নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরিবিলি

নিরবখান

তথ্য ভান্ডার

নিরবখান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবার জন্য সামারুহ মির্জার মনের আগুন!

২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:১০



বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মেয়ে সামারুহ মির্জা একটি কলাম লিখেছেন। ‘নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না’ শিরোনামের কলামটি একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।



সামারুহ’র বাবা জেলে বন্দী। মেয়ে হিসাবে তার মনের অবস্থা অনুভব করতে পারি। পিতার জন্য সন্তান, সন্তানের জন্য পিতা যে কোন কিছুই করতে পারেন। বাবার প্রতি নির্মোহ দরদের শতভাগ উজাড় করে সামারুহ লিখেছেন, তার পয়ষট্টি বছর বয়সী বাবা গাড়িতে আগুন দিতে পারেন, এটা কী বিশ্বাসযোগ্য? ঠাকুরগাঁও’র দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের তার বাবার প্রতি ভালোবাসা, যে কারও বিপদে ছুটে যাওয়া, এসব বৃত্তান্ত তিনি লিখেছেন।



তার শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন নানা বিষয়ে লিখেন, কিন্তু তার বাবা’কে জেলে আটকে রাখার বিষয়টি নিয়ে কেন লিখেননা, ক্ষেদোক্তি করে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন সামারুহ। কেন আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি, তা রাজনীতিবিদ বাবার মেয়ে হিসাবে সামারুহও নিশ্চয় জানার কথা। কিন্তু সব উল্লেখ করেননি। অনেক কিছু আংশিক আংশিক বলেছেন। সামারুহর সমব্যাথী হিসাবে দূঃখ প্রকাশ করেই তা এখানে কিছুটা খোলাসা করে লিখতে হচ্ছে।



প্রথমেই যে কথাটা বলি তাহলো, সামারুহ’র বাবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে গাড়ি পোড়ানো বা সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত ছিলেন না, তার মাপের নেতারা এসবে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকেন না, এটি সত্য। কিন্তু হরতালকে সামনে রেখে যে এসব ঘটনা ঘটে, পাবলিকের গাড়ি পুড়ে ছারখার হয়, বদর আলীর মতো ক্লান্ত-ঘুমন্ত নিরীহ-নিরপরাধ গাড়ি চালক সে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, এটিওতো সত্য।



বাবা জেলে যাওয়াতে কষ্ট পাচ্ছেন সামারুহ। বদর আলীর পরিবার কী আনন্দে আছে? একটিবার তা লেখায় একটা শব্দেও এ বিষয়টি উল্লেখ করলেন না! এ ঘটনাগুলোর দায় কার? সরকারেরতো অবশ্যই। সবার জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের। সরকার সে দায়িত্ব পালনে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু এসব ঘটনায় কী বিরোধীদল তথা সামারুহর বাবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের কোনই দায়-দায়িত্ব নেই? বিরোধীদলের প্রতিটি কর্মসূচির আগে এমন গাড়ি পোড়ানো বা সম্পদের ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। বিরোধীদল কর্মসূচি দিচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এসব ঘটনায় কোথাও কিন্তু আওয়ামী লীগ-বিএনপি কোন নেতার গাড়ি পুড়ছেনা! পুড়ছে শুধু পাবলিকের গাড়ি! এসব ঘটনার পর সরকার-বিরোধীদল পরষ্পরকে দোষারোপ করছে। বিরোধীদল বলছে সরকার ঘটনা ঘটিয়ে দায় চাপাচ্ছে বিরোধীদলের ওপর! কিন্তু রাজপথে-প্রশাসনে বিরোধীদলের এত লোকজন! কিন্তু কোনদিন ‘সরকার এমন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করছে’র একটি ঘটনা বিরোধীদল পাবলিকের কাছে হাতেনাতে ধরিয়ে দিচ্ছেনা কেন! অন্য সময় কোন ঘটনায় কেউ নিহত হলে সে লাশটিকে ‘আমার লাশ’ দাবিতে সরকার-বিরোধীদল প্রতিযোগিতা করে। কিন্তু দূর্ভাগা বদর আলীর ক্ষেত্রে তাও ঘটেনি! এমন কী ঘটনার নিন্দা করে বদর আলীর পরিবারের পাশেও দাঁড়ায়নি বিরোধী দল পর্যন্ত! সামারুহ, আপনার বাবা যে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, সে দলটিও যে এমন বর্বর-নিষ্ঠুর! আপনার লেখায় তা কোথাও তা একবারও উল্লেখ করলেন না!



