নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনের উৎসব বয়কট করুন। ওটা পাপীদের আড্ডাখানা।

০৫ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৪


শ্রী অঙ্গনের উৎসব বয়কট করুন।

ড্রিল মেশিনের প্রকট শব্দদূষণ চলছে সারারাত ধরে, এমনকি এই ভোরেও। ঘুমাতে পারছি না আজও। সারাদিন পাশের বাসায় শব্দদূষণ করে ড্রিলমেশিন দিয়ে অযথা বারবার শব্দ করেছে পলাশ সাহার ছেলে প্রণব সাহা আদর। রাতেও চলছে ড্রিল মেশিন। এসব স্বাভাবিক হলে আমিও সহ্য করতাম। কিন্তু এসব ওরা করে ইচ্ছাকৃতভাবে, অযথা, যাতে আমি রিয়্যাক্ট করি আর ওরা আমাকে পাগল সাব্যস্ত করতে পারে!

স্থানীয় শত্রুদের ইন্ধনে প্রতিরাতেই ঢিল মাঝে মাঝে আমার ঘরের চালে পড়ে ঠিকই, তবু বের হই না। কিন্তু এই থেমে থেমে ড্রিল মেশিনের আওয়াজ সহ্য করে কী করে ঘুমাই? অগত্যা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাত ৩টায় শব্দদূষণের উৎস অনুসন্ধান করতে বাইরে বেরিয়ে দেখি, শ্রী অঙ্গনের অবৈধ ভক্তাবাস-২ থেকে নির্মাণকাজের শব্দ আসছে। রাতের আঁধারে যখন সবাই ঘুমায়, তখন চুপিচুপি কীসের এত কাজ? কী এমন কাজ মন্দিরের, যা দিনের বেলা করা যায় না? এত রাতে নির্মাণ-মেরামতের কাজ কি আইনসম্মত? শব্দদূষণ(নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী এটা কি দণ্ডনীয় অপরাধ নয়?

আসলে শ্রী অঙ্গনের এই ভক্তাবাসটাই অবৈধ। আমার প্রবল আপত্তি, বাধা ও প্রশাসন-পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ-মামলা সত্ত্বেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাওয়ারকে কাজে লাগিয়ে তারা জোর করে এই ৭ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। বাধা দিতে গিয়ে সাধুদের দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও হয়েছি, হয়ে ডিসি-এসপি-ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কাজ হয়নি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেউ যায় না।

আগামীকাল শুরু হচ্ছে উৎসবের নামে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে আয়ের ব্যবস্থা। ভক্তাবাসের রুম প্রস্তুত, বড় বড় ডোনাররা আসবেন, থাকবেন-খাবেন, তারপর বড় অংকের ডোনেশন দিয়ে যাবেন। মেলা মিলবে, স্টল হবে। সব জায়গা থেকে আয় হবে কমিটির। সাধুদের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীদেরও একটা আয়ের উৎস এটা। ২০১৯ সালে শ্রী অঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বন্ধুসেবক ব্রহ্মচারীর লাশ উদ্ধার হয় শ্রী অঙ্গনের প্রথম ভক্তাবাসের ৫ তলায় তাঁর রুম থেকে। আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিলেও স্পষ্টত তা আত্মহত্যা ছিলো না। এ নিয়ে আমার নেতৃত্বে প্রতিবাদ হলে শ্রী অঙ্গনের কমিটি ভেঙে দেয় প্রশাসনে এবং লাশ ময়নাতদন্ত করিয়ে শ্রী অঙ্গনের ভেতরেই সমাধি (মাটিচাপা) দেওয়া হয়। কিন্তু অপমৃত্যু মামলার বাদী মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি কান্তিবন্ধু নিজেই ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে মামলা গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করেননি বিধায় আসামী বিজ্ঞানবন্ধু খালাস পেয়ে আবার সাধু হয়েছে! ফরিদপুরের সচেতন সমাজকেও তারা নানা উপায়ে উক্ত ঘটনা ভুলে যেতে বাধ্য করেছে। আমাকে ব্যবহার করে গৃহীদের কমিটি থেকে সরিয়ে এখন সাধুরাই মধু খাচ্ছে বসে বসে। আমাদেরকে বছরে একবেলা প্রসাদ খেতেও ডাকে না।

