![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিশিদিন আমি যেনো কার আশায় আশায় থাকি...
একেবারে বর্ষার প্রথম দিনেই তোমাকে প্রথমবার পাওয়া। বছরের আরো ৩৬৪ টি দিন বাদ দিয়ে এমন দিনেই তোমাকে প্রথমবার ছোঁয়া। ভুল করেও কি ভাবতে পেরেছিলাম- বর্ষার জল যেমন পৃথিবীটা ভিজিয়ে রাখে, তেমনি আমিও আমার জীবনটাকে ভিজিয়ে নিচ্ছি! ডুবিয়ে ভাসিয়েই দিচ্ছি! নাহ, সেদিন আমি এতো কিছু ভাবিনি। ভাবতে পারেনি। বুঝতেই পারিনি- কাছে টেনে আনা বৃষ্টিজলেই আমার হাবুডুবু দিন! আমার সব স্বপ্নের সলীল সমাধী...
আষাঢ়ের সেই রাতটা ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভরে ছিলো। বৃষ্টিকে সেদিন ঠিক বৃষ্টির মতো লাগেনি; লেগেছিলো আকাশের চাপাকান্নার মতো। কিন্তু সেদিন এটা আমার বোঝা হয়নি। বুঝতে পারলাম এখন, এতো পথ পেরিয়ে।
কতো সুখের প্রস্তুতি আমার!
তোমাকে বললাম- আমরা পহেলা বর্ষায় বিবাহ বার্ষিকী পালন করবো। তুমি তাতে সায় দিলেনা। তোমার ইচ্ছা সেদিনের ইংরেজি তারিখটা। আমি মেনে নিলাম। একটু বললামও না যে, পহেলা বর্ষা-ই আমার ভালো লাগে। কেনো বলিনি সেদিন! জানো? কারণ; তুমি আমার নিশ্চুপ মেনে নেয়ায় খুশি হবে তাই। তোমার খুশিতে আমার বুকটা ফুলে উঠবে। এটা আমার কাছে হাজারটা ইচ্ছা পূরণ করার চেয়েও বেশি কিছু। কিন্তু তুমি তা কোনোদিন বুঝোনি। তোমার সেই না বোঝা থেকেই আমার মর্ম জ্বালার শুরু...
সেই যে শুরু... আর থামেনি। থামবেও কি কোনোদিন? কি জানি! ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় এক মহাভয় ঢুকে গেছে ভিতরে। একদিন ভেবেছিলাম। হাজারটা স্বপ্নের চাড়া বুনেছিলাম... কিন্তু কিসে কী হলো! স্বপ্ন বাগানের মালীই সব স্বপ্নফুল ছিড়ে ছুড়ে পায়ে দলে চলে গেলো। অথচ, কী গভীর আবেগে সেদিন তুমি বলেছিলে-
: আজকের বৃষ্টি রহমতের বৃষ্টি। তোমার আমার দিন সব এমনই স্বর্গীয় ভালোলাগায় ভরে থাকবে..
আচ্ছা, সেদিন কিভাবে পেরেছো এমন মিথ্যা স্বপ্ন দেখাতে? কিভাবে পেরেছো অমন নিপূণ অভিনয়ে পৃথিবীটাকে আমার শত্রু বানিয়ে ছাড়তে!?
নাকি, তখন তুমি ভালোই ছিলে। বদলে গেছো এখন? কোন ভাবনা আমি মনের কাছে তুলে দিবো? কী বলে শান্তনা দিব নিজেকে! কী অপরাধ ছিলো আমার! হ্যা, অপরাধ হয়তো অনেকই ছিলো, কিন্তু আমি তোমার কাছে ক্ষমারও অযোগ্য ছিলাম? ক্ষমা চাওয়ার, ক্ষমা পাওয়ার নূন্যতম যোগ্যতাও কি ছিলো না আমার! কোনোদিন কোথাও মাথা নিচু করিনি, অথচ তোমার কাছে আমার কতো আকুতি ছিলো। বুকফাটা মিনতি ছিলো... আহারে!
কোনোদিন নিজেকে বড় ভাবতে পারিনি। সব সময় সাধারণ মানুষের মতো নিজেকে কল্পণা করেছি। আমার চাওয়া পাওয়াকে আটকে রেখেছি বাস্তবতার সীমায়। তবুও কেনো কোন দোষে আমার স্বপ্নদের তুমি গলা টিপে মেরে ফেলে স্বপ্নের লাশ আমারই কাঁধে তুলে দেবার মতো নিষ্ঠুরতা দেখাতে পারলে? একটাবার কেনো শুধুমাত্র মানুষ ভেবে একটু দয়া তুমি করতে পারলেনা..!
