![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন, দুটি সংবাদ এবং কিছু অনিবার্য প্রশ্ন
২৬ আগষ্ট ' আমাদের সময়' পত্রিকায় দুটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। একটির শিরোনাম- প্রিয় স্বদেশ আমার , অমি ফিরবই । অন্যটির শিরোনাম - ভারত ত্যাগের পরিকলপনা আমার নেইঃ তসলিমা নাসরিন।
প্রথম খবরের বিষয় হলো, ঢাকায় তসলিমা নাসরিনের বাসায় ( শান্তিনগরে এই ফ্ল্যাটটি তসলিমা কিনেছিলেন আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত নির্বাচিত কলামের রয়্যালিটি থেকে) জন্মদিন পালন হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমকালের তুখোড় সব তরুনরা।
নামগুলো না হয় উল্লেখই করি। ঢাবি শিক্ষক রোবোয়েত ফেরদৌস, কবি ও গণমাধ্যম পার্সেনালিটি ( অধুনা চলচ্চিত্র নায়ক) পারভেজ চৌধুরী, সাংবাদিক শামীমা বিনতে রহমান এবং পাহাড়ের তুখোড় রাজনৈতিক কর্মি দীপায়ন খীসা।
ওই সংবাদের প্রতিবেদক জাহিদ আল আমীন জানিয়েছেন, তসলিমা নাসরিন তাকে টেলিফোনে বলেছেন, প্রিয় স্বদেশ আমার, আমি ফিরবোই।
অপর সংবাদটি পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ছাপা হয়েছে ।সেখানে পিটিআই কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলছেন, আমি এই দেশকে( ভারতকে) ভালবাসি।...এ দেশ ত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই।
প্রিয় পাঠক -একই দিনে পাশাপাশি ছাপা হওয়া এই সংবাদ দুটি কি কোনো মেসেজ দেয় ?
তসলিমা নাসরিন নিশ্চয়ই আলোচিত লেখক । তাঁর লেখার শিল্পমূল্য, সাহিত্যমূল্য এবং সামজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে নানাজনের নানা রকম অভিমত রয়েছে। সে সব আলোচনায় না গিয়ে এখন আরো একটি খবর দেই।
স্রেফ খবর!?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে সম্প্রতি একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে তুমুল আলোচনা- আড্ডার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে। এই বৈঠকে থেকে কিছু খসড়া কর্মসূচির কথাও বিবেচনা করা হয়েছে । ওঠানো হয়েছে অল্প কিছু চাঁদা। আর এই বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের কয়েকজনই তসলিমার জন্মদিনের কেক কেটেছেন।
এবার নিকট অতীতের ঘটনা মনে করিয়ে দেই পাঠক আপনাদের।
যখন দেশে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালার নির্মূল কমিটির আন্দোলন তুঙ্গে, যুদ্ধাপরাধী মৌলবাদী জামাত-শিবির এবং ফতোয়াবাজ চক্রের বিরুদ্ধে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ ; ঠিক সে সময় প্রকাশিত হয় তসলিমা নাসরিনের 'লজ্ঝা"।
গর্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে হিংস্র মৌলবাদী গোষ্ঠী। হরতাল- নৈরাজ্য... এবং অতঃপর ....
নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে তসলিমার আদালতে আত্মসমর্পন এবং দেশ ত্যাগ।
পাদটীকাঃ
এখনো যখন আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দাবীতে মুক্তিকামী জনতা ঐক্যবদ্ধ, তখনই তসলিমাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ!!!
নিজেদের অজান্তেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির দাবার গুটি হয়ে যাচ্ছে না তো তুখোড় তরুনরা।!!??
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নজরুল কবীর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যে জন্যে। তবে যে কোনো মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্লগে টানাটানি না করাটাই কি মঙ্গলজনক নয়
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২১
বোকামাষ্টার বলেছেন: ভালো এনালাইসিস করেছেন তো? এমন হলে তো অবশ্যই সবার সচেতন হওয়ার দরকার আছে।
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নজরুল কবীর বলেছেন: ভাবনার খোড়াক হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। বেচে থাকতে হলে একটু তো চোখ কান খোলা রাখতে হয়।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
লালন অনিক বলেছেন: ভাবনার বিষয়....সত্যিই হয়ত...দাবার গুটি হচ্ছে....
তবুও আমার কথা হল প্রত্যেক মানুষের স্বদেশে বসবাসের অধিকার তার জন্মগত...ভাবে, চিন্তনে বনিবনা না হলে কাউকে হয়ত আমরা একঘরে করে ফেলতে পারি, কিন্তু সেটা কি সুষ্ঠ বিচার?
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নজরুল কবীর বলেছেন: না, সেট সুষ্ঠু বিচার না।অবশ্যই স্বদেশে বাস করবেন। তবে আমরা দাবী করি, আমরা বিশ্বগ্রামের নাগরিক।গোট পৃথিবীই একজন লেখক তথা মানুষের ঠিকানা। তসলিমাও পেন এর পুরস্কার পাওয়ার পর এমনটাই বরেছিলেন ফ্রান্সে।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
রায়হান রাইন বলেছেন: বিষয়টা ভাবনার উদ্রেক করে। তসলিমা নিজেও তো সব সময় 'দাবার গুটি' হয়ে চলতে পছন্দ করেছেন, করছেন। তাকে নিয়ে কে যে খেলে আর কে যে খেলায়, বোঝা মুশকিল, তবে খেলা যে চলে সেটা বোঝা যায়।
খবরগুলো দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে, নজরুল কবীর।
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:১৭
নজরুল কবীর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
রবিউলকরিম বলেছেন: স্রেফ খবর!-এর বিশ্বস্ততা কোথায়? সূত্র আছে কিনা?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষমতা সম্পর্কে যতটুকু ধারনা আমার তা হলো তারা আর্মির লাথি হজম করতে পারে, সরকারের তাবেদারি করতে পারে(দু একজন ব্যতিক্রম আছেন), কিন্তু তারা গুপ্ত সংগঠনের মতো করে আলোচনা করে তসলিমাকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন বলে ধারনাটা হাস্যকর ঠেকে। আর ছাত্ররা বাদ দিয়ে শিক্ষকরা কেন? পুরাতন প্রেমিককুল আছে নাকি এখনো?
তবে তসলিমা নাসরিন দেশে ফিরতে চাইতেন পারেন। নায্য অধিকার তার আছে। তার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটায় এসময়ের তুখোড় তরুণদের উপস্থিতি নিঃশন্দেহে তসলিমাকে অনুপ্রাণিত করবে কিন্তু সকলকে নয়।
তবে নজরুল, জাহানারা ইমামের সাথে তসলিমাকে রিলেট করিয়ে জাহানারা ইমামের একটা অসম্মান করে ফেলেছ বন্ধু। এত বড় নিশ্চয় তসলিমা নয়। আর তুখোড় তরুণরা বরাবরই আন্তর্জাতিক চক্রের হাতে দাবার গুটি হয়। এটা নিকটজনরা হলে বড় কষ্টদায়ক হবে।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:১৬
নজরুল কবীর বলেছেন: বৈঠকের খবর সত্য। আর একজন সংবাদকর্মি হিসেবে সোর্সের পরিচয় দেয়াটা বোধগম্য কারণেই যৌক্তিক মনে করিনা।
না, সেখানে শুধু শিক্ষকরা ছিলেন এমন কথা কিন্তু আমি বলি নি।
অবশ্যই তসলিমার দেশে ফেরার অধিকার আছে। তবে তসলিমা এখন দেশে ফিরলেই তাকে জেলে যেতে হবে। তিনি তো এখন দুবছরের সাজাপ্রাপ্ত । দ্বৈত পাসপোর্ট রাখার মামলায়।
আর এখানে জাহানারা ইমামের সঙ্গে তুলনা পেলে কোথায়? আমি বলেছি, মহিয়সী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যখন আন্দোলন তুঙ্গে সে সেময়ই লজ্ঝা বের হয়।
আর তখন ভারত সরকারের ক্ষমতায় বিজেপি। রাতারাতি তসলিমার লজ্জা সে সময় হিন্দি ও মারাঠি ভাষায় অনুদিত হয়। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বেশ কয়েকটি প্রদেশে সাম্প্রদায়িক মানসিকতা সম্পন্ন আন্দোলন শুরু হয়।
এসব ঘটনা কী শুধুই কাকতালীয়!!!????
