নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
ইন্টারনেট প্রযুক্তি যেন এক জাদুর দুনিয়া। কী দারুণ দক্ষতায় মুহূর্তের মধ্যেই গোটা দুনিয়াকে একসূত্রে গেঁথে ফেলে! তথ্য-বিনোদন-যোগাযোগের এই অনন্য মাধ্যমটি ছাড়া আপনার হয়তো একটি মুহূর্ত কল্পনা করা কঠিন। অথচ আপনি জানেন কি, পৃথিবীর ১০ শতাংশ মানুষ এখনো ইন্টারনেট-সুবিধা থেকে বঞ্চিত?
প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুলাই তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ‘অ্যাকুইলা’ নামের একটি বিশেষ ধরনের চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) তৈরির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিমান উড়ে উড়ে দেবে ইন্টারনেট সংযোগ।
কী এই অ্যাকুইলা?
অ্যাকুইলা হলো বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি সৌরশক্তিচালিত ড্রোন। এর ডানার দৈর্ঘ্য একটি বোয়িং-৭৩৭ বিমানের ডানার সমান, কিন্তু ওজন একটি গাড়ির ওজনের চেয়েও কম। দুই দিকের ডানায় যুক্ত চারটি ঘূর্ণমান পাখার সাহায্যে এটি ৬০ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় তিন মাস পর্যন্ত ভেসে থেকে ইন্টারনেট-সুবিধা দিতে সক্ষম বলে জানান ফেসবুক অ্যাভিয়েশন টিমের প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অ্যান্ডি কক্স।
কীভাবে কাজ করবে?
লেজার রশ্মি ও বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করা হবে এতে। প্রথমে ভূপৃষ্ঠের ইন্টারনেট সরবরাহের স্টেশন থেকে একটি অ্যাকুইলায় লেজার রশ্মির মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হবে। এরপর এটি থেকে অন্য অ্যাকুইলাগুলোয় একইভাবে তথ্য যাবে। প্রতিটি অ্যাকুইলা আকাশে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে লেজার রশ্মির মাধ্যমে নিচে পৃথিবীতে হটস্পটের আওতাধীন এলাকায় অবিরতভাবে ইন্টারনেট-সংযোগ দিতে পারবে। এই প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত লেজার রশ্মিকে লেজার যোগাযোগব্যবস্থায় এক মাইলফলক বলে দাবি করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। তাঁর মতে, নতুন পরীক্ষিত এই লেজার প্রতি সেকেন্ডে ১০ গিগাবাইট তথ্য পাঠাতে পারে, যা আগের যেকোনো ব্যবস্থার চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত এবং ১০ মাইলেরও বেশি দূরত্ব থেকে নির্দিষ্ট বিন্দুলক্ষ্যে যুক্ত হতে পারে।
সবার জন্য ইন্টারনেট
বিমান থেকে লেজার রশ্মির সাহায্যে এভাবে যাবে ইন্টারনেট সংযোগস্বল্পমূল্যে সবার কাছে ইন্টারনেট-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্পের লক্ষ্য। মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, এই প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে যুক্ত করতে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। বিমানের মাধ্যমে সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি বলে মনে হতেই পারে। তবে তাঁর দাবি, এখন সেটা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। ‘আসছে মাসগুলোতে এই প্রযুক্তির সক্ষমতাকে বাস্তবে পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং প্রয়োজনে প্রযুক্তির পরিবর্তন-পরিমার্জন করা হবে’ বলেও জানান তিনি।
জনগণ যা ভাবছে
অ্যাকুইলা নিয়ে একটি ভিডিও ফেসবুকে দিয়েছেন মার্ক। যেটি গতকাল পর্যন্ত ৫০ লাখ বারেরও বেশি দেখা হয়েছে। অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। অমিড ফ্যারিবার লিখেছেন, ‘বোমা নয়, ইন্টারনেট নিচে ফেলো।’ এই প্রকল্পে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। আর বাংলাদেশের নওগাঁর বাপ্পী সরকার লিখেছেন, ‘আমি সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি, যেদিন বেতারের মতো ইন্টারনেটও মিলবে বিনা মূল্যে।
এই লেখাটি আজকের প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকম পাতায় প্রকাশিত হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চমৎকার তো। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।