নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল হাওয়া

নদী পাড়ে স্বৃতির পাতা করে আনাগোনা ।

নদীর তীরে

নদী ও বাতাশ , মনে জাগে অপার ভালোলাগা ।

নদীর তীরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিসের নারী অধীকার???কিসের নারি স্বাধীনতা ? কথিত উন্নত দেশ সহ নারী সব দেশেই নির্যাতিত ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

উন্নত দেশগুলো অন্য দেশকে উপদেশ দেয় নারীদের নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার , স্বাধিনতা , অধীকার দেওয়ার । অথচ ওইসকল কথিত উন্নত দেশে নারী সবেছেয়ে বেশী নির্যাতিত ।



সঙ্গী সোজা বলে দিচ্ছেন, ‘‘এমন পোশাক পরা চলবে না৷’’ ধর্ষণ-নির্যাতন চলছে হরদম৷ ঘরে-বাইরে মেয়েদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়া নিত্যদিনের ঘটনা৷ দেশের নাম কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ নয় – অস্ট্রেলিয়া!



অস্ট্রেলিয়ায় মেয়েরা কেমন আছেন? বাইরে থেকে মনে হয় অনেক ভালো আছে তারা৷ আসলে যে ঘরের কোণে, পথে-প্রান্তরে, অফিস-আদালতে অস্ট্রেলীয় নারী আর উপমহাদেশ, আফ্রিকা বা আরব অঞ্চলের নারীদের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য নেই, তা পরিষ্কার আইপিএস-এর এক প্রতিবেদনে

অস্ট্রেলিয়ায় ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সি নারীদের অনেকে পাঁচ বছর আগেই জানিয়েছেন পুরুষ কতটা নির্মম আচরণ করে আসছে তাঁদের ওপর৷ সে দেশের ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকস এক জরিপ চালিয়ে দেখেছে দেশময় নীরবে চলছে ভয়াবহ নারী নির্যাতন, ধর্ষণ,যৌন নীপিড়ন৷ শারীরিক নির্যাতন মুখ বুঁজ সহ্য করতে হচ্ছে নারীদের৷ এ ধরনের নির্যাতনের এক তৃতীয়াংশই হয় বাড়িতে৷



বিয়ে করলে বিবাহিত জীবনে নারীদের অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনতা বলতে তেমন কিছু থাকেনা৷ সন্তান হলে অস্ট্রেলিয়ার অনেক মেয়েও ছেড়ে দেয় চাকরি৷ তারপরই শুরু হয় বিপদ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেছেন স্বামী সবরকমভাবে তাঁদের বন্দি করে রাখতে ক্রেডিট কার্ড কেড়ে নিয়ে বাতিল করেছে, মোবাইল ব্যবহারেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা, যখন তখন বাইরে বেরেনো অনেক মায়ের কাছে যেন বেশি কিছু চাওয়া, এমনকি বাবা-মায়ের কাছে যাওয়াও নিষিদ্ধ৷



বিয়ে না করলেও রেহাই নেই৷ ‘বয়ফ্রন্ড' বা ‘পার্টনার'-ও সম্পর্ক একটা পর্যায়ে গেলেই খুলে ফেলে মুখোশ৷ চলে অকথ্য নির্যাতন৷ নারীর বিরুদ্ধে সহিংশতা জরিপ সংস্থা আইভিএডাব্লিউএস জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় অবিবাহিত নারীরাও সাবেক বা বর্তমান ছেলে বন্ধু বা সঙ্গীর কাছে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ৷ কোনো সম্পর্ক নেই এমন পুরুষের নির্যাতনের শিকার হারই বরং কম, কোথাও কোথাও নাকি ছয় জনে মাত্র একজন৷ নির্যাতকদের কদর্যতা ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশের কথাই মনে করিয়ে দেয়৷ প্রেমিকা বা সঙ্গিনীকে বলা হচ্ছে, ‘‘শরীর দেখা যায় এমন পোশাক কখনো পরবেনা, অন্য পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশা করবেনা, টেলিফোনে যার-তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ'' – এমন কথা অস্ট্রেলিয়ার পুরুষরা ভাবতেও পারে তা কি কল্পনা করা যায়!



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

আফজালনবীনগর বলেছেন: ছি ছি ।
এরা পশু হইতেও খারাপ ।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: কাজীর গরু কাগজে আছে গোয়ালে নেই । পুরুষ স্বাসিত সমাজ কখনও নারী অধিকার সুরকশীত নয় ।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

মেংগো পিপোল বলেছেন: ভাই আমেরিকার এক ধরনের ধর্মের জনগোষ্ঠি আছে, এদের সমাজে নারী দের বিয়ে হয়ে গেলে, পুরানো নিয়ম অনুযায়ী মাথা মুন্ডন করে ফেলতে হত। যাতে তারা আইসুলেট হয়ে যায় যে তারা বিবাহিত।



এখন অবশ্য সেই সব নারী রা আর মাথা মুন্ডন করেনা তবে তারা এই প্রথাকে টিকিয়ে রাখতে বেছে নিয়েছে নতুন এক পধ্বতি, সেটা হচ্ছে হিজাব, অনেকেই অবাক হবেন আমেরিকার নারীরা হিজাব পরে! হাস্য কর।

না এটা হাস্যকর নয়, এখানেও তারা গ্রহন করেছে ছলনার খেলা, কিভাবে! তারা তাদের সত্যিকারের চুল ঢেকে রাখার জন্য ব্যাবহার করে উইগ। যেটা কাজ করে হিজাব হিসেবে। যাতে আধুনিকতাও বাচে সাথে প্রথাগত সেই আদিম রিতি। হলোনা, সুভংকরের ফাকি।

বিলেতের বা আমেররিকার রং চংয়ের দুনিয়ার অন্তরালে হাজার নারী নিরবে চোখের জ্বল ফেলে আমরা তো কেবল ভাই স্টেজের মন্চায়নই দেখি, কিন্তু বিহাইন্ডদা সিন কয় জনে বুঝি?!

তথ্যসুত্রঃ ডিসকাভারী চ্যানেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.