নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদে সালাত আল-জুমুআহ পড়তে গিয়ে বিব্রতকর অভিজ্ঞতা

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০১

ব্যক্তিগত কিংবা বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাকে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন মসজিদে সালাত আল-জুমুআহ বা জুমুআহর নামাজ পড়তে হয়েছে। সেটা ঢাকা হোক বা ঢাকার বাইরে। এইসব মসজিদের জুমুআহর নামাজ পড়তে গেলেই কিছু বিষয় নিয়ে আমার প্রচণ্ড অস্বস্তি হয়। জানি না আপনাদের হয় না কি?
.
আপনার হয়তো কেউ কেউ খেয়াল করেছেন, কিছু কিছু মসজিদে জুমুআহর নামাজের সময় আসল কাজ রেখে বিভিন্ন দুনিয়াবী কাজকর্ম নিয়েই অতিরিক্ত ব্যস্ততা দেখা যায়।
.
এরমধ্যে সবচেয়ে অস্বস্তি লাগে যখন দেখা যায় মসজিদে টাকা তোলা নিয়ে, দান খয়রাত নিয়ে মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে মসজিদ কমিটির তৎপরতা কোনো শেষ নেই। কে কত টাকা দিয়েছে, কে কত টাকা আরো দিবে, আর কত টাকা কোন কাজে লাগবে, মসজিদের উন্নয়নের জন্য আর কী কী কাজ বাকি আছে, কয়টা এসি লাগাতে হবে, ফ্লোর কোন সাইজের টাইলস দিয়ে ঢেকে দিতে হবে সেই হিসেবের ফিরিস্তি মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের বসে বসে মাইকে উচ্চস্বরে শুনতে হয়।
.
অথচ জুমুআহর নামাজকে ইসলামে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।‌ এইদিন ভাবগম্ভীর ধর্মীয় পরিবেশে মসজিদে আসতে বলা হয়েছে এবং মসজিদের ইমাম যিনি খুতবা দিবেন তাকে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে। মানুষের ভুল ত্রুটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য ইসলামিক দিক নির্দেশনা সহ ভাষন দিতে বলা হয়েছে। সমসাময়িক বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা ও আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
.
অথচ এইসব মসজিদে মসজিদে ধর্মীয় আলোচনার বিষয়গুলোর সময় কমিয়ে দিয়ে টাকা পয়সার বিষয়টাই মুখ্যভাবে মাইকে বলা হয়ে থাকে।
.
মসজিদে মানুষ সাহায্যের জন্য অবশ্যই টাকা পয়সা দিবে। তবে ইসলামে দান খয়রাতের, যাকাত কিংবা সাদাকার বিষয়টাকে গোপনে দিতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে এসব কাজ মানুষ এমনভাবে করবে যেন, তার ডানহাতে টাকা দিলে বামহাত যেন না জানতে পারে। অথচ এইসব মসজিদে মাইকে এমনভাবে যারা টাকা দেয় তাদের নাম বাবার নাম বাসার ঠিকানা সহ প্রচার করা হয় যেন, এই নাম সবার সামনে পড়ে শোনানোর জন্যই টাকাপয়সা দেয়া হয়েছে। এমনকি টাকার পরিমাণ বেড়ে গেলে হুজুরদের তার জন্য দোয়ার সংখ্যা, বরাদ্দকৃত সময় ও কন্ঠের ভলিউম বেড়ে যায়।
.
দানের পরিমাণ বেড়ে গেলে যেভাবে হুজুররা উচ্চ গলায় তাদের প্রশংসা করতে থাকে সেটা বড়ই দৃষ্টিকটু। আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কথা চিন্তা করলে খুব কম মানুষের পক্ষেই, মসজিদে বিশাল বিশাল কোনো ডোনেশন দেওয়া সম্ভব। যারা এসব বিশাল অংকের টাকা মসজিদে দিচ্ছে তারা কোথা থেকে টাকা জোগাড় করে নিয়ে আসছে সেটা অবশ্যই ভেবে দেখার বিষয়। হালাল পথে আসছে না, হারাম পথে আসছে? যদি হারাম পথে উপার্জিত এই অর্থ এসে থাকে, তাহলে হুজুররা যেভাবে গলা ফাটিয়ে তাদের জন্য দোয়া করছে, সেটা কোন যুক্তিতে গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
.
বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় সারাজীবন আকাম কুকাম করে, দুর্নীতি করে, ঘুষ খেয়ে, জনগণের টাকা লোপাট করে, শেষ বয়সে এসে এইসব হারাম টাকা দিয়ে একবার হজ করে বিশাল মুসল্লি সেজে যান, নামের আগে হাজী ট্যাগ লাগান। তারপর সে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ থেকে মসজিদে বড় বড় ডোনেশন দিয়ে এরা মসজিদ কমিটির মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক, চেয়ারম্যান, সভাপতি হয়ে যান। আদতে এদের চরিত্র আসলে কোন পর্যায় সেটা কিছুদিন আগে এক মসজিদ কমিটির সভাপতিকে একজন মুয়াজ্জিনকে নামাজ শেষে মসজিদের লাইট নিভাতে মাত্র এক না দুই মিনিট দেরি হয়েছে দেখে বেধড়ক চড় থাপ্পড় কিল ঘুসি মারতে দেখেই বুঝা গেছে।‌ আমি যতটুক শুনেছি বেশিরভাগ মসজিদেই ইমাম মুয়াজ্জিন বা এই সমস্ত লোকজনদেরকে মসজিদ কমিটির লোকজন যথেষ্ট দুর্ব্যবহার করে। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথাবার্তা বলে। জোর করে বিভিন্ন অন্যায় অনৈতিক কাজ করায়। মসজিদে তোলা বিভিন্ন টাকাপয়সা মেরে দেওয়ার কাহিনী তো আছেই‌। আর এসব দুর্নীতি পরায়ন লোকদের জন্য মসজিদের ইমাম আর হুজুরদের নিতান্তই বাধ্য হয়ে দোয়া করার পদ্ধতি দেখলে সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রেসার তো আছেই।
.
সৎভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে চলা কোনো ব্যক্তি চোখের সামনে যখন দেখতে পায়, চরম দুর্নীতি পরায়ণ ঘুষখোর একটা ব্যক্তির নামে মসজিদের খতিব বা ইমাম উচ্চস্বরে মাইকে প্রশংসা করছে, তখন তার কি অনুভূতি হতে পারে সেটা একবার কি ভেবে দেখেছেন কেউ? এটা কি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার একটা পদ্ধতি না? মানুষকে দুর্নীতিতে উৎসাহিত করার একটা পন্থা না?
.
আর আজকাল মসজিদের উন্নয়নের নামে যেভাবে টাকা-পয়সা তোলা হয় সেটা প্রচন্ড দৃষ্টিকটু। মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে গেলে মসজিদ একতলা থেকে দোতলা হতে পারে কিংবা তিনতলা চারতালা। কিন্তু মসজিদের ভিতরে এসি লাগাতে হবে, ফ্লোরে চকচকে টাইলস লাগাতে হবে।‌ দামী জিনিস দিয়ে মসজিদে ভিতর ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করতে হবে, এইসব নতুন নতুন থিওরি কারা আবিষ্কার করছে? কেন আবিষ্কার করেছে?
.
যে মসজিদে নববীতে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজ পড়তেন সেটা ছিল খেজুর গাছের ডাল ও পাতা দিয়ে তৈরি করা। রোম সাম্রাজ্যের সম্রাটের কাছ থেকে এক প্রতিনিধি আসলো মুসলিমদের খলিফার কাছে একটা পত্র দেওয়ার জন্য। মদিনায় এসে যখন মানুষজনকে জিজ্ঞেস করছে খলিফা কোথায়? তখন সবাই মসজিদে নববীতে মেঝেতে শুয়ে ঘুমিয়ে থাকা হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে দেখিয়ে দিলেন। সেই পত্রবাহক কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারলেন না যে মুসলমানদের খলিফা এভাবে এত দীনহীনভাবে একটা মসজিদে শুয়ে আছে যে মসজিদটা খেজুর গাছের ডাল পাতা দিয়ে তৈরি করা। যিনি মেঝেতে শুয়ে আছেন এত দিনহীন ভাবে, তার প্রজ্ঞা ও জ্ঞানে অর্ধ পৃথিবী থরথর করে কাঁপতো। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সময় মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে যুদ্ধজয়ের বিভিন্ন অর্থ সামগ্রী আসা শুরু করেছিল। কই উনি তো সেই জাকজমকপূর্ণ মসজিদ বসাননি? বরং আমি যতটুকু জানি মসজিদকে দুনিয়াবী জিনিসপত্র দিয়ে আলোকসজ্জিত করা কিংবা সৌন্দর্যমন্ডিত করার ব্যাপারে ইসলামে বারবার নিষেধ করে দেওয়া আছে।
.
যারা মসজিদে দান করার তারা এমনিতেই দান করবেন।মাইকে ঘোষণা করলেও দিবেন, না করলেও দিবেন। দয়া করে জুমুআহর নামাজের আগে এইসব টাকা-পয়সা বিষয়ক আলোচনা এনে, গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিষয় আলোচনা না করে, এই ধর্মীয় আমেজ নষ্ট করবেন না। নিজেরা টাকা-পয়সার নয়ছয় করতে চান করুন। অন্তত জুমুআহর নামাজ পড়তে যাওয়া মুসুল্লিদের মসজিদকে প্রবেশের পরে ত্যক্ত বিরক্ত করবেন না।

