![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!
বরাবরের মত এই দফাতেও সরকার সংবিধান নামক বস্তুটির কাঁধে নিরাপদে বন্দুক রেখেছেন। দুই-একটি ফাঁকা ফায়ারও করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম ফায়ারটি করা হয়েছে মন্ত্রীসভার সদস্যদের সোমবারের গণপদত্যাগের মাধ্যমে।
এই ব্যাপারে সংবিধান বলছে,
৫৮। (১) প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি-
(ক) তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন;
[ সূত্রঃ Click This Link ]
যতদূর জানা গেছে, এই পদত্যাগ পত্র রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। এও সবাই জানেন যে সোমবারই ছিল মন্ত্রীসভার শেষ বৈঠক। সে কারণে আরেকবার যে নতুন করে পদত্যাগ পত্র লেখানো হবে, সেই সুযোগও নেই। আমরা টেলিভিশন ফুটেজে এও দেখেছি যে পুরো মন্ত্রিসভা দলবেঁধে, স্বেচ্ছায়, হাসিমুখে ও খুশি মনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ পর্যন্ত নিয়েছেন।
ঠিক এই মূহুর্তে বিরোধী থাকলে আওয়ামী লীগ এই পদত্যাগের ঘটনাকে মন্ত্রীসভার গণপদত্যাগ বলে হট্টগোল করত। সরকার অসংবিধানিক হয়ে গেছে বলে তাদের বুদ্ধিবাজদের অনেক আওয়াজ শোনা যেত। এমন কি গণপদত্যাগের কারণে প্রধানমন্ত্রি পর্যন্ত অবৈধ হয়ে গেছেন, সেই কথা বলার জন্য আওয়ামী লীগের উকিল-ব্যারিস্টাররা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তেন। সেই সাথে নৈতিকতার দোহাই তো থাকতই।
আমাদের ধারণা, আওয়ামী লীগের একটা বড় অংশ এখনো সরকারের অনেক কার্যক্রমে অস্বস্তিতে আছেন। তারাও বুঝতে পারছেন না যে একের পর এক সংবিধান লংঘন করে সরকার আসলে কি করতে চাচ্ছে? তাই তাদের পক্ষে মুক্তকচ্ছ হয়ে সরকার বা সরকারী দলের এই অনাচারের পক্ষে-বিপক্ষে কিছুই বলা সম্ভবপর হয়ে উঠছে না!
আজ বারবার মনে হচ্ছে, যেভাবে ১৯৯৬ সালে বিএনপি ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন করে স্বল্প সময়ের জন্য ক্ষমতায় থেকে, কোন মতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পাশ করে, জান বাঁচিয়েছিল। একই পথে হেঁটে এইবারেও না সেই একই চুনে আওয়ামী লীগ তাদের মুখ পোড়াতে যাচ্ছে! যদি তাই হয় ভবিতব্য, এবং কেন জানি সমস্ত সিমটমই তাই দেখাচ্ছে, তাহলে আওয়ামী লীগের পুরো রাজনীতিটাই হয়ে যাবে একটা ভাঁওতাবাজী।
এইবারে আওয়ামী লীগের কোনমতে নির্বাচন করানোর ফল হবে এই যে, শেখ সাহেব এবং স্বাধীনতা নামক ব্যাপারগুলো তাদের দখলমুক্ত হয়ে যেতে পারে। সংবিধান নামক বস্তুটির উপর বন্দুক রাখার দিন ফুরাচ্ছে মনেহয় আওয়ামী লীগের। স্ববিরোধীতা এখন আওয়ামী লীগের প্রতিটি কথায় ও কাজে। অতীতে পল্লীবন্ধু হোমো ও বিম্পি যা যা করেছে, তা-ই এখন আম্লীগ করতে যাচ্ছে।
এখন জনগণের সামনে যাহা বিম্পি, তাহাই আম্লীগ বলেই মালুম হচ্ছে
পাদটীকাঃ
১। আমার কাছে মনে হয়েছে, বাঙলাদেশের আগামী নির্বাচন অনেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ! Click This Link
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: এই বিধান করার ফলে বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীকে ডেকেও পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত হয়তো সরকার প্রধান সেনা সমর্থিত একটি নতুন ধরনের তিনোদ্দীন-টাইপ সরকার গঠন করবে। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হবে না। কেননা সংবিধান সংশোধন করে সরকার নিজেই নিজের পালাবার পথ বন্ধ করে রেখেছে!
