|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 ...নিপুণ কথন...
...নিপুণ কথন...
	সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
মায়ের সবচেয়ে প্রিয় খাবারের একটা হল চানাচুর। বাবা খুব মজা করে মায়ের ছোটবেলার একটা গল্প বলতো। মা নাকি একদম ছোটবেলায় তাঁর বাবা বাজারে যাবার আগে বায়না ধরে বলতো, "বাবা, খাইতে ভালো লাগে চানাচুর আইনো!" বাবা এই গল্প করতো আর মা শুনে লজ্জা পেতো। ছোটবেলার গল্প বলে কথা! পিচ্চি মেয়েরা তো এমন আবদার করতেই পারে! বাবাকে চানাচুরের নাম বলতে পারতো না পিচ্চি মেয়ে। বলতে হতোও না, বাবা ঠিকই মেয়ের পছন্দের চানাচুর নিয়ে আসতেন।
চানাচুর বলতে বারবিকিউ চানাচুর বেশি ভালো লাগে আমার, আর মায়ের প্রিয় বোম্বে। আবার, পলাশীর বাজারে এক ধরণের চানাচুর পাওয়া যায়, ভালোই লাগে খেতে। ছোটবেলায় আমার খুব প্রিয় খাবার ছিল ঝুরিভাজা। এই চানাচুরটা দেখে মনে হয়, ঝুরিভাজার মাঝে সবুজ মটরদানা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বেশ ঝাল লাগে, খেতে মজা, মচমচে। কাল বাজার থেকে বড় এক প্যাকেট এনেছি, আজ শেষ পর্যায়ে। সাথে এনেছি মুড়ি। সরিষার তেল দিয়ে মেখে খেতে ভালো। একটু পিয়াজ আর কাচামরিচ কুচি করে দেয়া গেলে আরও ভালো। সকাল-বিকেলের নাস্তায় এক কাপ চায়ের সাথে ভালোই লাগে। চা-চিনি-দুধ সব আছে ঘরে। আছে বিস্কুট, আছে ডিম। এখন আর রুমে রান্না করে খাওয়া হয়না, নাহলে আরও অনেক কিছু থাকতো। 
স্বাদ শুধু জিভের নয়, জীবনেরও স্বাদ থাকা চাই। এই স্বাদের জন্য একটু টক, একটু ঝাল, একটু মিষ্টি -সবকিছুই থাকতে হয়। শুধু টক অথবা শুধু ঝাল অথবা শুধু মিষ্টি বা তিতা হলে জীবনটা একঘেয়ে হয়ে যায়। মাঝে মাঝে খুব আনন্দে থাকি, আবার এমন সময়ও আসে, যখন মনটা বিষাদে ভরে যায়। এই আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না সবকিছু নিয়েই তো জীবন! জীবনে সবকিছুরই প্রয়োজন আছে। একটার সাপেক্ষে অন্যটার গুরুত্ব বুঝা যায়। 
জীবনের এই বৈচিত্র্য থেকে আমরা এই শিক্ষা নিতে পারি- জীবন কখনও একরকম যায় না। পরিবর্তন আসবেই। হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না, বন্ধু!
 ২ টি
    	২ টি    	 +১/-০
    	+১/-০২|  ২২ শে মার্চ, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:৫৩
২২ শে মার্চ, ২০১৫  সন্ধ্যা  ৭:৫৩
...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৪:০৯
২২ শে মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৪:০৯
সুখেন্দু বিশ্বাস বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখা
শুভেচ্ছা রইলো।