![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১।
কথাদিচ্ছি ভালোবাসবো যতক্ষণ না মহাদেশ গুলো এক হয়
যতক্ষণ না মিসিসিপি তার জল সঁপে মেঘনায়
যতক্ষণ না প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তাল ঢেউ সিক্ত করে সাহারার বুক
আর সব নক্ষত্ররাজি মেনে নেয় আমাদের প্রণয়।
সময় পেরিয়ে যাবে,
হাতের আঙুল গলে পড়ে যাওয়া জলের মত
ঝরে যাবে পুষ্প পত্র অরণ্য প্রাচীল,
কথাদিচ্ছি ভালোবাসবো, অস্থির সারে বাঁচাবো আমাদের পৃথিবীর প্রথম প্রেম, প্রথম প্রণয়ানুরাগ।
২।
বুকের ভেতর ওলটপালট স্রোত
মুহুর্মুহু গর্জে যাচ্ছে মেঘবিদ্যুত্
শুনেছি ঝড় নাকি এমন!
যদি অনুমতি দাও তোমার সুতীব্র অনলে পোড়াবো আমার পালকের ডানা
তারপর থেকে যাবো কাজল হয়ে সাজের দেরাজে
ভুলে যাব সমুদ্র ডাক
গুটিয়ে নেব শাখা উপশাখা সমস্ত নদী
স্রোত ফেলে বুকে খুঁচে নেব নির্জন বিল
শুধু স্নানের আশ্বাস দাও
দু হাতে ছুঁই অধর তোমার।
৩।
তোমার আকাশে কি এমন জ্যোত্স্না আসে, এমন চাঁদ হেসে উঠে জানালার পাশে?
এমন চাঁদ যখন বলতে নেই বিষাদের কথা?
রোদেরা বিষণ্ণ হয়, ছায়ারা আত্মঘাতী,
বিষাদ জিয়োয়ে রাখে সাঁঝের সময়;
তবু জ্যোত্স্না নয়, এমন জ্যোত্স্নায় মন কথা কয়।
৪।
একদিন রাত এসে ঝাঁপিয়ে পড়বে পর্দাহীন জানালায়
সে রাতে নক্ষত্র দেখার অজুহাতে জেগে থাকা যাবে না কিছুতেই,
নক্ষত্র জ্যোত্স্না ঘাসে সেদিন শুধুই ঘুম লেগে যাবে,
এক গভীর ঘুমের গন্ধ ভরে থাকবে বারান্দা, বুকসেলফ, আধ খাওয়া চায়ের পেয়ালা,
নিঃশব্দ ঘর বাড়ি প্রশস্ত শহর।
অনেক বছর জেগে আছি, জেগে জেগে বাড়াচ্ছি বয়স
সে তো একদিন ঘুমবো বলেই।
৫।
প্রবল বর্ষণে কোনদিন চারদিক ডুবে গেলে
এক পূর্ণ পূর্ণিমার রাতে গ্রামে যাব,
শতবর্ষী আমবাগানের আলো-ছায়ার পাশ থেকে
জোছনা চূর্ণ নিয়ে বয়ে যাবে উজালা গাঙ্গের ঢেউ
দহলিজ ঘরে জ্বলবে কুপির মৃদু আলো
গল্প কথক সে দিন গল্প শোনাবে আমাদের
চাঁদ সওদাগরের নাও উজান দেশের বানিজ্য শেষে ভিড়বে আঙিনায়
আম বাগানের পুবের জলায় নোঙড় ফেলবে চাঁদের জাহাজ,
প্রবল বর্ষণে কোনদিন চারদিক ডুবে গেলে
এক পূর্ণ পূর্ণিমার রাতে গ্রামে যাব....
৬।
একদিন হঠাত্ ই বৃষ্টি নেমে যাবে খুব
আর যাত্রীছাউনিতে জলের গারদ বসিয়ে পড়ে যাবে হাতকড়া,
সেদিন চুপচাপ দুদন্ড দাঁড়িয়ে থেকে হঠাত্ ই ব্যস্ত হবো একে অন্যের পোষাকে বৃষ্টির ছাঁটে,
এই মুক নির্লিপ্ত চেয়ে থাকা থেকে একদিন ভিজে নিউমোনিয়ায় মরে যাওয়া ভালো,
একদিন অন্তত দু একটা কথা বলে যাওয়া ভালো।
©somewhere in net ltd.