নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
জেলখানায় হাত-পা বাধা অবস্থায় এক আসামীর খুব কাছেই ফুটেছে খুব সুন্দর একটি গোলাপ। দেখেই প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো। ছেলেটির আক্ষেপ, আরও আগে কেন গোলাপটি তার জীবনে এলো না? কিছুদিনের আলাপচারিতায় গোলাপের মনটাও বুঝতে পারলো সে; কষ্টের স্মৃতি আছে সেই মনে, আছে ভালোবাসাও। ছেলেটি ভালো করেই জানে, এই কারাগার থেকে বের হয়ে গোলাপের কাছে যাওয়া তার জন্য প্রায় অসম্ভব। তবুও সে হৃদয়পদ্মে জন্ম নেওয়া এই আবেগ আর এই ভালোবাসাকে অসম্মান করতে চায় না। গোলাপটিও ভাবে, ভবিষ্যতে কী হবে তা ভেবে এখনই হতাশ হওয়া কেন? এমন ভালোলাগা তো আর জীবনে বারবার আসে না! সুতরাং, আস্তে আস্তে ছেলেটি গোলাপের প্রেমে পড়ে গেলো। গোলাপটিও সারাদিন ছেলেটির দিকেই মুখ করে বসে থাকতো, ভালোবাসামাখা মজ্জায় সেই মুখ হতো অবনত।
.
একদিন সেই আসামীকে অন্য একটি কারাগারে সরিয়ে নেয়া হলো। সেখান থেকে গোলাপটির দেখা মেলে না। সারাক্ষণ অস্থিরতায় ছটফট করে ছেলেটি, গোলাপের মনেও শূণ্যতা সৃষ্টি হয়। অথচ প্রকৃতি নাকি শূণ্যতা পছন্দ করে না! আউট অব সাইট, আউট অব মাইন্ড! তাই, প্রাকৃতিক নিয়মেই সুন্দর গোলাপের আশপাশে ভ্রমরসহ অন্যান্য পোকা তার পাণিপ্রার্থী হয়ে ভিড় জমায়। গোলাপ গাছটির পরিচর্যাকারী নতুন ছেলেটিও গোলাপের প্রেমে পড়ে যায়। সে খুব চালাক। ও খুব ভালো করেই জানে, এটাই সুবর্ণ সুযোগ। ধীরে ধীরে গোলাপের সব বন্ধু, লালপিঁপড়া কালোপিঁপড়া পাশের গাছের ফুলটার সাথে কৌশলে খাতির জমায় সে।
.
এতে দারুণ কাজ হলো। এতদিন সেই ছেলেটির প্রতি ভালোবাসা থেকে অন্য কাউকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দিতো না ও, সবসময় গায়ের খুব কাছেই বড় বড় কাঁটা জাগিয়ে রাখতো। একদিন বন্ধুদের প্ররোচনায় আর সেই মালির লেগে থাকায় কাজ হলো। তাকে বোঝানো গেলো, সেই ছেলেটি আর কোনোদিনই ফিরে আসবে না। কাজেই, ওর কথা ভেবে শুধু শুধু তোমার নিজের জীবন-যৌবন শেষ করার কিছু নেই। গোলাপটিও অনেক কষ্টে আস্তে আস্তে ছেলেটিকে হৃদয়ের এক কোণে দাফন করে ফেললো। সব স্মৃতি সব কথা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করলো। এভাবে একদিন, মালি সফলতার সাথে গোলাপটি ছিঁড়ে নিয়ে নিজের করে নিতে সক্ষম হলো।
.
কিছুদিন পর ছেলেটিকে আবার সেই আগের কারাগারে আনা হলো। এখানে আসার আগে ও মনে মনে দৃঢ় সংকল্প করেছিল, যে করেই হোক এবার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই সে গোলাপের হাত ধরে ছুঁটে পালাবে। কিন্তু হায়! গোলাপটাকে আর সেই গাছে দেখা গেলো না। গাছে ফুটন্ত অন্য গোলাপগুলি তাকে বিন্দুমাত্র আকর্ষণ করতে পারলো না। সে খুব কষ্ট পেলো। খোঁজ নিয়ে খাওয়ার সময় থাল ধোয়ার বাহানায় সে মালির বাসায় গেলো। গোলাপ বললো, 'তোমার আমার সম্পর্ক কেউ মেনে নেবে না, জেনেই আমাকে মনে পাথরচাপা দিয়ে এ কাজ করতে হয়েছে। তুমি চলে যাও, সম্ভাবনা নয় নিশ্চয়তার দিকে যাও। আমি সুখে আছি, আমায় সুখে থাকতে দাও'।
.
এর কিছুদিন পর, সকালবেলা কারাগারের পাহাড়াদারের ডাকাডাকি শুনে প্রধান কারারক্ষী সেখানে গিয়ে দেখেন, সেই কারাগারে সেই ছেলেটি রক্তাক্ত অবস্থায় মরে পড়ে আছে। ডান হাতের কব্জির ভেইন তার ক্ষতবিক্ষত, পাশেই পড়ে আছে সেই গোলাপের কাটাভর্তি একটি ডাল! পিছের দেয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা, 'ভালোবাসি'।
দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
বারাক ওসামা বিন পুতিন বলেছেন: ভাল
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
কল্পদ্রুম বলেছেন: ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ব্রেকিং নিউজঃ
সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন সামহোয়্যারইন ব্লগের সম্মানিত মডারেটর "কাল্পনিক ভালোবাসা"
আজ সকাল ১১ টায় ল্যাব এইডে তিনি নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন) কিছুদিন ধরে তিনি চিকন গুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ল্যাব এইডে ভর্তি হন।
গতকাল সন্ধ্যায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আজ সকালে ডাক্তার তাকে া৳ত ঘোষণা করেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন