![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাশকাটা ঘরে পড়েছিলো শুভর লাশ,
হা করা মুখে ভন ভন মাছি উড়ছে, চোখ কেউ বন্ধ করে দেয়নাই যে কারনে ভয়ানক ভাবে চোখ খোলা,
হঠাত তাকালে মনে হয় দর্শনার্থীর দিকেই তাকিয়ে আছে।
এই লাশের ময়না তদন্ত হবে।
প্রচুর পরিমান হাবিজাবি এবং আবজাব খেয়ে নিতাই ডোম এসেছে কাটাছেড়ার কাজে।
এটাই তার ১৫ বছরের পেশা, বাপের হাতে হাতেখড়ি। সেই থেকে চলছে।
কলিজা আর হৃদপিন্ড বের করতে হবে, ডাক্তারের নির্দেশ।
গলার নিচ থেকে ফড় ফড় করে টেনে ছিলে ফেলা হল চামড়া।
গলা শুকিয়ে গেছে, আর একটু হাবিজাবি খেলো নিতাই।
এইবার হৃদপিন্ড আর কলিজা
১৫ বছরের ডোম জীবনে এবারই প্রথমে আশ্চর্য এবং আতংকিত হল নিতাই।
এই লাশের কোন হৃদপিন্ড নাই!!!!!!! কলিজাও নাই!!!!!!
লাশ ফ্রেশ, কেউ এই লাশ আগে ধরে নাই, তাহলে গেলো কই। মানুষটাতো আর এতো বছর এই কলিজা আর হৃদপিন্ড ছাড়া চলে নাই!!!!
ভয়ে ভয়ে এবার লাশের পেটের দিকে তাকালো নিতাই।
হা ভগবান!!!!! পেটের ভেতরে গজ গজ করছে হৃদপিন্ড আর কলিজা।
তার মানে এটা নিজেই নিজের হৃদপিন্ড আর কলিজা খেয়ে ফেলেছে!!!!!!!!!
অঅঅঅঅঅঅঅঅনেক ক্ষুধা নিতাই রে, অনেএএএএক ক্ষুধা,
দে দে তর কলিজা খাই। দে নিতাই দে, দুজনে একসাথে শুয়ে থাকি। আয়
নিতাইয়ের আতংকিত আর্তনাদ কেউ শুনতে পায়নি সেইদিন।
আর লাশ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
একটা কলিজা দে ভাই, অনেক ক্ষুধা, দে!!!!!!!!!!!
শুভর ডেড বডি
©somewhere in net ltd.