নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
নাহ, পিকে ছবিতে সাধ করে দিগম্বর হননি আমির । হয়েছেন চরিত্রের প্রয়োজনেই। ভিনগ্রহের এলিয়েন যখন পৃথিবীতে এসে ল্যান্ড করলো, তখন কি আর সে জানতো, এখানে জামা-কাপড় দিয়ে গা ঢেকে রাখতে হয়? ওদের মুল্লুকে তো এমনটি নেই! আবার ছবিটি মুক্তির আগে জানা গিয়েছিল, ছবিতে নাকি ধার করে কাপড় পড়েছেন আমির। কথাটা শুটিং সেটে সত্য, কারণ পরিচালক সাধারণের থেকে পুরাতন কাপড় কিনেই পিকে কে পড়তে দেন; কিন্তু ছবির কাহিনীতে আমির তথা পিকের কাপড়ের সংস্থান হতো ড্যান্সিং কার থেকে! কী এই বস্তু? জানতে হলে দেখুন ছবিটি ।
উমেশ শুক্লার ওহ মাই গড এবং রাজকুমার হিরানির পিকে -দুটি ছবিরই মূলকথা এক, কিন্তু কাহিনী আলাদা। কৌতূহলবশত পৃথিবীতে এসে পিকে হারিয়ে ফেলে (আসলে ছিনতাইয়ের স্বীকার হয়) তার গলায় ঝুলানো রিমোট, যেটি ছাড়া সে আর ফিরে যেতে পারবেনা নিজ গ্রহে । কি উপায়? যাকে জিজ্ঞেস করে, সেই বলে- একমাত্র ভগবানই পারে তাকে সহায়তা করতে । কিন্তু কে এই ভগবান? খুঁজতে খুঁজতে সে মন্দির-মসজিদ-গির্জায় যায়, নানা উপায়ে সব ধর্মের ভগবানকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ দৃশ্যত কোন উপকার না পেয়ে যখন সে ক্ষিপ্ত হয়, তখনই তাকে প্রশ্ন করা হয়- “পিকে হ্যাঁ কিয়া?” এভাবেই ওর নাম হয় “পিকে”!
একসময় পিকে আবিষ্কার করে, এই গ্রহে যারা নিজেদেরকে ভগবানের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে দাবি করেন, তাঁরা আসলে “রং নাম্বারে” ডায়াল করে চলেছেন অবিরত! ভগবানকে ঘিরে জমে উঠেছে কথিত জমজমাট এক ধর্মব্যবসা! আসল ভগবান কখনোই এটা চাইতে পারেন না। ভবিষ্যতবাণী বলেও আসলে কিছু নেই । পিকের লক্ষ্য করে, এখানে কে কোন ধর্মের অনুসারী –এটা তো কারো গায়ে কোন চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা নেই । জন্মের পর পরিবার অনুযায়ী এই বিভাজন হয়, যা মানুষের সৃষ্টি । একসময় পিকের পরিচয় হয় সংবাদকর্মী জগৎজননীর (যাজ্ঞু) সঙ্গে, যার সঙ্গে বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে ভালোবেসে ফেলে তাকে। কিন্তু, যাজ্ঞুর ভালোবাসা যে অন্য কেউ! সেই হারানো ভালোবাসা যাজ্ঞুকে ফিরিয়ে দিয়ে হারানো রিমোট ফিরে পেয়ে ফিরে যায় নিজ গ্রহে । যাবার সময় শিখে যায় মিথ্যে বলা, আর শিখিয়ে যায় সত্যিকারের ভালোবাসার সংজ্ঞা।
আমিরের অভিনয় হয়েছে তাঁর মতোই, তবে যাজ্ঞু চরিত্রে আনুশকার অভিনয় ততটা প্রাঞ্জল মনে হয়নি । উচ্চারণে তোতলামির সমস্যাটা রয়ে গেছে এখানেও । আর প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারার, বিশেষ করে ঠোঁটের যে দশা বানিয়েছেন, এর চেয়ে আগের চেহারাটা ঢের ভালো ছিল । সবকিছু মিলিয়ে, থ্রি ইডিয়টস এর পর হিরানির থেকে দর্শকদের প্রত্যাশা আরেকটু মনে হয় বেশিই ছিল । বাস্তবে কতটা সফলতার মুখ দেখবে পিকে, তা সময়ই বলে দিবে ।
[PK দেখে আমি যেন একটা রিভিউ লিখি, এমনটা চেয়েছিলেন ক'জনা। তাঁদের দাবি পূরণ করা হল । লেখার পক্ষে-বিপক্ষে মত দিন ।]
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০১
...নিপুণ কথন... বলেছেন: দেখুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০২
জ্যানাস বলেছেন: পিকে দেখিনাই এখনও তবে আমার মত হচ্ছে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ধর্মবিরোধিদেরও করা উচিত নয়।