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
আশমএরশাদ বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে অন্যভাবেও ভাবা যায়- যিনি নিয়োগ দিবেন তার একটা এক্সসেপটেন্স থাকা সাধারণ ভাবেও উচিত। একটা গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব একদিনের মধ্যেই কিভাবে ত্যাগ করা যায়?
এখানে পদত্যাগকারী অথবা ইচ্ছুক কেউ ব্যক্তিগত অধিকার হরণের প্রশ্ন তুলেনি। অথবা বিষয়টাতে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ বলে কেউ নেই।
৫৪ ধারায় প্রধানমন্ত্রীকে পরোক্ষভাবে গ্রহণ বর্জনের অধিকারের কথা এসেছে। যিনি একদিনের মধ্যে মন্ত্রীর দপ্তর পুনর্বন্টন করতে পারেন তনি গ্রহণ বর্জনের ক্ষমতা রাখেন।
আর এখানে এমন কেউ নাই যে কিনা এখান থেকে ৫৮ ক অনুযায়ী মন্ত্রীর পদ থেকে রিলিজ চাইতেছেন। অথবা দাবী করতেছেন যে আমাকে রিজিল দেয়া হোক। কার্যকরের প্রশ্ন আসছে আসলে সিচুয়েশন এর উপর।
এখন পদত্যাগকারী যদি রিসিভিং চায় তখনই ডেইটের প্রশ্ন আসছে। এখানে মন্ত্রীরা সুবিধাজনক ডেইট কার্যকরের জন্য তার বসকেই দায়িত্ব দিয়েছেন অথবা সেই পাওয়ারটা দিয়েছেন।
সুতরাং রীতির জায়গা থেকে দেখলে এটা দোষের কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ কোন পক্ষ না থাকার কথা বিবেচনায় নিলে সেটা দোষের নয়।
বিচার পতি সাহাবুদ্দিনের ৯০ এ ক্ষমতা নেয়াটা চুড়ান্ত ভাবে সংবিধান বহির্ভুত কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে এটা মেনে নেয়া নিতে হয়েছে।
মন্ত্রীদের পদ এই মুহুর্তে শুন্য এটা বিবেচনা করলেও কিন্তু দেশের রুটিন কাজের শুন্যতা তৈরীর হবে। সে জন্য এই মাইনর ভুলটাকে মেজর হিসাবে দেখার সুযোগ নেই। ডকটিন অব নেসেসিটির কথা আপনারা তত্বাবধয়কের জন্য বলতে পারেন কিন্তু এই জায়গার জন্য কেন বলেন না?
তখনতো বলেন জনগনের জন্য আইন , আইনের জন্য জনগন না।
কিন্তু এখন এত সংবিোধানের অনুচ্ছেদকে পাই পাই করে বিশ্লষন করছেন তত্বাবধয়কের জন্য কেন পাই পাই বিশ্লেষনে যান না।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
নিষ্কর্মা বলেছেন: ক্ষমতাসীনরা এইবারে সংবিধান সংশোধন করে যে ভুল করেছে, আমার ধারণা শেখ সাহেব নিজেও চতুর্থ সংশোধনী পাশ করে এমন ভুল করেন নাই। এখন সরকার না পারছে নির্বাচন দিতে, না পারছে সেনা বাহিনীকে ডেকে ক্ষমতা বুঝায়ে দিয়ে মানে মানে কেটে পড়তে। তার উপরে সংসদ রেখে নির্বাচন করলে যে কি বিপদ হবে, তা ভেবেই (যতই বংশবদ হোক না কেন) নির্বাচন কমিশনও নির্বাচন দিতেই অনাগ্রহী হয়ে পড়েছে।
মন্ত্রীসভাকে মহাজোটের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীসভা করার জন্যে এই পদত্যাগ নাটকের প্রয়োজন ছিল না। আর সেই জন্যেই ডকট্রিন অফ নেসেসিটি এইখানে প্রযোজ্য হবে না। সরকার প্রধান ইচ্ছা করলেই বর্তমান মন্ত্রীসভাকে পুর্নগঠন করলেই উনার অভিপ্রায় অনুযায়ী সেই তথাকথিত "সর্বদলীয়" মন্ত্রীসভা হয়ে যেত। এতে জোট শরিকদের ভেতর থেকে সংসদ সদস্য আছেন এমন মোট পাঁচ থেকে ছয় জনকে নিলেই [দিলীপ-ইনু-কাদের তো এখনই আছে মন্ত্রীসভায়] মহাজোটের দৃষ্টিতে "সর্বদলীয়" মন্ত্রীসভা গঠন করা যেত।
আপনার কথাগুলো আমাদের দেশের মগজ বেচা বুদ্ধিবাজদের মতই লাগছে শুনতে। উনারা এখন চুপ করে আছেন কেন? আর সরকারের এই অসংবিধানিক পদক্ষেপকে তো দুইএকটা বিম্পি-পন্থী উকিল-ব্যারিস্টার বাদে কেউ তো চ্যালেঞ্জও করে নাই! মাত্র একটা ব্লগ পড়েই এই দূরাবস্থা? তাও ত এই ব্লগ হরতালের মতই নাতিশীতোষ্ণ!
