নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
ভণ্ডাচার্যের কথা শুনে এই যে আপনারা বুদ্ধি-প্রতিবন্ধীর মতো রাস্তায় নেমে উগ্রতা দেখিয়ে সহিংসতা করে জ্বালাও-পোড়াও করে জীবন দিচ্ছেন ও নিচ্ছেন, এতে আপনার কী লাভ হচ্ছে একবার কি তা ভেবেছেন?
সে তো ফ্রান্সের প্যারিসে বসে আপনাকে উস্কানি দিয়ে ভিডিও বানিয়ে আর রঙবেরঙের স্বপ্ন দেখিয়ে ভিউ ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে সেই টাকায় মউজ-মাস্তি করছে। কিন্তু আপনি কী পাচ্ছেন?
সে তো বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর একটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে নিরাপদে আছে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে, বাংলাদেশের সরকারেরও এক হিসেবে ধরার সীমানার বাইরে। তার উপর সেখানে কেউ হামলা করছে না, সে বাংলাদেশের রাস্তায়ও নামছে না। কিন্তু আপনি তার উস্কানিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফাঁদে পা দিয়ে রাস্তায় যে নামছেন, আপনার জীবনের নিরাপত্তা কি সে দেবে?
ফ্রান্স মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী একটি দেশ, সেখানে সমকামিতা হালাল, মদ-পরকিয়া সব জায়েজ। সেখানে সে আশ্রয় পেয়েছে এইসব গুজব রটিয়ে ও সরকারের বিরুদ্ধে লিখে নিজের উপর ইচ্ছা করে ঝুঁকি নিয়ে এসে। কিন্তু আপনার মতো যারা তার কথায় নেচে জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছেন, আপনি পালাবেন কোথায়? আপনার মতো কয়জনকে ফ্রান্স আশ্রয় দেবে? নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রিত হয়ে থাকবেনই বা কেন? এটা কি সম্মানের?
তার কথা শুনে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়েছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা। তাদেরকে পুলিশ নিষেধ করে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও তারা সেখানে ঐ দেশের আইন ভেঙে বিক্ষোভ করেছে। ফলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ৫৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সেই দেশের সরকার শাস্তি দিয়েছে। কাউকে দিয়েছে যাবজ্জীবন, কাউকে ১১ বছর, বাকিদের ১০ বছর করে শাস্তি দিয়েছে। এদের দায়িত্ব ভণ্ডাচার্য নেয়নি। এদের পরিবার না খেয়ে মরলেও সে তাদেরকে টাকা পাঠাবে না। বাংলাদেশ সরকারও তাদেরকে হেল্প করবে না। তারা বলে দিয়েছে যে যেই দেশে আছে, সেই দেশের আইনকানুন মেনে চলতে। সাজা ভোগ হলে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাবে।
আপনি কি চান আপনার অবস্থা এদের মতো হোক?
আচ্ছা, পিনাকী যতটা সহজ বলে, প্রতিটা ভিডিওতে যে বলে এখনি পড়ে যাবে সরকার, আসলে সরকার পতন কি এতই সহজ? টানা চতুর্থ মেয়াদে ১৫ বছর পূর্ণ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। প্রধানমন্ত্রী যিনি আছেন, তিনি বাংলাদেশের জাতির জনকের কন্যা এবং বাংলাদেশের সর্বাধিকবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কি এতই অদক্ষ যে এইসব বিদেশে পলাতকদের কাছে হেরে যাবেন এত সহজেই, দেশের সব ক্ষমতা নিজের হাতে রেখে, পুলিশ-র্যাব-আনসার-বিজিবি-স্পেশাল অন্য ফোর্সেস থাকতে, এত বড় সেনাবাহিনী থাকতে, নিজের এত বিশাল কর্মীবাহিনী থাকতে, রাশিয়া-ভারতের মতো বন্ধু পাশে থাকার পরেও?
না, বিষয়টা এত সহজ না। তিনি চরম ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা জড়িত বলেই কিনা জানি না, কিন্তু দিচ্ছেন। কিন্তু এটাকে তাঁর দুর্বলতা ভাবলে কি হবে? হবে না।
ভুলে গেলে চলবে না, বোন বাদে পরিবারের সবাইকে আততায়ীর গুলিতে হারিয়ে তিনি সাহস নিয়ে একা দেশে ফিরে দলকে সুগঠিত করেছেন, বিএনপির মতো দলকে তিনি প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন, যারা সর্বাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলো, জামাত-শিবিরকে করেছেন নিষিদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিয়েছেন, দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন অসীম দক্ষতায়, বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের টাকায় করেছেন পদ্মা সেতু, করেছেন মেট্রোরেল। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকারটা মিলায়ে দেখেন। দেশেবিদেশে তাঁর অনেক বন্ধুও আছে।
তাই, অন্যের উস্কানিতে নিজের জীবন ঝুঁকিতে না ফেলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন। দেশের সম্পদ বিনষ্ট করবেন না, মানুষ মারবেন না। আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এভাবে পেছন দরজা দিয়ে এই আধুনিক বিশ্বে ক্ষমতায় আসা যায় না। গণভবন দখল করা এত সহজ না যতটা সহজ বলে আপনাকে আগুনের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ঐ ভণ্ড ভিউ ব্যবসায়ী। নির্বাচন এলে সোজা দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারলে আইসেন। কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে এই নাশকতা, দেশ ধ্বংসের পায়তারা বন্ধ করুন। এনাফ ইজ এনাফ।
দেব দুলাল গুহ
©somewhere in net ltd.