নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
অভিজিৎ রায় নামে একজন বিজ্ঞানমনষ্ক-মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার আমার ফেসবুক বন্ধুতালিকায় ছিলেন। একটিমাত্র বার তাঁর সাথে আমার কথা হয় মেসেজের মাধ্যমে। তাঁর লেখা যে খুব একটা পড়েছি, তা নয়। তবে যতটুকু পড়েছি, তাতে আর যাই হোক, তাঁকে খুন করার ইচ্ছা আমার মাঝে জাগে নি।
অভিজিৎ রায়ের বাবা আমাদের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। আমি নিজে তাঁর ক্লাস পাইনি, কিন্তু সিনেট ভবনে বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের ওপর তাঁর একটি বক্তৃতা শুনেছিলাম বলে মনে পড়ে। ভালো লেগেছিল। আজ তিনি এই বৃদ্ধ বয়সে সন্তান হারানোর শোক কী করে সহ্য করছেন, আমি জানি না। শুনলাম, অভিজিৎ রায়ের ইচ্ছানুযায়ী মৃত্যুর পর তাঁর নিথর দেহটি দাহ না করে হাসপাতালে দিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে অন্য কারো কাজে লাগানো যায়। এমন মানসিকতা যার থাকে, তাঁকে কতটা খারাপ বলতে পারব আমরা?
আজ অভিজিৎ রায় বেঁচে নেই। বইমেলায় তাঁর বই আছে, কিন্তু তিনি নেই। ফেসবুকে আমার বন্ধুতালিকায় তাঁর আইডি আছে, কিন্তু সেখানে আর কোন লেখা প্রকাশিত হবে না। আবার প্রমাণিত হলো, মুক্তচিন্তা করা পাপ, ভিন্ন চোখে দুনিয়া দেখা অন্যায় এবং, কলমের চেয়ে অস্ত্রের শক্তিই বেশি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৯
হামিদ আহসান বলেছেন: ছোটকালে যা পড়েছিলাম তা ছিল ভুল ....