যাস হয়নি। পড়বে কখন! পাঠ্য বইয়ের পড়াই তো শেষ হতো না।

আপনার পরবর্তী প্রজন্মের কি আপনার মত বই পড়ার অভ্যাস হচ্ছে?

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: কেমন আছেন আপনি? অনেকদিন পর আপনার সাথে কথা বলছি?
আমি নিজেও ব্লগে যথেষ্ট অনিয়মিত। তার মাঝে শুনলাম আপনিও বেশ কিছুদিনের জন্য ডুব দিয়েছিলেন ব্লগ থেকে।
আমার বাচ্চারা এখনো ছোট তবে বই পড়ার অভ্যাস এখনো সেভাবে তৈরি করতে পারিনি। ‌
এখন মোবাইল কম্পিউটারের যুগে ছোট বাচ্চাদের বইতে অভ্যস্ত করানো খুব কঠিন কাজ।
কলুষ পড়েছেন?
পবিত্র মাহে রামাদানের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১৯| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার আত্মজীবনী কথনে +++

আপনার বই পড়ার ইতিহাসে নিজের একটা সময় ভেসে উঠলো চোখের সামনে। এক হাতে বই অন্য হাতে ভাত খাচ্ছি... যদিও সময়টা ছিলো মাত্র কয়েকটা বছর, তবুও তখন ডুবে ছিলাম সমরেশ, সুনীল, নিমাই, শীর্ষেন্দু, বিমল মিত্র, শংকর, আশাপূর্ণা দেবী, সুচিত্রা ভট্টাচার্য আর এদেশের হুমায়ুন আহমেদ... এ। প্রায় বইগুলোই একাধিকবার পড়েছি সেই সময়ে... সেই পড়ার ঝোঁকটা কন্টিনিউ করতে পারি নাই নানান কারণে। মনে পড়ে গেল অনেক স্মৃতি।

এই সিরিজটি চলুক, আশা করি সাথে থাকবো।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০১

নীল আকাশ বলেছেন: আমি আপনার মত শুধু একটা বিশেষ শ্রেণীর বই নয় বরং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনরার বই পড়েছি। ‌ বয়সের সাথে সাথে প্রত্যেকের রুচি বদলায় আমারও ঠিক তাই ঘটেছিল। ‌ তবে বই পড়ার অভ্যাস এখনো পাল্টায়নি।

এটা কি সিরিজ হিসেবে কিভাবে লিখব এখন ঠিক করিনি। ‌ হয়তো ধারাবাহিকভাবে নয় কিন্তু খুচরা খুচরা কোন ঘটনা নিয়ে এই সিরিজটা লিখে ফেলাই যায়।‌ ব্লগে লিখলে অবশ্যই এই সিরিজের নাম উল্লেখ করে দেবো নিচে।
ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এত বেশি বেড়ে গিয়েছে যে ব্লগে আসার প্রায় সময় পাই না।
ভেবেছিলাম এবার ব্লক ডে হলে সবাই মিলে একসাথে বেশ মজা করতে পারতাম। ‌ কিন্তু ব্লগ ডে তো হলোই না।
আপনার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারলে বেশ মজার একটা আড্ডা দেওয়া যেত।

২০| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার পাঠের অভ্যাস লিখতে গেলে ও কাছাকাছি হবার সম্ভাবনা অনেক। ভালো লাগলো আপনার জীবনের একাংশের গল্প।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: আপু, আমাদের যাদের বয়স খুব কাছাকাছি তাদের এই বই পড়ার অভ্যাস কাছাকাছি হওয়াটাই স্বাভাবিক। সত্যি কথা বলতে কি তখন বই পড়াচ্ছে আরো বেশি আনন্দদায়ক কোন চিত্ত বিনোদনের সুযোগ ছিল না।
তবে আপনাকে অনুরোধ করব সময় সুযোগ থাকলে নিজের পাঠের অভ্যাসের একটা রোজনামচা লিখে ফেলুন।
পবিত্র মাহে রমাদানের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

২১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগে বিয়ের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বই দেয়ার প্রচলন ছিল। এটা ঠিক, এ প্রচলনটা আমি নিজ চোখে দেখেছি।
বাল্যকাল থেকে আপনার বই পড়ার স্পৃহার কথা জেনে ভালো লাগল। এই অমূল্য অভ্যাসটি আপনার মননে যে বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছে, তারই প্রতিফলন দেখতে পাই আপনার লেখায়। আজীবন চালু থাকুক বই পড়ার এ সুঅভ্যাসটি।

প্রথম দুটো বাক্যে বোধহয় সামান্য সম্পাদনার অবকাশ আছেঃ
একদিনই<<< একদিনেই হবে হয়তো।
নয়<<<<< না হবে হয়তো।
অষ্টম অনুচ্ছেদেঃ লেখকগুলোর<<< লেখকদের

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: এর মূল কারণ হচ্ছে আগে হাতে টাইপ করতাম আর এখন গুগল কিবোর্ড দিয়ে ভয়েস টাইপিং করি। ‌ গুগল আবার নিচে বিশাল বিদ্যার জাহাজ। আমি যা বলি তার উপরেও নিজে কিছু কিছু জিনিস চেঞ্জ করে দেয়। ‌ এখন মোবাইল থেকে প্রতি মন্তব্য লিখছি। এই পোস্ট কম্পিউটারে বসে ঠিক করে দিব। আপনার যে তিনটা ভুল দেখিয়েছেন দুইটাই আমি সংশোধন করে দেব।
ভুল করে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ‌
পেন্সিলে আপনার নামে একজনকে লিখতে দেখলাম। এটা কি আপনি?

২২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য আপনাকে।

২৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যদ্দুর জানি আপনি ব্যস্ত লোক, তারপরও কীভাবে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন; ভাবতে অবাক লাগে। আবার অন্যান্য বইপত্র নিয়ে আলোচনাও লেখেন। এই পোস্টটা পড়ে বোঝা যাচ্ছে ছোটবেলায় বাইরের বই পড়ার অভ্যাসটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

২৭ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে ফিরে আসার জন্য দুঃখিত। এতদিন ব্লগেই ছিলাম না।
আমার পড়াশুনা না করতে ভালো লাগে। প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু পড়ি। তবে সময়ের অভাবে এখন আর লিখা হয় না।
আপনি কেমন আছে? বই পড়াটা আমার কাছে দৈনন্দিন অভ্যাসের মতো হয়ে গিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.