নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
হাকিম চত্বরে চা আর টা হাতে আড্ডা তো প্রায় প্রতিদিনই হয়। ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেকদের অন্যতম আড্ডাস্থান এটা। সবসময় লোক গিজগিজ করে। আজ দেখা গেলো সেখানে বড় করে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। চলছে জাতীয় কবিতা উৎসব। কবিদের কবিতা আবৃতিতে মুখর ক্যাম্পাস। ওদিকে শুরু হয়েছে বইমেলা। বাঙ্গালির মেধা, ঐতিহ্য ও মননের প্রতীক। ফেব্রুয়ারি এলেই তাই অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে মনে।
কবিতা উৎসবে দেশের ও দেশের বাইরের কবিগণ এসেছেন। মফস্বলের কবিরাও আছেন। এঁদের ভিড়ে কবি বাবু ফরিদীও থাকতেন একটা সময়। সাহিত্য সংগঠক বাবু ফরিদী জাতীয় কবিতা উৎসব ফরিদপুর শাখার সভাপতি ছিলেন। পারিবারিক ও কাজের ব্যস্ততায় ফরিদপুরেই থাকতেন। তবু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই কবিবন্ধুদের নিয়ে একসাথে এই দুদিনের জন্য ঢাকায় আসতেন, উদ্দেশ্য ছিলো জাতীয় কবিতা উৎসবে যোগদান। মাঝে মাঝে পুরান ঢাকার রূপা হোটেলে উঠতেন সদলবলে। কোন আত্মীয়ের বাসায় উঠতেন না। ফরিদপুর থেকে মাত্র দুদিনের জন্য বিদায় বলতে গিয়ে আমার বুকটা খাঁ খাঁ করতো। আমিও যেতে চাইতাম। বাবা বলতো, 'বড় হয়ে যখন তুই ঢাকায় থাকবি, তখন তোর ওখানে থেকে তোকে নিয়ে কবিতা উৎসবে যাবো, বইমেলায় ঘুরবো।'
অথচ, নিয়তি কত নিষ্ঠুর! আমি প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকায়, কবিতা উৎসবের খুব কাছেই থাকি। অথচ আজ বাবা নেই। সাহিত্যপাগল সদাহাস্যজ্জ্বল বাবু ফরিদী নেই ৮ বছর। টুকটাক লেখার সুবাদে ক'জন কবিকে চিনলেও, কবিতা উৎসব আমাকে তাই টানে না। আজ সন্ধায়ও হাকিম চত্বর দিয়ে আসার সময় বুকটা ভারী হয়ে আসছিলো...
©somewhere in net ltd.