ভবিষতে তথ্য প্রমানসহ এ বিষয়ে আরো লেখার আগ্রহ রইলো।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৩৫
রবিউলকরিম বলেছেন: যাক শেষ পর্যন্ত জানা গেল যে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছিল না। তবে আর কে কে ছিল? সেটা জানতে ইচ্ছে করে। তসলিমা দেশে ফিরলে গ্রেফতার হতে পারে, এ ভয়ে নিশ্চয় সে দেশে ফিরছে না। কারণ অন্যত্র বলেই ধারনা হয়, একে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, দুই জীবননাশের হুমকি, মৌলবাদীদের আক্রমণ, এইসব নিশ্চয় কাজ করে তার মধ্যে।
রিলেট করছি এ কারণেই যে, মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হবে, দেশ ত্যাগ করতে হবে এই ভেবে নিশ্চয় সেসময় তসলিমা লজ্জা লিখতে বসেনি। এটা কাকতালীয় হতে পারে। তবে এটা এটার কারণে মৌলবাদীরা ইস্যু পেয়েছিল একথা সত্য। তবে মৌলবাদীদের তো বাহানার অভাব হয় না। দেশে কোনো ইস্যু না পেলে বিদেশ থেকে টেনে আনে। তাই বলে লজ্জা প্রকাশ আর মৌলবাদীদের উত্থান এক করে দেখাটা ভুল হবে।
আর একজন লেখকের তো অধিকার আছে লেখার, বলবার। তার মতের সাথে দ্বিমত করতে পারি তাই বলে তাকে অশ্রদ্ধা করতে তো পারি না। আবার এটাও ভাবতে পারিনা, তসলিমা মৌলবাদীদের সম্পুরক শক্তি।
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:০১
নজরুল কবীর বলেছেন: লজ্জা প্রকাশ আর মৌলবাদীদের উত্থান এক করিনি।
মনে হচ্ছে আরো একটা পোষ্ট লিখতে হবে।
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:১৪
বিগব্যাং বলেছেন: পোষ্টের মূল আশঙ্কার সাথে একমত বোধ করছি...
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নজরুল কবীর বলেছেন: সহমতের জন্য অভিনন্দন।
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:১৫
রবিউলকরিম বলেছেন: ভালো হয় সেটি। পোস্টটির উদ্দেশ্য পরিস্কার হওয়া দরকার। কেননা মনে হচ্ছে এটা বোধহয় উপরোক্ত তরুণদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই দেয়া হয়েছে। একটি মানবিক দিককে অন্যখানে প্রবাহিত করবার ইচ্ছা ব্যক্ত হয়েছে।পরিস্কার হওয়া দরকার।
উদ্দেশ্য কি?
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:১১
নজরুল কবীর বলেছেন: কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এটা লেখা হয় নাই।
পচা শামুকে পা কাটার আতংক থেকে লেখা।
বন্ধুরা যদি সজ্ঞানে ওই পথ ধরে হাঁটে, তাহলে তো আর বলার কিছু নেই।
শত শত 'সংখ্যালঘু হিন্দু" এই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অথবা ছেড়ে গেছেন, তাদেরকেও ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হতে দেখলাম না।
ফলে কেমন যেন কিন্তু কিন্তু লাগে....
