নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
বইয়ের নামঃ জন্ম ও যোনির ইতিহাস
লেখিকাঃ জান্নাতুন নাঈম প্রীতি
প্রকাশনীঃ নালন্দা পাবলিকেশন
বিষয়ঃ ননফিকশন, ভ্রমণ কাহিনী
প্রচ্ছদঃ জান্নাতুন নাঈম প্রীতি
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
মলাট মূল্য: ৫০০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৭৩ পৃষ্ঠা
বাংলাদেশে হঠাৎ করে লেখক লেখিকাদের আলোচিত কিংবা সমালোচিত হওয়ার জন্য খুব সহজ কিছু প্রমাণিত পন্থা আছে। পুরুষ লেখকদের জন্য সহজ রাস্তা হচ্ছে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে নোংরা কটুক্তি করে একাধিক পোস্ট দিয়ে ধর্মবিদ্বেষী সেজে সেনজেন ভিসা পাওয়ার রাস্তা পাকাপোক্ত করা। আর নারী লেখিকাদের জন্য রাস্তা আছে দুইটা, একটা হচ্ছে অযথা নোংরামি ও অশালীন দৃশ্য সম্মিলিত লেখালিখি করা কিংবা নিজেই ক্রমাগত অশালীন পোশাক পরে বিভিন্ন নোংরামি কাজ করে পত্রিকার গরম খবরে জায়গা করে নেওয়া। বহু বছর ধরেই এই দেশের বহু পুরুষ ও নারী লেখকগণ বেশ দক্ষতার সাথে এই পন্থাগুলো ব্যবহার করে এসেছে। যার ফলশ্রুতিতে আজ পর্যন্ত অনেক লেখক লেখিকারাই এই অজুহাতে দেশ থেকে সেনজেন ভিসা নিয়ে ইউরোপে স্থায়ী হয়েছে। আর কেউ বা এদেশে থেকেই অশ্লীল নোংরামিকে পুঁজি করে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে হুট করে আলোচিত হয়েছে।
এই বইটার লেখিকা ফ্রান্সে সেনজেন ভিসা নিয়ে চলে যাওয়ার কারণে সেই দেশে থেকে বাংলাদেশে নিজের বইয়ের মার্কেটিং করা কিছুটা দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে নিজের বইয়ের মার্কেটিং করার জন্য এক ভয়ঙ্কর চরমতম নোংরা রাস্তা বেছে নিয়েছে সে।
টাকার বিনিময়ে যারা দেহ দান করে তাদেরকে আমরা সহজ ভাষায় বেশ্যা বা বারবণিতা বলি। নিতান্তই পেটের দায়ে যারা এই নোংরা কাজে জড়িত হয় তাদের অন্তত একটা বিষয়ে বিশ্বাস করা যায় যে, তাদের কাছে যারা খদ্দের হিসেবে যায় তাদের তথ্য তারা নিরাপত্তার সাথে গোপন রাখে। কিন্তু যারা খ্যাতি লোভে, নিজেকে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত করার লোভে বিনা পয়সায় এখানে-ওখানে শরীর বিলিয়ে বেড়ায় তাদেরকে আমি বেশ্যাদের সাথে তুলনা করে বেশ্যাদের অপমান করতে চাই না। তাই পাঠক পাঠিকাদের বিনীত অনুরোধ রইলো এই মেয়েকে বেশ্যা অভিহিত করে একটা পেশাকে অযথা অপমান করবেন না প্লিজ। বেশ্যারা শুধুমাত্র পেটের দায়ী এই নোংরা কাজ করে।
লেখিকার এই পুরো বইটাই হচ্ছে একটার পর একটা মিথ্যার বেশাতির জাল। খুব সূক্ষ্মভাবে লেখিকা বইয়ের এখানে সেখানে তার সাথে যাদের গন্ডগোল ছিল বা যারা তার স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করেছে কিংবা সে যেটা দাবি করেছে তারা সেটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদেরকে চূড়ান্তভাবে অপদস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছে। দ্বিচারিতা, মিথ্যাচার, তথ্য গোপন করা কিংবা কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে আড়াল করা আর কাউকে কাপড় খুলে প্রকাশ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়ার কাজটা লেখিকা খুব ঠান্ডা মাথায় বইয়ের বিভিন্ন পাতায় করেছে।
বইটা পড়তে শুরু করলে কিছুদূর যাওয়ার পরেই যে কোনো পাঠক পাঠিকা সহজে উপলব্ধি করবেন যে লেখিকা সাইকোলজির ভাষায় সুপেরিয়রিটি কমপ্লেক্সের ভুগছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের সাথে নিজেকে তুলনা করার অর্থহীন, হাস্যকর ও প্রাণান্ত চেষ্টা পদে পদে পাওয়া যায় এই বইয়ের বিভিন্ন জায়গায়। ময়ূরের পেখম কাকের গায়ে লাগালে কোনো কাক কখনো ময়ূর হয় না, কোনদিনও হবে না। কিন্তু এই নোংরা মানসিকতার মেয়েটাকে এটা বোঝাবে কে?
লেখিকা বইয়ের বিভিন্ন পাতায় তার লেখার স্বাধীনতার পক্ষে পৃষ্ঠার পৃষ্ঠা অযৌক্তিক ও হাস্যকর দাবি লিখেছে। ধরুন, দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী স্ব-ইচ্ছায় একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পরে, কোনো কারণে এদের মধ্যে মনোমালিন্য হলো। এখন যদি কেউ এদের একজন আরেকজনের গোপন পরিচয় ও নোংরামির কাহিনী ছাপার কাগজে প্রকাশ করে দেয়, তাহলে কি সেটা তার লেখার স্বাধীনতা না ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত করে গুরুতর দেওয়ার অপরাধ হবে?
