নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

বডি পেইন্টিং ডেঃ অদ্ভুত চিত্রকর্ম!

১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩



নিউ ইয়র্কের ম্যানহ্যাটনে ব্যস্ত রাস্তার পাশেই একটা জায়গায় গাছের ছায়ায় সমবেত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন ফটোগ্রাফার ক্যামেরা নিয়ে, তাদের সাথে বাকি যারা আছে তারা দর্শক। আর ঐ মাঝখানের জায়গাটায় কি হচ্ছে? উপমহাদেশীয় যে কেউ দেখে চোখ কপালে তুলবেন, কলকাতার সেকেলে দাদা-দিদিরা বলবেন 'রাম রাম!', তারপর ঘোমটায় নিজের মুখ নিজেই লুকোবেন। আসলেই কি হচ্ছে সেখানে?



অ্যান্ডি গোলাব নামের এক চিত্রশিল্পীর ইচ্ছে হলো, তিনি মানুষের সারা শরীর রং করবেন। সমস্ত শরীরে তুলির আঁচড়ে আঁকবেন নকশা, লিখবেন মনের কথা। কিন্তু এই কাজ করতে হলে যে গায়ের সমস্ত জামা-কাপড় খুলে ফেলতে হয়! কাজেই, বাঁধ সাধলো পুলিশ। তারা স্রেফ জানিয়ে দিলো, লোকচক্ষুর সামনে এসব রঙ্গতামাশা চলবে না বাপু! কিন্তু দেশটা যে 'ফ্রি থিংকার'দের, গোটা বিশ্বের গণতন্ত্রের ঝাণ্ডা ওড়ানোর দাবিদার এ জাতি, এখানে কারো ব্যাক্তিস্বাধীনতায়, ইচ্ছায় বাধা দেয়-- সে সাধ্যি কার? কাজেই, লড়াইয়ে পুলিশকে হারিয়ে সেই আর্টিস্টের জয় হলো। খবর পেয়ে শহরের অন্য অনেক আর্টিস্টও আগ্রহী হয়ে উঠলো। তারপর এলো সেই স্মরণীয় দিন।



গত বছর ২২ জুলাই। দলে দলে মানুষ আসতে লাগলো রঙের খেলায় অংশ নিতে কিংবা নিতান্তই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাণ্ড দেখতে! গোল বৃত্তের চারিদিকে সারে সারে ক্যামেরা, বড় বড় লেন্স। যে যার মতো ছবি তুলছে। এর মাঝেই যার যার জামা কাপড় খুলে দাঁড়িয়ে গেলো শ'খানেক মানুষ। ছেলে-মেয়ে, বৃদ্ধ-যুবা সবাই আছে। এতো মানুষের চোখ আর ক্যামেরার সামনে তাদের কোনো সমস্যা হলো না। তারা হাসিমুখে দাঁড়ালেন এবং চিত্রশিল্পীরা (এখানেও পুরুষ-মহিলা আছেন) রঙের ডিব্বা নিয়ে সযত্নে তাদের শরীরে তুলির পরশ বুলাতে লাগলেন! তাদের শরীরে কোনো কাপড়ের লেশমাত্র রইলো না। হরেক রকম রং-- লাল, নীল, হলুদে রেঙ্গে উঠলো শরীর। কারো গায়ে ফুল লতাপাতা, তো কারো গায়ে ময়ূর। কারো গায়ে বাঘের মতো ডোরা কাটা, কেউ একেছেন উল্কি! একজন নারীর শরীরে আঁকা- 'লাইফ ইজ সুইট'।



এভাবেই সবার শরীরের আঁকিবুঁকি হলো। সমস্ত সময় ক্যামেরায় ভিডিও এবং দৃশ্যধারণ হলো। কারো কারো লজ্জা করছিলো বটে, তবে সেটা মুখের ঐ লাজুক হাসিটুকুতেই সীমাবদ্ধ। অবাক করা ব্যাপার, এতটা এক্সপোজড হবার পরেও এদের কারো অন্য রকম কোনো চিন্তা এলো না। সবাই নিজ নিজ ইন্দ্রিয় এবং কামনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখলো। এরপর সেগুলো নিয়ে দেশ-বিদেশের পত্রিকা এবং টিভিতে নিউজও হলো। ওদের দেখলে মনে হয়, এই পৃথিবীতে শুধু শান্তি আর শান্তি। কোথাও কোনো দুঃখ নেই, সবার মনেই সুখ। কোনো চিন্তা নেই, ভাবনা নেই। যে যার খুশিমতো নিজের জীবনটাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছে। কে কী বললো না বললো, তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, আজকের জন্য বাঁচছে!



গোলাব গত বছর পর্যন্ত ২০০ থেকে ৩০০ মানুষের শরীরে রং করেছেন। তিনি মনে করেন, 'সব জায়গায় চিত্রশিল্প(আর্ট)-কে ছড়িয়ে দেয়া উচিৎ'। তাঁর মতে, 'সকল চিত্রকর্মই যে পছন্দ হতে হবে তা নয়, বরং এটা এমন কিছু যা আপনার মনের কথাগুলো তুলির আঁচড়ে সবার সামনে ফুটিয়ে তোলে'।

-দেব দুলাল গুহ
সূত্রঃ ম্যাশবল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ভালো লাগলো

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: সুন্দর একটা নিউজ।।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.