![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা গোল। যেখানেই যাই এই গোলের মধ্যেই ফিরে আসতে হবে।আর আমি যেখানে সেখানেই গণ্ডগোল।
ফুলি
নকীব মাহমুদ
ফুলির সাথে হঠাৎ করেই পরিচয় আমার। সেদিন গাড়িতে করে আব্বুর সাথে স্কুলে যাচ্ছিলাম। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ফার্মগেটে জ্যামে আটকে আছি। আমি জানলা দিয়ে বাইরে তাকাকেই একটি মেয়ে ফুল হাতে সামনে এসে দাঁড়ায়।
-- আপা, ফুল নিবেন? নেন না আপা একটা ফুল!
মেয়েটাকে দেখে খুব মায়া হলো। বয়সে আমার সমানই হবে। আমি হাত বাড়িয়ে একটা ফুল নিয়ে বললাম, কী নাম তোমার? পড়াশোনা করো?
-- আমার নাম ফুলি। আগে পড়ালেহা করতাম। কয়দিন ধইরা মার অসুখ তাই পড়ালেহা ছাইড়া দিছি। ফুল বেইচ্চা মার ওষুদ কিনি।
ফুলির কথা শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। আব্বুকে বললাম, আব্বু, ফুলিকে অনেকগুলো টাকা দাও না! ওর আম্মু খুব অসুস্থ। ওর আম্মুকে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা লাগবে।
আব্বু আমার কথা রেখেছেন। আব্বু আমার সব কথাই রাখেন। ফুলির হাতে কতগুলো নতুন নোট গুঁজে দিয়ে বলরেন, এ টাকা দিয়ে তুমি তোমার অসুস্থ মাকে ঔষধ কিনে দিবে।
সেদিন ক্লাস শেষে বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি মেয়ে কতগুলো ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দেখেই চিনে ফেললাম- ফুলি। সেদিন ফার্মগেটে পরিচয় হয়েছিলো যার সাথে। কাছে গিয়ে বললাম, ফুলি কেমন আছো? আমাকে চিনতে পারছো?
-- হ, হ। চিনতে পারছি। ওইদিন আমার মায়ের ওষুদের লাইগা টাকা দিছিলেন, ওই আফা না আপনে? হাসি মুখে জবাব দেয় ফুলি।
-- হ্যাঁ। এখন বলো, তোমার আম্মু কেমন আছে?
-- মায় ভালো আছে। আপনেগো টাকা দিয়া মায়রে ওষুদ কিইন্যা দিছি। মায় এহন আল্লার রহমতে ভালো আছে।
-- আলহামদুলিল্লাহ! তাহলে এখন তুমি আবারো পড়াশোনা শুরু করে দাও।
-- পড়ালেহায় অনেক খরচ! কেমনে চালামু
-- ও নিয়ে তুমি ভেবো না। আব্বুকে বলে আজই তোমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছি।
গতপরশু আমাদের স্কুলে ফুলিকে ভর্তি করে দিয়েছেন আব্বু। ফুলি আর আমি একই ক্লাসে পড়ি। নিয়মিত স্কুলে যাই আমরা। একই সাথে খেলি। আম্মু আমাকে আর ফুলিকে প্রতিদিন মজার মজার টিফিন বানিয়ে দেন। ফুলি আমার খুব ভালো বন্ধু।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৭
নকীব মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! উৎসাহ পেলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প। ছবিটাও বেশ!