এই লেখিকার কাছে যার/তার সাথে স্বার্থের প্রয়োজনে বিছানায় শুয়ে পড়াটা মোটেও কোনো অপরাধ না, বরং খুব স্বাভাবিক বিষয়। এটা তার দেহের স্বাধীনতা, ইচ্ছার স্বাধীনতা। কিন্তু তার মতের সাথে অমিল হলেই তার গুষ্টি উদ্ধার করে তার পরিচয় সহ তার যাবতীয় গোপন পরিচয় সহ এইসব রগরগে কাহিনী প্রকাশ্যে ছাপানো হচ্ছে তার কাছে লেখার স্বাধীনতা। এই ধরনের ভণ্ডামি যারা বিশ্বাস করেন কিংবা সমর্থন করেন, তারা আসলে মানসিকভাবে বিকৃত রুচির অসুস্থ রোগী। এদের অতি দ্রুত মানসিক রোগীদের মতো চিকিৎসা করা দরকার।
বইটা পড়ার সময় আপনারা খেয়াল করবেন বিভিন্ন জায়গায় খুব সূক্ষ্মভাবে কারো কারো পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে অথচ তার সাথে লেখিকার খুব ইন্টিমেট সম্পর্ক ছিল, তার সাথে লেখিকার বিভিন্ন রগরগে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে বইয়ের মার্কেটিং করা কিংবা কাটতি বাড়ানোর জন্য। অথচ এইসব ব্যক্তিদের নাম চতুরভাবে গোপন রেখে বা নাম না লিখে, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে জোর করে লেখার মাঝে এর নাম / ওর নাম টেনে নিয়ে এসে তাদের নামে নোংরামি কথা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই লেখিকা অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে আসলে আদৌ বিছানায় গিয়েছে, শরীর বিলিয়ে দিয়েছে নাকি অযথাই তার নামে নোংরামি কথাবার্তা তুলে দিয়েছে এটা প্রমাণ করা আসলে সম্ভব না। কাউকে বিনা পয়সার শরীর অফার করে বিনিময়ে কিছু না পেয়ে অথবা আশানরূপ সাফল্য না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছে না, সেটা প্রমাণ কে করবে? তবে এটা চিরাইত সত্য যে, কেউ একটা মিথ্যা কথা বলতে পারলে তার পক্ষে এক লক্ষ মিথ্যা কথা বলাও কঠিন কিছু না।
একটা বই হিসেবে যদি এটাকে মূল্যায়ন করতে হয়, যা আমি সাধারণত পাঠ প্রতিক্রিয়ায় অন্যান্য বইয়ের করে থাকি, তাতে এই বইটাকে সাধারণ একটা "নন-ফিকশন" জনরার "ভ্রমণ কাহিনী" হিসেবে বলা যায়। লেখিকা ইউরোপে স্থায়ী হওয়ার পরে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেরিয়েছেন, বিভিন্ন আর্ট গ্যালারি কিংবা শিল্পকর্ম দেখতে গিয়েছেন যার সুন্দর কিছু বর্ণনা এই বইতে পাওয়া যায়, যা এই বইটাকে একটা ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, এর বেশি কিছু না। সরকারবিরোধী বেশ কিছু বক্তব্য পাওয়া যায় যার সাথে এই দেশের আপামর জনতার মতের যথেষ্ট মিল স্বাভাবিকভাবেই হবে। আমার ব্যক্তিগত ধারণা সে এই লাইনগুলো সচেতুরভাবেই দিয়েছে পাবলিক সিমপ্যাথি তার প্রতি নেওয়ার জন্য। তবে দেশ ও সরকার নিয়ে বইতে দেওয়া কথাগুলোর কোনটাই মিথ্যা নয়। পুরো বইতে যোনি সম্পর্কিত মাত্র একটা অংশে সামান্য কিছু লাইন ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। যেটা প্রমাণ করে যে যোনি শব্দটা ইচ্ছাকৃতভাবে বইয়ের নামকরণে ব্যবহার করা হয়েছে। যার যেমন রুচি সে তো সেটাই ব্যবহার করবে, তাই না?
এই ধরনের এত বিকৃত রুচির একটা বই কেন পড়েছি এই প্রশ্ন যে কেউ আমাকে করতে পারেন এবং সেটা খুবই স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন। লেখিকার ব্যক্তিগত জীবনের খোলামেলা বিবরণে সাজানো বইটি নিয়ে পাঠক মহলে যথেষ্ট সাড়া পড়েছিল কিছুদিন আগে। নালন্দা প্রকাশনী থেকে বের হওয়া বইটি অল্প সময়ের মধ্যে উঠে এসেছিল পাঠক চাহিদার শীর্ষে। এই বইয়ের ঘটনা প্রথম জানতে পারি সোশ্যাল মিডিয়াতে কয়েকটা পোস্ট দেখে। এরপর লেখিকার ফেসবুকের পোস্টগুলিতে কিছু অস্বাভাবিক তৈলাক্ত মন্তব্য দেখে খুব সন্দেহ জাগলো আসলে ঘটনা কি? লেখিকার বইয়ের লেখার মান সম্পর্কে খুব জানতে ইচ্ছা করলো। বইটা পড়ার পরে অবশেষে উপলব্ধি করলাম লেজকাটা শিয়ালগুলো সব সময় অন্যকোনো লেজওয়ালা শিয়ালকেও লেজ কাটা বানাতে চায়। আর বিনে পয়সায় দুধের সড় খাওয়ার পুরুষের অভাব নেই এই দেশে। এত বেশি আলোচনা কিংবা সমালোচনা না হলে হয়তো এই বইটা আমি পড়তামই না। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আর ব্যক্তিগত যৌন স্বেচ্ছাচারীতা দুইটা ভিন্ন জিনিসকে একত্রিত করে লেখিকা নিজের লেখার স্বাধীনতা দাবী করেছেন চূড়ান্ত হাস্যকর ভঙ্গিতে। এত জঘন্যতম নোংরা অভিলাষের বই আমি এর আগে পড়িনি।
মানব-সমাজ তো দূরের কথা, বন জঙ্গলে যে পশুপাখিরা থাকে, তারাও সেখানকার পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করে। কোনো সমাজে থাকলে সমাজের প্রতিষ্ঠিত নীতি নৈতিকতার আদর্শ মানতে হয়। কিন্তু লেখিকা সেটা না মেনে ধুরন্ধর রাস্তায় শর্টকাটে ইউরোপে যাওয়ার একটা সুযোগ তৈরী করেছেন বলেই প্রতিয়মান হলো।
