![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল রাতে বনানীতে গ্যাসের লাইন বিষ্ফোরনের ফলে ছয় তলা এক বাসায় আগুন লেগে যায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। যে বিল্ডিঙ্গে আগুন লাগে তার কাছেই বাসা ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের। তাই তিনি টিশার্ট আর শর্টস পরেই হাজির হয়ে যান সেখানে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে এক হয়ে কাজ করেন, অন্য বাসার ছাদে উঠে যারা আটকে পরেন তাদরকে সাহস দেন এবং সবশেষ হলে মাইকে আগুন লাগা বিল্ডিঙের সবাইকে আশেপাশের বাসায় থাকতে বলে তিনি চলে যান। ও হ্যা তার আগে মিডিয়ার সামনে লম্বা এক বক্তব্যও দিয়ে যান।
জাতি তো এমন মেয়রই চেয়েছিল। ওখানে উপস্থিত অনেকেই সাথে সাথে মেয়রের প্রসংশায় পঞ্চ না ছষ্ট-সপ্তম মুখ হয়ে গেলেন। আমি কেন যেন হতে পারলাম না। আমার কাছে মনে হলো মেয়র সাহেব গরু মেরে জুতা দান করে গেলেন। আমার মনে হবার কারণটা আমি ব্যাখ্যা করছি। প্রথমেই বনানীর ২৯ নাম্বার সড়কে গিয়ে যেটা দেখা গেল সেটা হচ্ছে, রাস্তায় সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে। তারা এত্ত বাজেভাবে রাস্তা কেটেছেন যে তাতে গ্যাসের লাইন কেটে পুরোদমে গ্যাস বেরোচ্ছে। আর এই কাটা গ্যাসের লাইনেই বিষ্ফোরন ঘটে এত বড় ক্ষতি এবং এতগুলো মানুষ আহত হয়েছেন। আর গ্যাসের গন্ধেই মাথা ঘোরাচ্ছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এমন অসতর্ক কাজের দায়িত্ব নিশ্চই মেয়র হিসাবে আনিসুল হককেই নিতে হবে। যে সড়কে এতজন বিদেশি থাকছেন সেই সড়কে কাজে এতটা অসতর্ক কিভাবে হলেন মেয়র। সেদিক থেকে বলা যায় এই আগুন লাগার মূল দায়িত্বটা মেয়র নিজেই করেছেন আর রাতে যে দৌড়াদৌড়ি করলেন সেটা ছিল আগুন যেহেতু তার জন্য লেগেছে তাই একটু দায় এড়ানো। কাজেই এখানে বাহবা দেয়ার কি আছে!!! তাছাড়া তিনি বলে গেলেন যে, আগুন লাগা বাড়ির মানুষ অন্য বাসাগুলোতে থাকবে কিন্তু আদৌ তারা থাকার জায়গা পেলো কিনা সে খবর তিনি আর নিলেন না।
আর বাড়ির মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম জানান, বুধবার থেকে তারা বাড়ি ও বাসার আশপাশে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন। বিষয়টি তিনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বিষয়টি দেখছি বলেই শেষ করে। কিন্তু সমস্যা সমাধান হয়নি। এই গ্যাস থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে দাবি করেন তিনি।
তিতাস গ্যাসের জন্যও একটা তালি হবে কিন্তু জোরে। তাদের অন্যান্য হিসাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা নাই কিন্তু যাদের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকায় এরা বউ-বাচ্চা নিয়া আরাম-আয়েশের জীবন কাটাচ্ছে তাদেরপ্রতি কোন কেয়ার নেই তাদের। আমার এক কাজিন তিতাসে চাকরি করে, সকাভারে বাড়ি/টাড়ি করে ফেলছে। কিন্তু সে যে বেতন পায় তাতে তার ঠিক মত তিন বেলা খাইতেই কষ্ট হওয়ার কথা এই দূর্মূল্যের বাজারে। ব্যাপার না মেয়র সাহেবের কথা মত তদন্ত কমিটি হবে আর সেই কমিটির ফলাফল কোনদিন আলোর মুখ দেখবে না ব্যাস খেলা খতম। যাই হোক এরা এভাবেই আমাদেরকে গরুর মত করে মারবে আর মারার পর এসে এক জোড়া জুতা দান করবে। তাদের জুতা দানের কথা বড় করে প্রকাশ করার জন্যও তো আমাদের এক বিশাল তেলের খনি সরি অনেক মিডিয়া তো আছেই।
©somewhere in net ltd.