![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১।
এই নাও জল দিলাম নদী করে
যদি তৃষ্ণা পায় তুলে নাও আজলায়
যদি পারাপার জানো সাঁতরাও
নৌকা ভাসাও,
যদি চাও ধুয়ে নাও আর জন্মের পাপ
নদী সব ই ভাসায়-
সাপে কাঁটা লক্ষিন্দর, কি বেহুলার ঘর ভাঙা মনসা'র শাপ।
২।
তুমি মনোযন্ত্রবীণা
বুকভরা বর্ষার জল
তুমি দূর সিন্ধুর ঢেউ
বালিউপকূলে রেখে যাওয়া সাদা ঝিনুকের কেউ,
বড় নিঃস্ব আছি-
এই তীরে একা একা খেলে কানামাছি
এবার একটু ত্রাণ দাও,
আমাকেও বুক খুলে একটা মুক্ত দেখাও।
৩।
ভয়াল পরিখা খুঁড়ে আছি চারদিকে
সুউচ্চ অট্টালিকা গড়ে
উদ্ধত রাগী বেয়াদব এক লন্ডভন্ড পাঁজরে,
তোমাদের ঝাড়লন্ঠন বৈঠকখানা উত্সপবের রঙিন শহর
ওষ্ঠ ঠোঁটে মাখামাখি সুরাপাত্র ধূমায়িত বন্ধুত্ব
কিন্তু না, পৃথিবী ওটুকুতে শেষ না
কারো চাওয়া এক দুপুরের নির্জন চিলেকোঠা।
৪।
নদী টা কে ভুলে নৌকা টাকে তুলে রাখি স্কেচ এর খাতায়
বলি এর থেকে সাঁকো ভাল,
পরিত্যক্ত নৌকা তবু দুলতে থাকে ঢেউয়ে,
কলকল স্বরে বয়ে যায় নদী ধমনী শিরা পুরো মানচিত্র বেয়ে!
৫।
কখন যে অন্ধকার ঢুকে গেছে ঘরে
ভেজানো দরজা জানালা ভেঙে
দুপুর ছিনিয়ে কখন যে নেমে গেছে রাত,
কখন যে বিকেলের কোকিল পড়ে গেছে সুরেলি চঞ্চু নাড়িয়ে
প্রেমের জানাজা আমার....
৬।
জ্বলতে গেলে বারুদ লাগে
জ্বালাতে লাগে ওষ্ঠ,
দু ঠোঁটে বারুদ লেগে আছে
এক ঘষাতেই জেগে যাবে হা-ভাতে ভিসুভিয়াস
সতর্ক থেকো, কিছু মানুষ ঘর জ্বলা আঁচে সেঁকে নেয় নিজের রোস্ট ও।
৭।
বাতাসের ধূলি কণার ও প্রতিভা থাকে
আলো কে ভেঙে আকাশ করে নীল,
আমি রং গুলে তুলি ডোবাতেই সব কালো-
কাঁদা ঘোলা জল,
রাত দিন দু হাতে কাঁদা মাটি ছেনে হয় না পুতুল
হয় না পাঁচিলের চারকোনা ইট,
উনমুক্ত পড়ে থাকে ঘর বাড়ি
চলে এসো লুটেরা পড়ে আছি এক যুগ পাঁচিল বিহীন।
৮।
তুমি তো আগেও হেসেছো আগেও কেঁদেছো
ব্যথা দিয়ে আগেও জল ফেলেছো
কোন কালে ভালবেসে দেখেছো?
এটা জাদু অপুষ্পক গাছ,
নিরহংকারে ছুঁলে ফুল ফোঁটে
সবুজ পাতা হয় সুঁচালো কাঁটা,
একবার ছুঁলে বাঁচে
বারবার ছুঁলে শুকায়- আগা গোড়া ফুল সমস্ত ডাটা।
৯।
মেঘের উত্থান জাগে শীর্ণ নদীর লোভাতুল চোখে,
ঢাকে জ্যোত্স্না,ঢাকে রৌদের দিন
বাজে যুগল বন্দি মনে বিরহের বীণ
ওদিকে কাক ভেজা হয় শহরের তারে এক রক্তচক্ষু কাক একাকী স্বপ্ন হীন।
১০।
এক কালে প্রিয়জনের সোয়েটার বুনে দিত মানুষ
আঙুলের নকশায় উষ্ণতা রেখে,
স্নেহ জড়িয়ে থাকতো চাদর,
ভালবাসা নির্লজ্জের মত গলাজড়িয়ে ঝুলে অফিস যেতো লাল নীল মাফলারে,
এককালে কলহীন শহরে শরীর নাড়তো কলকাঠি
এককালে সব কিছু ছিল প্রশ্নতীত,
ইতিহাস.. সব এই শহরের ই ইতিহাস।
একখানা চারকোণা রুমাল সেলাই দিয়েই দেখাও, ঘাম টুকু মুছি,
যত্ন করে এক কোণে কুঁড়ি থেকে গোলাপ ফুঁটিয়ে লেখো "ভুল না আমায়",
লোকে হাসুক, লোকে খ্যাত বলুক,
আধুনিক জীবনে হোক একটু আদিক্ষ্যেতা ছেনালী।
১১।
দু দিকে বয়ে যায় লৌহিত্য ভাগীরথী
মাঝখানে হিমালয়- বরফ চূড়া,
এবার ফসল ফলাও মাটি
এনেছি বুক ধোয়া পলি
জলরক্তে ভরে আছে নদী উপনদী।
১২।
বোতলের ছিপি খুলতেই এক ঝলক রূপলী জ্যোত্স্না ছলকে পড়লো তার হাত থেকে
সে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে একটু তাকালো
তারপর দিশলাই জ্বেলে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে দিলো আকাশের চাঁদ টার পাশে...
©somewhere in net ltd.