১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:৪২
মহসীন কাজী বলেছেন: তসলিমা ছাড়া আর কারও খবর থাকলে জানান।
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৬
শামীমা িবনেত রহমান বলেছেন: নজরুল কবীর ২৭ আগষ্ট, বুধবার দুপুরে অফিসে বলেছিলেন এরকম করে,` ছবি ছাপাইছে না আপনারগো-আপনার, পা.চৌ. এর; খাড়ান এক্কেবারে কঠিন জবাব দিতাছি। একটা লেখা লিখছি, পোষ্ট করুম সাম হয়ার ইন ব্লগে।'
আমার সহকর্মী নজরুলের এরকম শিশুতোষ এক্সপ্রেশনে শুধু হাসি দিয়ে অন্যদিকে মনোযোগ দিছিলাম দুপুর বেলায়, এখন তার লেখাটা পইড়া মনে হইলো,`এইটা তো শিশুতোষ না, পাগলেতোষও না, এইটাতো পুরা উদ্দেশ্যমূলক রচনা। খানিকটা ঈর্ষাকাতরতায় আক্রান্ত ও। কিসের ঈর্ষা? ছবি ছাপা হয় নাই বইলা!
ছবি ছাপানো আর প্রচারণার পিছে ঘুরলে যে কোন শুভ আর সাহসী উদ্যোগকে আন্র্তজাতিক রাজনীতির দাবার গুটি মনে হইতেই পারে। যেমনটা ২১ আগষ্ট বোমা হামলার ঘটনাকে বিএনপি-জামাত চক্র কোন অনুসন্ধান ছাড়াই বলেছিল, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা `র' এর কাজ। আর অনুসন্ধান শব্দটা লিখবার কারণেই আপনার লেখারই এক মন্তব্যে রবিউল করিমের একটা অনুসন্দিঃসু প্রশ্ন ছিল,যে প্রশ্নের জবাবে আপনি বলেছিলেন, `সংবাদকর্মি হিসেবে সোর্সের পরিচয় দেয়াটা বোধগম্য কারণেই যৌক্তিক মনে করিনা'; রবিউল করিম শোনেন, যে সোর্স তিনি বলতে চান নাই, ওই তথ্যটি আমারই দেয়া। আমরা কয়েকজন ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ক্লাবে বসে যেদিন তসলিমার দেশে ফেরা নিয়ে একটা কমিটি করি, একেবারেই প্রাথমিক স্তরের; পরদিন অফিসে আইসা আরেক সহকর্মীকে জানানোর সময়, নজরুল কবীরকেও জানাই। আমার কাছ থেকেই তিনি ইনফরমেশনটা পান। তিনি বলবেন না বা বলেন নাই, কারণ তাহলে তাকে বলতে হতো আমাদের এ ধরণের উদ্যোগের মধ্যে কোন লুকো-ছাপা ব্যাপার নাই। আমরা অসম্ভব সরাসরি, প্রশ্নের জবাবে পর্দা টানি না।
এক মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে নজরুল কবীর লিখছেন,`গোট পৃথিবীই একজন লেখক তথা মানুষের ঠিকানা। তসলিমাও পেন এর পুরস্কার পাওয়ার পর এমনটাই বরেছিলেন ফ্রান্সে।' এ দ্বারা তিনি কি বুঝাইতে চাইলেন যে, তসলিমার নিজ দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করা অন্যায়? তসলিমার জন্মদিনে আমি তার সাথে ফোনে কথা বলেছি, তিনি দেশে ফিরে আসারই আকুতি জানাইছেন বার বার। এইটাইতো স্বভাবিক।
আমি মনে করি, তসলিমা নাসরিনের লেখা-লেখি, তার দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে যে কারোরই অন্যমত থাকতে পারে, কিন্তু তার মানে এই না যে তার নিজের দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে কেউ কোন ইনিসিয়েটিভ নিতে পারবে না আর নিলে সেটা আন্র্তজাতিক রাজনৈতিক চক্রের গুটি হবে।আমরা যারা এ উদ্যোগে আছি, আমরা মনে করি, এ ধরণের উদ্যোগ মুক্ত চিন্তা, স্বধীন ভাবে মতামত প্রকাশের অধিকারের পক্ষের এবং প্রকাশ্য, অল্প-প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য মৌলবাদী ধ্যান-ধারণা, মত ধারীদের সরাসরি বিপক্ষের। আমরা, আবারো বলছি, অসম্ভব সরাসরি। সাদাকে সাদা বলবো, কালোকে কালো। উদ্যোগ নিছি যেহেতু উদ্যোগে আমরা স্বত:স্ফূর্ত, সচেতন, সাহসী-এই সাহস কারো গুটি হয় না,হবেও না।
শেষে আপনারে ধন্যবাদই দিতাছি, লেখক। মুক্ত চিন্তার সঙ্গে থাকবার চেষ্টা করুন। প্রগতিশীলতা যদি খোলস হয়,ওইটা পুইড়া ফেলান। আপনারে সরাসরি প্রত্যক্ষ করি।
১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯
নজরুল কবীর বলেছেন: হাঃ... হাঃ... হাঃ.
