![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৮.
-বুঝলে নাহিদ দেশটা সব ইডিয়টে ভরে গেছে Its a
land of idiot,
ভেবেছিলাম ঘিঙ্জি ঢাকায় তো অনেকদিন থাকলাম এ
বার কিছুদিন নিজের শহরে কাটিয়ে যাব তা আর
হলো না
নাহিদ এই কথায় নড়ে চড়ে বসলো
-আজ পত্রিকা পড়েছো গত কাল নিউমার্কেটের
দিকে একটা বড় মারামারি হয়েছে লুটপাট ও
নাকি হয়েছে, ১টা স্বর্ণের দোকান
থেকে ২০ভরি স্বর্ণালংকার নাকি নিয়ে গেছে কিন্তু
হামলার মোটিভ নাকি জানা যায়নি হা হা হা...সব
নির্বোধ সাংবাদিক, তোমার কি মনে হয় কি জন্য
হামলা করলো সন্ত্রাসীরা?
-বলতে পারছি না
-ঠিক তুমি কি করে জানবে,তুমিতো আর
সন্ত্রাসী নও| এই দেখ
পত্রকাটি আরো কি লিখেছে ৬ জন গুরুতর আহত
আমার কথা মারবিতো আহত করবি কেন
একবারে জানে মেরে ফেল এই লোকগুলো এখন রাত
দিন হাসপাতালে কাতরাবে পরিবার
ছুটাছুটি করবে ডাক্তারের পেছনে পেছনে|
গাড়ি গাড়ি টাকা নষ্ট হবে |
নাহিদ কিছু ১টা বলতে গিয়েও চুপ করেগেল
-এই ধর দেশে সরকার
কোটি কোটি টাকা ভুর্তুকি দিচ্ছে এই সব দরিদ্র
ভিহ্মুকদের চিকিত্সা খাতে তোমার কি মনে হয়
এতে কি ওরা সুস্থ হচ্ছে, never হাসপাতালের
ঔষধে কথনোই রোগ সারে না আজ
যে রুগী মরবে তা ১০দিন পর মরে এই যা মাঝে শুধু
শুধু টাকা নষ্ট| তুমি জানো রাষ্ট্রীয় বাজেটের কত
% চিকিত্সা খাতে ব্যায় হয়?
-জি না
-তুমিতো দেখি কিছুই জান না! অবশ্য এ দেশ
সম্পর্কে জেনেও লাভ নেই যা বলছিলাম আমার
মনে হয় খুব বেশি নয় তবে অংকটা বেশ বড় ই
শোনাবে Govt শত কোটির নিচে কোন ফিগার
চেনেনা হা হা হা...
দাড়াও আমার বন্ধু আফজল কে ১টা ফোন করা যাক
ও জানতে পারে
মুবিনুদ্দিন সাহেব তার বন্ধুকে ফোন করতে রিসিভার
তুললেন তিনি নাম্বার মনে করতে পারছেন না
৯.
-এই যে শুনছেন
পেছন থেকে কেও ১জন ডাকছে নাজনীন ঘাড়
ঘুড়িয়ে দেখলো, সেদিনের সেই সাংবাদিক ছেলেটি আজ
আবার কি চাই.. সাহ্মী টাহ্মী দিতে বলবে না কি!
সে দাড়ালো না
অনেকটা দৌড়েয় ফিরোজ নাজনীনের কাছে এলো
-একটু দাড়াবেন প্লিস
-আমাকে বলছেন?
-আমার সর্বনিকটবর্তী যেহেতু আপনিই
তবে তো আপনাকেই বলা
-আমি আপনার সর্ব নিকটবর্তী!?
-আমি কিছু mean করে বলি নি
নাজনীন দাড়ালো
-আমি ফিরোজ মাহমুদ, আমাকে ফিরোজ বললেই হবে
-আশ্চার্য্য আমি আপনার নাম ধরে ডাকর কোন
কারন তো খুজে পাচ্ছি না আর তাছাড়া আমি কি নাম
জানতে চেয়েছি!?
-না চান নি তবে নিজের পরিচয় দিলাম
-পরিচয় কি এটুকুই?
-
জি না ,আপনি চাইলে আরো দিতে পারি ইকোনমিক্সে মাস্টার্স
করছি, অনিয়মিত.. সাথে সাংবাদিকতাও,গত কাল ও
আমার ১টা লেখা দৈনিক প্রথম
দিনে ছাপা হয়েছে সে দিনের ঘটনার ওপর দেখেছেন
নিশ্চয়?
-জি না, আমি পত্রিকা পড়িনা
নাজনীনের কি যেন আজ হয়েছে কোন ছেলের
সাথে সে রাস্তায় দাড়িয়ে এভাবে কথা বলবে ভাবতেই
পারে না|পারিবারিক ভাবেই তার মন
মানোসিকতা এটাকে নিষিদ্ধ মনে করে
কিন্তু চশমা পরা ফর্সা এই ছেলেটার সাথে তার কেন
কথা বলতে ইচ্ছা করছে?