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
বিজন শররমা বলেছেন: প্রধান মন্ত্রী ছাড়া অন্য সব মন্ত্রীদের পদ এই মুহুর্তে শুন্য । তবে এ কারনে দেশের রুটিন কাজে শুন্যতা তৈরীর হবে না। কারন মন্ত্রীদের অবর্তমানে সেক্রেটারীগন প্রেসিডেন্টের অধীনে ও তত্ত্বাবধানে কাজ করতে পারেন । বরঙ পদত্যাগী মন্ত্রীদের অধীনে কাজ করাই হবে তাদের জন্য বিপজ্জনক । রাজনীতিকরা না হয় পরে দল বদল করে, রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে অথবা বিদেশে গিয়ে জবাবদিহি এড়াতে পারবেন, কিন্তু প্রজাতন্ত্রের সরকারী কর্মচারীরা কি ভাবে তা এড়াবেন ?
আওয়ামী লীগ চেয়েছিল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে, এটা সংবিধান সম্মত । আর বি এন পি চাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তা এই মুহুর্তে সংবিধান বহির্ভূত । আবার অবস্থা বেগতিক দেখে এখন আওয়ামী লীগ চাচ্ছে বহুদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে, এটা সংবিধান বহির্ভূত । এটা করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে । আর সংবিধান সংশোধন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারই যুক্তিযুক্ত । কারন আওয়ামী লীগ জনগনের ম্যান্ডেট ছাড়াই তত্ত্বাবধায়কের বিধান বাতিল করেছে, যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পছন্দ ছিল ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
নিষ্কর্মা বলেছেন: এক সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থেকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছিল। তারা রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেই দাবীও আদায় করেছিল। সেই তুলনায় কিছুই করে নাই বিম্পি। আর তাতেই আওয়ামী লীগের এমন থরহরি কম্পন কেন?
আওয়ামী লীগ যে বিধানটি বাতিল করেছে, তা সর্বজন গ্রাহ্য ও জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য। উচ্চ আদালতের রায়ের দোহাই দিয়েও পার পাবেন না এই সরকার।
বহুদলীয় সরকার, সর্বদলীয় সরকার আর নির্দলীয় সরকার -- যাই বলি না কেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দেশের জনগণ বেশি পছন্দ করে। রাজনীতিবিদরা যাই বলুন না কেন, বুকে হাত দিয়ে উনাদের কেউই হলপ করে বলতে পারবেন না যে দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন হলে কোন কারচুপিই হবে না। সেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন তো বহুদূরের কথা।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
আশমএরশাদ বলেছেন: সর্বদলীয় সরকার সংবিধানে নেই কথাটা কেন বললেন বুঝলাম না- প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কোন দলের যে কোন সংসদকে মন্ত্রী করতে পারেন। এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে পদত্যাগ করে সংখ্যাগরিষ্ট সংসদের আস্থাভাজন আর কাউকে প্রধানমন্ত্রীর শপথ করাতে পারেন। সুতরাং সর্বদলীয় সরকার কিভাবে সংবিধানে নেই বুঝিয়ে বলবেন? @ বিজন শর্মা।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
নিষ্কর্মা বলেছেন: নির্বাচিত সরকার থেকে নির্বাচনকালীন সরকার আলাদা হবেই, এইটাই কি প্রত্যাশা নয়?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন:
৭ক। (১) কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায় -
(ক) এই সংবিধান বা ইহার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে ; কিংবা
(খ) এই সংবিধান বা ইহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে-
তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।
(২) কোন ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত-
(ক) কোন কার্য করিতে সহযোগিতা বা উস্কানি প্রদান করিলে; কিংবা
(খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে-
তাহার এইরুপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।
(৩) এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
সূত্রঃhttp://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_sections_detail.php?id=957§ions_id=41499