![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
ভারতের কাশ্মীরের সম্প্রতি যে ঘটনাটা ঘটে গিয়েছে এটা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে আসলে ঘটনাটা কি?
ঘটনাটা কিছু না, ভারতের র'য়ের একটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। একটা ঘটনা ঘটলে এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যগুলো যাচাই ও বাছাই করতে হয়।
বিবিসির একটা খবরে দেখতে পেলাম যে তারা দাবি করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জানতো যে এখানে এরকম কোন একটা ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু তারপরও তারা সেখানে নিরাপত্তার জন্য কোন বাহিনী পাঠায়নি।
কেন পাঠাইনি?
কারণ তারা নিজেরাই এটা সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় মিডিয়া গুলো সব জায়গায় প্রচার করেছে যে এখানে শুধুমাত্র হিন্দুদেরকে খুন করা হয়েছে। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা আমি নিজেই ভারতীয় একটা মিডিয়া থেকে সংগৃহীত একটা তথ্য সংযুক্ত করলাম সেখানে দেখা যাচ্ছে অর্ধেকের বেশি মুসলিম।
হঠাৎ করে ভারতের ঘটনা ঘটালো কেন?
কারণ সারা ভারত জুড়ে সম্প্রতি বিজেপি ওয়াকফ আইন বাতিল করে তুলকালাম কান্ড সৃষ্টি করেছে। সমগ্র দেশে এখন মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে ধর্মীয় সংঘাত সহ বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা বিজেপি সরকারের পক্ষে থামানো সম্ভব হচ্ছে না। এর সমাধান হচ্ছে আর একটা নতুন গুজরাটের মতো সমস্যা সৃষ্টি করা। ভারতের মিডিয়া আর কিছু না, এগুলো হচ্ছে বিজেপির এক নাম্বার দালাল।
ভারত কি পাকিস্তানের আক্রমণ করবে?
কখনোই না। ভারতের এত বড় খেমতা নিয়ে যে পাকিস্তানে আক্রমণ করবে। ভারত পাকিস্তানের বর্ডারে ও এর আশেপাশে জায়গায় বিভিন্ন রকমের সিনেমার শুটিং করার মতন আয়োজন করবে।কিন্তু পাকিস্তানের কখনোই সরাসরি আক্রমণ করবে না। কেন করবে না, কারণ ভারতে সেই সাহস নেই। এটাই নির দারুণ বাস্তবতা। কারণ গোমুত্র খোররা জাতিগতভাবে খুবই ভীত প্রকৃতির।
তাহলে এই ঘটনার পরে কি ঘটতে পারে?
সামনে দিনগুলিতে বলিউডে আরও বড় বড় কিছু চরম হাস্যকর সিনেমা তৈরি হবে। আর সেগুলো স্টুপিড ভারতীয়দের গোমূত্র সাথে মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। আর গুজরাটের খুনি মোদির কিছু জনপ্রিয়তার বাড়ানোর অপচেষ্টা করানো হতে পারে।
ভারতে মোদি সরকারের সমর্থন ক্রমশ নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঠিক এরকম কোন একটা ঘটনা ঘটানো দরকার ছিল, যেখানে দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি উল্টোদিকে চলে যায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধরাশয় হওয়া কিংবা ট্রাম্পের বিশাল শুল্ক আরোপ সবকিছু বিজেপি সরকারকে এখন টালমাটাল একটা অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে। চা বানানে ওয়ালা এক লোকের কাছ থেকে এর চেয়ে সহজ বুদ্ধি আর কি বের হতে পারে। যেমন বেকুব, তেমনি তার চিন্তাভাবনা। একে শেখ হাসিনার সাথে বিয়ে দিয়ে গেলেও অন্তত হাসিনার কাছে কিছুটা বুদ্ধি পেত।
আগামী কয়েক দিন ভারতীয় মিডিয়াতে প্রচুর চিল্লাচিল্লি, যুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন বিবৃতি,নিউজ, ভারতীয় সেনাবাহিনী বিভিন্ন প্র্যাকটিস ইত্যাদি অনেক কিছুই দেখতে পারবেন। কিন্তু দিনশেষে নদীতে বাঁধ ছেড়ে দিয়ে পানি দেওয়া ছাড়া পাকিস্তানের কোন বালও এরা ছিড়তে পারবে না।
ভারতের সেনাবাহিনী পারে শুধু বাংলাদেশের বর্ডারে এসে নিরীহ কিছু মানুষকে গুলি করে মারতে। এদের মতন অপদার্থ সেনাবাহিনী সারা পৃথিবীতে আর কোথাও নেই।
০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: বিহারের আসছে নির্বাচনকে টার্গেট করে মোদী এটা তৈরি করেছে। নির্বোধ ভারতীয়দের বোকা বানিয়ে গুজরাটের দাঙ্গার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ভোট বিজেপির দিকে নিয়ে আসার জন্য। এটা সারা পৃথিবীর লোকজন বুঝে ফেলেছে। বাইরে কোথাও কোন সার্পোট পায়নি তাই।
২| ০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭
কথামৃত বলেছেন: ভারত নিজেদের ব্যর্থতা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কৌশলগত স্থিতিশীলতা এবং দায়িত্বশীল সম্পৃক্ততার দাবিতে তোলা বৈধ কণ্ঠস্বরকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এমনকি তাদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশাও করা হয়।
অনুমান করা যেতে পারে যে কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই এখন ভারতের দক্ষিণপন্থী শিবির পাকিস্তানকে ধ্বংসের ডাক দেবে।
৩| ০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভারত নিজেদের মোড়ল ভাবছে কিন্তু আশেপাশের কেউ পাত্তা দিচ্ছেনা তায় উল্টাপাল্টা কাজ করে বেড়াচ্ছে, হাসিনা ছিল দালাল এখন সেটাও নাই
৪| ০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২
যামিনী সুধা বলেছেন:
ভারতের অবস্হা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে অনেক খারাপ? আপনি আন্তর্জাতিক লেভেলের এনালিষ্ট!
