নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই দিনে সুন্দরী প্রধানমন্ত্রী পত্র দিয়েছিল!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৬

একটু ভাব নেওয়া যাক। সে অনেক অনেক কাল আগের কথা। এই জন্মের কথা কিনা নিশ্চিত নই। তখন আমি যেই দেশে থাকতাম, সেই দেশের একজন অতীব সুন্দরী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন এমনিতে স্বশিক্ষিত, কিন্তু ওমনিতে ক্লাস এইট পাস। তাঁর আমলে আজকের এই দিনে আমি ক্লাস এইট পাস দিয়েছিলাম, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে। গোটা জেলায় মাত্র ২০ জন পেয়েছিল সে বৃত্তি।

তখন তো আর এতোকিছু জানতাম না। জানলে অবশ্যই নিজেকে শিক্ষাদীক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সমকক্ষ ভেবে মাটিতে পা ফেলতাম না। কিন্তু মনে আছে, সে কী আনন্দ পেয়েছিলাম সেদিন! বাবা মিষ্টি এনে সবাইকে খাইয়েছিলো। কোনো প্রাইভেট টিউটর ছিলো না, শুধু একটা কোচিংয়ের গিয়েছিলাম শেষ কয়েক মাস।

বৃত্তি পাওয়ার পর গোটা জেলায় নাম ছড়িয়ে পড়লো। নানা প্রতিষ্ঠান থেকে সংবর্ধনা দিয়েছিলো। সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছিলাম পরের বছরের শুরুতে, যখন জানতে পেরেছিলাম রাজধানী থেকে আমার নামে সেই সুন্দরী প্রধানমন্ত্রী নিজেই 'প্রিয় দেব দুলাল গুহ...' লিখে বিশাল দুটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন!

চিঠি দুটি এসেছিলো উপহার হিসেবে পাঠানো দুটি বইয়ের ভেতরে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই চিঠি পাঠিয়েছেন, ভেবে সে কী খুশি আমার! পরে বড় হয়ে জেনেছি, এসবই রাজনীতির অংশ। তবুও বলতে দ্বিধা নেই, ঐ উঠতি বয়সে সেই চিঠি আর উপহার দারুণ উৎসাহ দিয়েছিল।

আজ যারা জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেছো, তারা আজ থেকে সেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলে। সুতরাং আজ থেকে তোমরা মাটিতে পা ফেলো না, সবসময় জুতা পায়ে হাঁটবে। তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

যুবায়ে২৯ বলেছেন: শুধু একাডেমিক ডিগ্রীধারীকেই শিক্ষিত বলে মনে করলে,সঠিক হবে না।
প্রমথ চৌধুরীও কিন্তু স্বশিক্ষিতকেই শিক্ষিত বলেছেন।

বাংলাদেশের অনেক পিএইচডিধারী, মাষ্টার্স, অনার্স পাশ করা ব্যক্তিগনও কিন্তু তাদের সমর্থন দিচ্ছেন্। এই সব শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের বিবেচনাকে কিন্তু আপনি-আমি ফেলনা বলতে পারি না।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, রাষ্ট্রের সন্মানিত পদকে কোনভাবেই, উপহাস করা ঠিক হবে না। ভালো রেজাল্টের কি মূ্ল্য যদি ভালো মানুষ না হওয়া যায় ?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

...নিপুণ কথন... বলেছেন: সকল অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রিধারী আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। অনেকেই মনে করেন, ফানকে ফান হিসেবে নেওয়াই ভালো। আর যদি তা না পারেন, তবে আপনিও পড়ালেখা না করে পারিবারিক ক্ষমতার জোড়ে একটা ব্যবসা করুন। কারণ এখন আর আপনি ডিগ্রি ছাড়া চাকরি পাবেন না। ছাত্রলীগের একটা সাধারণত সম্পাদক হতেও এখন অনার্স ডিগ্রি লাগে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

...নিপুণ কথন... বলেছেন: ফানটাকে যখন সিরিয়াসলি নিয়েছেনই, তখন 'সুন্দরি' 'উৎসাহ পেয়েছিলাম' এইসব ভালো কথাগুলো কেন আপনার চোখে পড়ে না? সবচেয়ে বড় কথা, আপনি কারো সাথে মেলাতে চাইলে সেটা আপনার ব্যাপার। আমি এই দেশের কাউকে নিয়ে এই লেখা লিখিনি। এইট পাস প্রধানমন্ত্রী আছেন নাকি আমাদের? জানা নেই আমার।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.