অল্প বয়সী মেয়েদেরকে মাত্রাতিরিক্তভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতা দিলে তারা কী পরিমাণ নষ্ট হতে পারে এই লেখিকা তার আদর্শ উদাহরণ! বাবা কিংবা চাচার বয়সী লোকদের সাথে নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে শারীরিক সম্পর্ক করে স্বার্থ উদ্ধার করে আবার তাদেরকে নিয়ে ইচ্ছামতো সমালোচনা করা কতটা বিকৃতভাষ্য আচরণ কল্পনা করে দেখুন! অল্প বয়সে কম পরিশ্রম করে উপরে উঠবার জন্য যে আসলেই গোপন পথ আছে এবং সেই পথে হাঁটলে সহজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় তার একটা সম্পূর্ণ দলিল এই বইটা। অল্প বয়সী থেকেই এত বেশি বেহায়াপনা করার কারণে লেখিকার লজ্জা শরম সম্ভবত পুরোপুরি উবে গিয়েছে। যে পরিমাণ নোংরা, অশালীন শব্দ ও বাক্য এই বইতে লেখা হয়েছে যে কোনো সুস্থ সাহিত্যচর্চা করা শালীন লেখক লেখিকাদের পক্ষে সহজে লেখা সম্ভব না। ইচ্ছে করলেও এতটা বেহায়া যে কেউ খুব সহজে হতেও পারবে না বলেই আমি বিশ্বাস করি।
মিডিয়ায় লোকেদের বা কর্পোরেট কালচারে সেক্সুয়্যালিটি ও সামাজিক অনাচার কোনো অত্যন্ত গোপন ব্যাপার নয়, এটা প্রায় সবাই জানে। জেনেশুনে সেখানে গিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়ে পরে এই কালচারের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করা দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
স্কুল-কলেজে দেখতাম ব্যাকবেঞ্চে বসে অন্য বই বা খাতার ভেতরে ঢুকিয়ে কেউ কেউ চটি বই পড়তো, কারণ চটি বই ছিল নিষিদ্ধ। চটি বই কেন নিষিদ্ধ? কারণ সেখানে নোংরা রগরগে যৌন কাহিনীর বর্ণনা থাকে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে চটি বই যদি নিষিদ্ধ হয় তাহলে এই বইটা কেন নিষিদ্ধ করা ভুল হবে? যে কেউ ইচ্ছে করলেই সাহিত্যের নামে এসব নোংরামি লিখে চটি সাহিত্যের বই প্রকাশ করবে আর সেটা বইমেলায় প্রকাশ্যে বিক্রি হবে এটা একটা অসম্ভব ব্যাপার, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বইয়ের ১১৫ নম্বর পাতায় নির্বাসিত নিবন্ধে লেখিকা বইয়ের সবচেয়ে হাস্যকর কাণ্ড ঘটিয়েছেন তসলিমা নাসরিনের ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষীতা, দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। তাজ্জব ব্যাপার হচ্ছে এই পুরো বইটাতেই ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে সুক্ষভাবে একের পর এক নোংরামি কথাবার্তা লেখিকা নিজেই লিখেছেন। ইসলাম ধর্ম নারীদের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু বেহায়াপনা করতে অনুমতি দেয়নি, যত্রতত্র শরীর বিকিয়ে দেওয়ার অনুমতি দেয়নি, বিবাহ ব্যতিরেকে ২৫ বছরে ৩৮ জনের সাথে দৈহিক সম্পর্কের অনুমতি দেয়নি। ইসলাম কেন এই পৃথিবীর কোনো ধর্মই এই অনুমতিগুলো দেবে না। এখন যদি লেখিকা এইসব অনুমতির জন্য ইসলাম ধর্মকে অপমান করে নোংরা কথাবার্তা লেখে তাহলে তাতে ইসলামের কোনো ক্ষতি হবে না, বরং লেখিকা যে একজন বিকৃত রুচির সেটাই পাঠকের কাছে মুখ্য হয়ে প্রকাশিত হবে।
জান্নাতুন নাঈম প্রীতির আত্মকথা 'জন্ম ও যোনির ইতিহাস' বইতে দেশের সামাজিকভাবে নষ্ট কিছু মানুষরূপি প পশুর মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। এর আগে কিছু নষ্টের মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন তসলিমা নাসরিন। তবে বিনা অনুমতিতে ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত করা সমর্থনযোগ্য নয়। কারো আত্মজীবনী মানেই সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের প্রাইভেসি ব্রেক করা নয়। নিজের সম্পর্কে একগাদা মিথ্যাচার এনে নারীবাদ, মৌলবাদের তকমা টেনে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায়নি।
অথচ লেখিকা ইচ্ছে করলেই এই বইটাকে নষ্ট সমাজ ও রাজনীতির ভিক্টিম একজন প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার নামক আয়নায় ক্ষতবিক্ষত একজন মানুষ কেমন করে বাঁচে তার নিদারুণ সংগ্রামের আখ্যান বানাতে পারতেন। কিন্তু তার বদলে সে এক চটি সাহিত্য প্রসব করেছে। কতটা বেহায়া হলে কেউ নিজের সম্পর্কে এটা লিখতে পারে? ৭৬ পৃষ্ঠায় এসে আমার পুরুষেরা নিবন্ধে প্রীতি যা বলেছেন তার একটি অংশ এখানে হুবহু তুলে দিলাম।
তিনি লিখেছেন-
"নিউ ইয়ার পার্টিতে মদ খেতে খেতে আমার জার্মান বন্ধু নিনা গল্পচ্ছলে জিজ্ঞেস করেছিল
- আমার জীবনে পুরুষের সংখ্যা কত?
আমি শ্যাম্পেনের গ্রাসে চুমুক দিয়ে হাসতে হাসতে বলেছিলাম
- এতগুলো যে মদ খেতে খেতে সবার নাম মনে করা সম্ভব না।
- তাও আন্দাজ করলে?
- এই ধরো ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ!
সে ছোট্ট শিস দিয়ে বলল,
- কিছু মনে না করলে জানতে পারি, বয়স কত তোমার?
- ছাব্বিশ হতে যাচ্ছি!
সে নিজের গ্লাসের অবশিষ্ট শ্যাম্পেনটুকু পেটে চালান করে দিয়ে বলল
- সে কি, বয়সের চেয়ে বেশি!”
