|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 ...নিপুণ কথন...
...নিপুণ কথন...
	সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠানে নজরুলের গান শুনছিলাম। এমন সময় স্ক্রলে ভেসে উঠলো একটি লাইন, লাল কালিতে: 'সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর আদলে তৈরি মূর্তি সরানোর কাজ চলছে'। চমক লাগলো না, কারণ এটা অনুমিতই ছিলো। চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে এটিএন নিউজে গিয়ে দেখি লাইভ দেখাচ্ছে মূর্তি সরানোর কাজ। 
.
সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকের লোহার শিকের ভেতরের ফাঁকটুকু দিয়ে ক্যামেরার লেন্স তুলে এনেছে ভেতরের দৃশ্য। কালো টিশার্ট পড়া একজন বয়স্ক লোক, মাথায় এলোমেলো চুল, হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। টিভিতে বলছে আনুমানিক তিনি ভাস্কর্যটির ভাস্কর মৃণাল হক। তাঁকে ব্যাক্তিগতভাবে চিনি বিধায় আমি নিশ্চিত ছিলাম তিনিই মৃণালদা। মোবাইলে কথা বলছেন, আর দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। একটু পর সিগারেটে শেষ টান দিয়ে তিনি মোবাইলটা বাম হাত দিয়ে প্যান্টের বা পকেটে রেখে টিভি ক্যামেরার দিকে হেঁটে এলেন।
.
এই মৃণাল হককে চেনা যাচ্ছিলো না। কোনো এক রাতে আনুমানিক ১১টার দিকে আগের অফিস থেকে ফেরার পথে হোটেল শেরাটনের সামনে 'রাজসিক' এর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করতে দেখেছিলাম তাঁকে। সেদিন তিনি ছিলেন প্রাণচঞ্চল, হাসিমুখে কথা বলেছিলেন। আজ তাঁর চোখে জল, গা জড়িয়ে নেমে আসছে ঘাম। টিশার্টের বোতামগুলো খোলা। জানতে চাওয়া হলো, তিনি এতো রাতে এখানে কেন? কর্তৃপক্ষ কই? তিনি জানালেন, যাতে ভাস্কর্যটি অন্য কেউ সরিয়ে ফেলতে গিয়ে ভেঙে না ফেলে তাই তিনিই ছুঁটে এসেছেন। পরবর্তী প্রশ্ন, সরাতে হচ্ছে কেন দাদা? সরাসরি জবাব না দিয়ে নানামুখী চাপের কথা বললেন তিনি, যেহেতু তিনিই তৈরি করেছেন, তাই তাঁর ওপরই নাকি চাপটা বেশি। ভাস্কর্যটির পোশাক দেখিয়ে বললেন, এটা তো শাড়ি-ব্লাউজ পড়া বাঙালি মেয়ে, ন্যায়বিচারের প্রতীক, গ্রিক আমেরিকান মূর্তি হবে কেন? এরপর নির্দেশ আসবে অপরাজেয় বাংলা সরাও, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরাও, রাজু ভাস্কর্য সরাও..'
.
কথার এক পর্যায়ে লালন ভাস্কর্যে কোটি টাকার ওপর লস খাওয়ার কথা বলে ভাস্কর মৃণাল হক বললেন, আমেরিকায় খুব ভালো ছিলাম আমি। গোটা নিউ ইয়র্ক সিটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির দায়িত্ব ছিলো আমার ওপর। দেশে ফিরে কী পেলাম? সবাই যে বলে দেশপ্রেম দেশপ্রেম, আমি তো এসে দেশপ্রেম দেখিয়েছি। অন্যরা আমার কাজের সমালোচনা করে, তারা কেন এসে করে না?
.
ভাস্কর্যটি কোথায় সরানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'অ্যানেস্কের সামনে হতে পারে'। এরপর 'সব কথা বলতে চাচ্ছি না, আপনারা আমায় ক্ষমা করেন' বলে ভাস্কর্য সরানোর কাজ তদারকের কাজে আবার ফিরে গেলেন ভাস্কর মৃণাল হক। বুকে কান্না চেপে যেন নিজ হাতে সন্তানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছেন এক পিতা। 
.