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো!
মাহে রামাদান ও ঈদ উল ফিতর এর শুভেচ্ছা
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, এপ্রিল ২০২৩




মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাংলাদেশে মসজিদ আর মন্দির কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। হয়তো বেশী দিন বাকি নেই এই মসজিদ মন্দির ওয়ালারা বাংলাদেশ থেকে কিয়ামত শুরু করবে। একদল আরেক দলকে কামড়িয়ে গালের মাংস খেয়ে ফেলবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: যেদিন থেকে মসজিদ-মাদ্রাসা এসব বিষয়গুলিতে রাজনৈতিক ও এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন কমিটিতে ঢোকা শুরু করেছে, তারপর থেকেই এসবের চরমতম অধঃপতন শুরু হয়েছে দেশে। টাকা বেশি হলে হুজুরদের গলার সাউন্ড বেড়ে যায়।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

বিটপি বলেছেন: বাংলাদেশের মসজিদের ইমামরা হল বেতনভুক চাকর। তাদেরকে তাদের মনিব যা করতে বলে, তারা তাই করে। মনিবে বলে ফ্যান লাগানো দরকার - ৫০ হাজার উঠান। তারা খয়রাত করা শুরু করে। মনিব বলে এসি না লাগাইলে মসজিদের জাত থাকেনা। টাকা উঠান। তারা টাকার বিনিময়ে জান্নাতে জমি বিক্রি শুরু করে। মনিব বলে তিনতলায় টাইলস লাগানো বাকি আছে - তারা হুরের মাহরানা আদায় করে। এটাই তাদের কাজ।

ইমাম যদি সত্যিকারের নেতা হত, তাহলে নামাজের আগে মিহরাবে দাঁড়িয়ে বলত - আমাদের এই উন্নয়ন কাজের জন্য এত টাকা লাগবে। এই টাকা কিভাবে যোগাড় হবে, তা আলোচনার জন্য সবাইকে নামাজের পরে বসতে অনুরোধ করা হচ্ছে। ছ্যাচড়ার মত নামাজের টাইম পিছিয়ে দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে দান খয়রাতের ফজিলত আলোচনা করে সময় নষ্ট করত না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আজকাল মসজিদে মাদ্রাসাগুলিতে হুজুরাও ঢুকে ব্যাকডোর দিয়ে। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে।
তাছাড়াও কমিটির লোকজনের হুমকিধামকি তো আছেই।‌ মসজিদ কমিটিতে সবসময় দেখবেন এলাকার আলতু ফালতু লোকজন জাগা দখল করে রাখে যারা মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট ইমাম-মুয়াজ্জিন এদেরকে কোনভাবেই উপযুক্ত সম্মান দিতে চায় না। ‌ এ কারণে চাকরি হারার ভয়ে খুতবাতেও হুজুররা সহজে কিছু বলতে সাহস পান না। ‌ খুতবার ভেতরে রাজনৈতিক কোন বক্তৃতা না দেওয়ার ব্যাপারে সম্ভবত সরকারি একটা নিষেধাজ্ঞা আছে।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
কিয়ামতের আগে সব জায়গাতেই মূর্খদের আস্ফালন চলবে। মসজিদের সংখ্যা বাড়বে। সুন্দর সুন্দর ইমারত বিশিষ্ট্য মজিদ হবে। কিন্তু মুসুল্লি হবেনা। মসজিদগুলোতে খেলাধূলা চলবে। নিশ্চই আল্লাহ্ ওয়াদা পূর্ণ করবেনই।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম। এগুলো কিয়ামতের আলামত হবে। মানুষের মাঝে এখন ভণ্ডামি আর কপাটতা বেড়ে গেছে।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আগে ভাবতাম,শুধুমাত্র শহরেরই এহেন কাজগুলো হয়ে থাকে--কিন্তু এখন গ্রামের মসজিদেও এর শাখা প্রাশাখা বিস্তার লাভ করেছে। এখন মসজিদকে চাকচিক্য করার জন্য কমপিটিশন শুরু করে দেয়। মসজিদে আরো একটি ইনডিসেন্ট কাজ এখন পরিলক্ষিত হয়-তা হলো চেয়ারে বসে বহাল তবিয়তে নামাজ আদায় করা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২০