বইটির এক পর্যায়ে এসেছে চলচিত্র পরিচালক সেলিমের সহকারী শিপ্রা দেবনাথের কাহিনী। এই শিপ্রা মেজর সিনহা হত্যা মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। লেখিকা বইয়ে সেলিমের অ্যাসিট্যান্ট শিপ্রা দেবনাথের প্রসঙ্গ সম্ভবত বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছে। সাথে এনেছে পুলিশের কথিত এনকাউন্টারে নিহত মেজর সিনহার কিছু ঘটনা। তিনি বইটিতে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন, যা সিনহা মার্ডার কেসের সাথে সম্পর্কিত। এই বিষয়ে আমি কিছুই আপাতত লিখতে চাইছি না।
এই বইয়ের বিভিন্ন পাতায় বিভিন্ন লোকজন সম্পর্কে যে কাহিনীগুলো বলা হয়েছে তার শোনা কথা। না জেনে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে যা লিখেছেন তা নি:সন্দেহে চরম অনৈতিক কাজ। এই অনৈতিকতাকে প্রকাশের অধিকার বলার কোনো সুযোগ নেই।
পরিশেষঃ
লেখিকা এই বইয়ের বিভিন্ন অংশে সচতুরভাবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে
তিনি টাকার জন্য বা কোনো ফায়দা নেওয়ার জন্য কারো বিছানায় যেতেন, এটা যাতে প্রতিয়মান না হয়। তিনি নিজেকে প্রফেশন্যাল যৌনকর্মী বা বেশ্যাদের চেয়ে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করতে চেয়েছেন। একই কাজ করে সে নিজেকে ভালো প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে কিন্তু পেশাদার যৌনকর্মীরা যেহেতু টাকার বিনিময়ে শরীর ভাড়া দেয় তাই তারা খারাপ লেখিকার কাছে! এই ধরণের বিকৃত মন মানসিকতা কারো একদিনে গড়ে উঠে না।
একটা ডিসফাংশনাল পরিবার থেকে উঠে আসা এই লেখিকার বাবার প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণার প্রমাণ বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায় যেটা তার ব্যক্তিসত্ত্বাকে বিষাক্ত ও বিকৃত করে পুরুষদের প্রতি বানিয়েছে প্রতিহিংসা পরায়ন। সে একজন ক্রমশ মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে।
তবে বইয়ের নোংরা অংশগুলো বাদ দিয়ে ভালো অংশগুলো পড়ার পরে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে তার লেখনি যথেষ্ট ভালো। উপযুক্ত গাইডেন্স কিংবা mentoring পেলে সে একজন দুর্দান্ত লেখিকা হিসেবে গড়ে উঠবে। উনার সাহিত্যিক প্রতিভা আছে। এই ধরনের বিকৃত রুচির নোংরা সাহিত্যের লেখার ইচ্ছা বা মন-মানসিকতা থেকে উনাকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে। সুস্থ ধারার সাহিত্য চর্চার চেষ্টা করতে হবে। আর যদি উনি সেটা না করেন, তাহলে বাংলা সাহিত্যে রসময় গুপ্তের সাথে উনার নামও জোরেসোরে উচ্চারিত হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে।
ধন্যবাদ ও শুভ কামনা...
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, মার্চ ২০২৩
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: আমি ফেয়ার রিভিউ করেছি। যা ভালো লেগেছে সেটাও বলেছি। মেয়ের লেখনির হাত ভালো।
কেমন আছেন? আপনি সম্ভবত কিছু ভুলে গিয়েছেন ফেরত দিতে।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯
দারাশিকো বলেছেন: এই বিষয়ে আমিও একটা ব্লগ লিখেছিলাম জন্ম ও যোনির ইতিহাস কেন না পড়লেও চলবে। পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: জি আপনার লেখা পড়ে এসেছি। সেখানে আমি মন্তব্যও করে এসেছি। আপনার লেখা অনেকেই পছন্দ করেছে ব্লগে।
ধন্যবাদ ও ভালো থাকুন।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তসলিমাকে নকল করলেই যে কেউ তসলিমা হতে পারে না। এই লেখিকা বোকার মত তসলিমার নকল করে বিখ্যাত হতে চেয়েছে। তসলিমা এই দেশে ঘৃণিত হলেও সে সারা বিশ্বে নাম কামিয়েছে। বই লিখে প্রচুর টাকা পেয়েছে। বিদেশে আরাম আয়েশে আছে বলেই মনে হয়। তবে তার মনের মধ্যে ইসলাম নিয়ে একটা আজন্ম ক্ষোভ আছে যেটার কারণ লুকিয়ে আছে তার বিকৃত মগজের মধ্যে। তাই আরাম আয়েশে থাকলেও মনে তার শান্তি নাই।
আর এই লেখিকা এগুলি নিয়ে লেখালেখি করে ফ্রান্সে আশ্রয় পেয়েছে। থাকা খাওয়ার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। অনেকটা স্কলারশিপের মত হয়তো মাসিক ভিত্তিতে টাকা পয়সাও পাচ্ছে। এই দিক থেকে সে সফল কিন্তু শুরুতেই এই বই লিখে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তার লেখার উদ্দেশ্য সবাই বুঝে গেছে। তসলিমার সময়ে মানুষ এই সব বিদেশী আশ্রয়ের ব্যাপারগুলি সম্পর্কে জানতো না। তসলিমাও প্রথমে লিখেছিল নাম কামানোর জন্য পরে ইসলাম বিদ্বেষী লেখার কারণে সে বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগ পায়।
এই লেখিকার বইয়ের টাইটেল এই রকম কুৎসিত হওয়ার কারণ হোল বইয়ের কাটতি বাড়ানো। কারণ বইয়ে আসলে যৌনতা নিয়ে তেমন কিছু নাই। বরং তার বইয়ে দেশের রাজনীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আরও কিছু দৈনন্দিন আলোচিত সামাজিক বিষয় আছে। এগুলি বাদ দিয়ে এই ধরনের নাম করনের উদ্দেশ্য হোল বইয়ের কাটতি। এই লেখিকা হয়তো ভবিষ্যতেও অনলাইনে একটিভ থাকার চেষ্টা করবে কিংবা আরও বই ছাপাবে। কিন্তু সে শুরুতে ভুল করে ফেলেছে। বুদ্ধি সুদ্ধি একটু কম আছে মনে হয় মাথায়।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: এর প্রতি মন্তব্যে আমি পরে ফিরছি।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: এই মেয়েটার স্বভাব হচ্ছে হিট সিকার। তার এই বইটাকে একটা ভ্রমণ কাহিনী ছাড়া অন্য কোন কিছু বলে আমার মনে হয়নি। নামকরণটা যদি ঠিক মতো করতো তবে বই কয় কপি বিক্রি হতো সেটা সহজেই অনুমেয়। লেখিকা দেশের বাইরে থাকায় প্রচার করা নিয়ে যেটুকু সমস্যায় ভুগছেন, তা এই নোংরা নামকরণ দিয়ে খুব সহজে কাটিয়ে ফেলেছেন।
