নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত-পাক যুদ্ধ: যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করা কী বার্তা দেয়?

১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:১০


আসলেই কারা জিতলো, তা বুঝা যাবে চুক্তির পর, কে কতটা ছাড় দিলো আর কে কতটা অর্জন করলো তা দেখে। ১২ মে দুপুর ১২টায় ভারত-পাকিস্তান যে বৈঠক করবে, তাতেই চুক্তিটা হওয়ার কথা।

ট্রাম্পের মধ্যস্থতার এই যুদ্ধ থেমেছে। তাই তাঁরই আগে ধন্যবাদ প্রাপ্য। যে মানুষ দুদিন আগেই বলেছিলেন, এই যুদ্ধ আমাদের মাথাব্যাথার কারণ নয়, তিনিই আজ যুদ্ধ থামানোর কথা জানিয়ে টুইট করেছেন। এর অর্থ তিনি আসলে মানবতার পক্ষে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ যুদ্ধ মানেই ধ্বংস আর মৃত্যু। কেউই যুদ্ধ চায় না। তিনিও চেয়েছেন এই ধ্বংস আর হত্যা থামুক। কেননা অনেক সিভিলিয়ান তথা সাধারণ মানুষেরও মৃত্যুর খবর আসছিলো।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছেন পৃথিবীর সব যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে। তিনি তা বাস্তবায়িতও করবেন। শীঘ্রই ইসরায়েল এবং রাশিয়াও যুদ্ধ থামাবে, সেখানেও তাদের দুই দেশেরই জয় হবে। দেখা যাবে অনেকটা ভূমি তাদের দুই দেশের দখলে চলে যাবে আর প্রতিপক্ষকে তা মেনে নিতে হচ্ছে। এটাই বাস্তব। আমি বাস্তবটা বলি। কেমন জয় তা বুঝা যাবে কে কতটা পেলো, তা দেখে। এই যুগে কেউই একাত্তরের মতো আত্মসমর্পণ করতে চাইবে না। তার আগেই আলোচনা ও নেগোসিয়েশন করে যুদ্ধ থামানোই বুদ্ধিমানের কাজ। পাকিস্তান সেটাই করেছে।

সূত্রের খবর, পাকিস্তানই প্রথম আমেরিকার শরণাপন্ন হয় এবং আমেরিকা এরপর ভারতকে যুদ্ধ থামানোর জন্য রাজি করায়। ভারতের সামরিক বাহিনীর ডিজিকেও ফোন করেছেন পাকিস্তানের ডিজি। যুদ্ধাবস্থায় যে আগে যুদ্ধ থামানোর জন্য অনুরোধ জানায় সে পরাজিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। অনেকটা রেসলিংয়ের মতো, একজন উপরে উঠে চেপে ধরে, পাশ থেকে রেফারি ১ থেকে ৩ পর্যন্ত ডাকে, নিচে যে থাকে সে হাত চাপড়ে বা মুখে জানিয়ে দেয় যে সে স্যারেন্ডার করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিক দলের নেতা, নরেন্দ্র মোদিও তাই। দুজনই ডানপন্থী। তাঁদের মধ্যে সম্পর্কও অনেক ভালো। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বিয়ে করেছেন ভারতের RSS এর এক নেতার ভাস্তিকে। মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি গ্যাবার্ড একজন ইস্কনভক্ত। ভ্যান্স ও তুলসি দুজনই অতি সম্প্রতি ভারত সফর করে গেছেন। ভ্যান্স ভারতে থাকাকালীন সময়েই কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই সন্ত্রাসীদের মদদদাতা হিসেবে যে সংগঠন অভিযুক্ত, যেটা জাতিসংঘের দ্বারাও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত, তার হেডকোয়ার্টারে ভারতের হামলার পর নিহতদের অন্তেষ্টিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সরব উপস্থিতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ছবি ও ভিডিও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি নিজেই দুনিয়াকে দেখিয়েছেন। আমেরিকাও তা দেখেছে।

কাজেই, এখানে কিছুতেই আমেরিকার পাকিস্তানের হয়ে মধ্যস্ততার সুযোগ নেই। আমেরিকা এখানে মধ্যস্ততা করেছে বিশ্বমোড়ল হিসেবে, মানকবতার খাতিরে। কেননা উপরে উপরে যতই অস্বীকার দুই পক্ষ, ভেতরে ভেতরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। এই যেমন ধরেন পাকিস্তানের করাচি বন্দরে ভারতের নিজেদের বানানো এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার INS বিক্রান্ত থেকে ১২টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে-- এই তথ্য মিডিয়াতে এসেছে, কিন্তু দুই পক্ষের কেউই অফিসিয়ালি বলেনি। বলেনি কারণ এটা পাকিস্তান বললে সেটা তাদের নাগরিক ও সেনাদের মনোবল দুর্বল করে দেবে, মানুষ রাস্তায় নামবে সরকারের বিরুদ্ধে। আবার এই নিউজ ভারতের অফিসিয়াল মুখপাত্র প্রেসের সামনে এসে বললে সারা দুনিয়া বলবে ভারত আসলেই একটা মারকুটে দেশ, সাম্রাজ্যবাদী দেশ। এসব কারণে কেউই এসব প্রকাশ্যে স্বীকার করে না। তবে একেবারে ঘোষণা দিয়ে পুরোদস্তুর যুদ্ধ বেঁধে গেলে আলাদা কথা।

আপাতত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে পরশুদিনের ভারত-পাকিস্তান আলোচনার জন্য। একটি বা কয়েকটি আলোচনায় প্রাপ্ত ফলাফল ও চুক্তিপত্র দেখলেই বুঝা যাবে আসলে এই যুদ্ধে জিতলো কারা। মনে হচ্ছে কাশ্মীর পুরোটা ভারতের অধীনে আসলেও আসতে পারে। বেলুচিস্তান স্বাধীন হলেও হতে পারে। এমন কিছু হলে সেটা ভারতের জয় বলে দেখা হবে। তখন বাংলাদেশেও সরকার পরিবর্তন বা নির্বাচন আসন্ন হতে পারে। আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে পারে। হয়তো সেই আলামত পেয়েই লীগ নিষিদ্ধের দাবি এই সময় এতটা জোরালো হয়েছে।

আবার এসবের কিছুই নাও হতে পারে। আগের মতো সব ভুলে ভারত-পাকিস্তান যে যেভাবে আছে সেভাবেই থাকতে পারে। সন্ত্রাসসবাদকে প্রশ্রয় দেবে না বলে আবারও আমেরিকাকে কথা দিতে পারে পাকিস্তান। বাংলাদেশেও কিছু চেঞ্জ আসতে পারে রাজনৈতিক ও ভূ-প্রকৃতি ক্ষেত্রে। রাখাইন রাজ্য নিয়েও নতুন কিছু হতে পারে।

আসুন, আমরা আরেকটু ধৈর্য ধরি, অফিসিয়াল বিবৃতি ও চুক্তির অপেক্ষায় থাকি। আসুন আবারও পাগলাটে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁর অনেক কথা ও আচরণ একটু অন্যরকম লাগলেও, তিনি আসলেই মানুষটা খুব ভালো, সফল এবং মানবিক। তা না হলে তাঁর রানিংমেট ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট সফররত অবস্থায় ভারতে হামলাকারী ও তার ইন্ধনদাতাদেরকে তিনি নিজে সৈন্য পাঠিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিতেন, যুদ্ধ থামানোয় মধ্যস্ততা করতেন না।

Thank you Mr. President Donald J. Trump
মানবতার জয় হোক। যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী



এই লেখাটি লিখতে না লিখতেই জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও হামলা চালিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিএসএফের একজন সদস্য নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। এর অর্থ, আমেরিকা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও মানলো না পাকিস্তান। মনে হচ্ছে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হচ্ছে আজ রাতেই। ভারত এবার আর চুপ থাকবে বলে মনে হয় না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:২৯

ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: পুরো কাশ্মীর ভারতের ভেতরের ভেতরে চলে আসবে?
গাজা কি নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে? =p~

২| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আমি নই বলেছেন: সুত্রের খবর.......ব্লা ব্লা সুত্রঃ ট্রাস্ট মি ব্রো।

আর পুরো কাশ্মীর ভারতের ভেতরে চলে আসবে? পাগলের প্রলাপ ছারা আর কি হতে পারে। এমনি কি লোকজন পাগল বলে??

৩| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৪৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার সাজেশন অনুসরণ করে ভারত জয়ী হয়েছে। আপনাকে পুরস্কৃত করবে !

৪| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:২০

মেঘনা বলেছেন: অথবা পাকিস্তান চুক্তি করবে যে তারা লস্কর ই তৈবা বা জইশ-ই-মোহাম্মদের মত ভারত বিরোধী কোন জঙ্গিকে আশ্রয় দেবে না। এবং প্রমাণস্বরূপ কিছু জঙ্গি ঘাটি ভেঙ্গে দিতে পারে কিছু জঙ্গিকে ভারতের হাতে তুলে দিতে পারে।
তখন আজহার মাসুদরা কি করবে ? জঙ্গিদের তো কোন দেশ নাই। জঙ্গিরা পাকিস্তানে থাকতে পারবে না, আফগানিস্তানের তালেবানদের সাথেও তাদের সম্পর্ক ভালো না, হলে তারা যাবে কোথায় ? যেহেতু এই জঙ্গিরা মূলত ভারত বা হিন্দু বিরোধী ফলে তাদের ভারত বিরোধীতা চালিয়ে যেতেই হবে জান্নাতের লোভ। ফলে তাদের দরকার ভারতের প্রতিবেশী একটা দেশ যেখান থেকে ভারতবর্ষকে টার্গেট করা যাবে এবং যারা ভারতবর্ষকে শত্রু মনে করে যেমন-
বাংলাদেশ। বাংলার সুজলাভূমিতে জঙ্গিবাদ খুলে ফেপে উঠবে এবং কাঁচামালেরও অভাব হবে না, রোহিঙ্গারা তো আছেই এবং উর্বর ভূমি তৈরির জন্য বাংলাদেশের ওয়াজ মাহফিল এবং জামাত শিবির।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.