কিভাবে কোন স্পর্ধায় বলে দিতে পারলে- তুমি আমার পাশের দাঁড়ানোরই যোগ্য ছিলেনা!
হায়রে, তবে কেনো মিছেমিছি আমার হাতের ডানায় ঘুমিয়ে গেলে এতোটা দিন? শুধু শরীরে চাওয়ায়? নাকি কোনো ঘোর লাগা মাতলামিতে?
০২
যে বৃষ্টিতে তোমাকে বারবার বুকের কাছে টেনে এনে প্রাণভরে দেখেছি। সে বৃষ্টি এখনো আসে। আমি কোন শক্তিতে এখন এই বৃষ্টি দেখবো? আমাকে তো অক্ষম করে ফেলে দিয়ে গেছো ঠিকই; স্মৃতির বোঝা ঘাড় নিয়ে যাওনি কেনো?
যে দু:খ জ্বালার শুরুর বাঁশি তুমি বাজিয়ে গেছো, তা শেষ করবে কে!
বৃষ্টির দিন দিনে দিনে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু দু:খের দিন কবে শেষ হবে? কবে আমি পারবো তোমার স্মৃতির মরুভূমীতে জলের ধারা বইয়ে দিতে? তোমার মতো করেই নতুন প্রেমের স্বপ্নে নিজেকে আবার উড়িয়ে দিতে?
তোমার দিন তো ভালোই যাচ্ছে। নতুন সংসার গড়ায় তোমার কোনোই বাধা নেই। তিনবার বিয়ে হলেও তোমার পাত্রের অভাব কোনো দিনও হবেনা। সেদিন বলে দিয়েছো। আরে, আমাকেও কি তুমি তাহলে জাস্ট একটা পাত্র হিসেবেই দেখে গেছো? ভেবেই কি এসেছিলে- এটা এক, তারপর দুই... তিন...
ছি .. ছি..!
ধিক তোমাকে! ধিক তোমার জন্মকে! জীবনকে!
০৩
বর্ষা গিয়ে শরৎ আসবে। হেমন্ত-শীতের পরে ঋতুরাণী আসবে। আসতেই থাকবে... আমার দু:খ ঋতু শেষ হয়ে সুখের ঋতু কবে আসবে?
কেঁদে মরে গেলেও তো তুমি আর ফিরবেনা; তবুও তোমার আশা কেনো বুকের ভিতরে! কী মন্ত্রণায় এমন পাগল করে গেছো? ভুলিয়ে দেওয়ার নতুন কোনো মন্ত্র নেই তোমার কাছে?
হায়রে, কেউটে নাগিনী! নিজের বিষেই নিজে মরবি একদিন। ছুটে ছুটে পাগল হয়ে আমার কাছেই আসবি... তাই, মনে মনে প্রার্থনা করে রাখ- তোর জন্য জন্য যাতে একটু জায়গা রাখতে পারি! কারো সুখ হরণ করে কেউ-ই কোনোদিন সুখী হতে পারেনি; তুইও পারবিনা। অভিশাপ ভাবছিস? অভিশাপই তো। আমার আর কিছু নাই... আমাকে তুই জ্বালিয়ে মেরে ফেলতে পারবি, আর আমি তোর মরে যাওয়ার কামনা করতে পারবোনা? এমন উদার হইনি...
আমার উদারতায়-ই বা কী আসে যায়! আমার জীবন তো আমাকে ছাড়েনি, তোর জীবন কেনো তোকে ছাড়বে? আমি এখন যতোই তোর সুখের কামনা করি; কিছুতেই কিছু হবেনারে মায়াবিনী! হায়, তোরে বকেও তো সুখ পাইনারে! বুকটা ধক করে উঠে- যেনো তোকে বকাটা বিরাট অপরাধ! কিন্তু আমিই কেনো এভাবে এমন হবো, তুই একটুও হবিনা... আমি যদি নিরবধি ভালোবেসে যেতে পারি, তুই কেনো না?
ভালোবাসার দায় কি শুধু আমারই!!
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:০৪
নীলতারা বলেছেন: জি, আমি তো গানটা শুনেছিলাম...
কেনো বলুন তো!
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৫৮
শায়মা বলেছেন: অথবা
মায়াবন বিহারিনী হরিণী
গহন স্বপন সন্চারিনী
কেনো তারে ধরিবারে করি পণ?
অকারন????
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:০৪
নীলতারা বলেছেন: এটাও শুনেছি।
কিন্তু কেনো বুঝলাম না!
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২২
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ভালবাসার দায় কি শুধু আমারই !!!
দারুন কঠিন একটা বলেছেন ভাই .....