ধন্যবাদ শামীমা ।
আমি ঈর্ষাকাতর হয়ে কিংবা ছবি ছাপানোর আকাঙ্খায় এই পোষ্ট লিখেছি, এমন অভিযোগ কোন উপাত্তের ভিত্তিতে করেছেন, বুঝলাম না।
আর যে ঘটনাটির কথা উল্লেখ করেছেন, তার শানে নযুল কিন্তু এরকম ছিলোনা।
ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় আরো অনেক কথা-ই হয়। হয়েছে। যেমন আপনার সাথে, তেমনি পারভেজ চৌধুরীর সাথে।
আপনার জানার জন্য বলছি, আপনি তথ্য দেয়ার আগেই এ বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রন পেয়েছিলাম । যিনি দিয়েছিলেন, তাকে বলেছিলাম তসলিমাকে ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নেয়ার যথাযথ সময় এখন নয়। আমি এর পেছনে আমার যুক্তি এবং অতীত অভিজ্ঞতার উদাহরন দিয়েছিলাম।
তসলিমা যখন প্রথম বাংলাদেশে মৌলবাদী গোস্ঠী ও ফতোয়াবাজদের
আক্রমনের শিকার হয়, তখন ছাত্ররাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মি হিসেবে শুধু নয়, টুকটাক লেখালেখি করার সুবাদে 'তসলিমা নাসরিন স্বপক্ষ গোস্ঠী' নামে একটি সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলাম।
সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ছাত্র সমাজ সেসময় মৌলবাদীদের কর্মসুচির পাল্টা হিসেবে হরতালের কর্মসুচিও দিয়েছিলো।
কিন্তু একরকম ইনোসেন্ট অবস্থান থেকে একজন লেখকের পক্ষে অবস্থান নিলোও , সেময় আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু সুখকর ছিলো না।
পাশ্ববর্তী একটি দেশের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা তসলিমা নাসরিনের বাসায় আমাদের সাথে কথা বলে এবং যে অফার দেয়, তা এই প্রকাশ্য প্লাট ফরমে আপাতত না জানানোটাই যৌক্তিক মনে করছি।
পরে তসলিমা নাসরিনের লেখার চেয়ে তথাকথিত খ্যাতির পেছনে ছুটতে এবং স্ট্যান্টবাজি দেখে আহত হযেছি, কষ্ট পেয়েছি ।
আমার লেখার কোথাও আমি বলিনি , তসলিমার দেশে আসতে চাওয়া খারাপ কিংবা দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া খারাপ।
বরং তসলিমা একই সময়ে বাংলাদেশে আসতে চাইছেন আবার বলছেন তিনি ভারত ত্যাগ করতে চান না।
এটা কোন ধরনের স্ববিরোধিতা?
