![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে ডাক্তারদের হয় দেবতা জ্ঞান করা হয়, নয়ত অশুর কিংবা পশু
আর দশটা উন্নয়নশীল দেশের মতই বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল Ignorance তথা অজ্ঞতা এবং ' ডাক্তার ' সম্প্রদায় এই অজ্ঞতার শিকার
দেশের মেডিকেল কলেজগুলো যেন মহামানব বানানোর কারখানা, আপনার সন্তান কে ভর্তি করিয়ে দিন, একেবারে নিশ্চিন্ত, সে শুধু ডাক্তারি হয়ে সময়মত বের হবে তাই না, তার ভেতর মানবিক কোন অসৎ গুনের চিহ্ন থাকবে না : মানুষের ধারনা কিছুটা এরকম। এর ব্যত্যয় হলেই সমগ্র ডাক্তার সম্প্রদায় কে আকাশ থেকে পাতালে নামিয়ে দেন এই মানুষ গুলো! কি অদ্ভুত
ডাক্তার রা আর দশ জন মানুষের মত মানুষ, তাদের ভেতর ভাল মন্দ দুই শ্রেনী থাকাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক, এই বিষয়টাই মানুষ তাদের ইগনোর্যান্স এর কারনে উপলব্ধি করতে পারে না
দেশে প্রতিটা সেক্টর করাপ্টেড, রাজনীতিবিদ থেকে প্রকৌশলী, উকিল থেকে পুলিশ- RAB সবখানেই অসাধু মানুষের জয়জয়কার, এক্ষেত্রে ডাক্তার সম্প্রদায়ের একশতে একশজনই ভাল মানুষ হবে - এই আশা শুধুমাত্র অজ্ঞরাই করতে পারেন, চিন্তাশীলরা না
সমগ্র ডাক্তার সম্প্রদায় এক শ্রেনীর celebrity ডাক্তার সম্প্রদায়ের হাতে জিম্মি, তারা অতি উচ্চ ভিজিট নেন, রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন, কমিশন খান কিংবা অপ্রয়োজনীয় (?) TEST করতে বলেন, নামের পরে বড় বড় ডিগ্রী থাকায় মানুষ এদের কাছেই যান বেশী, এবং ইনাদের দিয়ে সমগ্র ডাক্তার সম্প্রদায় কে বিচার করেন, একজন সদ্য পাশ করা ইন্টার্ন এর মাসিক আয় একজন রিকশাওয়ালার চেয়ে বেশী ঢাকা শহরে, 500 টাকা ভিজিট নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে করতে দেশের সিংহভাগ চিকিৎসক মাথার চুল থেকে যৌবন সব হারিয়ে ফেলেন : এই বিষয়টা কেও কোনদিন ভেবেও দেখেন না
ডাক্তারি তে চান্স পাওয়া এই দেশে পৃথিবীর আর বাকি দেশগুলোর মতই সোনার হরিণ, প্রতি বছর হাজার হাজার ছেলেমেয়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়ার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে, সৌভাগ্য হয় হাতে গোনা কয়েকজনের, মানবিক হতাশা, ঈর্ষা আর আক্ষেপ সেই হতভাগ্যদের গ্রাস করে সেই সাথে কিছু মানুষের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য সেই চিতায় ঢালে ঘী
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার জজ ব্যারিস্টার হতেই হবে : এই অসুস্থ চিন্তা সমাজ ছোটবেলা থেকেই একজন শিশুর মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে
উন্নত দেশগুলোতে পেশা গুলোর তুলনা করা আসলেই কঠিন, সেখানে সব পেশায় যোগ্য মানুষ আছে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া যেখানে বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন
একজন সাধারন মানুষ কে জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে কোন প্রফেশন ভাল, পুলিশ না আর্মি, ফিল্মস্টার না টিভি স্টার ইত্যাদি
দেশের সবগুলো সংবাদপত্র দুষ্টচক্রে বন্দী, কোন আমলেই খুব বেশী সরকার বিরোধি নিউজ রিপোর্ট করার সাহস করে না, করলেও ফলাফল ভয়াবহ, আমারদেশ পত্রিকা কিংবা চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি কিংবা আগের সরকারের আমলে একুশে টিভি এর জ্বলন্ত উদাহরন। কিন্তু পত্রিকা তো চালাতে হবে, এই জন্য যেই সংবাদই পাওয়া যায় তাতে সত্য মিথ্যার খিচুরি বানিয়ে আরো মুখরোচক করে ছাপানো হয়,
