নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেপ্টেম্বর এর ডায়েরি

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

১।
ভালবাসা তুমি এক স্যান্ডেলে একলা পায়ে কত দূর যাবে?
কতদূর তুমি যেতে পারো,
কতদূর সকলে যায়?
সামনে যদি ভয়াল নদী কিংবা সাগর খাঁদ এসে দাঁড়ায়,
তুমি কত দূর যাবে?
কত দূর দিতে পারো তুমি পিছুটানহীন উজার সাঁতার?
তুমি কি শিল্প জানো, বানাতে জানো শাল কাঠে মসৃণ রোদ মাখা গলুই,
তুলে দিতে জানো নিভৃক পাল সাক্ষি করে ঐ দূর নীল আসমান?
বৈরী অথবা অনুগামী হাওয়া নিয়ে
কতদূর তুমি যাবে?
কতদূরের নাবিক তুমি হতে চাবে?


২।
কাওকে অধিকার নিয়ে কোন কথা বলা কঠিন
আজকাল তো কারো সাথে রসিকথা ও চলে না
শুধু হাই হ্যালো আন্তরিক অভিনয়ে বুকে চেপে ধরা।
সম্পর্ক গুলো এখন চারপেয়ে ঘূণে ধরা চেয়ার
যেখানে সামান্য ভরে ভেঙ্গে পড়ার ভয়;
আমাদের ঘর দোরে এখন সব আন্তরিক চেয়ার পাতা,
ছুঁয়ে যাও, দেখে যাও,
আতিথীয়তায় কার্পণ্য নেই এতটুকু,
শুধু বুঝতে যেয়ো না,
বসতে চেয়ো না অধিকার দাবী করে;
এখন শুধু ই সংঘর্ষ এড়িয়ে স্রোতে ভেসে যাওয়া,
চাহিদার ছিপে তুলে নেওয়া যে যার খোরাক।


৩।
আমাদের শস্যের উৎপাদন ছিল আমাদের ক্ষুধার সমান
তবু কারখানার বিলাসী ক্ষুধায় বেড়ে গেল এসিড বৃষ্টি
আর জ্বলে গেল চিরসবুজ অরণ্যের বুক, তাজের শুভ্র মার্বেল,
পোট্রেট থেকে ধুয়ে গেল আমাদের স্বপ্নের রং,
ক্ষয়ে গেল পাথর কেঁটে গড়া আদিপুরুষের মনুমেন্ট,
আদমের নিভৃত পায়ের চিহ্ন।


৪।
কী ভয়ংকর এই একাকীত্ব
যখন বিশ্বাসের দাঁত ছিঁড়ে খেলো ভালবাসার রাত,
আর ভালবাসা, সেও বুকের বোতাম খুলে দেখালো স্বপ্নহীন অনিশ্চয়তা !
কী ভয়ংকর রাত এসে গেল
হঠাত্‍ ই স্বপ্নের প্রভাতে
চন্দ্র সূর্যে মহাজাগতিক পূর্ণগ্রহণ লেগে
এই জাগতিক পৃথিবীতে!


৫।
তোমার জন্য পথ হলাম
তারপর বর্ধিত হতেই থাকলাম
পূর্ব পশ্চিম হেঁটে গেলাম বৈকালের পাশ দিয়ে বাল্টিক পর্যন্ত
তোমার জন্য ঘুরে এলাম পৃথিবীর পুরোটা মানচিত্র।


৬।
ভালবাসি অথচ অধিকার নেই,
যে যার সন্তানের জন্মসূত্রে জড়িয়ে থাকা নাম অথচ অধিকার নেই,
এক খাটে রাত জাগি অথচ অধিকারে নেই পাশের মানুষ;
অধিকার নেই, অধিকার নেই পায়ের তলে এক খন্ড মাটি,
জলের ঘূর্ণি নিয়ে যায় ভাসিয়ে বসত-বাটি
বছরান্তে গোর খুঁড়ে কেড়ে নিয়ে যায় শেষ সাড়ে তিন হাত ঘাঁটি।
অধিকার নেই, অধিকার নেই,
অধিকারে নেই তুমি।


৭।
কিছু ইচ্ছা ছায়ার মত ভেসে যায় জলের স্রোতে,
কিছু চোখ বেয়ে নামে অলক্ষ্য অশ্রুতে,
কিছু ইচ্ছা অনিচ্ছায় বদলায়,
কিছু থেকে যায় তুলে রাখি নিভৃত
ছায়ায়।

কিছু প্রেম ঝড়ের মত আসে
কিছু করে বাগান সৃজন
কিছু সব নিয়ে ভাগে
কিছু থেকে যায়,
কিছু প্রেম অপ্রেমে হারায়।