মাঝে মাঝে আমার সন্দেহ হয়, এই বইয়ের কাটতি বাড়ানোর জন্য এই নোংরা পদ্ধতিতে যেটা নামকরণে ব্যবহার করা হয়েছে, তার সাথে লেখিকা সহ প্রকাশকও হয়তো জড়িত থাকতে পারে। কারণ দিন শেষে সবচেয়ে বেশি লাভ করবে প্রকাশক।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, তসলিমা নাসরিন একজন সরকারি হাসপাতাল থেকে পাস করা ডাক্তার সে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল। আর এই মেয়ের কাহিনী অত্যন্ত ভয়াবহ। নিজের জীবন নিয়ে ভয়ঙ্কর ভয়ংকর মিথ্যাচার করেছে বিভিন্ন জায়গায়। ব্লগে লেখা প্রকাশের আগে আমি আরেকটা সাহিত্য গ্রুপে এই পোস্ট করার পরে একজন আমাকে একটা তথ্য দিয়েছিল যেটা আপনার জন্য নিচে তুলে দিলাম-
#উনি নাকি শাহবাগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৩ সালে। উনার এখন বয়স ২৬। হিসেব করলে বলা যায় ২০১৩ তে উনি একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী। উনার ফেসবুক তথ্য অনুযায়ী একাদশ দ্বাদশ পড়েছেন রাজশাহীর একটি ডিগ্রি কলেজ থেকে। সেই সময়ে এক কিশোরী শাহবাগ আন্দোলনে যোগ দিতে রাজশাহী থেকে ঢাকা এসেছেন এটা কেমন যেন অবিশ্বাস্য ঠেকলো। এটা ছাড়া পুরো বইয়ের একটা লাইনও উনার একান্তই মৌলিক বা নতুন কিছু ঠেকলো না। সবকিছুই যেনো ফেসবুক থেকে তুলে নিয়ে বইয়ে ছাপিয়েছেন। এমন কোনো আন্দোলোনে উনার সক্রিয় কোনো ভূমিকা ছিলো বলে মনে হয়নি। বা সরজমিনে থেকে উনি কিছু করেছেন এমন কোনো প্রমাণই পাওয়া যায়নি।#
তবে এই লেখিকা আবার বই লিখলে পাঠকরা যে সহজেই আকৃষ্ট হবে এটা সহজে অনুমেয়। সে এই বইটা লিখেছে কিছু টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য, কারো কারো মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার জন্য, এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কারো গোপন তথ্য ছাপার কাগজে তুলে দেওয়ার জন্য।
কারো একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য ছাপার কাকে যে তুলে দেওয়া অবশ্যই একটা অপরাধ, সেটা কোনোভাবেই ভুলে যাওয়া চলবে না। তাছাড়া যে পুরুষদের বিরুদ্ধে সে অভিযোগ এনেছে তাদের সাথে তো সে নিজেও তো দায়ী। স্বেচ্ছায় সে নিজে তাদের কাছে গিয়েছিল ক্যারিয়ার করার জন্য।
তবে একদিক থেকে ভালো হয়েছে সমাজে কিছু দুষ্ট ও নোংরা চরিত্র মানুষরা এখন কিছুটা হলেও সাবধান হয়ে যাবে এ সমস্ত আজেবাজে চরিত্র মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে।
লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: অল্প বয়সে কিছুটা নামডাক মানুষকে কখনো কখনো শুধু আত্মবিশ্বাসী করে তোলে না অনেক সময় বিপদগামীও করে তোলে।
বইটা আমি পড়েছি পিডিএফ ভার্সন। বইয়ের নামটা যতটা বাজারি হয়েছে লেখাগুলো ততখানি বাজার দখল করতে পারবে না। উনার কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখেছি।
তবে ভবিষ্যতে উনার সাথে সম্পর্ক করতে হিসেব করে করবেন। কারণ কখন কোন গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয় সেটা বলা মুশকিল।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: এর প্রতি মন্তব্যে আমি পরে ফিরছি।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: যথেষ্ট ভালো মন্তব্য করেছেন। যতটা হাইপ এই বই সম্পর্কে রটেছে বইটা তার কিছুই না। বইটা পড়ার কোন ইচ্ছে ছিল না কিন্তু কিছু কিছু লেখক লেখিকা বইটাকে সোজা আসমানে তুলে ফেলেছিল প্রশংসা করতে করতে।
এই বইটা পড়ার পর প্রথম বুঝলাম পেইড মার্কেটিং জিনিসটা আসলে কতটা কাজের জিনিস।
চরম মাত্রায় ফালতু একটা বই কেউ এরা সুপারহিট বানিয়ে দিতে পারে।
এর ফেসবুকের পেজে গিয়ে দেখেছি। এর সাথে সম্ভবত পরিচিত সবাই সম্পর্ক ছেদ করবে ভয়ে কিংবা আতঙ্কে। এই বইতে যাদের নাম সে ফাস করেছে তাদেরকে আগে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করলেও খুব একটা অবাক হবো না আমি।
আপনার নতুন ব্যবসা কেমন চলছে?
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩২
প্রামানিক বলেছেন: কি মন্তব্য করবো বুঝে উঠতে পারছি না
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: এই রিভিউ পড়ে যতটা না বিব্রত হয়েছেন তারচেয়ে বেশি বিব্রত হতেন পড়তে থাকলে।
আপনার শরীর এখন কেমন? দেশে ফিরে এসেছেন তাহলে।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৮
শায়মা বলেছেন: জানিনা এই লেখা ভালো কি খারাপ তবে আমি এবারে বইমেলা যেতে পারিনি, কিছুই কিনতে পারিনি, পড়তেও পারিনি।
নিজেও চিলেকোঠার প্রেম প্রকাশ করবো ভেবেছিলাম সেটাও পারিনি।
এতই ঝামেলা নেমে এসেছে জীবনে......