৫| ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:২১
রাজীব নুর বলেছেন: যতদিন ধর্মীয় সংগঠন থাকবে, ততদিন এরকম হামলা চলতেই থাকবে।।
০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: বিজেপি হচ্ছে এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী ধর্মীয় সংগঠন। এটা যতদিন থাকবে ততদিন এইসব চলতেই থাকবে।
৬| ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কাশ্মীর মুসলিম প্রধান জনগোষ্ঠীর এলাকা। এটাকে ভারতের দাবী করা অযৌক্তিক বলে আমি মনে করি। ৪৭ সালে এই উপ-মহাদেশ ভাগ হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। সে সময়ে কাশ্মীরের শাসক ছিলো অমুসলিম। তার সিদ্ধান্তে লাখো-কোটি মুসলিম মানুষের চাওয়া-পাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কাশ্মীরের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দেয়া উচিত যে তারা কি স্বাধীন রাষ্ট হবে না অন্য কোন দেশের অংশ হবে। কোন রাষ্ট্র কর্তৃক কাশ্মীরের জবর-দখল অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক হোক সেটা পাকিস্তান বা ভারত।
আপনার জানা উচিত ছিলো যে ভারতের সেনাবাহিনী দেশের বর্ডারে থাকে না। বর্ডারে যাদের দেখেছেন ওরা বি.এস.এফ. এর সদস্য আর এই দুটো বাহিনীর দায়িত্বও ভিন্ন। বিষয়টা বাংলাদেশের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ডের মতোই।
বর্ডারে যারা নিহত হচ্ছেন তাদের অনেকেই নিরীহ হলেও সবাইকে নিরীহ ভাবার অবকাশ নেই। এদের মধ্যে মাদক পাচারকারী, চোরাকারবারী ও অবৈধভাবে অনুপ্রেবশকারীও রয়েছে। বুঝতে পারি গুলি করা কোন সমাধান নয় কিন্তু অর্ধ-শতাব্দীতেও আমরা বাংলাদেশীরা অবৈধভাবে অন্য দেশে অনুপ্রবেশ করা বন্ধ করিনি, এটাও দুঃখজনক। জেনে-শুনে বুঝে অন্য দেশে অনুপ্রবেশ করলে ব্যক্তিগতভাবে আমি গুলি করা ভুল বলে মনে করি না। হোক সেটা বাংলাদেশ কিংবা আমেরিকার সীমান্তে। আমরা সভ্য আচরণ না করলে তেমন আচরণ প্রত্যাশা করাও মুর্খতা।
০৬ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মতামতের সাথে কিছু বিষয়ে আমি একমত। তবে আমার পোস্টের বিষয় ছিল এই ঘটনা কে ঘটিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা নথি লিক হয়েছে। সেখানে দেখা যাছে যে ভারত নিজেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। লিক করার জন্য মোদি নাকি সেই আর্মি চিফকে আটক করেছে যিনি যুদ্ধ না করার জন্য এটা ফাঁস করে দিয়েছিলেন।
৭| ০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: ... তবে আমার পোস্টের বিষয় ছিল এই ঘটনা কে ঘটিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা নথি লিক হয়েছে। সেখানে দেখা যাছে যে ভারত নিজেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। লিক করার জন্য মোদি নাকি সেই আর্মি চিফকে আটক করেছে যিনি যুদ্ধ না করার জন্য এটা ফাঁস করে দিয়েছিলেন।
এই ধরনের তথাকথিত "লিক" দিয়ে আদতে কোন ধারনা বা সত্য প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব, বিশেষ করে আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে। জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতারও একটি বিষয় থেকেই যাচ্ছে। ভারত ও ইসরায়েল দুটোই দুষ্ট রাষ্ট্র। ইসরায়েল এ ধরনের কাজে বেশ পারদর্শী তাই সাগরেদ হিসেবে ভারত্ও যে কমবেশী দীক্ষা নেয় নি সেটাও শতভাগ দৃঢ়তার সাথে বলা যাচ্ছে না। পাকিস্তান কাশ্মীরে দীর্ঘদিন থেকেই এ ধরনের গোষ্ঠীকে মদদ দিয়ে আসছে। সুতরাং তাদেরও যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ ঘটনায় কোন দায় নেই তা আপাতত নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
তবে একটা বিষয়ে আমি সুনিশ্চিত আর সেটা হলো কাশ্মীরিরা ভারতের শাসন ব্যবস্থা তথা ভারতীয় হিন্দুদের কাশ্মীরে স্থায়ী অবস্থানকে ভালোভাবে দেখে না বা তারা সেটা চায়ও না। তদুপরি যারা এ ধরনের বর্বোরোচিত হামলায় নিহত হয়েছেন, তাদের ও তাদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠা শুরু হয়েছে যে, Why was India so quick to blame Pakistan? The Pahalgam attack is, at its core, a grave security failure । তাছাড়া পাকিস্তান বলেও দিয়েছে যে জাতিসংঘের তত্বাবধানে তদন্ত হোক।