-আচ্ছা আপনি তো সিটি কলেজে পড়েন তাই না ?
-আপনি জানলেন কি করে?
-না মানে আপনাকে সে দিন যেতে দেখলাম তো তাই
বললাম|
আচ্ছা আমরা কি হাটতে হাটতে কথা বলতে পারি?
নাজনীন কোন জবাব দিলো না সে সামনের
১টা খালি রিকসাকে ডেকে উঠে পরলো বললো ডান
দিকে চলেন, সে এক বার ও পেছনে তাকায়নি |
ফিরোজ হতবাক সে এমন কি বলেছে যে মেয়েটা অমন
করলো !
রিকসাতে যেতে যেতে নাজনীনের খুব থারাপ
লাগছে কেন সে অমন অসভ্যতা করলো তার
চোখে পানি আসছে সে প্রাণপণ
চেষ্টা চালাচ্ছে তা আটকাতে|
১০.
জহুরুল হক চরম বিরক্ত তার বর্তমান রাজনৈতিক
কার্যক্রম ও তার অতীত উত্থান নিয়ে একটা কলাম
আজ জাতিয়
দৈনিকে ছাপা হয়েছে এবং এটা যে ইতিবাচক নয়
তা তার কুঞ্চিত কপাল দেখেই বোঝা যাচ্ছে
-ভাই ফিরুর বেশি বাড় হয়ছে এবার ওরে বসায় দেন,
ব্যাটার কত্তো বড় সাহস আপনার
নামে উল্টা পাল্টা লেখে
-চুপকর বদর, আমি বলছিলাম ওর সাথে কথা বলতে ও
কত চাই জানতে তুমি কি তা করেছো ?
-কি যে বলেন মিয়া ভাই আল্লার কসম
আমি যদি চেষ্টা না করি আমার উপর ছিন্নি পিরের
গজব পরবে| ও ব্যাটার ঘাড় তেড়া ভয় ডর
টাকা পয়সায় কাজ হবে না ওরে বসায় দেন
-চুপ একদম চুপ আমাকে উপদেশ দেবে না,
যাও মজিদ কে দেখা করতে বল
সামনে নির্বাচন এখন পাবলিকের কাছে তার অতীত
নিয়ে এলে হাওয়ার দিক বদল অসম্ভব নয়
তিনি কোন মতে এটা হতে দেবেন না
বদর চলে গেল সে মনে মনে বেশ খুশিই হয়েছে এসব
ধমক সে গায়ে মাখে না সবথেকে বড় কথা ধমক দিলেও
তার প্রস্তাব ই গৃহীত হয়েছে বলে তার ধারনা
১১.
ফিরোজের মটর সাইকেল পুরো গুড়ো হয়েগেছে তার
অবস্থাও এর থেকে কম শোচনীয় নয়, সে এখন
ঢাকা মেডিকেলে আছে অবস্থার অবনতি হওয়াই
জেলা সদর হাসপাতালের
ডাক্তাররা তাকে সেখানে রাখতে রাজি হয় নি|
তার উপর যে হামলা হয়েছিলো তা নিয়ে বেশি কিছু
হয়নি ঘটনার ৩দিন পর ১টা জাতিয় দৈনিকের
৪পৃষ্ঠার ২য় কলামে "সাংবাদিকের উপর
আবারো হামলা" শিরোনামে ১টা খবর ছাপা হয়েছে-
"সৈয়দপুরের স্থানীয় দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার
সাংবাদিক ও স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ABD9 এর
স্থানীয় সংবাদ প্রতিনিধি ফিরোজ মাহমুদের উপর
গত ২৯শে জুন রাতে একদল সশস্ত্র
সন্ত্রাসী হামলা করে পাওয়া তথ্য
অনুযায়ী তিনি তখন জেলা প্রেসক্লাব থেকে বাসায়
ফিরছিলেন| কে বা কারা হামলার সাথে জরিত
তা এখনো জানা যায় নি এ ব্যাপারে মতিগঞ্জ থানায়
১টি মামলা করা হয়েছে| শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত
তার অবস্থা আশংকা জনক| এই ঘটনাকে কেন্দ্র
করে স্থানীয় সাংবাদকর্মী বৃন্দ জেলা প্রসক্লাবের
সামনে মানব বন্ধন ও ১বিহ্মভ সমাবেশের
আয়োজন করে এতে জাতিয় মহা ঐক্য জোটের
নেতা ও সৈয়দপুর ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য
জহুরুল হক ও প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মনির
মুহাম্মদ ও স্থানীয় সুধি সমাজের প্রতিনিধী বৃন্দ
বক্তব্য রাখেন| জহুরুল হক তার বক্তব্য বলেন শুধু
সৈয়দপুরেয় নয় পুরো দেশেই আইন
শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে এজন্য তিনি সরকারের চরম
অব্যবস্থাকে দায়ী করেন"
to be continued
©somewhere in net ltd.