![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
ভারত থেকে পণ্য আনাটা ছিলো সহজ, দামেও তুলনামূলক সস্তা। কারণ মাঝখানে অন্য কোনো দেশ নাই, আমরা-আমরাই আর সম্পর্ক ছিলো ভালো। এরপর পিনাকী-ইলিয়াস গংয়ের 'কল্যাণে' ভারত বয়কট আন্দোলন মালদ্বীপের পর বাংলাদেশেও শুরু হলো। মালদ্বীপ আবার ভারত গিয়ে সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে ফেললেও আমাদের অনেকেই গো ধরেই বসে রইলেন যে ভারত থেকে পারত:পক্ষে কিছু কিনবো না। কেননা ভারতবিরোধী আন্দোলনই রূপ নিয়েছিলো সরকার পতন আন্দোলনে, এখন নতুন সরকারও ভারত থেকে কিনলে আর বয়কটের ইজ্জত থাকলো কোথায়?
তো, এরপর ভারতও ভিসা বন্ধ করে দিলো। শুধু জরুরি মেডিক্যাল ভিসা ছাড়া বাকি সব বন্ধ। আমি নিজেও ভিসা পাচ্ছি না ২+ বছর ধরেই। ফলে, নিকটবর্তী অন্য প্রতিবেশী পাকিস্তান-মায়ানমার থেকে পণ্য কিনতে হচ্ছে। কারণ আমেরিকা বা চীন থেকে তো এতোদূর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি সম্ভব নয়! এতটাই পরিবহণ খরচ আসবে যে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হবে। পাকিস্তান যা ভারত থেকে আমদানি করে, সেটাই আমাদেরকে দেয় মাঝখানে নিজের লাভ রেখে! যেহেতু তারাই আমাদের নব্য মিত্র, তাই তাদেরকে এই লাভটুকু দিয়ে মনে হচ্ছে আমাদের অনেকেও খুশি!
এখন কথা হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে পণ্য আসার কি ভারত সংলগ্ন ভারতীয় মহাসাগরের রাস্তা হয়ে বঙ্গোপসাগর দিয়ে যে রাস্তা, সেটা ছাড়া আর কোনো সস্তা পথ আছে? আমার জানা নাই। বিমানে আনতে হলেও তো মাঝে ভারত, আর খরচ বেশি! এত বয়কট আন্দোলন, ভারতকে এত গালি দেওয়া, ভারতীয় পতাকা পোড়ানো, এত এত লং মার্চ করা, সেভেন সিস্টার্স দখল করার হুমকি দেওয়ার পরেও ভারত কিন্তু সমুদ্রে বাংলাদেশের কোনো জাহাজ আটকিয়েছে বলে জানা যায়নি। ভারতকে ট্যাক্স দিতে হয়েছে বলেও জানা নেই। কিন্তু দেখুন মায়ানমার থেকে পণ্য আনতে মাঝখানে আন্তর্জাতিক সীমানায় থাকা নাফ নদীতে আরাকাম আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে!
নাফ নদীতে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের জাহাজ দেখলেই বলতে গেলে গুলি করতো। আমাদের কয়েকটা ফিশিং জাহাজকে ওরা আন্তজার্তিক সমুদ্রসীমা থেকে ধরে নিয়ে গেছে কয়েকবার। সেই থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়া-আসা প্রায় বন্ধ। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে তারা বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। মানবতার খাতিরে হোক বা আন্তর্জাতিক চুক্তির কারণে বা নোবেলের আশায়, তাদেরকে ঠাঁই দিয়েছেন। চ্যানেল আইতে লেখা আমার নিষেধ ও বিশ্লেষণ কেউ শোনেনি। বরং অনেকে হুংকার ছেড়ে বলেছে, ওরা আমাদের ভাই, আমরা না খেয়ে থাকলেও ওদের খাওয়াব। অনেকে একাত্তরের তুলনা দিয়েছেন!