এখন প্রশ্ন তোলা যায় পুলিশ বা সরকারইবা কেন এ ধরনের সাজানো মামলা দেবে? বা এসব ঘটনার শেষ কোথায়? গাড়ি পুড়ছে-পুড়েছে, জীবন্ত মানুষ পুড়ে অঙ্গার হয়েছে! রাজনীতির নামে এ ধরনের দুর্বৃত্তপনার শেষতো হওয়া চাই। আমাদের দেশে বিরোধীদলের কর্মসূচির আগে কোন কিছুতে আগুন দিয়ে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির রেওয়াজ অনেকদিন ধরে চলে আসছে। এতে করে যে মিডিয়ায় ছবির সৃষ্টি, তাতেই যেন কর্মসূচি অর্ধেক সফল! এটা আগে আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে থাকতে হয়েছে। এখন তা বিএনপি করছে। এখানে কারও কথাবার্তায় কোন লাইসেন্স পর্যন্ত যেন নেই! একজন সরকারি দল বা বিরোধীদল করবেন বলে কী যা খুশি তাই বলবেন? তাদের কথাবার্তা, হুমকি-ধামকির কোথায় কী প্রতিক্রিয়া হয় বা হতে পারে, তা নিয়ে তারা মোটেই ভাববেন না?



সামারুহ, আপনি চলতি আধুনিক প্রজন্মের প্রতিনিধি। সুশিক্ষিত। বাস্তববাদী হোন। বাবা বলে তিনি সবকিছুর দায়দায়িত্বের উর্ধে, এমন একতরফা ভাবনা আপনার কাছে আশা করিনা। তিনি নিজে বাসে-গাড়িতে সশরীরে আগুন লাগাননি ঠিক আছে। কিন্তু আগুনতো কেউ একজন লাগিয়েছে। এসব আগুনের দায়িত্বও তিনি এড়াতে পারেন না। আজ আওয়ামী লীগ সরকার বুঝে অথবা না বুঝে হোক বিষয়টিকে নোটিশে নিয়েছে। রাজনীতির নামে নৈরাজ্যের এসব বন্ধের একটা সুরাহা হওয়া দরকার। আজ যদি দায়দায়িত্ব নির্ধারনের উদ্যোগটি আপনার বাবা বলে আপনি থামাতে চান, তাহলে আগামিতে আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে গিয়ে একই কাজ তারা আবার করলে আমরা তাদের থামাবো কী করে সামারুহ?



বা আপনার কথামতো আপনার বাবা রাজনীতি করেন বলেই এমন নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছেন বলে যদি ধরে নেই, তাহলেও কিন্তু ওপরে ছোঁড়া থু থু নিজের গায়ের ওপরেই এসে পড়ে! শামসুন্নাহার হলের ঘটনা মনে আছে না? অথবা মতিয়া চৌধুরীর মতো নেত্রীকে রাজপথে শুইয়ে পেটানোর ঘটনা! এসব কারা করেছে? তখন সে সময় কী আপনার বাবা সে সরকারের বিমান প্রতিমন্ত্রী না? তখনও কিন্তু অনাচার-নৈরাজ্যের এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে। অথবা মনে করুন রাষ্ট্রযন্ত্রকে লাগিয়ে সেই জজ মিয়া সাজানোর বীভৎস ঘটনাটি! তখনও কিন্তু আপনার বাবা মন্ত্রিসভায়।



