![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেয়ালে সাজানো থরে থরে টাকা। রঙ-বেরঙের নকশা করা টাকা। আছে পয়সাও। তবে এসব টাকা-পয়সার বেশির ভাগই অচল। অচল হলে কি হবে এগুলোর রয়েছে অ্যানটিক ভেল্যু। প্রাচীন আমল থেকে এই ভূখণ্ডে প্রচলিত প্রায় সব মুদ্রা দিয়ে সাজানো হয়েছে জাদুঘরটি। বলছি বাংলাদেশের একমাত্র টাকা জাদুঘরের কথা। এটির অবস্থান মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেনিং একাডেমির দ্বিতীয় তলায়।
দুটি গ্যালারি দিয়ে সাজানো হয়েছে জাদুঘরটি। প্রথম গ্যালারিতে সাজানো আছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো ছাপা মুদ্রা। এ মুদ্রার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, কতগুলো প্রতীকের ছাপ। সাধারণ রুপা দিয়ে তৈরি এ মুদ্রার প্রচলন শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে। বাংলাদেশের মহাস্থানগড় ও নরসিংদী জেলার উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া গেছে এ ধরনের অনেক মুদ্রা।
টাকার এ জাদুঘরে স্থান পেয়েছে আরও অনেক দুর্লভ মুদ্রা। এখানে আছে গুপ্তযুগের মুদ্রা, গুপ্তযুগ-পরবর্তী বাংলার মুদ্রা, খ্রিষ্টীয় সপ্তম থেকে নবম শতক পর্যন্ত হরিকেল রাজ্যে প্রচলিত রৌপ্য মুদ্রা এবং প্রাচীনকাল থেকে উনিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বাংলায় ধাতব মুদ্রার পরিবর্তে ব্যবহৃত কড়িসহ বিভিন্ন যুগের মুদ্রা। এ ছাড়া রয়েছে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রচলিত সব মুদ্রা।
বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশের মুদ্রা স্থান পেয়েছে এখানে। তিনটি চিত্রের (ডিওরমায়) মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বাংলার মুদ্রা বিনিময় ও সঞ্চয়ের পদ্ধতি।
দ্বিতীয় গ্যালারিতে দেখতে পাবেন বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ফটো কিয়স্ক। এখানে এক লাখ টাকার একটি নোটের ভেতরে চাইলেই যে কেউ নিজের ছবি জুড়ে নিতে পারেন। এ জন্য আপনাকে গুনতে হবে মাত্র ৫০ টাকা। নোটটি অবশ্যই স্মারক, বিনিময়-অযোগ্য। অর্থাৎ এক লাখ টাকার নোটটি শুধু স্মৃতি হিসেবে থাকবে।
পুরো জাদুঘরে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়েছে। ডিজিটাল সাইনেজ, ডিজিটাল কিয়স্ক, এলইডি টিভি, থ্রিডি টিভি, প্রোজেক্টর এবং ফোটো কিয়স্কের বিষয় উল্লেখ করার মতো। এ ছাড়া রয়েছে একটি স্যুভেনির শপ, যেখান থেকে দর্শকেরা কিনতে পারবেন নানা স্যুভেনির।
টাকার জাদুঘর সম্পর্কে জাদুঘরের কিউরেটর রেজাউল করিম জানান, বর্তমানে ছয় হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোরে জাদুঘরটি পরিচালিত হচ্ছে। খুব শিগগির ভবনটির তৃতীয় তলায় জাদুঘরটি সম্প্রসারিত হবে।
এ জাদুঘরে কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাপ্তাহিক বন্ধ বৃহস্পতিবার। তাই মন চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই জাদুঘর থেকে। এ ভূখণ্ডের মুদ্রার ইতিহাস ঐহিত্য সম্পর্কে ধারণা পাবেন। সেই সঙ্গে টাকার নকশার বিবর্তনও আপনাকে মোহিত করবে।
সূত্র: প্রথমবার্তা
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মোহাম্মদ আবদুর রহীম বলেছেন: কয়েনটার একটা ছবি দেন., আমিও কিনতে পারি.
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঘরের এত কাচৈ র খবর জানি না!!!!
একদিন ঘুরে আসতে হবে সাথে লাখ টাকায় নিজের ছবি দারুন জিনিষ
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আমার কাছে একটা অ্যানটিক কয়েন আছে। এইটা কোথায় বিক্রী করতে পারি।