নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun (DEV DULAL GUHO)

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ নিয়ে ভাবতে সমুদ্রে যেতে চাই। প্লিজ হেল্প!

০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩২


আমি অনেকদিন ধরেই ভাবছি। ভাবছি আর কেবল ভাবছি। ভেবেই যাচ্ছি। কিন্তু অনেক ভেবেও কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না যে এই যে এতটা ভাবছি, এই ভাবনাটা কেন ফলপ্রসু হচ্ছে না?

অবশেষে আজ পাটোয়ারীর শোকজের জবাবে আমার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেলো। ভাবনাটা সব জায়গায় বসে ভাবলে তো হবে না! ভাবতে হবে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় বসে। পাটোয়ারীর মতে সেই জায়গাটা সাগরপাড়।

কাজেই, আমিও ঐখানে গিয়ে ভাবতে চাই। সাগর ও পাহাড় একইসাথে দেখা হয় না অনেকদিন। ঐখানে গিয়ে আমিও দেশ নিয়ে ভাবতে চাই। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, ওদের মতো আমার অতো টাকা নাই। বেতনের অর্থে চলি, কিন্তু বেতন-ভাতাটাও ওদের সহযোদ্ধারা চাপপ্রয়োগ করে বন্ধ করে রেখেছে ১০ মাস। হোটেল টিউলিপ দূরের কথা, একটা থ্রি স্টার মানের হোটেলও আমার আয়ত্তের বাইরে এখন। হাসনাত-সার্জিসদের আয়ের উৎস জানতে চাই না। তারা জাতীয় বীর, তারা টিউলিপে থাকবে না তো কি আমার মতো ভাঙা ঘরের এক কোণায় পড়ে থাকবে? চিকিৎসার অভাবে আমরা মা-ছেলে যেভাবে অর্থাভাবে খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি, ওদের যেন এমন পরিণতি না হয়। মন খারাপ করে তিলে তিলে ওরা কেন আমার মতো নিজেদের শেষ করে দেবে? শেরাটন, টিউলিপসহ দেশের সবচেয়ে বড় হোটেলগুলোতেই ওদের মানায়।

লালমনিরহাটে আমি যখন প্রাণ বাজি রেখে বহিরাগত ও ছাত্রদের বুঝাতে চাইলাম যে এত রাতে কলেজে ভাংচুর চালানো ঠিক না, হোস্টেলের ছাত্রীরা আতংকিত, তোমরা ঘরে ফিরে যাও, অফিসিয়াল টাইমে এসো.. তখন ওরা আমার কথা শুনলো না। দুদিন পর এসে আমাকেই মব করে অপমান করলো। এরপর আমাকে আমারই ক্লাসরুম, আমারই কর্মস্থল থেকে ব্রাত্য করে রাখলো। এরপর করলো বেতন-ভাতা বন্ধ। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ পাঠালো। আমি চাকরির পরীক্ষাটাও দিতে পারলাম না। ওরা ছিলো সার্জিসের ভাই-ব্রাদার, আমি ওদের কাউকেই চিনতাম না। আমি শুধু আমার উপর অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলাম।

সেই সময় আমি যেমনটা অনুভব করেছিলাম, আজ মনে হচ্ছে হাসনাত-সার্জিস-পাটোয়ারিরা ঠিক তেমনটাই অনুভব করছে। তারা মনে হয় ব্রাত্য-অপাংক্তেয়-অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছে নিজেদেরকে। করছে বলেই যে জুলাই ঘোষণার দাবিতে এত আন্দোলন করলো, সেটা ঘোষণার দিনের এত বিশাল আয়োজনে সংসদ ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান উপদেষ্টার সামনে উপস্থিত থাকতে পারার মতো সম্মানজনক অনুষ্ঠানে না গিয়ে ওরা সাগরে চলে গেলো!

ওরা কি তাহলে আশাহত হয়েছে? ঘোষণায় ওদের দাবিদাওয়ার সন্নিবেশ না ঘটিয়ে আদতে ওদের গায়ে কি কেউ ডিম ছুঁড়ে মেরেছে? 'কুলাঙ্গার' বলে কি ওদেরই নিযুক্ত কেউ ওদেরকে সংসদ ভবনে আয়োজিত বর্ষপূর্তির আনন্দোৎসব থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে? সেজন্যই কি মনের দু:খে ওরা হতাশা কাটাতে সাগরে গিয়েছে?

আপাতত ওদের ফেসবুক পোস্ট ও লাইভে তাই মনে হচ্ছে।
কাজটা মোটেও ঠিক হয়নি। জুলাইযোদ্ধা ও জাতীয় বীরদের সাথে এমন আচরণ কাম্য নয়। মাত্র বছর যেতেই জাতীয় বীরদের সাথে এমন আচরণ?

আশা করি ওরা সাগরপাড়েও সেনা ও নৌবাহিনীর প্রটোকল পাবে। কেননা ওদেরকে নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে বিলাসবহুল হোটেলে রাখা, সাগরপাড়ে ফুটবল খেলতে দেওয়া এবং দেশ ও দশ নিয়ে ভাবতে দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুনেছি ঐ এলাকায় এখনও অ্যাক্টিভ।

শেখ হাসিনার পরিবারকে যারা নিরাপত্তা দিতেন, তাঁদেরকে বসিয়ে না রেখে আমাদের এইসকল জাতীয় বীরদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা উচিত। একই ক্যাম্পাসের অপরিচিত বড়ভাই হিসেবে আমি সর্বদা ওদের মঙ্গল কামনা করি।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: চিন্তার কোন শেষ নাই।কর্মের শেষ আছে।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:০২

কামাল১৮ বলেছেন: ওদের অবস্থা কতটা খারাপ হবে সেটা চিন্তা করতেও পারবেন না।সময়ের অপেক্ষা।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:০৯

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস পড়লো মনের অজান্তেই । দেশ টা দিনে দুপুরে চুরী হয়ে গেলো । আমাদের কপালে কি এই ছিল ?

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৪৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একটু ঘুরে বেড়ালে কি হয় !

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কন্যা সমুদ্রে গেছে। কিন্তু সে সমুদ্রে নামেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.