হয়তো বলবেন, বিএনপি সে সব দুষ্কর্ম করবে বলে আওয়ামী লীগও তাই করবে না কী? কথা সত্য। এটা আমরা সমর্থন করিনা। কিন্তু একই সঙ্গে সত্য হচ্ছে আগামিতে ক্ষমতায় গেলে প্রতিপক্ষকে দেখে নেবার কাজটি আবার করবে বিএনপি। সে ঘোষণাটি প্রায় দিচ্ছেন আপনার বাবার নেত্রী খালেদা জিয়া। আপনার বাবাও গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত তেমনই বলে এসেছেন। তাই সামনের দিনগুলো যে ভালো যাবে সে আশা আমরা কেউই করতে পারছি না। আপনি কী পারছেন সামারুহ?



ঠাকুরগাঁওর বাড়ির কথা লিখেছেন সামারুহ মির্জা। সত্য ভাষণ। মুক্তিযুদ্ধে না গিয়েও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় বিতর্কিত পন্থায় নাম তোলা ছাড়া ঠাকুরগাঁতে মির্জা ফখরুলের নামে তেমন বদনাম শুনিনি। কিন্তু যে বদনামটি ছিল তা চেপে গেছেন সামারুহ। এটা ভালো লাগেনি। কারণ আগেই বলেছি, নতুন আধুনিক প্রজন্মের মানুষ হিসাবে তার কাছে প্রত্যাশা ভালোমন্দ দুটোই সটাসট বলবেন। সত্য যদি কঠিন-অপ্রিয়ও হয় তা চেপে যাওয়া চলবে না। সামারুহ যে কথাটা লিখেননি বা এড়িয়ে গেছেন তাহলো গত বিএনপি আমলে ঠাকুরগাঁও শহরে তার দাদার বাড়ির সাদা দালানের ভবনটা স্থানীয়ভাবে ‘বাতাস ভবন’ নামে পরিচিত ছিল। ঢাকার হাওয়া ভবনের আদলে সারাদেশেই তখন এমন নানান নামের ‘ভবন’ গড়েছিল! সেই বাতাস ভবনে বসে ছড়ি ঘোরাতেন সামারুহর এক চাচা! বলা হতো বাতাস ভবনের ‘মনোরঞ্জন’ ছাড়া তখন সে জেলা শহরে সরকারি টেন্ডারের কাজ পাবার কোন ব্যবস্থা ছিলো না! সামারুহর সে চাচা মন্ত্রী-এমপি ছিলেন না। মন্ত্রী ছিলেন মির্জা ফখরুল। মন্ত্রী ভাইয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে সব করতেন সামারুহর চাচা। এটিও তার বলা উচিত ছিল।



আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এড়িয়ে গেছেন সামারুহ তার লেখায়। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন যে তার বাবার গ্রেফতার নিয়ে লিখেননি, এ নিয়ে তার ক্ষেদোক্তির জবাব এই চেপে যাওয়া তথ্যের মধ্যেই আছে। তাহলো সামারুহর দাদা তথা মির্জা ফখরুল ইসলামের বাবা চোখা মিয়া ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে যথেষ্ঠ পরিশ্রম করেছেন! সে জন্যে হয়তো সামারুহর বাবা মির্জা ফখরুলেরও মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া হয়নি! মুক্তিযুদ্ধের সময় অবশ্য বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধার পিতা মুসলিম লীগার তথা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। এমন পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেই তাদের ছেলেরা যুদ্ধে গেছেন। শত্রুপক্ষে থাকা অথবা সক্রিয় থাকা অনেক পিতা এমন অনেক স্বাধীনতাকামী সন্তানদের প্রাণ দিয়েছেন। ফখরুল ইসলামের যুদ্ধে না যাবার প্রকৃত কাহিনী আমরা জানিনা। সামারুহ তা আমাদের অকপটে বলতে পারতেন।



আজ আমরা যা জানি এবং দেখি তাহলো, দলীয় সিদ্ধান্তে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর! বেশি চাপে পড়লে বলেন যে, আমরাও বিচার চাই, তবে এ বিচার হতে হবে নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মানের!



