![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতি-বিধি অনুসারে ভূ-আবদ্ধ কোনো দেশকে (নেপাল বা ভুটান) দ্বিতীয় দেশ (ভারত) তৃতীয় দেশে (বাংলাদেশে) যাওয়ার জন্য ট্রানজিট সুবিধা দিতে বাধ্য। কয়েক দিন আগে জনাব আসিফ নজরুল তাঁর কলামে লিখলেন, নদী অববাহিকার দেশ হিসাবে পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া আন্তর্জাতিক আইনে বাংলাদেশের অধিকার।
এই দুই অধিকারের ব্যাপারে বাংলাদেশের কোন সরকারেরই কোন মাথা ব্যাথা নেই। কোন রাজনৈতিক দলেরও কোন মাথা ব্যাথা নেই। কিন্তু অন্য দেশের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তার সবটাই বাংলাদেশ দিয়ে দিচ্ছে! এমন কি পার্শবর্তী চরম বন্ধুপ্রতিম দেশের চাহিদা মোতাবেক বিনা শুল্কে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের জন্য ট্রানজিট দেওয়ার জন্য আমরা বিনাশর্তে রাজি হয়েছি। অথচ এই সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আগে বলেছিলেন এই জাতীয় পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের সুযোগ করে দিলে বাংলাদেশ কোটি কোটি ডলার আয় করবে।
এখন সব ফাঁস হবার পরে দেখা যাচ্ছে আমাদের ভাগে আসলেই কিছুই পড়ছে না। কেননা আমরা গোনায় নেই নি, তাদের একই গন্তব্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের খরচের সাশ্রয় করিয়ে দেবার বিনিময়ে উপযুক্ত কি পরিমাণ মাশুল আমরা পেতে পারতাম। আমাদের ব্যর্থতা এই যে, আমরা আমাদের মঙ্গলটুকু বুঝতে পারছি না। আমাদের ন্যায্য দাবী আদায়ে আমরা ব্যর্থ, কিন্তু অন্যদের সুবিধা দিতে আমরা সদাই প্রস্তুত! এ কেমন পররাষ্ট্র নীতি?
"উপ-আঞ্চলিক জোট ও বাণিজ্য করিডর"-এর মূল কথা আসলে কি? একটু অন্যভাবে বরঞ্চ বলা যেতে "করিডোর বাণিজ্যে" বাংলাদেশের উপযুক্ত পরাজয় হয়েছে।
©somewhere in net ltd.