তাঁর মতো একজন স্পষ্টভাষী লেখকের পক্ষে এধরনের দ্বৈত আচরন কী ইঙ্গিত বহন করে ?
আমার ক্ষুদ্র অবস্থান থেকে আমি সব সময়ই মুক্ত চিন্তার পক্ষে থাকতে চেষ্টা করেছি।
আর বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক কূটচালের মতো করে আপনি যে ব্যক্তিগত আক্রমন করেছেন, তার জবাব না দিয়ে শুধু বলি; অপরের মতামত গ্রহন করার মতো সহিষ্ণুতা ও মানসিকতা আমার রয়েছে।
খোলস কে বা কারা পরে বা পরে থাকে, প্রবহমান সময়ই তা বলে দেবে। ভবিষ্যত কর্মকান্ডেই প্রমান মিলবে।
আবারো বলি তসলিমাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ খারাপ - ভালো সে বিচার করার জন্য আমি লিখিনি।
লিখেছি শংকার কথা।
সমকালের তুখোড় তরুনরা নিজেদের অজান্তেই যেন গুটি না হয়, সেই সাবধানবাণী উচ্চারন করেছি মাত্র।
ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায় ।
এখন আরো ভয় পাচ্ছি আপনার মতো প্রগতিশীলরা যখন সতীর্থ আর শত্রু চিনতে ভুল করেন!
আমি বন্ধত্ব হারাতে চাই না!!!!
১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫
তপন চৌধুরি বলেছেন: উনি একজন Feminist৷ এরা নারীবাদি এবং এরকমই হয়৷ আমার মনে হয় ওনাকে মেনে নেওয়াই ভাল তবে মনে হয় না তা এদেশের মানুষের পক্ষে তা সম্ভব৷ Franceএ থেকে গেলেই পারতেন৷
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
নজরুল কবীর বলেছেন: না ভাই, উনি ফ্রান্সে থাকুক এটা চাই না। বিশ্বগ্রামের যেখানে খুশি থাকুক।
খালি কামনা করি, আমরা যারা কোনো রকমে বেঁচে-বততে আছি, তাদের জীবনটাকে 'অন্য দেশের স্বার্থে' যেন ফারদাফাই না করেন।
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৫
বিগব্যাং বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধা আমান আলী সহ আরো নানা কারণে এই মুহুর্তে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী জোরালো...এরকম একটা কোণঠাসা পরিস্থিতিতে যদি তসলিমার মতো একটা গরম ইস্যু পাওয়া যায় তাহলে জামাতের চৈদ্দগুষ্ঠি এ যাত্রায়ও পার পেয়ে যাওয়ার মসল্লা হিসেবে এটাকে আকড়ে ধরবে...অতীতেও প্রয়োজনের সময় তসলিমা জামাতের দিকে এভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন (বুঝে অথবা না বুঝে)...
"প্রগতিশীলতা যদি খোলস হয়,ওইটা পুইড়া ফেলান। আপনারে সরাসরি প্রত্যক্ষ করি।"
নিজের মতো সবাইকে ভাবা ঠিক হবে না...
নজরুল কবীর জেনারেজ এম ইউ আমলের লোক না, জেনারেল হোমো আমলের লোক...এই স্পটে এলোপাথাড়ি ফ্যাশনবুলি না ছড়ানোর আকুল আবেদন জানাই...
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
নজরুল কবীর বলেছেন: ধন্যবাদ, বিগব্যাং ।
১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
রাঙা মীয়া বলেছেন: বিগব্যাং সহমত
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
নজরুল কবীর বলেছেন: ধন্যবাদ
১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
কঁাকন বলেছেন: স্বাগতম
Click This Link
নির্মল বিনোদন লাভ করুন
"মাইনাচ" প্রদান করে ইতিহাসের সাক্ষি হোন।
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৫৬
নজরুল কবীর বলেছেন: @কাকন ,কাজটা ভালা করেন নাই।
এরকম একটা রাজাকারী পোষ্টের লিঙ্ক দিছেন?