বিশাল বড় চেঞ্জিং এ আছি।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন ধরে খুব নিরব দেখছিলাম। আশা করছি আপনি এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
বইয়ের ব্যাপারে কোনো সাহায্য লাগলে জানাবেন। যতটুকু পারি চেষ্টা করবো।
মাহে রামাদানের শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আপনার আলোচনা পড়ে মনে হল তসলিমা নাসরিনের উপন্যাস, 'ক' এর মত লেখা। হাতের কাছে পেলে পড়ে দেখবো।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: তসলিমা নাসরিন বই লিখতেন একটা বিশেষ প্লটের ওপর নির্ভর করে। সেখানে একটা কাহিনী থাকতো। কিন্তু এই মেয়ের বেলায় ঘটনাটা ঘটেছে ভিন্ন। সে একটা উদ্দেশ্য বা প্লান নিয়ে এই বইটা লিখেছে। যাকে যাকে ফাঁসানোর কথা তাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে আর যাদের তথ্য গোপন করার কথা তাদেরকে গোপন রেখেছে। আমার কাছে পুরো মাত্রায় একজন ধান্দাবাজ ও টাউট টাইপের মেয়ে মনে হয়েছিল লেখিকাকে। এর বইতে দেওয়া লেখাগুলো আমার কাছে ঠিক বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি, মনে হয়েছে কাহিনীগুলো কিছুটা টুইস্ট করা হয়েছে
আপনার পড়ার ইচ্ছা থাকলে আমাকে জানাবেন আলাদা করে।
৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,
পশ্চিমবঙ্গে থাকার জন্য হারে হারে টের পেয়েছি মুসলিম কতো খারাপ কতোটা ঘৃণ্য।সেটার তসলিমার তসলিমা হয়ে ওঠার কাহিনী নিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওনার লেখার বাছাই করা সামান্য ঘটনা উল্লেখ করে সেই ৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে মেডফোর্ড হসপিটালে কর্মরত অবস্থায় অগনিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষতবিক্ষত শরীর লাশের নিদারুণ ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হয়েছিল ও চিকিৎসা পরিসেবা দান করতে হয়েছিল মর্মাহত লেখিকা তাকে উপজীব্য করে লিখে ফেললেন উপন্যাস 'লজ্জা',।আর এইসব প্রসঙ্গ আমার হিন্দু সহপাঠীদের আলোচনায় যখন উঠে আসতো তখন একজন মুসলিম হিসেবে মুসলিমদের কৃত কর্মের জন্য মাথা নিচু করে কাটিয়েছি।ডিফেন্স করতে শিখেছি অনেক পরে।পরে আসছি..
ঘটনা হলো এই লজ্জায় উল্লেখিত হিন্দু নিগ্রহের সংখ্যা সেটা উনি কোথায় পেলেন সেই প্রশ্নের উত্তর কলকাতার আনন্দবাজার গোষ্ঠী না করে সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হিন্দুদের নিদারুণ যাতনাময় ইতিহাসের কাহিনী তুলে ধরতে বলা ভালো পাঠকের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেতে ও গোষ্ঠীর পত্রিকার ব্যাপক আর্থিক সুবিধা পেতে তসলিমাকে মাথায় তুলে নাচতে শুরু করে। এর ফলে মানুষের মধ্যে হিন্দু হিন্দু মুসলিম মুসলিম সম্পর্ক ব্যাপক ভাবে বাড়তে থাকে। আনন্দবাজার গোষ্ঠীর যত পুরষ্কার আছে সব তসলিমা পেয়ে যায়। নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুযোগ থাকলে বোধহয় আনন্দবাজার গোষ্ঠীর তখন তসলিমকে দিয়ে দিত। উল্লেখ্য ৯২ সালে ভাজপার জনপ্রিয়তা ছিল না। বিভিন্ন স্থানে গুটিকয়েক লোকের মুখে মুখে তখন শ্যামাপ্রসাদের নাম শোনা যেতো।তো আনন্দবাজার গোষ্ঠীর আর্থিক সুবিধার বাজারকে হাতিয়ার করে তাদের পত্রিকায় প্রচারকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সহ গোটা দেশের মহাসমারোহে দেখানো হলো এক লেখিকার বয়ানে হিন্দু নির্যাতনের নিদারুণ কাহিনী। সময়ের পরিক্রমায় যতো দিন গেছে ভারতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠের কাছে প্রানের ধর্ম হিসাবে হিন্দু সমপ্রদায়ের সংখ্যা গরিষ্ঠের নাগরিক ভাজপাকে দিল্লির মসনদে দেখতে চেয়েছে।আর এখন তো ইতিহাস।এই ভাজপা কীভাবে একজন বিধর্মী লেখিকার লেখাকে অস্ত্র করে প্রচার করে সংগঠন তৈরি করতে পারে তা আমার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দেখেছি। পাড়ার মোড়ে মোড়ে দেখতাম হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো সম্প্রদায়ের মন পেতে তসলিমাকে রেফারেন্স টানতো। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময়েও ফেস করেছি, কয়েকজন কথায় কথায় তসলিমাকে রেফারেন্স টানছে।আর তখনই শুরু করি তললিমাকে জানতে হবে। একে একে শুরু করি তসলিমা পড়া।এর পর থেকে আর আমাকে তসলিমার দেখানো হিন্দু নির্যাতনের জন্য একজন মুসলিম হিসেবে গাল শুনতে হয়নি। লজ্জা, আমার মেয়ে বেলা,ক ,উত্তল হাওয়া সহ নির্বাচিত কলাম আরও অনেক লেখালেখি পড়ে রেডি হয়েছিলাম। আমার এক সহকর্মী একদিন দেখি তসলিমাকে নিয়ে পড়েছেন।ব্যাটা জানতো না আমি ইতিমধ্যে তসলিমাকে নিয়ে রিসার্চ করে ফেলেছি স্রেফ ডিফেন্স করতে। এইবার যায় কোথায়। তসলিমা ভক্ত হয়েছেন অথচ এক লজ্জা ছাড়া ওনার ভাড়ে আর কিছুই নেই। আমি তখন জিজ্ঞেস করি মেডফোর্ডের যে হিসেবে উনি দেখিয়েছেন যাকে আপনারা মানে হিন্দুরা বিংশ শতাব্দীর বাস্তব দলিল বলছেন তার সরকারী বিজ্ঞপ্তি বা অথেনটিকেট কোথায়? শুধুমাত্র সস্তায় নাম কিনে অন্য সম্প্রদায়ের কাছে প্রচার পাওয়ার জন্য লজ্জা লেখা। উনি একজন বিকৃত কাম আসক্তির একজন মানুষ।