সামারুহ কী কখনো মুক্তিযুদ্ধ-যুদ্ধাপরাধী এসবের নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মান বিষয়াদির ব্যাখ্যা তার বাবার কাছে জানতে চেয়েছেন? কখনও কী জানতে চেয়েছেন, রাজাকার-স্বাধীনতা বিরোধী হিসাবে আপনার দাদা রাজাকার মির্জা রুহুল আমিন ওরফে চোখা মিয়ার মান ‘নিরপেক্ষ’, ‘আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন’ ছিল কীনা!



গত বিএনপি আমলে বিমান প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় মির্জা ফখরুল ইসলামের নাম তোলা হয়। এ নিয়ে বিশেষ বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় ঠাকুরগাঁও’র মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। এরপর থেকে চুপচাপ তালিকায় নামটি থাকলেও মির্জা ফখরুল আর এ দাবিটি ঈমানি জোরের সঙ্গে কখনো করেন না! সামারুহ কী কখনও তার বাবার কাছে জানতে চেয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম তোলা-থাকা সত্ত্বেও তিনি এ দাবিটি আর কখনো করেন না কেন?



আর সামারুহ যাকে তার বাবার জন্য লিখতে বলছেন সেই ড. আনোয়ার হোসেন কিন্তু রণাঙ্গনে সরাসরি অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা একজন। কোন বিশেষ সরকারের ক্ষমতায় থাকার সুযোগে তদবির বা কায়দা করে তাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম তুলতে হয়নি। শুধু তিনি না, তার ভাই কর্নেল তাহেরসহ তাদের ভাইবোন সবাই মুক্তিযোদ্ধা। এক পরিবারের সব সদস্য এভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, এমন দৃষ্টান্ত দ্বিতীয়টি আছে কীনা তা আমার জানা নেই। এদের মধ্যে কর্নেল তাহের পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার থাকাকালে এক সম্মুখ সমরে নিজের একটি পা হারান কর্নেল তাহের। শারীরিক প্রতিবন্ধী সেই মানুষটিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন, মির্জা ফখরুলের নেতা জেনারেল জিয়াউর রহমান।



বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসাবে সেই মির্জা ফখরুল ইসলাম এখন দেশের মুক্তিযোদ্ধা আর শহীদ পরিবারগুলোর প্রাণের দাবি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে জোরালো সক্রিয় কন্ঠ! তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা ড. আনোয়ারকে লিখতে বলছেন সামারুহ!



আগেই বলেছি পিতার জন্য সন্তান, সন্তানের জন্য পিতা যে কোন কিছুই করতে পারেন। সামারুহ তার বাবার জন্যে প্রাণের সবটুকু আকুতি দিয়ে লিখেছেন। তার বাবা একজন ভদ্রলোক মানুষ, এভাবে তার গ্রেফতারকে পছন্দ করিনি। কিন্তু মাঠের লড়াইয়েতো তিনি এখন সরাসরি আমাদের বিপরীতপক্ষে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে, তিনি বিপক্ষে। এ নিয়ে আগামি দিনগুলোতে মুখোমুখি আরও অনেক ঘটনা ঘটবে। কাজেই ড. আনোয়ার কেন তার বাবার জন্য লিখেননি বা লিখতে পারেননি তা কী বুঝতে পেরেছেন সামারুহ মির্জা? দূঃখিত।



ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক



Click This Link

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:১৪

নিরবখান বলেছেন: উনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। কিভাবে প্রথম শ্রেণী পেয়েছেন। ভাইভাতে কিভাবে মার্কস পেয়েছেন আর শিক্ষক নিয়োগের সময় একধরণের কেমোফ্যাক্স করে অন্যদের ডিঙিয়ে শিক্ষক হয়েছেন তাও কারো অজানা নয়। এমনকি তার প্রেমিক পরে স্বামীকে অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক করার অপচেষ্ট যদিও সফল হয় নাই তবে শামারুহ নিজে শিক্ষক হয়েই বিদেশ যান যদিও বাহ্যিক স্মার্টনেস প্রশংসনীয় মেধার যতটা নয়। আমাদের লেখা বিডিনিইজ ছাপে না কিন্তু উনার লেখা ছাপে শুধু কি তিন ফখরুল সাহেবের কন্যা বা ঢাবি শিক্ষক বলেই। শামারুহ কেমন পড়ান তাও আপনি প্রাণ রসায়ন বিভাগের যে কোন ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। আর তার ছোট বোন সাফারুহ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী থাকাকালে প্রয়াত শিক্ষক ড আফতাব(বিএনপি আমলে নিজ বাসভবনে হত্যা হন) এর টিউটোরিয়ালে রেকর্ড মার্কস পান যা ইতিহাস হয়। চোখা মিয়ার পরিবার আজ এই দেশ দাপায় হায় কপাল(ফেইজবুক থেকে কপি করা)

২| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:১৬

তীর্থযাত্রী বলেছেন: গত বিএনপি আমলে বিমান প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় মির্জা ফখরুল ইসলামের নাম তোলা হয়। এ নিয়ে বিশেষ বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় ঠাকুরগাঁও’র মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। এরপর থেকে চুপচাপ তালিকায় নামটি থাকলেও মির্জা ফখরুল আর এ দাবিটি ঈমানি জোরের সঙ্গে কখনো করেন না! সামারুহ কী কখনও তার বাবার কাছে জানতে চেয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম তোলা-থাকা সত্ত্বেও তিনি এ দাবিটি আর কখনো করেন না কেন?

৩| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:২১

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: চমৎকার লেখা , সকালে একবার পড়েছি

৪| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:২১

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন: আমি সামারুহ বা সাফারুহ কারো ব্যাপারেই কিছু জানিনা, তারা ভাল ছাত্রী বা ভাল মানুষ কিনা, কাজেই সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করবনা। কিন্তু @নিরবখান যে ফেইসবুক থেকে একজনের নামে ছাড়ানো দুর্নাম কপি মেরে দিলেন, সেটার বিশ্বস্ততা সম্পর্কে কতটুকু নিশ্চিত? নাকি তারা মির্জা ফখরুলের মেয়ে বলেই করলেন, কোন হানিফ-মায়ার সন্তান হলে মনে হয় না তা করতেন।

৫| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:২৩

আসিবি বলেছেন: জাহাঙ্গীর আলম আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়র বিভাগে কোঝ নিতে পারেন। তার ব্যাচমেটদের জিজ্ঞাস করতে পারেন বিশ্বাস না হলে।

৬| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:২৪

রকি১৩ বলেছেন: দারুন লেখা

৭| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:২৬

তীর্থযাত্রী বলেছেন: তিনি কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন তা জনগনকে জানানো হোক।
তিনি প্রান রসায়ন ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে প্রথম শ্রেনীতে ৭ম হয়েছিলেন। ৫ জনকে বাদ দিয়ে গত বিএনপি সরকারের আমলে তাকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় শুধুমাত্র ফকরুল সাহেবের মেয়ে বলে।

৮| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৩০

নন্দনপুরী বলেছেন:

হরতালে সাধারন মানুষ হত্যার বিচার চাই......................

৯| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৩০

হিজলবন বলেছেন: বড়ই সাফাই গাইতে পারেন দেহি। হাম্বালীগ যে গাড়ীতে আগুন দিয়ে জীবন্ত ৬ জনকে মেরে ফেললো, রাজপথে লগি বৈঠা দিয়ে পৈচাশিক কায়দায় মানুষ মেরে তার উপর নেতৃ করল, সে ব্যাপারে আপনার কোন বক্তব্য নেই কেন?