"ভালবেসে গেলাম শুধু
ভালবাসা পেলাম না
আশায় আশায় দিন যে গেল
আশা পুরন হলো না "
লেখাটা খুব ভাল লাগলো (+)
বুঝতে পারছি না ,, যে খেলাটায় পড়তে যায় সেটাই আবার সব কিছু মনে করিয়ে দেয় কি দরকার স্মৃতি চারণ করে
যে গেছে সে যাক না ??
ভালবাসার দায় তো শুধু আমার না ,,, তবে কেন ......!!!
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২৫
নীলতারা বলেছেন: ভালোবাসা আজব বড়...
ধন্যবাদ সুমন।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
জুন বলেছেন: এত কষ্টের লেখায় কি বলবো ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। শুধু কি সেই প্রচলিত কথটাই কি বলবো যে, 'সময়ই ক্ষত পুরণের শ্রেস্ঠ উপকরণ' নাকি অন্য কিছু !
যাই হোক খুব আবেগ দিয়ে লিখেছেন বাট অনেক সুন্দর নীলতারা।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫০
নীলতারা বলেছেন: আবেগ দিয়ে লেখছি কিনা বলতে পারবোনা। তবে লেখার সৌন্দর্যে চোখ ছিলোনা...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৯
শায়মা বলেছেন: কেনো বুঝলানা!!!!!
২৮ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০০
নীলতারা বলেছেন: এখন বুঝলাম...
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
একটা পুরাতন গান ''ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে, তোমারে করেছে রানী''
এই গানটার কুমারশানু ভার্সন আছে?
থাকলে লিঙ্কটা দিয়েন!
২৮ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০১
নীলতারা বলেছেন: নাই ভাই...
আপনার কাছে থাকলেও আমারে দিয়েন না!
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩
প্রজন্ম কথা বলেছেন: "ভালোবাসার প্রধান অন্বেষা মিলন। কিন্তু যদি মিলন না হয়! তবে ভালোবাসাই শেষ?" আপনি বলেছিলেন...
দেখলেন আপনার ভালবাসা না পাওয়াতেই শেষ হয়ে গেলো...মানে ভালবাসার নামে তীর্ব পাওয়ার ইচ্ছাটুকুই ছিলো ভালোবাসা ছিলনা... আমি ভেবেছিলাম আপনি তার কাছে জানতে চাইবেন...
-তোমাকে তোমার নতুন ভালবাসার সাথে বিয়েতে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?
১. তোমার উকিল বাবা হয়ে?
২. তোমাদের বিয়ের সাক্ষী হয়ে?
৩. তোমাদের জন্য নতুন ফ্ল্যাট কিন্তু আমিই খুঁজে দেবো...
কিন্ত আপনি তা না করে করে তাকে অভিশাপ দেওয়া শুরু করলেন?
এই আপনার ভালবাসা?
২৮ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩
নীলতারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
প্রজন্ম কথা বলেছেন:
২৮ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪
নীলতারা বলেছেন: আই নো হোয়াট ইউ আর!
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮
সহ্চর বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া সে যদি ফিরে আসে,খুব অনুতপ্ত হয়,কান্না কাটি করে, ক্ষমা চায় তাহলে কি আপনি তাকে গ্রহন করবেন????
মন থেকে বলবেন প্লীজ
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২
নীলতারা বলেছেন: অবশ্যই...
এই প্রশ্ন কেনো!?
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১০
সহ্চর বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ হ্যা, অপরাধ হয়তো অনেকই ছিলো, কিন্তু আমি তোমার কাছে ক্ষমারও অযোগ্য ছিলাম? ক্ষমা চাওয়ার, ক্ষমা পাওয়ার নূন্যতম যোগ্যতাও কি ছিলো না আমার! কোনোদিন কোথাও মাথা নিচু করিনি, অথচ তোমার কাছে আমার কতো আকুতি ছিলো। বুকফাটা মিনতি ছিলো... আহারে!
আপনি ক্ষমা চাওয়ার পর সে ক্ষমা করেনি কিন্তু সে ক্ষমা চাইলে আপনি ঠিকি ক্ষমা করে দিবেন!!!!! বাহ, বেশ বেশ
৩০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:১৪
নীলতারা বলেছেন: আসলে সে বুঝেনি। বুঝলে তো আর তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যায়না। আর আমার সে ক্ষমতাও নেই...
সহচর, ধন্যবাদ...
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৩
নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন:
৩০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:১৬
নীলতারা বলেছেন: ইমো বুঝিনা...
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৫৫
শায়মা বলেছেন: এমন দিনে তারে বলা যায়.......

শুনেছিলে গানটা ভাইয়া??????