নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
ছোট বেলায় বাসার সামনের মাঠে এলাকার সবাই মিলে খেলতাম। ছেলেমেয়ে একসাথে খেলতাম, কখনও ক্রিকেট ফুটবল, আবার কখনও ছোঁয়াছুয়ি, কানামাছি। আবার সন্ধ্যার আযান পড়লেই সবাই ফিরে আসতাম বাসায়, বই নিয়ে পড়তে বসে যেতাম। বাবা-মায়ের বাধ্য সন্তান ছিলাম। স্কুলের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, গান করতাম, খেলায় নাম দিতাম। স্কুল শেষে সাংস্কৃতিক সংগঠনে যেতাম নাচ গান আবৃত্তি নাটক করা শিখতে। আর এখন এলাকায় গিয়ে হতাশ হই।
এখনকার ছেলেপেলে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শেখার ধারেকাছেও যায় কম। খেলার মাঠটাই অনেক জায়গায় নাই। থাকলেও সেখানে খেলা না হয়ে নেশার আডডা হয়। পিচ্চিকাল থেকেই মোবাইল ফেসবুক চালায়, বাজে সাইটে যায়। বেশিরভাগই বাসা থেকে বের হয় সন্ধ্যার পর। চিপায় দাঁড়িয়ে বিড়ি গাজা খায়, ইয়াবা খায়। আমার অবর্তমানে বাসার সিঁড়িটা খালি পেয়ে সেখানেও দলবেঁধে বসে খায়। স্কুল পড়ুয়া ছেলে ৬ লাখ টাকার বাইক হাঁকায়। আর পথেঘাটে মেয়েদের টিজ করে বেড়ায়। এদেরই একজন কিছুদিন আগে আরও দাম বাইক কিনে না দেয়ায় নিজের বাবার গায়ে পেট্রল ঢেলে তাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে! ছেলেটির মা বেঁচেছে অল্পের জন্য।
এখনকার অধিকাংশ নবীন ও তরুণের অবস্থা এই। আমি এদের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান। সমস্যাটা হলো, এদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার মানে গোটা জাতিরও তাই।
অনেকে বলবেন স্কুলে এতো চাপ দেয়, কোচিং প্রাইভেট মিলে সময় কই? এর মধ্যেই খেলার সময় বের করে নিতে হয়। আর নেশাখোড়েদের পুনর্বাসন করতে হবে। ওরা সন্ধ্যার পর নেশা করা ছেড়ে ওরা বিকেলে বের হয়ে খেললেই পারে। মফস্বলে এখনও মাঠ আছে। স্কুলের থেকে স্যাররা যে চাপটা দেয়, না পড়লে নাম্বার দিবে না এই ধরণের, তা বন্ধ করা জরুরি। এসব ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকাটা সবচেয়ে বেশি। বাবা-মাকেই মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে।
-দেব দুলাল গুহ
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশে তরুণদের অবস্থা করুণ।
ভবিষ্যত কষ্টময় হবে।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫১
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: এই অবস্থার জন্য কি বাবা মায়েরা দায়ী নয়? ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক শৈশবটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। অল্প বয়সে এডাল্ট কন্টেন্ট দেখে একেকজন পার্ভার্ট হিসেবে বেড়ে উঠছে। আগামী পনেরো বছর পরেই দেশের হাল ধরবে ভয়ংকর একটা প্রজন্ম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর বলেছেন