জয় বাংলা। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার।
 ১৯ টি
    	১৯ টি    	 +৪/-০
    	+৪/-০  ২৬ শে মে, ২০১৭  ভোর ৪:২৩
২৬ শে মে, ২০১৭  ভোর ৪:২৩
...নিপুণ কথন... বলেছেন: নিকুচি করি আপনার ধন্যবাদের।
২|  ২৬ শে মে, ২০১৭  রাত ৩:৫৯
২৬ শে মে, ২০১৭  রাত ৩:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন: 
মানবী বলেছেন, " তাঁর প্রতি সন্মান রেখেই বলছি, এই ভাস্কর্যটি আমার কাছে মোটেও দৃষ্টি নন্দন মনে হয়নি। শাড়ি পরিহীতা না স্কার্ট সে বিষয়টি গুরুত্বহীণ রেখে বিবেচনা করেই মনে হয়েছে ভাস্করটি দৃষ্টি কটূ। "
- আপনার চোখে সুন্দর লেগেছে, সেই রকম একটি  ভাস্কর্যের নাম বলুন; পারলে ছবি দেন।
৩|  ২৬ শে মে, ২০১৭  ভোর ৫:৪২
২৬ শে মে, ২০১৭  ভোর ৫:৪২
কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লগের মধ্যে যে রকম মহিলা সাম্প্রদায়িক ভাবাপন্ন ব্লগার দেখি, আশ্চর্য হই নাই মাদ্রাসায় পড়ুয়া আম-জনতা মানুষ এই ভাস্কর্য কে সহ্য করতে পারবে না। কিন্তু তারা ঘোড়ার পিঠে সরোয়ার তলোয়ার হাতের মুসলিম সেনাপতির 'ভাস্কর্য' নিয়ে কিছু বলবে না।
৪|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ৮:৪২
২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ৮:৪২
না মানুষী জমিন বলেছেন: '...এরপর নির্দেশ আসবে অপরাজেয় বাংলা সরাও, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরাও, রাজু ভাস্কর্য সরাও..' --- চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে গেলে....আমরা আর কি করব, ব্লগে কয়দিন কিছু গরমাগরম লেখালেখি, ফেসবুকেই দু'তিন দিন শুধু ঝড় বইয়ে দেয়া...এই তো, দায়িত্ব শেষ। যাদের কার্যসিদ্ধ করার তারা ঠিকই করে ফেলবে....আমরা আবার আগের মত।
৫|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ৯:৩০
২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ৯:৩০
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: মানবী বলেছেন, "শাড়ি পরিহীতা না স্কার্ট............."
ছিঃ ছিঃ...........মানবী এত খারাপ............
৬|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ৯:৩৪
২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ৯:৩৪
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: 
৭|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ৯:৫৫
২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ৯:৫৫
মাহিরাহি বলেছেন: ভাস্কর্যের জন্য এত কান্নাকাটি, ঢাকা শহরের এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিরন্ন মানুষের জন্য আপনাদের খারাপ লাগে না।
ভাস্কর্যের টাকা দিয়ে কম সে কম ১০০ টি দরিদ্র পরিবারকে আইনি সহায়তা দেয়া যেত, যারা কিনা পয়সার অভাবে ন্যায় বিচার পায় না।
৮|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ১০:২৬
২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ১০:২৬
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ভাস্কর্যের মতো ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা অনিয়মগুলি দূর করতে পারলেই হতো।
৯|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ১০:৫৫
২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ১০:৫৫
সাওরন বলেছেন: মুরতি পুজোক ? মোনডিরে জানা বেটা
১০|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ১০:৫৭
২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ১০:৫৭
সাওরন বলেছেন: রামবাবুদের কাননা দাদার দেশে জাননা
১১|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ১১:২২
২৬ শে মে, ২০১৭  সকাল ১১:২২
খরতাপ বলেছেন: তুচ্ছ ভাস্কর্যের জন্য যেভাবে সবাই নাকের জল চোখের জল এক করে ফেলছেন, তা দেখে মনে পড়ে যাচ্ছে আবু সুফিয়ানের কথা। মক্কা বিজয়ের পর কাবা ঘরের মূর্তি ভাঙার জন্য যখন আবু সুফিয়ান আর উমর কে পাঠানো হল, তখন আবু সুফিয়ান একটা করে কোপ মারছিল আর পাগড়ি দিয়ে চোখ মুছছিল। আজকের আবু সুফিয়ানদের কোপ মারার মত হিম্মত নাই, ব্লগে বসে বসে কেবল কান্নাকাটি!!!
