নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবতে হবে এখনই

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

যতই দিন যাচ্ছে, শান্তি নামের স্বর্গীয় স্বত্বাটি ততই আমাদের ছেড়ে দূর অজানায় পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা অশান্ত হয়ে উঠছি। অশান্ত হয়ে অন্যের ক্ষতি করছি। অন্যের মতকে একেবারেই সহ্য করতে পারছি না। নিজেই শুধু বলতে চাই, অন্যের কথা শোনার এবং বিবেচনা করার মতো ধৈর্য আমাদের কমে আসছে দিন দিন। আসলে সময়টাই বড্ড বেশি অস্থির।

একটা শিশু যখন বড় হয়, তখন সে তার চারপাশ থেকে আচার-আচরণ-ব্যবহার শেখে। পরিবার ও আশেপাশের মানুষ, বন্ধু-বান্ধবের থেকে সে প্রতিনিয়ত শিক্ষা পায়। পাঠ্যপুস্তকসহ অন্যান্য বই, টিভি শো থেকেও সে শেখে। পরিবারের ভূমিকাটাই এখানে মুখ্য। দেখা যায়, যে পরিবার শান্তিপ্রিয়, সে পরিবারে বেড়ে ওঠা শিশুটিও হিংস্র নাহয়ে শান্তিপ্রিয় হয়। বাবা-মায়ের মাঝে ঝগড়া লেগে থাকলে সন্তানটিও ঝগড়া করা শিখবে, এটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে বাবা-মায়ের ভেতর যদি সুন্দর একটি সম্পর্ক থাকে, দুজনের মতই যদি গুরুত্ব পায়, তবে শিশুটিও অন্যের মতকে গুরুত্ব দেয়া শেখে। সততা, নীতিশিক্ষা, সুন্দরের আরাধনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মতো বিষয় শিশু পরিবার থেকেই শেখে। তাই পরিবারকে আগে ঠিক করতে হবে। পরিবার ঠিক হলে দেশটাও ঠিক থাকবে। আমাদের নিজেদেরকেই ঠিক করতে হবে, আমরা শান্তি চাই, নাকি অশান্তির পথে হাঁটতে চাই। আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমরা এগিয়ে যেতে চাই, নাকি উল্টোপথে হেঁটে ধ্বংসের মুখোমুখি হতে চাই।

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য চাই সুন্দর সংস্কৃতির চর্চা। আমাদের বাঙ্গালি সংস্কৃতি নাচ-গান-আবৃতির সংস্কৃতি, সব মত ও পথের সহাবস্থানের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির পথ থেকে বিচ্যুতিই আমাদের অশান্তির পথে ঠেলে দিচ্ছে। আগে সচেতন ও শিক্ষিত বাবা-মা তাঁদের সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রে পাঠাতেন। সেখানে শিশুরা দলবেঁধে নাচতো, গাইতো, নাটক ও আবৃতি করতো। এতে শুদ্ধতা ও সুন্দরের চর্চা হতো। এখন সেই চর্চাটা কমে যাচ্ছে। সেই সময়টা এখন বেশীরভাগ শিশুরাই কোচিং সেন্টার অথবা প্রাইভেট পড়ে কাটায়। প্রতিটা বিষয়ের জন্য তাকে স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে পড়তে হয়, অনেকটা বাধ্য হয়েই। ফলে শিশুটি পড়ালেখার পাশাপাশি মনের খোরাক জোগাতে এবং ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে সাংস্কৃতিক শিক্ষাটা পাচ্ছে না।

আমাদেরকে এখনই ঠিক করতে হবে, আমরা কোনপথে হাঁটতে চাই। আমরা ভবিষ্যতে কেমন সমাজ চাই। সে অনুযায়ী আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়তে হবে। আজকের শিশুই তো আগামীর বাংলাদেশ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

আমিনুর রহমান বলেছেন:


আমাদের আগামীটা অন্ধকার !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.