![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝিক ঝিক শব্দে টেক্সি ড্রাইভার রফিক টের পেলো যে শেষ রাতের ট্রেন চলে এসেছে স্টেশনে।
রাতের টেক্সি চালানোটাই আসল উদ্দেশ্য না রফিকের , তার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন মালদার পার্টি পেলে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিজের টেক্সি তে তুলে গন্ত্যব্যের বদলে নির্জন স্থানে নিয়ে পরপারে পাঠিয়ে দেয়া এবং ওই হতভাগা যাত্রীর যাবতীয় সামগ্রী কুক্ষিগত করা।
কোন নির্জন স্থানে নিয়ে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দেয় এবং বলে স্যার গাড়ি নস্ট হয়ে গেছে স্যার গাড়ি থেকে নামেন একটু ধাক্কা দেন।
তার পকেটে একটা ভোজালী থাকে যা দিয়ে সে হতভাগা যাত্রীর পেট চিরে দু ভাগ করে ফেলে , এতে করে সবচেয়ে বড় সুবিধা এই যে গাড়িতে রক্তের দাগ লাগে না ।
আজকের পার্টি কেমন হবে , তাকে কোথায় নিয়ে মারবে এইসব চিন্তা করতে করতে কাস্টমার হাজির।
এই টেক্সি যাবে ????
পরিস্কার সুন্দর নায়কের মত চেহারা , হাতে একটা ব্রীফকেস , চকচকে ঘড়ি, আপেল মোবাইল । এই লোক বেশুমার বড়লোক।
মনের আনন্দে রফিকের তখনই একটা গান গেয়ে ফেলতে মন চাইলো।
আসেন স্যার বসেন , কই যাইবেন ???
কিছুই তো চিনিনা , যেকোন ভাল হোটেল ..................
কিচ্ছু চিন্তা কইরেন না , চলেন হে হে হে
ভালো হোটেলে নিবা , দাম কোন সমস্যা না
মনে আজ ডুগডুগি বাজছে রফিকের , পুরাই লারেলাপ্পা অবস্থা।
স্যার গাড়ি বন্ধ হয়ে গেছে , একটু বাইরে আসেন , ঠেলা দেয়া লাগবে । (ভোজালী হাতে নিয়ে রফিক রেডি)
আমার বাইরে আসতে হবে না রে মানুষের বাচ্চা , তুই ভেতরে আয় ...............।
টেনে ভেতরে নিয়ে গেলো রফিক কে অপরিসীম হিংস্রতায়।
শুধুমাত্র একটা চিতকার , তারপরে সব ঠান্ডা ।
হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে শরীরের সব হাড্ডি মাংস ছেচে দিলাম আমি , এমন ভাবে পিটালাম যেনো চামড়ার কোন ক্ষতি না হয় ( মাছের বরফ যেভাবে পিটায়) ।
রফিকের দুই হাত বেধে দিলাম গাছের ডালে আর তার শরীরের সব মাংস আর হাড্ডি জমা হল দুই পায়ে । ঠিক একটা বস্তার মত রফিক ঝুলতে থাকলো গাছে
(অনেকটা এই ছবির মত ঝুলিয়েছিলাম)
আর আমি .........। হাতুরী ব্রিফকেসে ভরে আবার যাত্রা করলাম নূতন শিকারের আশায়
গল্প টা ভালো হয় নাই । কিন্তু কিছু করার নাই, , আমি এডিট পছন্দ করি না
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১২
রানা আমান বলেছেন: ভয়ংকর এবং ভালো হয়েছে একইসাথে ।