আমি ২০১৭ সালেই বলেছিলাম, ভারতের বাংলাদেশীদেএ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ের সাথে এর তুলনা চলে না। এরা যাবেও না ফিরে, জন্মনিয়ন্ত্রণও করবে না, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে এবং একদিন চিটাগাং দখলে নেবে। চিটাগাং এখনও দখলে যায়নি, তবে সেদিকেই যাচ্ছে। কক্সবাজারের অধিকাংশ অপকর্ম এরাই করে। এরাই করবে। ভাসানচরে ওরা আর যাবে না, নিজ দেশেও ফিরে যাবে না। কারণ যারা ওদেরকে তাড়িয়েছে, এখন তারাই আরাকান রাজ্যর ক্ষমতায়, আগে তো সেখানে মিয়ানমারের আর্মিও ছিলো। আরাকান রাজ্য আলাদা রাষ্ট্র হয়ে গেলো বলে! সেখানে রোহিঙ্গাদেরকে আপনি একমাত্র সীমান্তে নিয়ে বন্দুক উঁচা করে ফেরত পাঠানো ছাড়া আর কোনোভানবেই ফেরত পাঠাতে পারবেন না। আর এই কাজটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত নোবেল লরিয়েট কিছুতেই করবেন না অন্তত নিজের ইমেজ নষ্টের আশংকার দিকে তাকিয়ে হলেও।
আশার আলো দেখছি না আপাতত। কেন যেন মনে হচ্ছে, আরাকান আর্মি একা নয়, ওদের সাথে অজিত দোভাল আছেন! ভারতের কিছু ইউট্যুবারও এমনটা দাবি করেছিলেন। এখন দেখা যাক, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় আর আমরা কতদিন এই 'ভারত বয়কট' আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি। জাতির এই দুর্দিনে আরাকান আর্মির সাথে নেগোশিয়েটর হিসেবে পিনাকী ভাট্টাচার্যকে আনা যেতে পারে! তাকে একা একটা বোটে উঠিয়ে নাফ নদীতে ছেড়ে দিলে আমার বিশ্বাস তিনি ঠিকই হাত-পা দুলিয়ে যেভাবে আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ ভাইদেরকে পটিয়ে ফেলেন, সেভাবে আরাকান আর্মিকেও পটিয়ে ফেলবেন। ফলে এই সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি মিলবে। জাতীয় স্বার্থে তাই পিনাকী দাদাকে দেশে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি!
বিস্তারিত: Click This Link
চ্যানেল আইতে আমার সেই লেখার লিংক: Click This Link
২| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:৩৫
...নিপুণ কথন... বলেছেন: চাকরের বেশ তো ধরেন মিডল ইস্টে গিয়ে। ভারতের কোথাও বাংলাদেশিরা চাকর নেই। ভারতের থেকে এখন বাংলাদেশ লীগের আমলের চেয়েও বেশি আমদানি করে। খোঁজ নিয়ে দেখেন। উপায় নাই এ ছাড়া।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: প্রয়োজনে আমরা সৌদী থেকে কৃষিপন্য আনবো।তবু ভারত থেকে আনবো না।সৌদী থেকে আনলে পন্যের সাথে পুণ্যও হবে।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২৭
নতুন বলেছেন: ভারত থেকে ন্যায্য দামে পন্য কিনতে কোন সমস্যা নাই। ভারত দাদাগীরী বন্ধ করলে আর আয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসাতে না চাইলেই সব কিছু সাভাবিক হবে।
ব্যবসায়ীরা সস্তায় পন্য পেলে তাতেই বেশি লাভ করবে, তারা বেশি দামে কিনবেনা। ভারত ভালো দামে দিলে সবাই ভারত থেকেই কিনবে।
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৩
শফিউল রনি বলেছেন: আপনার তো ভাই অনেক কিছুই জানা নাই, সমুদ্রসীমায় এসে আটক হওয়া ভারতীয় জেলেদের ছাড়িয়ে নিতে ভারতীয় নৌবাহিনী আমাদের জেলেদের আমাদেরই সীমানা থেকে ধরে নিয়ে জিম্মি করে রেখেছিল। হাসিনার গুষ্টীর এবং দলের লোকদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে আপনার জানা আছে তো । বাকি আর নাইই বললাম । এইরকম সাপোর্টার যদি আমাদের "শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক" হন তাহলে পিনাকীর সাপোর্টার হওয়া ছাড়া গতি কি । তা না হলে পৃথিবীতে আর কোন আন্দোলম ক্ষোভ বলতে কিছু থাকে না, সবাই যার যারটা পেতে দিলেই হয়ে যায় ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৩
সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: তাইলে যতদিন খেয়ে পরে থাকা যায়, ভারতকে সেলাম করেই থাকার কথা বলছেন ? সেটা প্রতিবেশী না হয়ে চাকরের বেশে হলেও ?