নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

Name Fame নাম যশ সমাচার !

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৪

আজকাল বিখ্যাত হওয়া একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে,আগানে বাগানে চিপাই চাপাই খালি বিখ্যাত লোক!

আগে শুনতাম ছেলেপেলে FDC নাটকপাড়া পত্রিকার অফিসে চা ভর্তি ফ্লাক্স,বিড়ির পেকেট টেনে চুল পাঁকিয়ে,সেন্ডেলের তলা হ্ময়িয়ে অবশেষে একটা সাইড রোল বা পত্রিকার ভিতরের পাতায় ইঞ্চি খানেক জায়গা পায়

কিন্তু এখন বিখ্যাত হওয়া ছেলের হাতের মোয়া



বিখ্যাত হবার অনেক কলাকৌশল ও আবিষ্কার হয়েছে,এই কৌশল গুলোকে মোদ্দা কথায় দুই ভাগে ভাগ করা যায়,যথা- এনালগ এবং ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল



এনাগত পদ্ধতি :

পত্র পত্রিকাতে লেখা লেখি করা, সাহিত্য সংগঠন খুলে ফেলা,চটি সাইজের মেগাজিন বার করে বিলি করা,বাপের পয়সায় ২১শে বই মেলায় বই ছেপে বিখ্যাত কারো দিয়ে সেই বই এর মোড়ক উন্মোচন করার সময় বিখ্যাত ব্যক্তির যত টা সম্ভব গা ঘেষে ৩২খানার জায়গায় ৩৪খানা দাঁত বার করে ছবি তোলা (এই সময় সম্ভব হলে বিখ্যাত ব্যক্তিটির কাঁধেও হাত রাখা যেতে পারে)

গেট আপ পরিবর্তন,যেমন শান্তি নিকেতনি ব্যাগ ঘাড়ে ঝুলানো,পায়ে চটি সেন্ডেল,দর্শন ইন্দ্রিয়ে কোন ত্রুটি না থাকলেও মোটা ফ্রেমের একটা ভারি চশমা নাকের উদ্ধদেশে চড়ানো (ভুলেও নাকের ডগায় ওটা রাখা যাবে না এতে উকিল বা সবদার ডাক্তার মনে করে লোকে ভুল করতে পারে)

চুল দাড়ি না কাটা,সাথে সব সময় গামছা ও রাখা যেতে পারে এটা আবার আলাদা সিম্বল যেটা বোঝায় ওনার দিল এতো বড় যে ছোট রুমাল টুমালে তার পোষায় না|

রং চটা জিন্স ফতুয়া চলবে,পাঞ্জাবী ও পরা যেতে পারে| তবে হলুদ পাঞ্জাবী পরা ভালো,এতে হিমুর প্রতি পাবলিকের ইমোশন টা কাজে দেবে, গামছা বা খদ্দরের ও আলখেল্লা পরা যায় এতে দেশ প্রেমিক লুক আসবে,মোট কথা যাতে লোকে তাকায় আর কি|

আরো কিছু করনিয়,যেমন ছেলেমেয়ে দের আড্ডা দেখে বা টেলিভিশনে ছাত্রলীগ/দলের মারামারি দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া এবং চোখের পাতা কপালের চামড়া কুঁচকে ফেলা,যাতে বুঝা যায় সমাজ যে রসাতলে যাচ্ছে এটা দেখে তিনি চরম বিরক্ত,এসময় মাথা ডানে বায়ে ঝাঁকিয়ে একটা দীর্ঘঃশ্বাস ও ফেলা যেতে পারে,এতে এক্সপ্রেশন টা আরো ভালো হবে,যাতে বোঝা যাবে উনি শুধু বিরক্ত ই নন ব্যথিত ও বটে|

আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবুক ভাবুক ভাব করে হাটা চলা করা(তবে এহ্মেত্রে সম্মুখ গমন পথ সম্পর্কে পূর্ব ধারনা থাকতে হবে তা না হলে খানা খন্দে পড়ে নর্দমার কবি উপাধি পাওয়া বিচিত্র নয়)

আরো কিছু করনিয়র মধ্যে ক্লাসে একা একা চোখ মুখ শক্ত করে বসে সাহিত্য পত্রিকার পাতা উল্টানো,ডিপার্টমেন্টে নতুন সেশনের ছেলে মেয়ে এলে তাদের কাছে যেয়ে জিঙ্গাস করা তাদের ভিতর কাদের গান বাজনা বা সাহিত্য সৃষ্টির প্রতি আগ্রহ আছে এবং ক্লাস শেষে তাদের কে আম বাগান জাম বাগানের তলে দেখা করতে বলা এবং তাদের নিয়ে আসর জমিয়ে বসা| নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে বিখ্যাত লোকদের লেখার মাঝ থেকে কেঁটে ছেটে এমন করে কথা বলা যেন ওটা নিজেই এই মাত্র সৃষ্টিকরলেন, এই সময় ছোট ভাই

বোনেরা বাহ্ বাহ্ মারহাবা টাইপ

ডায়লগ দেবে,হাত তালিও পড়তে পারে, তখন হাত উচিয়ে তাদের খান্ত করা বা মাছি তাড়াবার ভঙ্গি করে মুখে বিরক্তির ভাব আনা,যাতে মনে হবে উনি নিজের গুন কির্তন পছন্দ করেন না এবং এই মাত্র যেটা তিনি বলে করতালি পেয়েছেন ওটা তার জুতার তলার

পেরেক,যদি তিনি জুতা ই জনসম্মুখে পেশ করেন তবে তারা বিস্ময়ে ফিট হয়ে যাবে আর পুরো দেহ তো বাকি ই..