নীল আকাশ বলেছেন: ধান্দাবাজি করে টাকা-পয়সা করার বুদ্ধি সহজে চেয়ে পায় সে শিখে ফেলে। ‌ তবে সব ক্ষেত্রে হুজুরদের দায়ী করা ঠিক না অনেক সময় হুজুরদেরকে বাধ্য করা হয় এভাবে নির্লজ্জভাবে টাকা পয়সা চাওয়ার জন্য মুসল্লিদের কাছে। চেয়ারে বসে যে কেউ নামাজ পড়তেই পারে যদি সে শারীরিকভাবে অক্ষম হয় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে। তবে কারো যদি এই অসুবিধা না থাকে কিন্তু তারপরও বসে বসে নামাজ পড়ে তাহলে অবশ্যই তার নামাজ শুদ্ধ হবে না এবং আদায় হবে না।
মাহের রমজানের শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রামের মসজিদ গুলোর করুণ দশা। শহরের মসজিদ গুলোর আয় ইনকাম ভালো। অনেক ভালো।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: মসজিদ গুলোর ইনকাম তার আশেপাশে লোকজনের ইনকামের উপর নির্ভর করে। শহরে লোকজন ইনকাম ভালো। সেজন্য মসজিদে দান খয়রাত ও বেশি হয়।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু মুসলমানের ঈমান-আকীদায় সমস্যা আছে, বলাই বাহুল্য। এদের কারনেই ইসলামোফোব আর কতিপয় ভিন্নধর্মীরা ইতরামী করার সুযোগ পায়। আর এদের উদাহরন দিয়েই ইসলাম ধর্মকে এরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে। অথচ কে না জানে, কিছু ব্যক্তির কর্মকান্ড কোনভাবেই ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করে না।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

হাসান রাজু বলেছেন: জুম্মার স্পেশাল ইমাম হায়ার করা যায়। জানেন? তাদের কাজ হল খুবই আবেগঘন ও বানোয়াট গল্প বানিয়ে বলা। পারলে বেহেশতের টিকেট একটা ধড়িয়ে দেয়া।
বড় কোন মসজিদেরই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শেষ হয় না। বছরের পর বছর চলতে থাকে। কমিটির মানুষগুলো দেখবেন একেকটা সমাজের দানব।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসৎ ও হারাম ইংকামের প্রশ্রয়ে বকধার্মিক, ধর্মান্ধ মৌলবাদিদের দৌ্রাত্ব বেড়েছে ভয়ঙ্করভাবে । একটি চরম দুর্নীতিপরায়ন সরকারের ছায়াতলে ধর্ম এখন ব্যবহ্রত হচ্ছে সকল অপরাধের রক্ষাকবচ হিসেবে।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২২

অধীতি বলেছেন: সারাজীবন আকাম-কুকাম করে শেষ বয়সে হজ্ব করে এসে এলাকার মানুষদের একদিন গরু খাইয়ে দিবেন আর মাদ্রাসায় মসজিদে কিছু দান করবেন।ব্যাস দুনিয়াতেই জান্নাতের টিকেট পাইয়া যাইবেন।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১২

তানভির জুমার বলেছেন: বাংলাদেশের প্রায় সকল মসজিদের বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে মুয়াজ্জিন- ইমাম- খতীবের বেতন-ভাতা সহ, মোট কথা মসজিদের সকল মেইনটেন্যান্স করতে হয় এলাকার মানুষের অনুদানের টাকা দিয়ে। মানুষের সমাগম যে সময় বেশী থাকে ঐ সময়ই মূলত অনুদানের টাকা চাওয়া হয়।

সবচেয়ে খারাপ দৃশ্য হচ্ছে। মসজিদ কমিটিতে এলাকার অসৎ আর খারাপ মানুষগুলো স্থান পায়। তবে আশার কথা হচ্ছে মানুষ দিন দিন সচেতন হচ্ছে, অসৎ মানুষ কে কমিটিতে নেওয়ার প্রবনতা কমে যাচ্ছে।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

আহলান বলেছেন: মসজিদ ব্যবস্থাপনা সরকারের হাতে নেয়া উচিৎ। যে কোন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন এর বেতন ও ভাতা সরকার কর্তৃক নির্ধারণ ও প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিৎ। তাহলে হয়তো এই অতিরঞ্জিত কর্মকান্ড কিছুটা সিস্টেমে আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.