১০| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৩১

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন: "প্রথমেই যে কথাটা বলি তাহলো, সামারুহ’র বাবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে গাড়ি পোড়ানো বা সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত ছিলেন না, তার মাপের নেতারা এসবে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকেন না, এটি সত্য। কিন্তু হরতালকে সামনে রেখে যে এসব ঘটনা ঘটে, পাবলিকের গাড়ি পুড়ে ছারখার হয়, বদর আলীর মতো ক্লান্ত-ঘুমন্ত নিরীহ-নিরপরাধ গাড়ি চালক সে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, এটিওতো সত্য।"প্রথমেই যে কথাটা বলি তাহলো, সামারুহ’র বাবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে গাড়ি পোড়ানো বা সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত ছিলেন না, তার মাপের নেতারা এসবে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকেন না, এটি সত্য। কিন্তু হরতালকে সামনে রেখে যে এসব ঘটনা ঘটে, পাবলিকের গাড়ি পুড়ে ছারখার হয়, বদর আলীর মতো ক্লান্ত-ঘুমন্ত নিরীহ-নিরপরাধ গাড়ি চালক সে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, এটিওতো সত্য।"

সহমত।

২৮শে অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার নির্দেশদানকারিরা আজ কোথায়, আমাদের সংগ্রামী লেখক কি তা বলতে পারেন? কিংবা হরতালের আগের সন্ধ্যায় বাসে গান-পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে সাধারন মানুষ হত্যাকারীরা বা সেই হরতাল আহবানকারীরা আজ কোথায়? হরতালের মধ্যে অফিসগামী সাধারন মানুষকে দিগম্বরকারীরা আজ কোথায়?
রাজারবাগ পুলিশলাইনের সামনে মিছিলে অস্ত্র উঁচিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশদানকারী ডাঃ, উকিলার আজ কোথায়? --- খবর রাখেন?

১১| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৩৪

রাফসান রাফী বলেছেন: ব্যাক্তিগত আক্রমন কেবল নিচু শ্রেনীর লোকেরাই করে থাকেন। আর ফজলুল বারীকে নিয়ে নতুন কিসু বলার নেই, উনার লেখা স্ক্র্যাপ ছাড়া আর কিছুই না।

১২| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৩৬

সান্টু বলেছেন: হিজলবন এর সাথে সহমত।

১৩| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৩৭

সান্টু বলেছেন: জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সুন্দর লিখেছেন।

১৪| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৪০

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন: রাফসান রাফী বলেছেন: ব্যাক্তিগত আক্রমন কেবল নিচু শ্রেনীর লোকেরাই করে থাকেন। আর ফজলুল বারীকে নিয়ে নতুন কিসু বলার নেই, উনার লেখা স্ক্র্যাপ ছাড়া আর কিছুই না।

সহমত।

এইসব ছাগুরা কোত্থেকে আসে শুধু বিষ ছড়াতে??

১৫| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৫১

হুজাইফা আহমাদ বলেছেন: রাফসান রাফী বলেছেন: ব্যাক্তিগত আক্রমন কেবল নিচু শ্রেনীর লোকেরাই করে থাকেন। আর ফজলুল বারীকে নিয়ে নতুন কিসু বলার নেই, উনার লেখা স্ক্র্যাপ ছাড়া আর কিছুই না।

সহমত।

১৬| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

আদনান প্রীতম বলেছেন: লেখা টা পরে একটু বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষে যখন দেখলাম যে শালা ফযলুল বারী, তখন যা বুঝার বুইঝা নিছি।

১৭| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৫৭

আদনান প্রীতম বলেছেন: ২৮শে অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার নির্দেশদানকারিরা আজ কোথায়, আমাদের সংগ্রামী লেখক কি তা বলতে পারেন? কিংবা হরতালের আগের সন্ধ্যায় বাসে গান-পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে সাধারন মানুষ হত্যাকারীরা বা সেই হরতাল আহবানকারীরা আজ কোথায়? হরতালের মধ্যে অফিসগামী সাধারন মানুষকে দিগম্বরকারীরা আজ কোথায়?
রাজারবাগ পুলিশলাইনের সামনে মিছিলে অস্ত্র উঁচিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশদানকারী ডাঃ, উকিলার আজ কোথায়? --- খবর রাখেন?


