নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলন অতি সন্নিকটে। সেখানে সদলবলে যাচ্ছেন প্রফেসর ইউনূস। কিন্তু তিনি সেখানে সরকার প্রধান হিসেবে যাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত করা যায় নি। কেননা একটি সূত্রের খবর শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র হাতে পায়নি জাতিসংঘ। সেক্ষেত্রে আইনত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় শেখ হাসিনার নাম থাকার কথা। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
কেন যেন মনে হচ্ছে, সবই হচ্ছে শেখ হাসিনা ও তাঁর বন্ধুদের প্ল্যান বি অনুসারে। স্বাভাবিক নিয়মে বা অতিরিক্ত রক্তপাতের মাধ্যমে গণভবনে বসে থাকলে, বিভিন্ন টিভি ক্যামেরা, দ্রোণ ও স্যাটেলাইট ফুটেজ দেখে তা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরে বহিঃশক্তির এখানে এসে 'গণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠা'র সুযোগ ছিলো। পাশাপাশি সাধারণ সহজসরল জনতার চোখে আরও ভিলেইন বোনে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। তাই কি তিনি ৪ অগাস্ট গভীর রাতেই দেশ ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছিলেন সুযোগ বুঝে প্রকাশ্য হওয়ার জন্য?
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ববাসীর কাছে দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা অবস্থা, কেন ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন, দেশটা কোনদিকে যাচ্ছে, কারা এর পিছে জড়িত, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কী করণীয়, কেন তাঁকেই ক্ষমতায় রাখা উচিত বিশ্বনেতাদের-- তা তুলে ধরতে কি তবে জাতিসংঘে যাচ্ছেন দেশছাড়া শেখ হাসিনা?
কিন্তু সূত্র বলছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র নাকি শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে। আবার বাংলাদেশ তাঁর অফিসিয়াল পাসপোর্টও বাতিল করেছে। তাহলে? সেক্ষেত্রে ভারত একটি শক্তিশালী ভূমিকা নিতেই পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে সফরসঙ্গী করে নিয়ে যেতে পারেন। আবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্প্রতি যে নরেন্দ্র মোদির কাছে ফোনালাপে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশকে যে মার্কিনিদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার লাল তালিকায় ফেলেছেন, এতে বুঝা যায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় আমেরিকা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়তো নয়। সেক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে শেখ হাসিনাকে বিশ্বের সামনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ একটা দিলেও দিতে পারে আমেরিকা। সেক্ষেত্রে খেলা কিন্তু জমে যাবে!
এদিকে, আজই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাঁর দেশের তিন বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশ্যে যেকোনো সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ভারত আগ বাড়িয়ে যুদ্ধ করবে না, কিন্তু নিজেদের শান্তিরক্ষার্থে তাঁরা প্রস্তুত। কাজেই, ডম্বুর বাঁধের উদ্দেশ্যে মার্চ করা জনতা, চিকেন নেক দখল করতে চাওয়া শক্তি, সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করতে চাওয়া শকতি এবং চীন, আমেরিকা-- সবার প্রতিই এটা তাঁর একটা শক্তিশালী বার্তা বটে। অর্থাৎ ভারত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। প্রয়োজনে একাত্তরের মতো আরেকবার বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকেও শান্তিরক্ষা করতে কি তারা প্রস্তুত?
ভারত প্রথমে যুদ্ধ ঘোষণা করবে না বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, কিন্তু বাংলাদেশ যদি যুদ্ধ ঘোষণা করে, তাহলে বাস্তবতা হলো তাঁদের বিরুদ্ধে জেতার কোনো চান্স নেই, একটা দিন টেকাই মুশকিল হয়ে যেতে পারে। পাকিস্তান বর্তমানে একাত্তরের চেয়েও অনেক গুণ খারাপ অবস্থায় আছে। তারা এখন ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবে না। একাত্তরের মতো সেভেন ফ্লিট চলে আসবে? নিজেদের শান্তির জন্যই ভারত প্রয়োজনে সেটাও রুখে দিতে চাইতে পারে। তবে তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা শত্রুর শত্রু বন্ধু হয়। আমেরিকা জানে এই অঞ্চলে চীনকে টেক্কা দিতে তার ভারতকে লাগবে। সেক্ষেত্রে চীন কি সরাসরি যুদ্ধে নামবে? চীনের সর্বোচ্চ নেতা ও প্রেসিডেন্ট শুনেছি খুব অসুস্থ।
কিন্তু খেলা যে একটা হবে, তা নিশ্চিত।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নতুন বলেছেন: কিন্তু সূত্র বলছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র নাকি শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে। আবার বাংলাদেশ তাঁর অফিসিয়াল পাসপোর্টও বাতিল করেছে। তাহলে? সেক্ষেত্রে ভারত একটি শক্তিশালী ভূমিকা নিতেই পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে সফরসঙ্গী করে নিয়ে যেতে পারেন।
যার ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট নাই, ভিসা নাই! তাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রি সাথে করে আমেরিকা নিয়ে যেতে পারেন? তারপরে শেখ হাসিনা জাতিসঙ্গে যখন ড: ইউনুসকে বক্তৃিতা দিতে ডাকবে তিনি চট করে ডায়েসে উঠে যাবেন!!!
কেন যেন মনে হচ্ছে, সবই হচ্ছে শেখ হাসিনা ও তাঁর বন্ধুদের প্ল্যান বি অনুসারে। স্বাভাবিক নিয়মে বা অতিরিক্ত রক্তপাতের মাধ্যমে গণভবনে বসে থাকলে, বিভিন্ন টিভি ক্যামেরা, দ্রোণ ও স্যাটেলাইট ফুটেজ দেখে তা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরে বহিঃশক্তির এখানে এসে 'গণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠা'র সুযোগ ছিলো।
আপনি কি আশা করেছিলেন যে ভারত দেশে সেনা পাঠাতো শেখ হাসিনাকে রক্ষার জন্য?