এখন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত আসেন, উৎসব-কীর্তনের নামে প্রচুর ব্যবসা হয়, আয় হয়। তারপর আবার যার যার গন্তব্যে ফিরে যান। কিন্তু শ্রী অঙ্গনের ভেতরের কোনো পরিবর্তন হয় না। বন্ধুসেবক ব্রহ্মচারী, শ্রী অঙ্গনের কার্যনির্বাহী কমিটির অমরবন্ধু ব্রহ্মচারীর কমিটির সদস্য আমার বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট কমল কৃষ্ণ গুহ ওরফে কবি বাবু ফরিদীর রহস্যজনক অকালমৃত্যুর তদন্ত ও বিচার হয় না ডিসি বরাবর লিখিত আবেদন দেওয়ার পরেও। এক সপ্তাহ আগেও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে শ্রী অঙ্গনের সামনে পরিবারহীন এক প্রতিবন্ধী মহিলার। ভক্তাবাসের দোতলায় অসুস্থ প্রিয়বন্ধু ব্রহ্মচারীরও শব্দ পাওয়া যায় না ৩ দিন যাবত। আসলে কী হচ্ছে শ্রী অঙ্গনে তা কি কারো দেখা উচিত না? আমি তো যাই না অনেক বছর। কয়েক দফায় আমার উপর হামলা হয়েছে এখানে। আমার মা ডা. কৃষ্ণা মিত্র ওরফে Krishna Guho কে অন্যায়ভাবে শ্রী অঙ্গনের দাতব্য চিকিৎসালয় থেকে সরিয়েছে সাধুরা, চেম্বার ভেঙে রেখেছে; মাত্র ৫০০ টাকা বেতনে ও ৫ টাকা ভিজিটে তিনি শুধু এই চেম্বারেই টানা ১৯ বছর সকল ধর্মের মানুষের সেবা দিয়েছেন। উৎসব এলেই মায়ের চেম্বার জোরপূর্বক বন্ধ করিয়ে সেখানে অর্থের লোভে দোকান হিসেবে ভাড়া দিতো শ্রী অঙ্গন কমিটি। দাতব্য চিকিৎসালয়ে তো লাভ নেই! দূরদূরান্ত থেকে আসা মায়ের রোগীরা মাকে না পেয়ে ফিরে যেত মনে কষ্ট নিয়ে। মূল গেট দিয়ে ঢুকে হাতের ডানেই ছিলো মায়ের চেম্বার। এখন সেখানে বই ও মূর্তির স্টল বসিয়েছে কমিটি। শ্রী অঙ্গন দক্ষিণ পল্লীতে আমাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টাও শ্রী অঙ্গন চালিয়ে যাচ্ছে। বলপ্রয়োগে না পেরে আমাদের ২০১৯ থেকেই এখানে বিনা অপরাধে একঘরে করে রেখেছে ও নির্যাতন চালাচ্ছে, যা এই ছবির অ্যালবামে বিস্তারিত আছে।

আপনারা যারা শ্রী অঙ্গনে আসবেন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে, আপনারা এসব বিষয়ে প্রশ্ন করবেন। বন্ধুসেবকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। আমাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টার প্রতিবাদ করার ৩-৪ দিনের মাথায় কেন তাঁর মৃত্যু হলো, কেন তাঁর ফ্যানে ঝুলন্ত লাশের পা মাটিতে ছিলো, জিহবা বের হয়নি কেন, তাঁর রুমের দরজা বাইরে থেকে খোলা-বন্ধ করা যেত কেন, লাশ গুম করার চেষ্টা হয়েছিলো কেন, মামলা সঠিকভাবে পরিচালনা করলো না কেন ইত্যাদি। জানতে চাইবেন তারা যে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে দাবি করে এই জমিকে, সেই দেবোত্তর সম্পত্তির দলিল আছে কিনা তাদের কাছে।

তারা বলবে এটা তারা কেন দেখাবে? আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলবে 'পাগলের কথায় কান দিয়েন না'! একজন পাগল কী করে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে এত বড় বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে ৮ বছর ধরে টিকে থাকে? পাগল হলে তো মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে নিয়োগই দিতেন না। বন্ধুসেবক ব্রহ্মচারীর লাশ উদ্ধারের পর আমার উক্ত প্রতিবাদের লাইভগুলো ওরা রিপোর্ট মেরে আইডিসহ গায়েব করে না দিলে আপনাদের এখানে দেখাতে পারতাম শ্রী অঙ্গনের মোহন্তরা, সাধুরা, স্থানীয়রা কীভাবে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিলো সেদিন। তবে সেগুলো রক্ষিত আছে প্রশাসনের কাছে। একদিন সত্যি উদঘাটিত হবেই হবে।
আমি উক্ত সকল ঘটনার বিচার চাই এবং যতক্ষণ নি:শ্বাস আছে চেয়েই যাব।

আচ্ছা, প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের মৃত্যু কীভাবে হয়েছিলো?
তাঁকেও নাকি মেরে ফেলা হয়েছিলো?
এ ব্যাপারে জানেন কেউ কিছু?

আরও বিস্তারিত জানুন এই লিংক থেকে: https://www.facebook.com/share/p/1N3F449SJN/

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

যামিনী সুধা বলেছেন:




আমি আপনাকে বয়কট করার কথা ভাবছি, আপনি মানুষকে বিভ্রান্ত করেন।

২| ০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৪৪

নতুন বলেছেন: আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলবে 'পাগলের কথায় কান দিয়েন না'! একজন পাগল কী করে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে এত বড় বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে ৮ বছর ধরে টিকে থাকে? পাগল হলে তো মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে নিয়োগই দিতেন না।

স্যার তারা সম্ভবত সঠিক বলেছেন। আপনার সম্পর্কে ব্লগারদের ধারনাও কাছা কাছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.