সহমত

১৮| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:০০

তীর্থযাত্রী বলেছেন: ফকরুল সাহেবদের নির্দেশে এগুলো সংঘটিত হয়েছে











ফকরুল সাহেবদের নির্দেশে এগুলো সংঘটিত হয়েছে

১৯| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:০৭

সাদাকালোরঙিন বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল প্রতিউত্তর । মেয়ে তো বাবাকে ফেরেশতার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল আপনি তার যোগ্য উত্তর দিয়ে মাটিতে নামিয়ে এনেছেন।

২০| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:২৩

সাইফ সাইমুম বলেছেন: সাদাকালোরঙিন বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল প্রতিউত্তর । মেয়ে তো বাবাকে ফেরেশতার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল আপনি তার যোগ্য উত্তর দিয়ে মাটিতে নামিয়ে এনেছেন। [/sb

পোস্টটি শোকেসে তুলে রাখলাম।
শুভেচ্ছা :)

২১| ২২ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:৩৪

যুক্তিপ্রাজ্ঞ বলেছেন: ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক

তিনি সিডনির ফকির ইলিয়াস... আমলে নেয়ার কিচ্ছু নাই!

২২| ২২ শে মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

মুহসীন৮৬ বলেছেন: কমেন্ট এবং পোষ্ট পুরোটাই ব্যক্তিআক্রমনে ভরপুর!!!

২৩| ২২ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:০০

ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না..............আবার নগরে ফুলের বৃষ্টি হলেও তার সুফল সাধারন জনতা কখনোই পায় না............সবকিছুই সমাজের উঁচু শ্রেনীর জন্য

আজকে উনার পিতা জেলে আছেন বলে ব্লগে আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সামনে মায়াকান্না........কালকেই পিতা হবেন মন্ত্রী আর ওনার দাপটে আশেপাশের সবার উঠবে নাভিশ্বাস...........

অনেক হলো..........রাজনীতি আর পরিবারতন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি চাই......

২৪| ২২ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

আগুনমুখা বলেছেন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে গাড়ি পোড়ানো বা সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত ছিলেন না, তার মাপের নেতারা এসবে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকেন না, এটি সত্য। কিন্তু হরতালকে সামনে রেখে যে এসব ঘটনা ঘটে, পাবলিকের গাড়ি পুড়ে ছারখার হয়, বদর আলীর মতো ক্লান্ত-ঘুমন্ত নিরীহ-নিরপরাধ গাড়ি চালক সে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, এটিওতো সত্য।

২৫| ৩১ শে মে, ২০১২ বিকাল ৫:১৫

রুমি আলম বলেছেন: ফজলুল বারীর সঙ্গে সহমত তিনি ঠিকই লিখেছেন। আবার সামারুহ যা লিখছেন বা যেরকম প্রত্যাশা করেছেন সেটা নিতান্তই ফখরুল কন্যারুপে যুতসই। কিন্তু ঢাবি শিক্ষক হিসেবে যেটা একেবারেই বেমানান, অপরদিকে ফখরুল তনয়া হিসেবে খুবই স্বাভাবিক। আবার @নীরবখান@ সামারুহ এর শিক্ষক হওয়া নিয়ে যা লিখেছে আমার জানামতে সেটাও সত্য।
সত্য সবসময়েই সত্য। এখানে দেখা যাচ্ছে বরতমানের ঘটনাকে পুরবের কোন ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে বৈধতা দেওয়ার অপচেস্টা। যা কিনা ঐতিহাসিকভাবেই হাস্যকর।

২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯

একটু স্বপ্ন বলেছেন:
অসাধারণ লেখা।
শুভকামনা..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.