![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চুংগা গল্প - ১৫ (সুপার ম্যান)
১ ( হিমেলের কথা)
পরিপূর্ন নেটওয়ার্ক পাবার জন্য মোবাইলে যেমন একটা সীম কার্ড থাকতে হয় তেমনি সুপারম্যান হবার জন্য একটা লাল টুকটুকে আন্ডা প্যান্ট থাকতে হয়। এই লাল টুকটুকে আন্ডা প্যান্টই ক্রিপটন গ্রহের সাথে আমার যোগাযোগ রাখে,আমাকে আকাশে উড়ার, শয়তান দের সাথে মারামারি করার বিশাল ক্ষমতা দেয়।সীমকার্ড বিহীন মোবাইল আর লাল আন্ডা প্যান্ট ছাড়া সুপারম্যান একই কথা। ঠিক যেনো ইয়ে ছাড়া ইয়ে (যার যা রূচি সেই অনুসারে বুঝে নেন). প্রতিদিন সকাল বেলা ঠিক এই সময়টায় আমি বারান্দায় দাড়িয়ে ব্যায়াম করি, মাসল ফুলিয়ে বিভিন্ন রকম কসরত করি। যতটুকু করি তার থেকে বেশি দেখাই। কারন এই সময়ে সামনের বিল্ডিং এর নীপা তার বারান্দার ফুল বাগানে ফুল ছিড়তে আসে। আহারে ও যদি জানতো আমিই সুপারম্যান।
২ (নীপার কথা)
হিমেল লু* প্রতিদিন এই সময়টাতে বারান্দায় দাড়িয়ে নর্তন কুর্দন করে, ছেলেটার মধ্যে অদ্ভুত কিছু একটা আছে, সে প্রতিদিন লাল রংগের একটা ইয়ে পড়ে ব্যায়াম করে।প্যান্ট এর উপর দিয়ে দেখা যায়, ইচ্ছা করে দেখায় কিনা কে জানে। একটা ছেলে মানুষ লাল রংের ইয়ে পড়ে কেনো ঘুরে বেড়াবে বুঝতে পারিনা। যাই হোক ছেলেটার চোখের দৃস্টি ভালো না। সাবধান থাকতে হবে।
৩ (কতিপয় বদলোক)
underground এ বসে নূতন একটা অপহরনের প্ল্যান কষছিলো বন্যপশু অর্পন, মোটাসোটা পাভেল, মাফিয়া ডন শুভ ভাই।
এই শহরের সবচে বড়লোক মাইয়া নীপারে অপহরন করুম(মাফিয়া ডন শুভ)
যদি কেউ বাচাইতে আসে ? (বন্যপশু অর্পন)
তারেও লইয়া যামু। টেকাটুকা না পাইলেও কিডনী, গুর্দা বেচন যাইবো(শুভ)
আর কিসু না পাইলে আমার হোটেলে ছিল্লা কাইট্টা লবন লাগাইয়া বিরানি বানাইয়া খাইয়ালামু।(মোটাসোটাপাভেল)
এত্তো খাওয়ার চিন্তা কেন তর, একদিন টর্চার কইরা দেখ কি মজা(শুভ).
বাদ দে আগে আসল কাজ করি নীপা অপহরন। (অর্পন)
৪ (ঘটনা হইলো রটনা
কলেজে যাবার জন্য দাড়িয়ে ছিলো নীপা, উল্টা পাশে হীমেল(সুপারম্যান)
বিশাল কালো রঙের গাড়ি ভুস করে এসে থামলও নীপার পাশে, কাজ শেস হইতে সময় লাগলো দুই সেকেন্ড এর ও কম সময়। নীপা কে তুলে নেয়া হলো টেকা টূকার জন্য আর হীমেল্কে তুলে নেয়া হলো শ্রেফ মজা করার জন্য।
৫ (ঘটনাস্থল আন্ডার গ্রাউন্ড)
(হিমেলের চিন্তা)
অপহরন হয়ে গেছি আমরা, শালার অপহরনকারীরা যে কি!!!! কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে, মানে সুপারম্যান কে ধরে নিয়ে আসলো????
লাল টুকটুকে আন্ডা প্যান্ট টা দুই জায়গায় ফুটা হয়ে গেছে যে কারনে প্যান্ট এর নীচ থেকে আর নেটয়ার্ক পায় না। খুলে প্যান্ট এর উপরে পরতে হবে। কিন্তু সমস্যা তো নীপা কে নিয়ে , ও যদি জেনে ফেলে আমিই সুপারম্যান তাহলে সাড়া দেশ এই কথা ছড়াইতে সময় লাগবে ৫ মিনিট। কিন্তু নীপাকে আর আমার নিজেকে বাঁচানোর জন্য সুপার ম্যান আমাকে হতেই হবে। নীপা আমি এখন একটা কাজ করবো তোমার সামনে তুমি কিন্তু বাইরে গিয়ে কাউকে কিছুবলতে পারবা না ঠিক আছে????
(নীপার চিন্তা)
ভয়ে গলা বুক সব শুকিয়ে আসছে, তার থেকে ও খারাপ ব্যাপার এই অবস্থার মধ্যেও হিমেল আমার সাথেভাব জমানোর চেস্টা করতেসে। ওরে আল্লাহ কি করতেসে এই লোক, কাপর খুলতেসে কেনো, ইয়াআল্লাহ সেই লাল টুকটুকে ইয়ে টাও তো খুলে ফেলতেসে, তবেকি সে কোন খারাপ কাজ করতে চায়, হ্যা তাই তো এই জন্যই তো বাইরে বলতে মানা করসে। মা বলসে মেয়েদের সবচে বড় সম্পদ তার ইজ্জত। কই কে আছো বাচাও বাচাও শয়তান কি করিস এইসব। আয় হায় সে আমার মুখ চেপে ধরতেসে কেনো..................।
৬ ভিলেন যখন নায়ক
চিৎকার শুনে দরজা খুলে অর্পনের ঘরে প্রবেশ। ওরে শ্লা মাদার**** অপহরন করে নিয়ে আসছি আমরা , মজা করবো আমরা আর কোথায় ঘরে বসে কান্না কাটি করবি তুই। আর তুইই এই কাজ করতেসিস। তোর চামড়া দিয়ে আমসত্ত বানাবো বেয়াদব ............। মাইরপিট শুরু
ভাই আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে লাল ইয়ে টা পড়তে দেন তার পরে মারেন, (হীমেল)
চুপ শ্লা তোকে মেরে শুভর হাতে তুলে দিবো অনেক দিন আমার বন্ধু কোন টর্চার করার সাবজেক্ট পায় না।
অতঃপর হিমেল কে তুলে দেয়া হলো মাফিয়া ডন শুভভাই এর হাতে। শুভর আনন্দ আর হীমেল এর আর্তনাদ ঢাকা পড়ে গেলো ড্রীল মেশিন আর হাতুরী আর নাম না জানা মেশিনের শ্বব্দের আড়ালে
আর সেই লাল টুকটুকে ইয়ে?????? কই যে গেলো
The End
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
নগরবালক বলেছেন: সত্যি ভাই মজা পাইসেন!!! এই রকম গল্প কি আরো দিবো। কেউ কমেন্ট করেনা ভাই। আপনিই প্রথম করলেন।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালোই । কিছু শব্দচয়ন আদ্ধেক না লিখে পুরোপুরি পরিহার করা যায় ।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অচাম হইসে
+++++++++
ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাহাহা চুঙ্গা গল্প বেশ মজার তো !