কে যেন সুন্দর ভাস্কর্য দেখতে চেয়েছেন। এই দেখেন, এই ধরণের ভাস্কর্য আমাদের চোখে সুন্দর।
   
  
  
 
 
১২|  ২৬ শে মে, ২০১৭  দুপুর ১:৩৩
২৬ শে মে, ২০১৭  দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: পাথরের এক নারীর উপস্থিতি সইতে পারে না রাষ্ট্র। ৮ কোটি জীবন্ত নারীর সম্মান দেবে কে?
১৩|  ২৬ শে মে, ২০১৭  দুপুর ২:০৬
২৬ শে মে, ২০১৭  দুপুর ২:০৬
সাওরন বলেছেন: পাথর সময়ে পাথরের নারীর পাত্তা কোথায় ?
১৪|  ২৬ শে মে, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৫৯
২৬ শে মে, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৫৯
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস  বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: পাথরের এক নারীর উপস্থিতি সইতে পারে না রাষ্ট্র। ৮ কোটি জীবন্ত নারীর সম্মান দেবে কে? 
এখানে আবার লিংগ বৈষম্য টেনে আনছেন কেন? থেমিসের জায়গায় হারকিউলিস থাকলেও একই পরিণতি হতো।
১৫|  ২৬ শে মে, ২০১৭  রাত ১০:০৫
২৬ শে মে, ২০১৭  রাত ১০:০৫
অস্থায়ী জীবন বলেছেন: থেমিস তো বাংলাদেশের কিছূ না, মুক্তিযুদ্ধের সাথেও তার কোন সম্পর্ক নেই। আর এমনওতো না যে ঐ মূর্তি বা ভাষ্কর্য থাকা অবস্থায় ন্যায়বিচার হয়েছে কিন্তু এখন মূর্তি বা ভাষ্কর্য নাই তাই ন্যায় বিচার হবে না!!!!!
১৬|  ২৬ শে মে, ২০১৭  রাত ১১:৪৩
২৬ শে মে, ২০১৭  রাত ১১:৪৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্থাপনের আগেই ভাবা দরকার ছিল। সরাতে হবে কিনা।
১৭|  ২৭ শে মে, ২০১৭  রাত ১:৩৪
২৭ শে মে, ২০১৭  রাত ১:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: দেশে কতশত সমস্যা।
১৮|  ২৭ শে মে, ২০১৭  রাত ১:৫২
২৭ শে মে, ২০১৭  রাত ১:৫২
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: আজকের দাবি নাকি দেশে কোন মূর্তি থাকবেনা!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৭  রাত ৩:৫৩
২৬ শে মে, ২০১৭  রাত ৩:৫৩
মানবী বলেছেন: বাংলাদেশের শিল্প জগতে মৃণাল হক এক উজ্জল নক্ষত্র! যে কজন ভাস্করের নাম দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মুখে ও মনে তিনি তাঁদের একজন।
তাঁর প্রতি সন্মান রেখেই বলছি, এই ভাস্কর্যটি আমার কাছে মোটেও দৃষ্টি নন্দন মনে হয়নি। শাড়ি পরিহীতা না স্কার্ট সে বিষয়টি গুরুত্বহীণ রেখে বিবেচনা করেই মনে হয়েছে ভাস্করটি দৃষ্টি কটূ।
আমাদের সুপ্রিম কোর্ট এসব সাজ সজ্জা ছাড়াই দৃষ্টি নন্দন। দেশের সকল কোর্টের বিচার ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমেই শুধু এর সৌন্দর্য্য বর্ধন সম্ভব, কোন চিত্র শিল্প বা ভাস্কর্য দিয়ে নয়।
আশা করি মৃণাল হক জীবনের কোন এক সময় অনুধাবন করবেন তাঁর অন্যান্য সৃষ্টি এই ভাস্কর্যের তুলনায় অনেক অনেক বেশি দৃষ্টি নন্দন!
পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ ...নিপুণ কথন...