![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!
সম্প্রতি কালো বিড়াল-খ্যাত সেনবাবুর আরেকটি গুপ্ত কথা প্রকাশ পাইয়াছে। তিনি বলিয়াছেন, ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল যাহা ১৯৭৮ সালে বদলাইয়া সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত করা হইয়াছে। সেই হইতে অদ্যাবধি এইরূপেই বিচারালয়গুলি পরিচালিত হইয়া আসিতেছে। ইহা পরিবর্তন করিয়া আবারো সংসদের হাতে এই ক্ষমতা অর্পন করা প্রয়োজন।
সেনবাবু যে গুপ্ত কথাটি চাপিয়া গিয়াছেন, তাহা হইল, ১৯৭৪ সালে ২৫শে জানুয়ারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে চতুর্থ সংবিধান সংশোধনী আনা হয়, তাহাতে সব বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা [পড়ুন বিচারকের চাকুরি হইতে বিদায়ের নিরংকুশ ক্ষমতা] রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পন করা হইয়াছিল। পরবর্তীতে সামরিক শাসক জিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট এই ক্ষমতা না রাখিয়া তাহা একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে অর্পন করেন। এতদ্ব্যতীত এই ঘৃণিত সামরিক শাসক প্রধান বিচারপতির সহিত আলোচনা সাপেক্ষে উচ্চাদালতে বিচারক নিয়োগের রেওয়াজও চালু করেন, যাহা আজও শাসক শ্রেণি পালন করিতেছেন।
রাজনৈতিক লাভে জন্য ১৯৭২ আর ১৯৭৮ এর নাম জপিবার সময়ে একবার ১৯৭৪-এর নাম জপিলে আমরা সেনবাবুদের গুপ্ত এই অসৎ উদ্দেশ্যকে ধরিতে পারিতাম না। সেনবাবুর কথায় বুধো এখানে উজ্জ্বল রূপে প্রকাশিত হইলেও উদো কে প্রায় ঢাকিয়া রাখা হইয়াছে। [স্মরণ করুন, উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে কথাগুলো]
©somewhere in net ltd.