৮।
যে প্রেম অসময়ে আসে
যে প্রেম অসময়ে কড়া নাড়ে দরজায়
যে প্রেম ভাসিয়ে নেয় আর জন্মের শত ব্যর্থ প্রণয়
সে কোন কোন স্বর্গীয় প্রেম নয়,
সেই ভীষণ বন্যার মত ছুঁটে আসা প্রেম ভয়ংকর সর্বগ্রাসী,
সে প্রেম তুমি- অসময়ের কালবৈশাখী।


৯।
সব দুঃখ তুমি হাসিতে বিনিময় করো
পালটে নাও অভিমান,
আকাশ সমুদ্রে, ছৈ ঘেরা নৌকোর নিঃসঙ্গতায় শুনে নাও বাতাসের গান,
নয়তো ফানুস করো তারাদের মত,
পালটে নাও, পালটে নাও সময় থাকতে সব অভিমান,
নয়তো ঢুকে পড়ে ঘাস চুইয়ে নির্মোহ শিশিরে
ভালোবাসায় ডেকে আনে জল নামা ভাঙনের টান।


১০।
বুকের মাঝে উল্কা পতন
চাঁদের বুকের ক্ষত
স্রোত নিয়ে যায় বালির রেখা
ভাসায় নুড়ির মত,
চলতে চলতে দুপুর গড়ায়
বিরান পথে বৃক্ষ খুঁজি ছায়ার খোঁজে দাঁড়াই,
কোথায় যেন রেখে গিয়েছিলাম অশ্বত্থ এর বীজ
সেটা কি আজো চারা ই !


১১।
সব সবুজ বাতি মানেই প্রবেশাধিকার নয়,
এই যে তুমি রাতদিন একবিন্দু শিশিরের মত সবুজ
জ্বেলে আছো এলইডি স্ক্রিনে
আমি তো এক পা ও এগোতে পারছি না
যাও একটু এগোয় পথ রোধ করে
দাঁড়িয়ে পড়ে ব্যাক স্পেস এর
ট্রাফিক।
আমি যাচ্ছি আসছি, জোনাকির মত জ্বলছে নিভছে সবুজ,
এর কি মানে?
এর কোন মানে হয়?
পারাপার নেই দু'জন রাত দিন জ্বেলে আছি অর্থহীন সবুজ সংকেত!


১২।
এর আগে প্রেম আসেনি তা নয়,
এসেছে, একজীবনে বহুবার প্রেম আসে,
কিছু প্রেম ছায়ার মত পিছে পিছে চলে
কিছু অভিমানী সুরে কথা বলে,
তবু কিছু প্রেম থাকে মেলানো যায় না সহজে
কিছু থাকে অন্য রকম,
কিছু প্রেম পুরোটা আলাদা,
কিছু প্রেম থেকেও নেই
নেই অথচ আছে,
কিছু প্রেম তোমার মতন।


১৩।
বুনো সাভানা র দীর্ঘ রাত শেষে সূর্য পিছে নিয়ে একদিন সে যদি আসে
সেদিন দুজনে ভাগ করে নেব উপরের বহু রং এর আকাশ টা
ভাগ করে নেব যেটুকু জলের সঞ্চয়,
সেদিন আমিও এই এক বৃষ্টি পাওয়া সাভানার মত সবুজ হবো
বুক খুলে দেখাবো ভিক্টোরিয়ার মত নীল টলটলে জলের হ্রদ
লিভিংস্টোন এর পাথুরে দৌড়ে যাওয়া জলোপ্রপাত,
নীলের মত সবুজ নিয়ে চলে যাবো চিরে ধূসর নুবিয়ান।


১৪।
একদিন হুট করে সবকিছু ছেড়েছুড়ে চলে যাবো দূরে,
এই ফেসবুক ওয়াল টা আর কখনো আপডেট পাবে না
পুরনো টাইম লাইনে বৃদ্ধ হবে পুরনো স্ট্যাস্টাস
কেউ কি আছে সেদিন লিখে যাবে- ফিরে এসো?
-নেই, এমন কেউ কখনো ছিল না,
তবু পুরোটা টাইম লাইন ভরে আছে কেউ,
আমি যার এক জোড়া নীরব চোখ রেখেছি একবিন্দু সবুজে ডানপাশে জাগিয়ে।


১৫।
যা লিখি সব কবিতা নয়
আমার খুব কম লেখাই কবিতা হতে পেরেছে
খুব কম লেখা ই দেখেছে শিল্পের কারুকাজ অক্ষরে।
যা লিখি সব কবিতা নয়,
প্রায় ই কবিতার খোঁজে হাজার ক্রোশ নিউরণের পথ হেঁটে
মেলে কানা গলি
দেখি স্মৃতির বিল্ডিং উঠে গেছে সারিসারি গায়ে গায়ে
একটা পথ ও নেই এগোনোর!
যা লিখি সব কবিতা নয়,
কোন কবিতা নেই সামনে কানা গলি,
সামনে অপ্রবেশ্য বহুতল বাড়ি।


মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। কবিতার মতো রোজ নামচা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.