![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!
বেশ কয়েকদিন ধরেই আমরা যা যা শুনছি, তার একটা কথা বেশ স্পষ্ট ভাবে কানে আসছে। তা হল ২৫ অক্টোবর থেকে কি হবে? ব্যাপারটা বেশ ভাবনার, এবং আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে অনেক ভেবেছিও।
মোটা দাগে আমরা জানছি বা জানতে পারছি যে বর্তমান সংবিধান আদালতের রায় মেনে যেটুকু করা দরকার ছিল, তার চেয়েও একটু এগিয়ে গিয়ে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। এর ফলে বাতিল হয়ে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এই সংশোধনের ফলে এখন যেখানে যেয়ে সব কিছু আটকে যাচ্ছে, তা হল সংসদ বহাল রেখে সাধারণ নির্বাচন করা এবং অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান কি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থাকা না না-থাকা নিয়ে।
এর আগে যাদের আগ্রহ আছে, তারা আমাদের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাস একপাক ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, ১৯৭৩ সাল বাদ দিল্ এবং ১৯৯১ সালের আগে, প্রতিটি নির্বাচনের সময়ে আমাদের সরকার ব্যবস্থা ছিল রাষ্ট্রপতি-শাসিত। ফলে রাষ্ট্রপতি নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বেশে নির্বাচন করেছেন। লক্ষণীয়, ৪র্থ সংশোধনীর বেনিফিশিয়ারি হিসাবে জিয়া এবং এরশাদ -- দুজনেই রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থেকেই নির্বাচন করেছেন।
এখন সময় পাল্টেছে। নির্বাচনে হানাহানি আগের চেয়ে বেড়েছে, এবং আমাদের ভেতরে সাধারণ ভব্যতা-শিষ্ঠতা-শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি গুণাবলী প্রায় নেই বললেই চলে। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমরা জাতীয় সংসদের সাধারণ সদস্যদের নির্বাচনের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, এই নির্বাচন জানুয়ারী মাসের ২৫ তারিখের পরেই হবে।
কেন হবে? এর জবাব হল, বর্তমান সংবিধান অনুসারে ২৫ জানুয়ারী এই সংসদের মেয়াদ ফুরাবে। এর পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবার কারনে সংসদ আপনি ভেঙ্গে যাবে। এর ৯০ দিন পরে নির্বাচন হবে। ক্ষমতাসীন দল নিশ্চয়ই ২৫ জানুয়ারীর আগে ক্ষমতা ত্যাগ করবে না। তাহলে তাদের "ক্ষমতার জোর" থাকবে না।
কেন ২৫ অক্টোবরের পরে এবং ২৫ জানুয়ারীর আগে নির্বাচন হবে না? কেননা এই সময়ের ভেতরে সংসদ বহাল থাকবে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করলে আইনগত একটি প্রশ্ন চলে আসবে। সেটি হল শূন্য পদ না রেখে কি ভাবে নির্বাচন করা যায়?
কিছু দিন আগে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিকে তাকালেই দেখা যাবে যে পদ শুন্য না করে মেয়র পদে নির্বাচন করা হয় নাই। তাই, আমার ধারণা, নূন্যতম হলেও সংসদ সদস্যদের পদ্গুলো শূন্য না করে নির্বাচন করলে তা বৈধতা পাবে না। সে জন্য ২৫ জানুয়ারীর আগে নির্বাচন মানে হল "আগাম নির্বাচন", যা বর্তমান ক্ষমতাসীনদের জন্য সুখকর নাও হতে পারে।
পাশাপাশি এটাও মনে রাখা প্রয়োজন, কোন রাজনৈতিক দলের সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাদের মন্ত্রীসভার সদস্যরা বিভিন্ন রকমের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। ফলে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়ে উচ্চারিত শব্দমালা Level playing field এখন আর শোনা যাচ্ছে না। এর মানে কি Level playing field নিশ্চিত করা হয়েছে? মোটেও না! উলটো একথা বলা যায় যে সংসদ এবং মন্ত্রীসভা বহাল রেখে Level playing field নিশ্চিত করা, আমাদের দেশে, সম্ভবপর না।
তবে হ্যাঁ, যদি মেয়র নির্বাচনের মত সংসদ সদস্যরা তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেন, কিংবা নির্বাচন যদি সংসদের মেয়াদ শেষ হবার পরেই অনুষ্ঠিত হয়, তা হলে Level playing field কিছুটা হলেও থাকবে। এমন কি নির্বাচনকালীন সরকারের আকার সেই ক্ষেত্রে কিছুটা বিন্যস্ত করে সর্বদলীয় করা যেতে পারে।
সেই সাথে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনের যোগ্যতার ভেতরে [পরপর অথবা বিচ্ছিন্নভাবে] দুইবারের বেশি নির্বাচন না-করার বিধান যুক্ত করলে আমরা অনেক ভালো ফল পেতাম। সে সাথে ফ্লোর ক্রসিংয়ের বিধি তুলে দিলে দলের ভেতরে সংসদ সদস্যরা খোলাখুলি আলাপ করতে পারতেন।
সংবিধানে ভুল ব্যাখ্যা হল কি না জানি না, তবে এই ভাবে চিন্তা করলে হয়তো বর্তমান সমস্যার একটা সমাধান হলেও হতে পারে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: জনাব, ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারীতে সংসদ বহাল ছিল না। তবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল ছিলেন। কিন্তু আপনার কথা মোতাবেক, একটা একতরফা নির্বাচন হতে পারে। পরে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আবার নির্বাচন হবে। আমরা অতীত থেকে ভাল শিক্ষা না নিলেও খারাপ দৃষ্টান্ত অনুসরণে পিছপা হইনা।
সেই কারনে হাসিনা ২০১৩ সালে ১৯৯৬ সালের খালেদার করা ভুলের আরেকটি সফল পুনরাবৃত্তি করবেন, ইনশাল্লাহ
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
এম আর ইকবাল বলেছেন:
আপনি বলেছেন :
আমাদের ভেতরে সাধারণ ভব্যতা-শিষ্ঠতা-শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি গুণাবলী প্রায় নেই বললেই চলে।
আসলেই আমাদের রাজনীতিবিদদের ভেতরে সাধারণ ভব্যতা-শিষ্ঠতা-শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি গুণাবলী এক্কেবারেই নেই ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩
এম ই জাভেদ বলেছেন: ২৫ জানুয়ারির আগে যদি সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া হয় নির্বাচনের জন্য তাহলে সংবিধান অনুযায়ী ভাঙ্গার তারিখ থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।
আমার মনে হচ্ছে ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারির আদলে সংসদ বহাল রেখে একটা একতরফা নির্বাচন হতে পারে। পরে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আবার নির্বাচন হবে।
আমরা অতীত থেকে ভাল শিক্ষা না নিলেও খারাপ দৃষ্টান্ত অনুসরণে পিছপা হইনা। জয়তু রাজনীতি ।