সময়টা নষ্ট। তবে এই বলগে নতুন আইছি বইলা হয়তো এখনো রাজাকার দের চিনতে পারি নাই।
নানারকম রাজাকার আছে। কেউ ৭১ এর, কেউ আবার এই সময়ের।
৭১ এর মতই এইসময়ের অনেকে ঘাপটি মেরে আছে।
১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৫
পূর্ব বলেছেন: নজরুল কবীর । ব্লগে স্বাগতম ।
আপনের ক্ষুরধার বুদ্ধির কিছুটা প্রশংসা করলাম।
ভবিষ্যতের লেখা গুলো পইড়া, বাকীটুকু করবো।
আপনেরে +
৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩৫
নজরুল কবীর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৫
রহমান মাসুদ বলেছেন: আমাদের দেশে যেমন সব সময় কিছু উত্তেজিত কবি, লেখক, সাংবাদিক এবং সমালোচক জন্মেছে ঠিক তেমনি কিছু অতি উৎসাহী সমর্থকের ও জন্ম। ফলে আমরা অনেক সময়ই বুঝতে পারিনা কোনটা আমাদের জন্য সংবাদ আর কোনটা ফাঁদ!
আমাদের সময় পত্রিকায় বর্নীত ঘটনা সংবাদ না অপসংবাদ তা বুঝি আর না বুঝি এর মধ্য দিয়ে যে এই মুভমেন্ট ভূখ সময়ে একটা কিছু করে ব্যস্ত থাকা যায় এটা বুঝতে পারছি।
আমাদের কয়েকজন লেখক, কবি এবং সাংবাদিক নিজেদের দাবারগুটি করে আখের গুছিয়ে নিয়েছে এবং আমরা ও তাদের আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে সমর্থন করেছি।ফলে এত কার কি হয়েছে তা না বলতে পারলেও এটা বুঝি, জাতি হিসেবে আমরা ক্রমে পিছিয়ে পড়ছি এবং নিজেদের ক্রমশঃ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বাগ করে ফেলছি।
২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:১৭
নজরুল কবীর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের পক্ষে একটা পোষ্ট লেখেন না। এই প্রসঙ্গে তখন আমরাও আবার আলোচন করতে পারবো।( নাকি এতেও আবার ক্ষুদ্রত্য প্রকাশ পাবে! )
মন্তব্যের ধন্যবাদ। নতুন কবিতা কই?
২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৬
হেলাল খান বলেছেন: যে শহর বেশ্যা, পাগল ও ভিন্ন মতাবলম্বীকে তাড়িয়ে দিতেই পছন্দ করে, আর যাই হোক সে শহর আধুনিক নয়।
২৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৭
আরিফ জেবতিক বলেছেন: নজরুল কবীরের সাথে একমত হতে পারলাম না ।
তসলিমা নাসরিন দেশে ফিরলে মৌলবাদী অথবা যুদ্ধাপরাধীদের সুবিধা হবে ..এটা যদি থিওরী হয় , তাহলে আমার জানতে ইচ্ছা হয় , তসলিমা নাসরিন দেশের বাইরে থাকায় আমরা এখন কী এমন সুবিধা পাচ্ছি ।
তসলিমার লেখা আমি পছন্দ করি না । কিন্তু তাই বলে তাকে তার দেশে আসতে দেয়া হবে না , এরকম ফ্যাসিস্ট চিন্তার সাথে কখনোই একমত নই ।
তসলিমাকে দেশে ফিরিয়ে আনার যে কোন উদ্যোগে আন্তরিক সমর্থন থাকবে ।
তসলিমার দেশে ফিরে আসা তার নাগরিক অধিকার ।একে রক্ষা করেই অন্যান্য চিন্তা করতে হবে আমাদের ।
২৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১:৫২
দিনমজুর বলেছেন:
পুরোপুরি আরিফ জেবতিকের সাথে একমত।
২৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:০৬
দিনমজুর বলেছেন:
শামীমা বিনতে রহমান ও নজরুল কবীরের পারষ্পরিক আলোচনা-সমালোচনাগুলো দৃষ্টিকটু লেগেছে, ওনাদের কাছ থেকে আরেকটু ভালো কিছু আশা করেছিলাম.......
