![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১।
সময় কে টাঙিয়ে রাখছি দেয়ালে
খাটের পাশে এলইডি স্ক্রিনে কব্জিতে হাত ঘড়ি করে
অথচ সময় থামছে না এতোটুকু
সারাদিনরাতে এতো এতো সময় এর ভেতর নিজের কোন সময় নেই আমার
সময় কে চিনতে গেলেই সময় ফুরিয়ে যায়- সকল ঘড়িতে দেয়ালের ক্যালেন্ডারে।
২।
পাঁজরে ভালবাসা ছিল
অক্ষিকোটরে ছিল না শেয়ালের চোখ,
এখন পাঁজরে ক্ষত চোখে ঘৃণা আর ক্ষোভ
এখন শতচ্ছিন্ন মন অবিশ্বাস দুই হাতে
এখন নিজেকে নিজে বিশ্বাস করতে পুনঃজন্ম লাগে।
৩।
বাসনার বিষণ্ণ দুপুর পেরিয়ে যে সন্ধ্যা
সেখানে কালো কালো ক্ষোভেরা হিংস্র হয় রাতের আঁধারে,
যে রাত নক্ষত্রের, যে রাত চাঁদ ও জ্যোত্স্না র, যে রাত প্রেমের গল্প বলার
সেখানে ক্ষোভে অন্ধ অক্ষম মানুষেরা ঘুমতে যায় নির্ঘুম ঘরে।
৪।
আর কিছুতেই তোমার মুখ মনে করা যাচ্ছে না
এখন ফোনে কথা আসে অচেনা মানুষের..
আঙুল থেকে মুছে যাচ্ছে আঙুল,
ঠোঁট থেকে ঠোঁট, চিঠি থেকে অক্ষর ও ঠিকানা।
তুমি কেউ না। কেউ ছিলো না কখনো। আমি এক ভুল স্বপ্নে ছিলাম।
৫।
সবাই কিন্তু স্বরব হবার ছলে উপস্থিতি জানায়
নদীও তার জলের ভাষা জানে
বোবা গাছ ও শব্দ তোলে পাতায়
ঘড়ির কাঁটা প্রতীক্ষা রাখে রাতের
মানুষের কিছু কথা- চোখের মাঝেও থাকে।
৬।
চারপাশে প্রেমে পড়া মানুষ অফিস ফেরত মানুষ ঘামে ভেজা মানুষ
চারপাশে প্রেমিকের চোখ লোভাতুল চোখ হিংস্রচোখ
চারপাশে ধারালো দাঁত বিষাক্ত দাঁত ক্ষুধার্ত দাঁত
চুমুতে চুমুকে ছিঁড়ে চিবিয়ে নিতে জানে সব, শুধু এক মুখোশ অনড়।
৭।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের আকাশে রং কিছু বেশি
বিদায়ী সন্ধ্যাও নিজ মনে রেখে যায় কিছু বিষাদের রং
হারানো মানুষ রেখে যায় শুধুই অন্ধকার- যেখানে আলোর সব রং নিজেতে নিঃস্ব হয়েছে ।
৮।
মুগ্ধতা এক দুরারোগ্য ব্যাধি তবে সংক্রামক নয়।
মুগ্ধতার ক্রোনিক স্টেজে ঘৃণার জন্ম।
মুগ্ধতার ছানি যত দ্রুত কাটিয়ে ফেলা যায় তত ই মঙ্গল,
নয়তো অন্ধ ক্ষোভ জমে উঠে চক্ষুকোটরে অলিন্দ নিলয় অবতল রক্ত কণিকায়।
৯।
কতগুলো ফোন নাম্বার রোজ নেড়ে চেড়ে রেখে দিই ফোনবুকে।
কল লগের দেখা পায় না তারা কখনো।
আর ভুলে যেতে যেতে রোজ তারা গেঁথে যায় অমোচনীয় কালিতে, হয় স্মৃতিতে অমর।
১০।
আমি এক কালো কাক উড়া উড়ি করি রোদ বৃষ্টি ভীষণ কুয়াশা ভোরে,
জানালা ধারে, পাঁচিল, টেলিফোন তারে,
কেউ বলে না একবারো তোর দু চোখ এতো লাল কেন?
১১।
কি অদ্ভূত বালিশে একটা ঠোঁট নেই যাতে চুমু দিতে পারি!
একটা অবয়ব নেই কোলবালিশে
জড়িয়ে ঘুমতে যাবার!
আমি একটা মুখ ও মনে করতে পারছি না!
কি অদ্ভূত আমি কি একটা মানুষ!!
১২।
তীব্র সু-তীব্র বিষাদ
গভীর অবষাদ এর ক্ষত
সিগ্ধ চাঁদ ঢাকে না সে সব,
রাত আসে কালো কাপড় জড়ানো ঘাতকের মত
জানে না সে সব, পুরো টা জীবন বৃত্তান্ত,
মৃত্যু খুব সহজলভ্য নয় এখনো।
১৩।
যত সহজে শিকড় গজায় ডালপালা ছড়িয়ে সে বসে
ততসহজে ফুলের দেখা পাওয়া যায় না কখনো,
কখনো কখনো ফুল ফোঁটাতে ই লেগে যায় একটা সম্পূর্ণ জীবন।
১৪।
নিরিবিলি নির্জন বিল পড়ে আছে
বুকে টলটলে পানি
মৌন মন্থর নদী ব্যস্ত সাঁকো বুকে
সে সবে নেই আজ চলাচল
চুরি গেছে আমাদের বিকেল
মুছে গেছে শান্ত হাটা পথ
এখন শুধুই পড়ে থাকা ক্লান্ত নাগরিক পথ ধরে
নিভৃত গমন মৌন নির্জন রাতের কাছে।
১৫।
এই সূর্যাস্ত সূর্যদয় প্রতি দিন কিছু জীবন নিয়ে যাওয়া
কিছু জীবন দিয়ে যাওয়া খেলা
একবার সূর্যদয় দেখে এখন ফেরার অপেক্ষায় থাকা।
১৬।
ভুলে যাও ছিল, মেঘ বৃষ্টি রৌদ্দুর ছিল,
ছিল চাঁদ, নক্ষত্র আকাশ, পূর্বের জানালা ভরা জ্যোত্স্না,
ভুলে যাও,
এসব চিরকাল কুহকময়।
ভুলে যাও মানুষ, মানুষের মুখ,
স্পর্শ, চুম্বন, হাত ধরা মানবিক হাত,
মানুষে নেই কোন মানবিক সমাজ।
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
fa siam বলেছেন: সুন্দর
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৫
আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: লাইকের বন্যা বওয়ার কথা অথচ!