নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
একটা মেয়ে একা চুল খুলে একটু সুন্দর করে সেজে রাস্তায় হেঁটে যাবে, অথচ তাকে কোনো বাজে কথা শুনতে হবে না, তার গা ঘেঁষে যাওয়ার সাথে সাথে তার শরীরকে কোন না কোনোভাবে জোরপূর্বক ছুঁয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে না কোনো পুরুষ, এমন একটা সমাজ আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। এটা আমাদের লজ্জা, যে মেয়েদের রাস্তায় একা চলতে গিয়ে সম্মুখীন হওয়া বাজে অভিজ্ঞতার কথা আমাদেরকে শুনতে হয় এবং আমরা কিছুই করতে পারি না, আমরা ঐ শুয়োরগুলোকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে পারি না।
ওদেরকে কেনো রাজনৈতিক পরিচয় দেওয়া হয়?
.
রাস্তায় চলাফেরার পথে একটা সুন্দরী মেয়েকে দেখে আমারও ভালো লাগতেই পারে। আমি তার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকাই, হয়তো ফিরে ফিরে বেশ কয়েকবার তাকাই, তারপর মেয়েটিও দূরে চলে যায়, আমিও আমার পথে চলে যাই। এতে দোষের কিছু নেই।খুব ইচ্ছা হলে মেয়েটির সঙ্গে পরিচিত হতেও পারি।( এটুকুও আমাকে দিয়ে এই পর্যন্ত হয়নি), কিন্তু এতেও দোষের কিছু নেই। অপরিচিত একটা মেয়েকে দেখে আমার ভালো লাগতেই পারে, আমি তার প্রেমেও হাবুডুবু খেতে পারি। এটা আমার শরীরের হরমোনের কাজ, স্রষ্টা আমাদেরকে এভাবেই বানিয়েছেন। কিন্তু আমি কেনো মেয়েটির শরীর ছুঁতে চাইবো? কেনো তাকে পণ্য ভাববো? কেনো তাকে টিজ করতেই হবে আমার? আমি বুদ্ধিমান হলে তো আমার বোঝা উচিত, এসব করে মেয়েদের মন পাওয়া যায় না। তবে কেন আমি এসব করতে যাবো?
.
এই সমাজটা পচে গেছে। আমাদের চিন্তায় আমাদের মননে আমাদের দৃষ্টিতে ভাইরাস ঢুকে গেছে। আর বিশ্বাসে তো ঢুকেছে সেই কবেই! ভালোকে আমরা কেউ ভালো থাকতে দেই না। খারাপকেই মাথায় তুলে নাচি। যে ছেলেটা সততা ও নীতি নিয়ে চলতে চায়, তাকে সবাই মিলে বিপদে ফেলার চেষ্টা করি, সবাই মিলে তার পিছে লাগি, তার জীবনটাকে নরক বানিয়ে ফেলি । যে মেয়েটি একটু দেখতে সুন্দর, একটু নরম, আমরা তাকে পথেঘাটে উত্যক্ত করি, তাকে ভালো থাকতে দেই না। এ কেমন জাতি গঠন করছি আমরা?
.
এ কেমন মানসিকতা আমাদের, যে আমরা ভালোকে ভালো থাকতে দেই না, প্রতিবাদী মেধাবি ছেলেটিকে আমরা কোন মুখে নির্লজ্জের মতো স্রোতে গা ভাসাতে বলি? কেন তার বিপদের ভয় না দেখিয়ে বিপদ যাতে তার দুয়ারে না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখি না? নিজে যা পারিনি, অন্যে তা করতে চাইলে কেনো বাধা দেই, কেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই না?
.
কেন আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের এই দিনে একটি মেয়ে রাস্তায় নিগৃহীত হয়ে সারা শরীরে ব্যথা নিয়ে এসে ঘরে বসে চোখ ভিজিয়ে ফেলছে? কেনো সে দেশ ছাড়ার কথা ভাবছে? আমরা কবে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাবো? কবে মানুষ হবো?
দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব নিয়ে এখন আর ভাবতে ইচ্ছে করেনা। আমাদের অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এসব কিছুই যেন একদিন প্রতিবাদহীন, গা সওয়া হয়ে যাবে, বা ইতোমধ্যে তা হয়েই গেছে।
মানবিক মূল্যবোধ আজ তিরোহিত, পাশবিক হর্ষবোধ সোল্লাসে আবির্ভূত, যুবসমাজের মননে প্রতিষ্ঠিত।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
খাঁজা বাবা বলেছেন: নষ্ট মানুষ
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭
বোববুরগের বলেছেন: where are you getting this news from? I live abroad and don't know which news sources are trustworthy
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বাঙালি পুরুষের আসলে মানুষ হওয়া উচিত।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
বারিধারা ২ বলেছেন: খুলাফায়ে রাশেদার আমল ছাড়া আর কোন শাসনামল আমাদেরকে এরকম সমাজ উপহার দিতে পারেনি। কিন্তু খেলাফত মানুষের পছন্দ নয় - এর নিয়মনীতি খুব কড়া। শাস্তি এড়ানোর কোন উপায় নেই।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ...নিপুণ কথন... ,
একটা আহাম্মক, অশিক্ষিত, অমানুষ আর বেলেহাজ, বেতমিজ, বেআক্কেল জাতি গঠন করছি আমরা.............................
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩২
মাষ্টার দা’ বলেছেন: আমাদের সমাজ পচে গেছে!
তাদের পেটানোর কথা বলছেন? কার ধরে কটা মাথা? চেতনার দলের অনুষ্ঠানে চেতনার ধ্বজা ধারীকে রাস্তয় পেটাবে!
আপনাকে উল।টো রাজাকার বানিয়ে নগদা তক্তা বানিয়ে দেবে!
এমনই উলঙ্গ স্বৈরাচারিতার মাঝেই মূখবুঝে বসবাস করছে অসহায় নাগরিকরা!
দু:খজনক! ধিক্কার ঐ শুয়োরদের প্রতি