নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার আনন্দ-ফুর্তি যেন কারো বিরক্তির কারণ না হয়

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৪

ইয়া বড় বড় সাউন্ডবক্স। একটা বাজালেই কান ঝালাপালা হয়, বুকে ধরে কাঁপাকাপি। সেখানে আনা হয়েছে চার-চারটে। একসাথে চারটেই বাজানো হচ্ছে। প্রচুর সাউন্ড দিয়ে। সাউন্ডে তেমন সমস্যা হতো না, নাহয় কানে আঙ্গুল দিয়েই বসে থাকতাম। সমস্যাটা হল "বিটে"। বেজ বেশি দিয়ে গান না চালালে সম্ভবত গান শুনে মজা পায়না আজকালকার ছেলেরা। এমন বেশি বিট দিয়ে এরা গান শোনে, আর মদ খেয়ে নাচের তালে মাতলামি করে, যে আশেপাশের মানুষের ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়ে। ফিজিক্সে পড়েছি বলে শব্দের গুণাবলি সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানি। এমন বিটযুক্ত শব্দের কারণে ঘরের স্টিলের দরজা-জানালা সব কাঁপাকাপি শুরু করে, তাল মিলিয়ে কাঁপে বুকের ছাতি, ব্যাথা করে মাথা। কি করা? কান বন্ধ করে বসে থাকা যেতে পারে, কিন্তু বুকের ছাতি খুলে তো আর বসে থাকা সম্ভব না! তাও কিছুক্ষণ মানা যায়, কিন্তু সন্ধা থেকে মাঝরাত অবধি মানা যায় না। আর কী সব ছাইপাশের গান, না আছে সুর না আছে লয়। আছে শুধু ঢিপঢিপ শব্দ! এর কোন মানে হয়?

আনন্দ-বিনোদনের নামে এসব উচ্ছৃঙ্খলতা মেনে নেয়া যায় না। মা সরস্বতী এগুলো শেখান না। শাস্ত্রমতে তিনি বিদ্যার দেবী। মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি, বাড়ান, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করেন। অথচ অনেকে বলে, পূজার দিন নাকি বই পড়তে নেই! এই কুসংস্কার মানা যায়? আর পূজার পরেরদিনেও ছেলেপেলে নাচানাচি করবে পড়ালেখা শিকেয় তুলে? আই মিন, কাম অন ম্যান! আপনি আমাকে অবশ্যই আঁতেল বলতে পারেন, কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব সাপোর্ট করিনা। আপনি মজা করুন, আনন্দ-ফুর্তি করুন, যা খুশি তাই করুন। কিন্তু সাথে সাথে খেয়াল রাখুন, আপনার এই আনন্দ-ফুর্তি যেন কারো বিরক্তির কারণ না হয়। যে নিরিবিলি থাকতে চায়, তাকে নিরিবিলি থাকতে দিন। কথাগুলো সব মত ও পথের মানুষের উদ্দেশ্যেই বলা।

কেউ আবার আমাকে ধর্মবিদ্বেষী আখ্যা দেবেন না যেন। এসব কোন ধর্মের উপাদান নয়। সুস্থ-সুন্দর ধর্মীয় গান শুনুন, ধর্মপথে কাজ করুন, আপনার এবং আপনার পাশের মানুষটির জন্য ভালো কাজ করুন। মানুষের উপকার করুন, জীবে দয়া করুন। দু:স্থের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাঁড়ান। এটাই আসল ধর্ম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৪

বালক বন্ধু বলেছেন: আপনি ঠিক বলছেন। আমাদের দেশে এই ধরনের কোন নৈতিকতা কেউ প্রদর্শন করে না। আমি দীর্ঘদিন আজিমপুরে থেকেছি। সেখানে এই যন্ত্রণা আমাকে প্রতিমাসে দুই তিনবার ভোগ করতে হত। পুরান ঢাকার কয়েকটা বাসায় এমন পাওয়া যায় তার ছাদে প্রায়ই পার্টি হয়। তাদের যন্ত্রণায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.