![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
ফরিদপুর শহর মৎসজীবী লীগের আহ্বায়ক মনতোষ সাহার দুই মেয়ে সুস্মিতা সাহা ও অংকিতা সাহা ৫ অগাস্ট বিকেলে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে সেজেগুজে বেরিয়ে গেলেন (ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে পার্টির ছেলেরা তবারক দিয়ে গেলো বাসায়)। প্রথমজন ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী আর দ্বিতীয়জন এবার এস,এস,সি পাশ করেছে। অংকিতা সাহা রমা ও তার ভাই মনীষ সাহা সনেট দুজনেই এবার এলাকার সবাইকে অবাক করে দিয়ে পরীক্ষার আগেই পূর্বঘোষণা দিয়ে এ প্লাস পেয়েছে।
মনীষ এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার, খুব অত্যাচার করে বেড়ায়। ক্লাসের সময় আমার বাড়ির আশপাশ দিয়ে ঘোরে, গভীর রাতের বেলাও টইটই করে ঘুরে আর আমার ঘরের চালে ঢিল মারে। অ্যাটেন্ডেন্স থাকার কথা না, তবুও জিলা স্কুল থেকে পরীক্ষা দিতে পেরেছে, এ প্লাস পেয়েছে! প্রধান শিক্ষিকা প্রীতিলতা দিদিকে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। তিনি জিলা স্কুলে ডিসি অফিসের চেয়েও বিশাল অপ্রয়োজনীয় দ্বিতীয় গেট বানাতে ব্যস্ত ছিলেন তখন!
চব্বিশের জুলাইতে তাদের অংশগ্রহণ ছিলো কিনা আমার জানা নেই, কিন্তু লীগের পতনের পর তারা হয়েছেন এনসিপির নেতাকর্মী। কীভাবে হলেন? জানাচ্ছি।
ফরিদপুরে এনসিপির আহ্বায়ক দোলা কে জানেন? মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও ১২ নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নাসির আবার তার আপন মামা! নাসির ভাইয়ের সাথে মনতোষ সাহার ঘনিষ্ট সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। সেই সূত্রে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আবদুর রহমান ভাইয়ের হাত ধরে শহর মৎসজীবী লীগের আহ্বায়ক হওয়া মনতোষ সাহা এখন সপরিবারে যোগ দিয়েছেন এনসিপিতে! তাইতো, লীগের শোচনীয় পতনের এক বছর পরেও লীগের ছোটবড় অনেক নেতাকর্মী যখন পলাতক বা জেলে, তখন আমার জমির অবৈধ দখলদার প্রতিবেশী মনতোষ সাহা আগের চেয়েও দোর্দান্ত প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন গোটা ফরিদপুর! তাদের নির্যাতনে আমি অসুস্থ বিধবা মাকে নিয়ে অত্যন্ত অমানবিক জীবনযাপন করছি, যার কিছু নমুনা এই ছবির অ্যালবামের অন্য পোস্টগুলিতে ও এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে পাবেন। এই পোস্টের উপরে 'ফরিদপুর শ্রীঅঙ্গন দক্ষিণ পল্লীতে নরকবাস' অ্যালবামেও ক্লিক করে দেখতে পারেন।
এই মনতোষ সাহা বিবাহবহির্ভূতভাবে অবৈধ সম্পর্ক করেছিলেন এলাকার এক নারীর সঙ্গে, নিজের আপন বড়ভাই Manoj Saha / Subhash Chandra Saha কে হ*ত্যার ছক কষেছিলেন। বুয়েটের গ্রাজুয়েট সেই বড়ভাইকে আমার সে যাত্রায় বাঁচিয়েছিলেন। তিনি আজও বাড়ি ফিরতে পারেন না, বাবা-মাকে দেখতে পারেন না। তাঁকে ফরিদপুরে ঢুকলেই হ*ত্যার হুমকি দিয়েছেন মনতোষ সাহা। ছোটভাই পরিতোষ সাহাকে বাবার বাড়ির কোনো ভাগ দেয়নি সে। অথচ সেই বাড়িটা অবৈধ। দাবি করে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে, কিন্তু হিন্দু মতে মেয়েরা সম্পত্তির ভাগ পায় না। তাহলে মনতোষ সাহারা জমির মালিকের মেয়ের দিকের আত্মীয় হয়ে কী করে উত্তরাধিকার দাবিতে রেকর্ড সূত্রে জমির মালিক হন?