জুনিয়র দের সাথে এই হৃদ্যতা গড়ার প্রসেসের সময় কেউ কেউ নিজেদের হাত পা সংযত রাখতে পারে না যার ফল স্বরূপ জুনিয়র মেয়ের কাছে চড় থাপ্পর ও খায়,এটা হলে সব শেইষ

সুতরাং নিজেকে সংযত রাখার আমরন চেষ্টা করা| আর পাবলিক

সাথে সব সময় মেপে মেপে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে যাতে কেউ ফ্যাচকানো নোয়াখাইলা পাবনাইয়া বা বরিশাইলা না বলে বসে



এই হল এনালক প্রসেস, তবে এটা খুব ই স্লো এবং এতো ভং ধরে ঢং করা কিছুটা হলেও কষ্ট সাধ্য|

ভার্সচুয়াল বিখ্যাত হওয়ার প্রসেস তুলনা মূলক সোজা

কিছু ভার্চুয়াল বিখ্যাত হওয়ার পদ্ধতির ভিতর Blogging একটি| এ হ্মেত্রে প্রথমে একটা ব্লগ

খুলে কয়েকটা ব্লগ লিখতে হবে,তার পর অন্য ব্লগারদের ব্লগ পোস্টে হা হু কমেন্ট করতে হবে,বিনিময়ে হা হু কমেন্ট পাওয়া যাবে,ব্নগে ভিজিটার বাড়বে এহ্মেত্রে পোস্ট না পড়লেও চলবে| ভিজিট দিয়েছি এটাই বড় কথা



ফেসবুকে ফ্যান পেজ,নরমাল পেজ উইথ এব-নরমাল নাম,গ্রুপ ইত্যাদি খুলে এগুলোতে নিজেকে ধর্মনিরপেহ্ম,উদারচেতা,সংস্কৃতিমনা বুদ্ধিজীবি নাস্তিক বলে জাহির করা,দেশের জনগণকে সংখ্যা গুরু ও সংখ্যা লুঘু তে ভাগ করে সংখ্যা লুঘুদের পহ্ম অবলম্বন করা, যত টা সম্ভব ইসলামকে বাঁশ দেওয়া, অশীলতার বিরুদ্ধ কথা বলার ঢঙ্গে যত টা সম্ভব অশীল কথা বাত্রা বলে ফলোয়ার ফ্যান দের মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করা|



আর সব থেকে সহজ যে কাজ তা হচ্ছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ফ্রেন্ড লিস্টে হেচড়ে মেচড়ে ঢুকে পড়া, তারপর তাঁর সব পোস্টে লাইক মেড়ে, জি হুজুর জি হুজুর কমেন্ট করা,সেখানে অন্য কমেন্টকরি দের কারো কমেন্টে বিখ্যাত ব্যক্তিটির সাথে একমত নায় বা তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি এমন সামান্য আভাস পেলেই সময় নষ্ট না করে ঢাল তলোয়ার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে তার বিরুদ্ধে, এতে কিবোর্ডের সব বাটন ভেঙ্গে গেলেও সমস্যা নাই|



এছাড়া নিয়োমিত গুগোলে সার্চ দিয়ে দেখতে হবে ঐ বিখ্যাত ব্যক্তিটির পোস্ট কেউ মেরে দিয়েছে কিনা,যদি পাওয়া যায় লেফট রাইট না করে এক ক্লিকে সেখানে যেয়ে,জান বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়া|

আর যে চোরের বিরুদ্ধে উনার জন্য যুদ্ধ করছি তা জানাতে বিখ্যাত ব্যক্তি টি কে মেসেজ করে জানানো-

"ভাই আপনার বাগান সব খেয়ে ফেলতেছে অমুক ছাগলে আর কেউ নয় আমি ই সেই বীর যে ঐ ছাগল

খেদায়তেছি"



এগুলো সব ই আস্থাভাজন এবং সুনজরে পড়ার জন্য প্রাথমিক কাজ,এগুলা করতে পারলেই হা হা হা....

কেল্লা প্রায় ফতে !

এখন খালি নিজের সব পোষ্টেই বিখ্যাত ব্যক্তিকে ট্যাগ করা এবং তাঁর পা ধরে সুঁড়সুঁড় করে উপরে উঠে যাওয়ার পালা|

কিন্তু এমন ট্যাগকারি অনেক চামচাই থাকবে সুতরাং তাদের এই

আহম্মকি ট্যাগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে ঙ্গানগর্ভ পোস্ট লিখতে হবে এবং তাতেও সেই বিখ্যাত ব্যক্তিকে ট্যাগ করতে হবে



বিখ্যাত খেতাবের হাড়ি পাখা মেলে উড়ে যাবে কোথায়?

শিঁকে ছিড়ে পড়বে মাথায় ;D

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

কালোপরী বলেছেন: :) :)

edit er porei post krten

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২

ইখতামিন বলেছেন: পোস্ট করার আগেই পড়েছিলাম.

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫

এন ইসলাম রনি বলেছেন: ইখতামিন ভাইয়া,
পোস্ট করার আগেই পড়েছিলেন নাকি ওগুলা আগেই করেছিলেন ;)

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

লিখে বলেছেন: হাহাহা! মজা পাইলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.