![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘ চেষ্টার পর বাংলাদেশি সাংবাদিক সোহেল সারোয়ার চঞ্চল কথা বলেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে। এই আলোচনায় বাংলাদেশে নিজের কোটি কোটি ভক্তের উপস্থিতির খবর শুনে আপ্লুত ম্যারাডোনা বলেছেন, সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ সফরে আসতে চান তিনি।
১২ জুনের আগে থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওর রেডিসন হোটেলে অবস্থান করছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ম্যারাডোনা। প্রতিদিন ভেনেজুয়েলার টেলিভিশন টেলিস্যুর চ্যানেলের ফুটবল নিয়ে টকশোতে হাজির হন। ব্রাজিলের সময় রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে এই শো।
বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে ৪০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাত ৯টায় চঞ্চল পৌঁছান আইবিসিতে (আন্তর্জাতিক ব্রডকাষ্টিং সেন্টার)। খানিক অপেক্ষার পর সেখানে পৌঁছে নিজেই সবার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন ম্যারাডোনা।
অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার পথে একটু সময়ও দিলেন তিনি। সেখানেই প্রশ্ন করা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বিশ্বকাপ কাভার করতে এসেছি। আমার পত্রিকার নাম দৈনিক ইত্তেফাক। ডিয়েগো আপনি কি বাংলাদেশের নাম শুনেছেন ?’ ম্যারাডোনা বলেন, ‘ও, বাআআআংলাদেশ! হুম হুম হুম। বাংলাদেশ চিনি। নাম শুনেছি।’ এরপর বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তা ও লোকেরা তাকে যেভাবে ভালোবাসে শুনে একটু অবাকই হন। স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেন ম্যারাডোনা। তবে ইংরেজি কিছু কিছু বোঝেন এবং বলতেও পারেন বলেই মনে হলো। ফলে দোভাষী ছাড়াই চললো কথোপকথন।
এসময় চঞ্চল দৈনিক ইত্তেফাকের পক্ষ থেকে ম্যারাডোনার হাতে বাংলাদেশের পতাকা এবং পতাকার বুকে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কিত একটি মগ তুলে দেন। কফি মগটা হাতে নিয়ে ম্যারাডোনা ইংরেজিতে বললেন, ‘ফর মি?’ এই সময় আরো অনেকের কাছ থেকে পাওয়া উপহার ম্যারাডোনা নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে তুলে দিলেও তিনি বাঁ হাতে ইত্তেফাকের দেয়া উপহার কফি মগটি ধরে রাখলেন। একেবারে শেষ পর্যন্ত গাড়ি ওঠার সময়ও ইত্তেফাকের মগটি হাতে রেখেছিলেন তিনি, বারবার ঘুরিয়ে দেখছিলেন।
সুত্র: প্রথমবার্তা
©somewhere in net ltd.