এভাবেই, ত্যাগীরা বারবার বঞ্চিত হয় আর সুবিধাবাদীরা সব আমলেই ভালো থাকে। এদের জন্যই লীগের আজ এই দুর্দশা। ছাত্রলীগের 'লুঙ্গির নিচে' যেমন ছিলো ছাত্রশিবির, তেমনি দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ও সেইফ ভেবে হিন্দুদের পদ দেওয়া আওয়ামী লীগও আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ না।
ভিডিওতে আরও দেখুন, মনতোষের অনুসারী অটোচালক প্রণব সেন আমার বাড়ির সামনেই তার অটোস্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলেছে! সেখানেই দিনের অনেকটা সময় সে অটো রেখে দেয়। আমার কষ্টার্জিত বেতনের টাকায় দেওয়া বিদ্যুৎ বিলে চলা ক্যামেরা তার অটোর নিরাপত্তা দেয়! আবার রাস্তা আটকেও রাখে অটো, চলাচলে সমস্যা হয়। কেন? অটো থাকবে অটোস্ট্যান্ডে বা তার বাড়িতে। এখানে কেন? আমার বাড়ির সামনে আমি যদি গাড়ি কিনে রাখি, তখন? ঝামেলা বাঁধবে কিনা?
এই প্রণবই বছর আটেক আগে পূজার সময় আমার মায়ের চেয়ার কেড়ে নিয়ে অপমান করে পৌরসভার সাবেক বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ও শেখ হাসিনার বেয়াই সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অতি ঘনিষ্ট তৃষ্ণা সাহা (বিশাখা)-কে সেই চেয়ার দিয়েছিলো। এর আগ পর্যন্ত আমার মা Krishna Guho আমার বাবা কবি বাবু ফরিদীর রেখে যাওয়া সম্মান পেতেন, শ্রী অঙ্গনে দাতব্য চিকিৎসালয়ে প্রায় বিনা বেতনে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে চিকিৎসা সেবা দিতেন আর শ্রী অঙ্গন দক্ষিণ পল্লী মন্দিরে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে অতি সুনামের সাথে পড়াতেন। আমার বাবার মতই তৎকালীন মহিলা কাউন্সিলর লক্ষ্মীর রহস্যজনক অকালমৃত্যুর পর তৃষ্ণা বিনা ভোটের কাউন্সিলর হয়ে শুধু শ্রী অঙ্গন দক্ষিণ পল্লী নয়, গোটা ফরিদপুরের নিয়ন্ত্রণ নেন। মহিলা আওয়ামী লীগেরও নেত্রী বনে যান এই প্রাথমিকের গন্ডি না পেরোনো মহিলা। এরপর তিনি কোটিপতি বনে যান রাতারাতি, দুই ছেলে সৌরভ সাহা ও শুভ্র সাহাকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন, যারা বিআরটিএ ও ফরিদপুর সদর হাসপাতালে দেদারছে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন।
এরাই আওয়ামী লীগকে ডুবিয়েছে। আফসোসের কথা, যদি কোনোদিন আওয়ামী লীগ ফিরেও আসে, আবার এরা অর্থবিত্ত দিয়ে বড় পদ বাগিয়ে নেবে!
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এনসিপির অধিকাংশ নেতা এক্স লীগ। এরাই হয়তো আওয়ামী লীগ কে ফিরিয়ে আনবে।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩
ক্লোন রাফা বলেছেন: সৈ. কুতুব ভুল বকেই চলেছে! ন্যাশনাল চাঁদাবাজ পার্টির অধিকাংশ শিবিরের প্রোডাকশন। এরাই মূলত ছাত্রলীগের চাইতে অধিকতর ছাত্রলীগ ছিলো। কুপরিকল্পিত ভাবে এরা এবং শিবির মিলে ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করেছে।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: রাফা@বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঞ্জিকা সেবন করেই সময় পেতো না। কারা কমিটিতে ঢুকছে সেটা নিয়ে কারো দেখার সময় ছিলো না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার কিছু ভুল আছে। এই ভুলের জন্য তার আজ এই অবস্থা। উনি লোভী ও অদক্ষ অযোগ্যদের মন্ত্রী এমপি বানিয়েছেন। উনার বাবাও এই ভুল করেছিলেন। তাজ উদ্দিনের মতো নেতাকে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন।