নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"যুদ্ধ ছাড়া কোনো জাতিকে ধ্বংস করে দিতে চাও, তবে ঐ জাতির তরুণদের মাঝে অশ্লীলতা বেহায়াপনা ছড়িয়ে দাও।\" সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী (রহ:)

সামিউল ইসলাম বাবু

যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//

সামিউল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাঙ্গামাটি ভ্রমন (১)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:০১

রাঙ্গামাটি ভ্রমন।

২০০৭ সাল। অক্টোবর মাস।একাদশ শ্রেণিতে পড়ি। নানা ভাই অামাকে জানালো রাঙ্গামাটি যেতে হবে অামি তো ভীষণ খুশি। ভমনে যাওয়া হবে। অামার মা অাব্বাকে বলে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গুছিয়ে দিলো।
দুপুরে গিয়ে উঠলাম নানা বাড়ি। অাগে থেকেই অামার প্রস্তুতি ছিলো। তাই বাড়তি তেমন কিছু অার নেওয়া লাগলো না।
সন্ধা ৯ঃ০০ টায় অামাদের বাস, চুয়াডাঙ্গা থেকে। বাসে উঠার অাগে রাতের খাবারের সময় বলেদিলো অল্পোকরে খেতে। বুঝতে পারলাম না কেন অল্পো খেতে বললো। যাহোক ৯ঃ০০ টার অাগেই বাস স্টপে পৌছে গেলাম। শ্যামলি পরিবহনের বাসে যাত্রা শুরু হলো। ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে পৌছালে কিছু রুটি, ফিল্টার করা পানি, ক্লেমন কিনে নিলাম। ফেরিতে এসে হালকা নাস্তা করে নিলাম। চলতে লাগলো বাস। অামার অাবার একটু ঘুম বেশি, গাড়ির ভিতর ছিট ভেঙ্গে ঘুমায়ে নিলাম। মাঝ পথে ফেনীর একটা হোটেলে রাত ৩ঃ০০ টায় হালকা ব্রেক হয়ে গেলো। তার পর অাবার গাড়ি চলতে শুরু করলো।যখন ভোর হলো তখন চট্রগ্রাম জেলায় প্রবোশ করে ফেলেছি। চট্রগ্রাম বাস টার্মিনাল পৌছালো সকাল ৮ঃ৩০ টায়।
চট্রগ্রাম নেমে ফ্রেশহয়ে এবার মূলগন্তব্যে যাত্রা শুরু হলো। উঠলাম রাঙ্গামাটির বাসে। অামাদের পৌছাতে সময় লাগলো ১ ঘন্টা ৩০ মিঃ। সকাল ১০ টায় পৌছালাম রাঙ্গামাটি বসটার্মিনালে। এলাকাটা দেখতে অাসলেই চমৎকার। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান প্রিয়ডের সময়ই অধিকাংশ রাস্তা ও গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থাপনা তৈরী করা। রাস্ত গুলো কোথাও খাড়া উঠে গেছে। পাশেই গভীর খাদ। দেখে মনের ভিতর ভয় করে উঠছে। এক কথাই এক অন্য রকম অনুভুতি।
রাঙ্গামাটি বাসটার্মিনাল থেকে রিজার্ভ বাজারের একটা হোটেলে গিয়ে উঠলাম। একটু ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম। নাস্তায় ছিলো এক নতুত জিনিস অাতব চাউলের ভাত অার মাংশ। অন্যরকম সুঘ্রাণ খাবারের। সাথে ছিলো শুটকি মাছের তরকারি।সেই বাসা থেকে ১৪ঘন্টা শেষে রাঙ্গামাটি রিজার্ভ বাজার এসে পৌছালাম। এখানে একটি বিষয় চোখে পড়লো, বিল্ডিং গুলো অনেক নিচ থেকে উপরে উঠে এসেছে। শহরটা পুরাই পাহাড় কেটে তৈরী করা। নদীতে নামার জন্য শিড়ি তৈরী করা। অার বিভিন্ন ইউনিয়নে যাওয়ার জন্য যোগাযোগের একমাত্র পথ লঞ্চ। রিজার্ভ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে
কাপ্তাই নদী। একটু পাশে দাড়ালেই দেখা যাই বিশাল উচু পাহাড়, যা কালা পাহাড় নামে পরিচিত। পাশেই অাছে বড় একটা মন্দির।সব মিলিয়ে অনেক চমৎকার একটা পরিবেশ। রিজার্ভ বাজার অায়োতনে ছোট হলেও সকল নাগরিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। কারণ এটা একটা পর্যটন এলাকা।
ঘুরত এসে অনেক ভালোলাগলো। এখানকার বাঙ্গালি ও পাহাড়ি সবাই অনেক বন্ধু প্রিতিম।







next

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

টাইম টিউনার বলেছেন: ভাই এত আগের কথা মনে আছে? নাকি লিখা টা আগের। যাই হোক, আর কয়েকটা ফটো দিলে ভাল লাগত। কিছু স্পেশাল জায়গার বর্ণনা একটু বিশদ না হলে হয়? :) ভাল থাকবেন।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০২

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: কিছু কথা মন থেক হারাই না।

মোবাইলে লেখা একটু কষ্টের

পড়ার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.