আশা করেছিলাম কারণ- নজরুল কবীরের ফুলবাড়ি ইস্যুতে লেখা পড়ে ওনার সম্পর্কে যে ধারণা হয়েছে এবং তসলিমা ইস্যুতে শামীমা বিনতে রহমানের উদ্যোগের কথা জেনে যে ধারণা হয়েছে, তার সাথে ওনাদের এমন আচরণ মেলেনা বলেই মনে হলো......
নজরুল কবীরের এই পোস্টের বক্তব্য আমার কাছেও শিশুতোষ মনে হয়েছে- কিন্তু ঈর্ষা? ছবি না আসার ঈর্ষা??? - এসব বলে শামীমা কি নিজেকেও শিশুতোষ বানিয়ে ফেললেন না? "প্রগতিশীলতা যদি খোলস হয়,ওইটা পুইড়া ফেলান। আপনারে সরাসরি প্রত্যক্ষ করি।"- এমন আক্রমণ কি খুব জরুরী ছিল? একটা মহৎ উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির দাবার গুটি হওয়ার কথা বললে বিরক্তি উদ্রেক হতেই পারে- কিন্তু যারা উদ্যোক্তা, তাদের নিজেদের তো আরো ধৈর্যশীল হওয়া দরকার! তাদের তো যুক্তির বাণ মারাই সর্বাগ্রে দরকার, অন্য বাণ অন্যদের জন্য ছেড়ে দেয়াই মনে ভালো হতো......
২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:৪৬
ও.জামান বলেছেন: এই পোস্টটির ভাষা কেমন হয়েছে সেটা আলোচ্য না হয়ে বিষয়টা বিবেচ্য হওয়া প্রয়োজন। আমার মতে লেখক একটি ভয়াবহ সম্ভাবনার সুত্রপাত সম্পর্কে সাবধান করার চেষ্টা করেছেন। সাবধান হতে দোষ কোথায়? আমরা কি বারবার একই ভুল করব?
২৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:১০
টোটাল ভালবাসা বলেছেন: তসলিমা নাসরিনের লেখা যুবকদের ভাল লাগে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। বিশেষ করে "আমার মেয়েবেলা" "ক"
২৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫০
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: তসলিমা নাসরিন 'লজ্জা' লিখে মৌলবাদীদের হাতে তরুপের তাস তুলে দিয়েছেন, শুধু তাই নয়, 'লজ্জা' ছিল বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যেটুকু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখনো অবশিষ্ট আছে, তাও সমূলে ধ্বংশ করার একটি প্রবল অপচেষ্টা। একজন লেখককে তার মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রতিও দায়িত্বশীল হতে হয়। 'লজ্জা'র মতো মনগড়া কাহিনী রচনা করে তসলিমা এক্ষেত্রে চরম দায়িত্বহীনতারই পরিচয় দিয়েছেন। যার ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের মৌলবাদীরা তার বইটি উগ্র ধর্মীয় অস্র হিসাবে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার মওকা পেয়েছিলেন। নজরুল কবীরের সঙ্গে সম্পুর্ণ সহমত। তসলিমা সম্ভবত: নিজেও দেশে ফিরতে আগ্রহী নন। যদি তাই হতো, তাহলে তিনি অবশ্যই বাক্স-পেটরা গুছিয়ে সোজা বিমানে করে দেশে রওনা হতেন। সরকার তাকে দেশে ঢুকতে দিতো কি দিতো না, সেটাতো পরের ব্যাপার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
অনিন্দিতা ০১ বলেছেন: "আমাদের সময়" কিন্তু তসলিমার ২য় স্বামী নাইমুল ইসলাম খানের