ক' তে যতদূর মনে পড়ে ইমদাদুল হক মিলন ও কবি শামসুর হকের সঙ্গে যৌন সুরসুরির প্রসঙ্গ টেনেছেন।ময়ময়সিংহে নৌকা বিহার কালে কবি নাকি ওনার ব্লাউজের স্টিপে হাত দিচ্ছেন আর উনি আবাক হয়ে উপভোগ করছেন বাবা তুল্য মানুষটির গুণের অধিকারী হলেও যৌনতা সুরসুরি দিতে ওনার মতো নারী ভক্তকে ব্যবহার করেন। বাংলাদেশ সরকার এই সব নিষিদ্ধ করলেও কলকাতায় অবশ্য দেদারসে পাওয়া যেতো।
আমার মেয়ে বেলায় পারিবারিক যৌন হয়রানির অভিযোগে করেছেন নিজের মামার বিরুদ্ধে। নিজের বাবাকেও ছাড়েননি।রুগী দেখার কারণে আসলেই নাকি নারী সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটায় অথচ অন্য দিকে মা সারাক্ষণ নামাজেই পাটিতেই কাটিয়ে দেয়।
শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবে অংশ নেন। ওখানে ওনার রুম মেট ছিল রুমা গুহাঠাকতা।মাঝ রাতে ওনার খসখস শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বুঝতে পারেন চারটি পায়ের ঘষাঘষি চলছে। উনি অবশ্য গুড গার্ল হয়ে পাশ ফিরে শুয়ে থাকেন। একসময় আস্তে আস্তে দরজা খোলা ও বন্ধ হবা সবই বুঝতে পারেন কিন্তু রুমার কাছে ধরা দেননি। সেদিন রুমার বেড পার্টনার ছিল ওনার কথায় কবি হাসমত জালাল। তসলিমার এই লেখার কারণে হাসমত কলকাতা হাইকোর্ট মানহানীর মামলা করে। যদিও আজ পর্যন্ত সেই মামলার রায় আমাদের সামনে আসেনি।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একসময় অসম্ভব তসলিমা বন্দনার মেতে ছিল। আমার মনে পড়ে উনি ওপারে এমদাদুল হক মিলন কবি শামসুর হক সহ যে সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের সান্নিধ্য লাভ করেছেন সেটাকে পরে লেখনীতে তুলে ধরেছেন। আমার নিজস্ব উপলব্ধি কবি সাহিত্যিকদের কাছে অগণিত নারী ভক্ত আসে। তাদের কারো কারো এমন অভিজ্ঞতা হয় নিশ্চয়ই কিন্তু তারা তখন প্রতিবাদ না করে পুলিশের কাছে না গিয়ে পরে রগরগিয়ে গল্প লেখেন।যেহেতু এক্ষেত্রে কবি সাহিত্যিকদের সমাজে একটা গ
গ্রহণযোগ্যতা আছে সেটাকে মূলধন করে তারা নেগেটিভ লেখনি ধারণ করে প্যারালাল একটা বাজার তৈরির চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে তসলিমা যেমন সফল হয়েছে তার দেখানো জুতোয় পা গলিয়ে প্রীতি হেঁটেছে। কিন্তু ভাবটা এমন যেন ওনার জুতোটা ইউনিক।অন্তরে গুরু মা তসলিমার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ রয়ে গেছে।সেটাকে উল্লেখ করতেই তসলিমার বিরুদ্ধাচরণ।
আমি ফেসবুকে ডাবির আর্ট স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রীতির লেখার নিষিদ্ধকরণের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি নির্মাণ করে মুখে সেলটেপ লাগানো প্রভৃতি দেখেছি।
বারে বারে মনে হয়
১- সস্তায় বাজার পেতে মুসলিম হয়ে ইসলামের তুলোধুনা করা,
২-নারী হয়ে নারী শরীরের রগরগিয়ে গল্প লেখা যেখানে সমাজের সুশীল সমাজের এক বা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক করে মুখরোচক আলোচনা করা,
৩বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ নাগরিক হয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কাহিনী লিখলে ভারতের এক মিডিয়া দুই ভাজপার আশ্রয়ে বাকি জীবন বুদ্ধিজীবীর তকমা নিয়ে আরামসে কাটিয়ে দেওয়া সুবর্ণ সুযোগ।
কাজেই প্রীতির লেখায় সাহিত্যকর্ম না থাকলেও বটতলার চতুল রস যে আছে তার জন্য নিন্দনীয় হলেও পাঠকের আলমারিতে জায়গায় করে নিচ্ছে।
আপনার রিভিউ ভালো হয়েছে।++
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: অনেক বড় মন্তব্য লিখেছেন পুরোটাই পড়লাম ধীরে ধীরে।
আপনি চাচা বলেছেন আমি লেখা শুরুতেই সে পয়েন্টগুলো প্রথমে সংক্ষেপে দিয়েছি। আমার কাছে এ লেখিকাকে একজন ধান্দাবাজ জটিল মিথ্যাবাদী এবং সুযোগসন্ধানী মনে হয়েছে। সেই ইচ্ছাকৃতভাবে সবার কাছ থেকে সিমপেথি আদায় করার চেষ্টা করেছে। এই বইয়ের নামকরণে যোনি শব্দ টা আসা প্রশ্নেই উঠে না অথচ সে জোর করে এই শব্দটা ঢুকিয়েছে শুধু বইয়ের কার্ডটি বাড়ানোর জন্য।
ধর্মকে রাজনীতিক দলগুলো ব্যবহার করে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য। দলীয় স্বার্থের জন্য যা সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মানুষরূপী কসাই মোদিকে যারা সমর্থন করতে পারে তাদের মধ্যে মানবিকতা কতটুকু থাকে সেটা আসলে প্রশ্নবিদ্ধ একটা বিষয়। আমি একে সবসময় গুজরাটে কসাই ছাড়া অন্য কিছু বলি না।
তসলিমা নাসরিন আর তিতির মধ্যে একটা বেসিক পার্থক্য আছে তসলিমা নাসরিন একজন পাস করা শিক্ষিত ডাক্তার। আর এই মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি এমনি নিজেই জানে। ইট দেয়া কোন তথ্যই আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না।
শুভকামনা ধন্যবাদ নিরন্তর আপনার জন্য।
মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৬
রানার ব্লগ বলেছেন: ইহা ব্যাক্তিগত ডায়েরী ছাড়া কিছুই না।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: আমি আপনার কথা মেনে নিতাম যদি লেখিকা তার বইতে লেখার ব্যাপারে সততা অবলম্বন করতেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে প্রীতি নিজের বইয়ের ভিতরে চরম রকম ধান্দাবাজি ও হিপোক্রেসি করেছে। যাদের সাথে ওর গন্ডগোল তাদের নামে নোংরা কাহিনী নাম ও পরিচয় ছাপিয়ে দিয়েছে। আবার যাদের সাথে ওর ভালো সম্পর্ক তাদের নাম ও পরিচয় কোনভাবেই প্রকাশ করেনি।
