নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ক্যাডারকে এতো অবহেলা করো কেনো?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১০



কুমিল্লা সদর এলাকায় সরকারি কলেজের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর দোষ, সন্ত্রাসীরা তাঁর নির্মাণাধীন বাড়ি তৈরি বাবদ চাঁদা দাবি করলে তিনি তা দিতে রাজি হননি। এমন ঘটনা সারা দেশেই ঘটছে। ফরিদপুরে কয়েকজন শিক্ষক মাসখানেক আগে আক্ষেপের সঙ্গে বলছিলেন, এতো কষ্ট করে ব্যাচ পড়িয়ে টাকা জমিয়ে সবাই মিলে বাড়ি তৈরি করতে গিয়েই স্থানীয় একটি ক্লাবের থেকে পেলেন বাধা। পরে সেই ক্লাবের সদস্য হয়ে চাঁদা দিয়েই তবে সেই বাড়ির কাজে হাত দিতে হয়।

এই হলো বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার। নখদন্তহীন ব্যাঘ্র! একই বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে কেউ হয় কূটনীতিক, কেউ ম্যাজিস্ট্রেট, আবার কেউ পুলিশের এএসপি। তাঁদের হাতে ক্ষমতা থাকে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হবার, এই ক্ষমতার জন্য সাধারণত কেউ তাঁদের ঘাটায় না। কিন্তু হয়তো ১-২ মার্কের ব্যবধানে কেউ হলো শিক্ষক, কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের তো ক্ষমতা নেই। ক্ষমতার অপব্যবহার না করুক, আত্মরক্ষাতেও তাই সেটা কাজে লাগে না। এরাও বিসিএস ক্যাডার, অথচ অন্য ক্যাডারদের মতো সম্মান এরা পায় না। শিক্ষকদের মর্যাদা ও সম্মান হওয়ার কথা বেশি, কিন্তু হয় উলটা। কলেজের ছাত্র রাজনীতি করা ছেলেটি এর সাথে উঁচু স্বরে কথা বলে, যা বলে তাই তাঁকে শুনতে হয়। মাথা নিচু করে ব্যাচ পড়িয়ে কোনোমতে নিরব থেকে খেয়ে-পড়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে বাঁচার চাকরি এটা।

৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার ভাইভায় পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ সাদিক স্যার জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'তুমি প্রথম দিকে ফরেইন, অ্যাডিমিন, পুলিশ দিয়েছো, আর এতো পরে শিক্ষা কেনো?শিক্ষকতাকে এতো অবহেলা করো কেনো? একই বেতন, একই সুযোগ-সুবিধা...' তখন ক্ষমতার প্রসঙ্গটি বলা হয়নি, কারণ তাহলে তিনি অবশ্যই ধরে নিতেন নিশ্চয়ই ছেলেটি ক্ষমতার লোভে বিসিএস দিচ্ছে! অথচ বাস্তবতা হলো এই, নিজের হাতে ক্ষমতা না থাকলে কেউ ভয় পায় না, ভয় পায়না বলেই সম্মান দেয় না, সমীহ করে না। এভাবে যদি কলেজে ছাত্রের সামনে মাথা নিচু করে থাকতে হয়, শেষ বয়সে সারা জীবনের সম্বল দিয়ে বাড়ি বানাতে গিয়ে যদি চাঁদার জন্য কোপ খেতে হয়, তবে শিক্ষা ক্যাডারে মেধাবিরা আসার উৎসাহটা পাবে কই? হয় ক্ষমতা দেয়া হোক, নয়তো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হোক। নাহলে 'ক্যাডার' নামের অতিশায়ন থেকে মুক্তি দিয়ে সাধারণ ক্যাডারদের থেকে আলাদা করে দেয়া হোক।

-দেব দুলাল গুহ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১৩

...নিপুণ কথন... বলেছেন: খবরের লিংকঃ http://ctvnews24.com/?p=103012

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১১

প্রামানিক বলেছেন: এ দুখ বলার জায়গা নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.