![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতার ঘোষণা ও প্রথম রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে যে আলোচনা শুরু হয়েছে বা যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা নিয়ে ভিন্ন মতাবলম্বী ব্লগার রা আজ মুখরিত , এই আলোচনার আগুনের মাঝে আবার ঘি ঢেলে দিয়েছেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ । গুটি কয়েক প্রশ্নবিদ্ধ চেতনাধারী এবং নাস্তিক ব্লগার রা আজ শারমিন আহমেদ এর লেখা বই "নেতা ও পিতা "র মুণ্ডুপাতে মগ্ন ।
তারেক রহমান যাদের রেফারেন্স দিয়ে তার বক্তব্য রেখেছেন , তারা সবাই আজ নিশ্চুপ ।সবাই মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন , কেউ কিন্তু তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করেনি ।
আসুন আমরা দয়া করে রেফারেন্স গুলোতে আলোকপাত করি,
মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর“ নামে একটি বই থেকে তাজউদ্দিন আহমদ এর বক্তব্য উদ্বৃত করে বলা হয় , "২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবকে স্বাধীনতা ঘোষনার অনুরোধ জানালে শেখ স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে অস্বীকৃতি জানান। শেখ মুজিব সাফ জানিয়ে দেন, স্বাধীনতার ঘোষনা দিলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হতে পারে।"
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত তার “বাংলাদেশ: ইমার্জেন্স অব এ ন্যাশন“ বইয়ে লিখেছেন, "জিয়াউর রহমানই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষনা দেন।"
প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের রাজনৈতিক সচিব মঈদুল হাসান তরফদার লিখেন, ‘২৭ মার্চ সন্ধ্যায় ৮-ইবির বিদ্রোহী নেতা মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করেন। মেজর জিয়া তার প্রথম বেতার বক্তৃতায় নিজেকে ’রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে ঘোষণা করলেও পরদিন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পরামর্শক্রমে তিনি শেখ মুজিবের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা প্রকাশ করেন।’ (মূলধারা : ৭১, পৃষ্ঠা ৫)।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, মেজর জিয়া শেখ মুজিবের নির্দেশে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা বললেও নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আগেকার ঘোষণা সংশোধন করেননি।
মেজর রফিক-উল-ইসলাম বীর উত্তম, মুক্তিযুদ্ধের এক নম্বর সেক্টর কমান্ডার (১১ জুন থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১) তার লেখা A Tale of millions গ্রন্থের ১০৫-১০৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেন : ২৬ মার্চের বিকালে তিনি (মেজর জিয়া) আসেন মদনাঘাটে এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। প্রথমে তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধানরূপে ঘোষণা করেন। পরে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। কেন তিনি মত পরিবর্তন করেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মেজর রফিক-উল ইসলাম। একজন সামরিক কর্মকর্তা নিজেকে রাষ্টপ্রধানরূপে ঘোষণা দিলে এই আন্দোলনের রাজনৈতিক চরিত্র (polical character of the movement ) ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এবং স্বাধীনতার জন্য এই গণ-অভ্যুত্থান সামরিক অভ্যুত্থান রূপে চিত্রিত হতে পারে, এই ভাবনায় মেজর জিয় পুনরায় ঘোষনা দেন শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে। এই ঘোষণা শোনা যায় ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত্ম। (Rafiq-ul-Islam, A Tale of millions, Dhaka. BBI, ১৯৮১)
৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর কে এম সফিউলস্নাহ বীরউত্তম, তাঁর Bangladesh at war (Dhaka Academy Publishers, 1989) গ্রন্থে , ৪৩-৪৫ পৃষ্ঠায় যা লিখেছেন : মেজর জিয়া ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সদলবলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, তার কমান্ডিং অফিসার জানজুয়া ও অন্যদের প্রথমে গ্রেফতার এবং পরে হত্যা করে, পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে ২৬ মার্চে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ।
কর্নেল অলি আহমদ, বীর বিক্রম, অক্সফোর্ড বুকস বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভের অনুবাদ গ্রন্থে রাষ্ট্র বিপ্লব : সামরিক বাহিনীর সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (ঢাকা, অন্বেষা প্রকাশন, ২০০৮) বলেছেন, মেজর জিয়া ছিলেন আমাদের নেতা এবং বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি (মুখবন্ধ)। সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার সময় তিনি মেজর জিয়ার সঙ্গেই ছিলেন।জিয়া একাত্তরের ২৬ মার্চ রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গররত অবস্থায় একটি জাপানি জাহাজ থেকে অস্ট্রেলিয়া রেডিওতে জিয়ার ঘোষণার বার্তাটি পাঠানো হয়। অস্ট্রেলিয়া রেডিও জিয়ার ঘোষণাটি প্রথম প্রচার করে। এরপর বিবিসিতে প্রচারিত হওয়ার পর তা পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর’ গ্রন্থে দেয়া সাক্ষাত্কারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বলেন, মেজর জিয়া কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এসে প্রথম যে ঘোষণাটি দিলেন, সে ঘোষণায় তিনি নিজেকেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল সুবিদ আলী ভূঁইয়া লিখেছেন, জিয়াউর রহমান নিজেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু পরে আরেকটি ঘোষণা দেন যে, এটা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে। এছাড়াও ড. আজিজুর রহমান, এম আর সিদ্দিকী, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এবং অন্য আরো অনেকেই তাদের লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, জিয়া প্রথম দিনের ভাষণে অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।
এছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের রেকর্ড, ভারত রক্ষক সাইটের রেকডর্ও প্রদর্শন করেন যেখানে জিয়াউর রহমানকেই স্বাধীনতার ঘোষক ও রাষ্ট্রপ্রধান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন , ইতিহাস বিকৃতির !!!! কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পত্রিকার শিরোনাম এবং প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন তারেক রহমান। রাজনৈতিক ফাঁকা বুলি নয়, এরকম তথ্য প্রমাণ দিয়ে সঠিক ইতিহাস জানান। উপস্থাপিত বিকৃত ইতিহাসের বিপরীতে দালিলিক প্রমাণ সহ সঠিক ইতিহাস দেখতে চাই।
এতক্ষণ ধর্য ধরে লেখাটি পরার জন্য ধন্যবাদ , আরেকটু কষ্ট করে নিচের ভিডিও তা দেখুন ,
৭ই মার্চ শেখ মুজিব ঘোষণা করেছিলেন, “এ বারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।” কেউ কেউ দাবী করেন ওটাই ছিলো স্বাধীনতার ঘোষণা। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পরে ডেভিড ফ্রষ্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুজিব এ দাবীকে নাকচ করে বলেছেন, ৭ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি। ঐ ভাষণের শেষে তিনি বলেছিলেন, জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান। “জয় পাকিস্তান” বলে তিনি আলোচনার পথ খোলা রেখেছিলেন। সে আলোচনাই চলে ইয়াহিয়ার সাথে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।আমেরিকার NBC টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার প্রচার হয় ২৬ মার্চ ১৯৭১, তাতে মুজিবকে প্রশ্ন করা হয় Do you mean Independence? মুজিব জবাব দেন, “No, I don’t mean that, I want Autonomy।
Click This Link
ব্লগার (সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী)
©somewhere in net ltd.