এই ধরনের দ্বিচারিতা নিয়ে আত্মজীবনী লেখা হয় না। এটা আমার কাছে ভন্ডামিপূর্ণ একটা লেখা ছাড়া অন্য কোন কিছুই মনে হয়নি।
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।
১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার লেখাটা আগেই সামুর ফেসবুক পেজে পড়েছি ভালো লিখেছেন।
তবে পদাতিক ভাইকে ধন্যবাদ অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে চমৎকার কিছু তথ্য দিয়েছেন বলে।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: জি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পদাতিকদা অনেক বিস্তৃতভাবে কলকাতার সাহিত্য জগত সম্পর্কে কিছু তথ্য আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন।
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৬
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এই মেয়ে এরপর যত ভালো বইই লিখুক, তার পাঠকরা তার বইয়ের ভেতর তিন-চার পাতার রগরগে কাহিনীই শুধু খুঁজবে বলে ধারণা করা যায়।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: তার পরবর্তী বই সম্পর্কে দুটো ঘটনা ঘটতে পারে-
১) সে একই স্টাইলে এই ধরনের নোংরামিপূর্ণ লেখা আরো বই ছাপাতে পারে। কারণ এই বইটাতে যে সে সাফল্য পেয়েছে সেটাকে সে ধরে রাখতে চাইতে পারে।
২) সে এই নোংরা ইমেজ থেকে বের হয়ে ভালো বই প্রকাশের চিন্তাভাবনা করতে পারে ও একটা বই প্রকাশ করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে পাঠকরা যেহেতু তাকে অলরেডি টাইপিক্যাল একজন চটি লেখিকা হিসেবে মার্ক করেছে, তার বইয়ের মধ্যে এই ধরনের ছুটি না পেলে তার বইকে পচিয়ে ছেড়ে দেবে।
আপনার মনে হয় কোন ঘটনাটা ঘটতে পারে?
১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:১৭
সোহানী বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছিলাম কিন্তু সময়ের অভাবে কমেন্ট করা হয়নি।
ধন্যবাদ, চমৎকারভাবে বই এবং লেখিকার বিশ্লেষন করার জন্য। যা ভেবেছি সবই বলেছেন। আর বাকিটুকু পদাতিক ভাই বলেছেন।
আপনার মতো আমিও বলি, তসলিমার যথেস্ট শিক্ষা রুচি লেখার মান ছিল। তারপরও হয়তো সস্তা নাম কামানোর জন্য কিংবা ফরমায়েসী লিখা "লজ্জা" লিখে। যা পুরোপুরি বানোয়াট। দাদাদেরকে খুশি করতে এমন লিখা তা প্রমানিত হয়। তারপর দাদারা একসময় মাথায় তুলে নাচলেও এক সময় যখন মাথা থেকে নামায় অমনিই তসলিমা রেগে "ক" লিখে প্রতিশোধ নেয়।
আর এ মেয়েরতো সামান্য শিক্ষাই নেই। একটা মফস্বলের মেয়ে কলেজের গন্ডী পেরিয়েছে, কি জ্ঞান আছে এর মাথায়? ক্লাস টুতে কি পুরস্কার পেয়েছে সেটাই সে গর্ব করে বলে.............হাহাহাহা
এ জ্ঞান নিয়ে বিছানার গল্প ছাড়া আর কিই বা লিখতে পারে!!!!
আমি তাকে পুরোপুরি গার্বেজ বলবো।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: এই মেয়ে যেই লেভেল থেকে উঠে এসেছে, তাতে এত দ্রুত উপরে আসা সম্ভব না যদি না সে পিছনের কোন ব্যাকডোর ধরে না আগায়। অল্প বয়সে পেকে গিয়েছে মেয়েটা। বইয়ের কাটতি বাড়ানোর জন্য যে পন্থা নিয়েছে সেটা অত্যন্ত নোংরা পন্থা।
এ সাংগোপাঙ্গ সমর্থকরা প্রচার করে এ নাকি এই পুরস্কার পেয়েছে, সেই পুরস্কার পেয়েছে, আসল সবগুলি ভুয়া। কিভাবে পুরস্কার পেয়েছে সেটা সহজে অনুমান করা যাচ্ছে।
আমার ক্ষীণ ধারণা এই মেয়ে তার এই বাউন্ডারির ভেতর থেকে আর বের হয়ে আসতে পারবে না। সে যদি ভালো বই লেখে তাহলে পুরোপুরি ফ্লপ করবে।
১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭
নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: ফেসবুকে আগেই পড়েছিলাম। বেশ ভালো লিখেছেন। এই লেখিকা শর্টকাটে হিট হতে চেয়েছিলেন। এবং তিনি সফল হয়েছেন।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: বইয়ের মান যাই হোক না কেন বাণিজ্যিক দিক থেকে এই লেখিকার অবশ্যই সফল হয়েছে। এই বইয়ে প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট মার্কেটিং টিম সফল হয়েছে।
১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যতটুকু জেনেছে বইটি পড়ার ইচ্ছে নেই। ধন্যবাদ।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার রুচি সাথে এই বইয়ের না মেলাটাই স্বাভাবিক। অশ্লীলতা বেশি না পড়লে ভালো হবে আপনার।
১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর একটা সুন্দর লেখা লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১২
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই, বইটা পারলে পড়ে দেইখেন। অত্যন্ত বুদ্ধিমতি একটা মেয়ে খুব ঠান্ডা মাথায় বইটা নিজের পছন্দমত করে সাজিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি বইটা পড়িনি তবে টুকরো টুকরো পড়ে মনে হয়েছে লেখনী যথেষ্ট ভালো। আপনিও লেখনী ভালো ব্যাপারটা উল্লেখ করেছেন।
রিভিউ ভালো লেগেছে।