রানা প্লাজার ভয়াবহ ঘটনার পর যখন এনাম মেডিকেল সাক্ষাৎ রহমত হয়ে আবির্ভূত হয়েছিল, সে সময় চ্যানেল আই মেরিল - প্রথম আলো পুরষ্কার অনুষ্ঠান নাচ গান হাসি তামাশায় জাকজমকের সাথে পালন করেছিল। প্রথম আলো আর কালেরকন্ঠে ' সানী লিওন ' নামে এক খোলস বদলানো আন্তর্জাতিক পতিতা কে কিভাবে প্রায় প্রতিদিন হাইলাইট করছে কিংবা কিছুদিন আগে দুই তারকার ফেসবুক ফাইট নিয়ে রিপোর্ট পড়ে একজন শিক্ষিত মানুষের বুঝতে বাকি থাকার কথা না, বাংলাদেশের মিডিয়া প্রায় পুরোটাই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। এর আগেও কথিত বিডি আর বিদ্রোহের প্রথম দিকে মিডিয়ার বিডিয়ার বিদ্রোহে পুরোপুরি সমর্থন হয়ত কেও মনে রাখে নি, রাখার কথাও না
সেই মিডিয়ার নতুন ইস্যু হিসেবে ' মেডিকেল ' সেক্টর কে টার্গেট করা খুব স্বাভাবিক এটাই স্বল্প শিক্ষিত মানুষ জন বুঝবে না : এটা ধরেই নেওয়া যায়। সলিমুল্লাহ মেডিকেল, রাজশাহী মেডিকেল এবং সবশেষে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে মিডিয়ার ভয়াবহ 'প্রমানিত' মিথ্যাচার এর ব্যাখ্যা এই। মিডিয়া নিজেদের গ্রহনযোগ্যতা হারাবে নিজেদের দোষ প্রচার করে : ভাবাটাও মুর্খামি ছাড়া কিছু না
এর আগে বিডিআর - সেনাবাহিনী কে ভয়াবহে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাবাহিনী কে অনেকটাই পংগু করে দেওয়া হল, যখন বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর চীনের পরপরই পৃথিবীর সেকেন্ড পজিশনে চলে আসল, তখনই তাজরীন ফ্যাশন - রানা প্লাজার মত সিরিয়াল ঘটনা ঘটে জিএসপি সুবিধা কেড়ে নেওয়া হল, মালিক শ্রমিক মুখোমুখি করে দেওয়া হল, এখন শুরু হয়েছে ডাক্তার - সাংবাদিক তথা মিডিয়া সংঘাত, ঠিক তখন যখন দেশ স্বাস্থ্য খাতে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে পাশের দেশকে ছাড়িয়ে গেল, পোলিও মুক্ত হল, শুধু এই চিকিৎসা সেক্টরই দেশকে 'মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল ' এ অনেকদূর এগিয়ে দিল
চিকিৎসক ধর্মঘট অত্যন্ত অমানবিক কিন্তু কোন সিচুয়েশনে পৌছালে দেশের একসাথে সবগুলা বড় বড় মেডিকেলে এই ভয়াবহ কাজ করতে ডাক্তাররা বাধ্য হন ভেবে দেখেছেন? যেখানে ডাক্তারের ন্যুনতম জীবনের নিরাপত্তা নেই, সেখানে তারা রোগীকে কিভাবে রোগমুক্তির অভয়বাণী দেবেন?
আগে দেখতাম বুয়েট ভার্সিটি র ভাইয়ারা স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে চলে যান, ডাক্তারদের কখনই সেরকম মেধা পাচারের বলি হতে দেখিনি কিন্তু হঠাৎ সব বদলে গেল রাতারাতি! দেশে ডাক্তাররা যেভাবে USMLE কিংবা PLAB করে ইউরোপ আমেরিকায় যাওয়ার প্ল্যান করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী ডাক্তারদের অনেক চাহিদা, সেই সাথে সম্মান নিরাপত্তা : কোন যুক্তিতে দেশের মাটি কামড়ে পরে থাকবেন তারা এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে আছে?
দেশে ডাক্তার এবং সাংবাদিক : এই দুই প্রফেশনই অত্যন্ত important, এদের অন্তরকলহ সমগ্র দেশকেই সিস্টেমিক ফেইলিউরের দিকে নিয়ে যাবে
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক কিছু বললেন, ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
লেখোয়াড় বলেছেন:
কেউ দেবতা কেউ অসুর।
কেউ ভাল কেউ পশুর।